শব্দের তীক্ষ্ণতা কাকে বলে
এই পোস্টটির মাধ্যমে শব্দের তীক্ষ্ণতা কাকে বলে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো তাই সম্পুর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
তীক্ষ্ণতা শব্দের অর্থ
তীক্ষ্ণ বাংলা শব্দের অর্থ তীক্ষ্ণ [ tīkṣṇa ] বিণ. 1 ধারানো অত্যন্ত , শাণিত (ছুরি তীক্ষ্ণ ); 2 ছুঁচলো, সূক্ষ্মাগ্র (তীক্ষ্ণ কাঁটা); 3 প্রবেশ করতে পারে, সমস্ত বিষয়ের গভীরে এমন (তীক্ষ্ণ বুদ্ধি); 4 উগ্র, প্রখর, তীব্র (তীক্ষ্ণ বিষ, তীক্ষ্ণ রৌদ্র, তীক্ষ্ণ স্বর); 5 (তীক্ষ্ণ দৃষ্টি) সতর্ক, সজাগ।
[সং. √ তিজ্ + স্ন তিক্ষ্ণা]।;স্ত্রী।;বি.তীক্ষ্ণত্ব, তীক্ষ্ণতা,।তীক্ষ্ণায়স বি, তীক্ষ্ণলৌহ, ইস্পাত।;[তিখ্নো] (বিশেষণ) ১; অতিশয় ধারালো;অত্যন্ত ধারযুক্ত, শাণিত (উঠিল-শামসুদ্দীন আবুল কালাম জনতার দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হইয়া )।
২;যার (তীক্ষ্ণ কন্টক) অগ্রভাগ সূক্ষ্ম; সুচালো। ৩ (তীক্ষ্ণ বুদ্ধি) কঠিন বিষয় অনুধাবন করতে সমর্থ। ৪ প্রখর; তীব্র, প্রচণ্ড; (তীক্ষ্ণ স্বর)।
তীক্ষ্ণতা শব্দের অর্থ
শব্দের তীক্ষ্ণতা
ধ্বনি তীব্রতা বা শব্দের তীব্রতা বলতে যে দিকে শব্দতরঙ্গ সঞ্চারিত হচ্ছে,লম্বভাবে তার সাথে প্রতি একক ক্ষেত্রফল প্রতি একক সময়ে প্রবাহিত এলাকার মধ্য দিয়ে শক্তির পরিমাণকে বোঝায়।
মান ও দিক উভয়ই বিদ্যমান শব্দের তীব্রতার, তাই এটি একটি ভেক্টর রাশি বা সদিক। স্থির বস্তু স্থির ও গতিশীল বস্তু বল প্রয়োগ না করা পর্যন্ত গতিশীল থাকতে চায়, বস্তুর এই ধর্মই জড়তা (Inertia) বলে।
শব্দের তীক্ষ্ণতা মাপা হয় ডেসিবেল এককে। দশ ভাগের এক ভাগকে এক বেলের বলা হয় এক ডেসিবেল।
শব্দের তীক্ষ্ণতা কাকে বলে
যে বৈশিষ্ট্য দিয়ে সুরযুক্ত শব্দের একই প্রাবল্যের খাদের সুর এবং বুঝা যায় চড়া সুরের পার্থক্য গুলো তাকে তীক্ষ্ণতা বলে আমাদের কানে যে, শব্দের কোন নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের জন্য বিশেষ অনুভূতির সৃষ্টি হয় তাকে তীক্ষ্ণতা বলে।
তীক্ষ্ণতা হলো: একই তীব্রাকার শব্দকে কখনো মোটা আবার কখনো চিকন কোনো সুরযুক্ত শব্দের যে কোনো বৈশিষ্ট্য দিয়ে অথবা তীক্ষ্ণ শোনা যায় তাই তীক্ষ্ণতা।
চিকন এবং কোনো সুর মোটা বা শব্দের যে বৈশিষ্ট্যের জন্য কোনো সুর চড়া কোনো খাদের তা বোঝা যায় তাকে শব্দের তীক্ষ্ণতা বলা যায়।
