লেন্স কাকে বলে? লেন্সের ক্ষমতা কাকে বলে
লেন্স কাকে বলে: পদার্থবিজ্ঞানের একটি অনন্য অধ্যায় হলো লেন্স করতে আয়োজিত একটি অধ্যায়। এ ধরনের লেন্সের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লেন্স বিদ্যমান যেমন উত্তল লেন্স অবতল লেন্স এবং এই দুটি লেন্সের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়।
অর্থাৎ মানুষ যখন কোন একটি বস্তু দেখে তখন তার লেন্সের মধ্যে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া হয় ইত্যাদির ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
আবার অনেকে লেন্স কাকে বলে লেন্সের ক্ষমতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চায়।তাই উক্ত পুষ্টির মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে ল্যান্ড সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যেমন লেন্স কাকে বলে জানাচ্ছি।
মানুষের দৃষ্টির সাহায্যে যেকোন বস্তু দেখার ক্ষেত্রে লেন্স একটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তবে লেন্স সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য নিয়ে পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় বিভিন্নভাবে আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি চোখের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে ল্যান্ড সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানা খুবই প্রয়োজন।
বিভিন্ন তথ্যের মধ্যে রয়েছে লেন্স কাকে বলে লেন্স এর প্রয়োজনীয়তা উত্তল লেন্স অবতল লেন্স এবং লেন্সের বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যাদি।
যদি কারো নতুন চোখে লেন্স থাকা সত্বেও নতুন কোন লেন্স লাগানোর প্রয়োজন হয় অর্থাৎ চশমা ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় অথবা চোখের লেন্সের বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে লঞ্চ সম্পর্কে জানতে হবে। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
লেন্স কাকে বলে
লেন্স হল এমন একটি স্বচ্ছ মাধ্যম যার মাধ্যমে আলো প্রতিসরন হয়। যে সকল প্রতিসারক মাধ্যমে অর্থাৎ যেকোন দুইটি গোলকীয় বা সমতল বিদ্যমান এরকম কোন স্বচ্ছ মাধ্যমকে লেন্স বলে।
অর্থাৎ এমন একটি গ্লাসের নিয়ে যা স্বচ্ছ মাধ্যম যার মাধ্যমে মানুষের চোখে দেখার বা দৃষ্টির এক এক অন্যতম স্বচ্ছতা কার্যকরী হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
মানুষের চোখের স্বাভাবিকভাবে লেন্স রয়েছে তবে মানুষের চোখের বিভিন্ন জটিলতা বা কঠিন সমস্যার ক্ষেত্রে লেন্স এর পরিবর্তনের মাধ্যমে উপকার পাওয়া যায়।
সুন্দর পৃথিবীকে সঠিকভাবে দেখার জন্য চোখের প্রয়োজন আর চোখকে সুন্দর ও স্বচ্ছ রাখার জন্য এবং সুন্দর জিনিস বা প্রকৃতিকে সুন্দরভাবে দেখার জন্য লেন্সের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
মূল কথা : লেন্স হচ্ছে এমন একটি স্বচ্ছ মাধ্যম যা প্রতিসরণের মাধ্যমে আলোর সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের বস্তু দেখা যায়।
