শাফায়াত কাকে বলে | শাফায়াতকে কত ভাগে ভাগ করা যায়
শাফায়াত: মানবকল্যাণের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট হযরত মুহাম্মদ সাঃ তার বান্দাদের গোনার ভার কমানোর জন্য জান্নাত লাভের আশায় সুপারিশ করা অনুরোধ করকে শাফায়াত বলা হয়।
শাফায়াত কাকে বলে
শাফায়াত শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো :
- মিলিয়ে নেয়া,,,,
- নিজের সাথে একত্রিত করে নেয়া,,,,
- সুপারিশ করা,,,
- অনুরোধ করা,,,
- ক্ষমা করা।
মানবকল্যাণের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট হযরত মুহাম্মদ সাঃ তার বান্দাদের গোনার ভার কমানোর জন্য জান্নাত লাভের আশায় সুপারিশ করা অনুরোধ করকে শাফায়াত বলা হয়।
কেয়ামতের দিন এ শাফায়াত করা হবে, প্রতিটি মোমের হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর বান্দা হতে পেরে ধন্য।
কেয়ামতের দিন একমাত্র তিনি শাফায়াতের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট অনুরোধ করবেন সুপারিশ করবেন।
সুপারিশ বা শাফায়াত কত প্রকার ও কি কি
ইসলামে শাফায়াত প্রধানত দুই প্রকার সেগুলো হলো :
- ১. শাফায়াতে সুগরা এবং
- ২. শাফয়াতে কুবরা।
১. শাফায়াতে সুগরা :
কিয়ামতের দিনে পাপীদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য এবং পূর্ণবন্দের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য শাফায়াতের ঝগড়া করা হবে।
এ শাফায়াতের সুযোগ পাবে নবী রাসূলগণ, ফেরেস্তা, শহিদ, আলেম গন এ শাফায়াতের সুযোগ পাবেন।
কুরআন তেলাওয়াত ও সিয়াম সাধনা ও কেয়ামতের দিন এ সাফায়াত করার সুযোগ লাভ করবে।
১. জান্নাতিগণের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য এ শাফায়াত করা হবে।
২. সকল বান্দা বা মুমিনগণ পাপ কাজের জন্য জাহান্নামে অধিষ্ঠিত হবে তাদের শাফায়াত করার জন্য অর্থাৎ শাফায়াতের মাধ্যমে তাদেরকে জান্নাতে ফিরে আনার জন্য এ শাফায়াত করা হবে।
৩. পাপী জাহান্নামীদের জান্নাতে আনার জন্য এ সাফায়েত করা হবে।
- মহানবী সাঃ বলেছেন আমাকে শাফায়েত করার জন্য অধিষ্ঠিত করা হয়েছে।
- আমি আমার বান্দাদের কেয়ামতের দিন শাফায়াত করব।
- প্রতিটি মুমিন হযরত মুহাম্মদ সা: এর বান্দা হতে পেরে ধন্য কারন কেয়ামতের দিন একমাত্র তিনি শাফায়াত করবেন।
- মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা: আরো বলেছেন –
- পৃথিবীতে যে পরিমাণ ইট পাথর রয়েছে,, তার চেয়ে বেশি বান্দাদেরকে আমি শাফায়েত করব।
২. শাফয়াতে কুবরা:
কেয়ামতের দিন মহান আল্লাহতালা পৃথিবীর সকল মানুষের কাজকর্মের হিসাব নিকাশ নিবেন।
- এ সময় মানুষ হযরত আদম (আ.),
- হযরত নূহ (আ.),
- হযরত ইবরাহিম (আ.),
- হযরত মুসা (আ.)
ও হযরত ঈসা (আ.)-এর উপস্থিত হবেন হিসাব নিকাশের জন্য।
আল্লাহ তাআলা হিসাব নিকাশ এর পাপী বান্দাদের জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত করবেন।
সে সময় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শাফায়াতে পারি একমাত্র তাদেরকে জাহান্নাম থেকে জান্নাতে আনতে।
আল্লাহতালা নিকট সাফায়েত করবেন কাকে সর্বপ্রথম
সর্বপ্রথম আল্লাহর নিকট শাফায়েত করবেন হযরত মুহাম্মদ সা:
কেয়ামতের দিন শিরক ও কবর ওয়ালা আল্লাহর কাছ থেকে শাফায়াত প্রাপ্ত হবে না।
শাফায়াত মূলত আল্লাহ তা’আলা হতে মানুষকে ক্ষমা প্রাপ্তি। মানুষকে সাফায়েত করার একমাত্র মালিক হলেন আল্লাহ তায়ালা।
দুনিয়াতে যারা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে সুখ হিসেবে বসবাস করেন আখিরাতে কারো প্রভাব খাটানো সম্ভব নয়।
এখানে শুধু আল্লাহ তাআলার চাওয়া পাওয়া গুলো পড়ে নিও।
আল্লাহ তায়ালা যে নির্দেশ গুলো দিয়েছেন এবং যারা তা যথাযথভাবে পালন করেছেন তারা সেদিন জান্নাত হিসেবে স্থান পাবে।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর উম্মত হতে পরে প্রতিটি মুসলিম নিজেকে ধন্য মনে করবে কারণ শাফায়াতের মাধ্যমে জান্নাত থেকে জাহান্নাম এ আর একমাত্র মাধ্যম।
ঐদিন কেবল আল্লাহ তাআলা আমাদের নবীর শাফায়াতি মেনে নিবে।
তাই আখেরাতে তোর জীবন কামনায় সকলকে দুনিয়াতে আল্লাহ তায়ালার এবং নবী রাসূলের দেখানো পথ অনুসরণ করতে হবে।