শব্দের তীব্রতা কাকে বলে
একই কম্পাংকের শব্দের তীব্রতাকে অপর শব্দের তীব্রতার সাথে একটি প্রসঙ্গ তুলনা করা যায়। প্রায়শই ১০০০ হার্জ কম্পাংকের মানুষের কানে শোনা কোনও শব্দের তীব্রতাকে একটি প্রসঙ্গ শব্দের তীব্রতার সাপেক্ষে নির্দেশ করা হয়, যাকে শ্রবণসীমা (threshold of hearing) বলা হয়ে থাকে।
তীব্রতার মান শ্রবণসীমার শব্দের হল প্রায় ১০-১২ ওয়াট/বর্গমিটার। এটি হল সবচেয়ে কম তীব্র শব্দ একটি স্বাভাবিক কানে শুনতে পাওয়া। প্রদত্ত কোনও শব্দের তীব্রতা কানে শোনা।
সর্বনিম্ন মোটামুটি ১ ডেসিবেল স্বাভাবিক মানুষের কান (অর্থাৎ ০.১ বেল) হেরফের শনাক্ত করে সমান শব্দের তীব্রতার। লক্ষণীয় পার্থক্য(কোনও রকমে (Just noticeable difference), তাই বেলের এককটি ব্যবহার পরিবর্তে ডেসিবেল করা হয়।উপরের সমীকরণ থেকে বলা যায় যে, শব্দের তীব্রতার ২৬% পরিবর্তন হয় ১ ডেসিবেল পরিবর্তনে।
শব্দের প্রাবল্য কাকে বলে
কম্পনের বিস্তারের বর্গের সমানুপাতিক শব্দের প্রাবল্য শব্দ উত্পাদনকারী। যদি বিস্তার দ্বিগুণ হয়ে যায়, উদাহারণস্বরূপ, তবে প্রাবল্য প্রায় 4 গুণ বৃদ্ধি পায়।
একটি একক দ্বারা প্রাবল্য প্রকাশ করা হয় ডেসিবেল (ডিবি) নামক। তীব্রতা বলতে শব্দের প্রাবল্য অথবা শব্দ কতটা জোরে হচ্ছে তা বুঝায়। বস্তু স্থির ও গতিশীল বস্তু গতিশীল, প্রয়োগ না করা পর্যন্ত স্থির থাকতে চায়, বস্তুর এই ধর্মই হলো জড়তা (Inertia) বলা হয়।
এই পোস্টটির মাধ্যমে শব্দের তীক্ষ্ণতা কাকে বলে? এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা সম্পর্কে জানতে পারলেন,এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে সবার সাথেই শেয়ার করতে পারেন।
আরো পড়ুন: শবল শব্দের অর্থ কি
শব্দের তীক্ষ্ণতা বলতে কী বোঝ?
ধ্বনি তীব্রতা বা শব্দের তীব্রতা বলতে যে দিকে শব্দতরঙ্গ সঞ্চারিত হচ্ছে, তার সাথে লম্বভাবে প্রতি একক ক্ষেত্রফল প্রতি একক সময়ে এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শক্তির পরিমাণকে বলে।
শব্দের তীক্ষ্ণতা কি পিচ
শব্দের তীব্রতা হল: মানুষের স্বাভাবিক কথোপকথনের ১০-৮ ওয়াট/বর্গমিটার।
তীক্ষ্ণতার একক কি?
পাস্কাল এককে নিউটন/বর্গমিটার তথা পরিমাপ করা হয়।
তীক্ষ্ণতা কতটুকু ক্ষতি যোগ করে
কাজের তীক্ষ্ণতা কম ঘুম মানুষের নানা ভাবে সতর্কতা এবং মনোযোগ নষ্ট করে।