লেন্সের ক্ষমতা কাকে বলে
কোন একটি লেন্সের কি পরিমাণ উপকার এর দূরত্ব রয়েছে, তার অন্যোন্যককে উক্ত লেন্সের ক্ষমতা বলা হয়। সাধারণত একটি লেন্সের ক্ষমতা কতটুকু অথবা কতটুকু প্রয়োজন তার উপর নির্ভর করে লেন্সের ক্ষমতা।
যদি কোন ব্যক্তির চোখে অথবা চোখের ব্যবহৃত চশমার মধ্যে ব্যবহৃত লেন্সের ক্ষমতার ঋণাত্মক হয় তাহলে ওই লেন্সটি অবতল লেন্স হিসেবে ধরা হয় এবং অবতল লেন্সের ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে যদি কোন ব্যক্তির চোখের পাওয়ার অথবা চশমার পাওয়ার এর ক্ষেত্রে লেন্সের হিসেবে লেন্সটি ঋনাত্মক না হয়ে ধনাত্মক হয় তাহলে উক্ত লেন্সটিকে উত্তর লেন্স বলা হয়ে থাকে।
অর্থাৎ লেন্সের ক্ষমতা কখনো পজিটিভ আবার কখনো নেগেটিভ হতে পারে। অর্থাৎ লেন্সের ক্ষমতা সাধারণত পজেটিভ হবে নাকি নেগেটিভ হবে তার উপর ভিত্তি করে লেন্সের ক্ষমতা নির্ণয় করা হয়।
অবতল লেন্স কাকে বলে
লেন্স হচ্ছে সাধারণত চোখের মাধ্যমে একটি প্রতিসারক বস্তু।তবে অবতল লেন্স হল এমন একটি অংশ যা চোখের ভেতরের অংশে বাঁকানো থাকে। একটি লেন্সের ভিতরের অংশের উভয় অংশে বাঁকানো অবস্থায় থাকে। লেন্সের উভয় অংশ বাঁকানো থাকে তাই একে বাইকনকেভ লেন্স বলে।
এলেন সময় সাধারণত ওই ধরনের আলোকরশ্মিকে সরিয়ে দেয় যা ওই লেন্সের ভিতর সমান নয় প্রতিসৃত হয়। আলোর সমান্তরাল যে রশিগুলো রয়েছে সেগুলোকে অপসারণ করা মূলত উক্ত আলোক রশ্মির বা লেন্স এর কাজ। মাঝের অংশ পাতলা থাকে এবং প্রান্তের দিকগুলো সাধারণভাবে চৌরার অবস্থায় অবস্থান করে।
যদি কোন ব্যক্তি অবতল লেন্স চোখে লাগায় তাহলে সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির যে জিনিসটি দেখছে তার চিত্র ছোট তৈরি করে।অবতলায়ন সাধারণত কেন্দ্রবিন্দু হলে সেই বিন্দু হয়ে যা অক্ষের সমান্তরাল আলোকরশ্মি লেন্সের মধ্য দিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়েও ক্রমান্বয়ে তাদের দৃষ্টি অথবা বস্তু থেকে আলো প্রতিষ্ঠিত করে।
অভিসারী লেন্স কাকে বলে
সাধারণত আমরা যে সে কল্যাণ সমূহকে উত্তল লেন্স বলে থাকি ঐ সকল লেন সমূহকে অভিসারী লেন্স বলা হয়। উত্তল লেন্সের মধ্যে যে সকল ক্ষমতা অথবা বৈশিষ্ট্য রয়েছে ঠিক তেমনি অভিসারী লেন্সের ক্ষেত্রে একই ক্ষমতা অথবা বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। অভিসারী গুলো সমান্তরালভাবে আপতিত হয় এবং তা পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে।
অর্থাৎ একগুচ্ছ আলোক রয়েছে যদি কারো চোখে পড়ে কথা বলে তখন তার পরবর্তী ঘটনা যদি উত্তর লঞ্চে যে সকল ঘটনা বা বৈশিষ্ট্য গুলো দেখা যায় তাহলে তাকে অভিসারের লেন্স বা লেন্সের ক্ষমতা বলা হয়ে থাকে।
আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে
নাকি তরঙ্গের পথ পরিবর্তনের হারকে বা পদ পরিবর্তন কি আলোর প্রতিসরণ বলে। যদি কোন তরঙ্গের গতির পরিবর্তন হয়ে থাকে অথবা গতির পথ পরিবর্তন হয়ে থাকে তাহলে তাকে আলোর প্রতিসরণের একটি বৈশিষ্ট্য বলে ধরা হয়।
তবে আলোর প্রতিসরণ সর্বোচ্চ হারে দেখা যায় তবে অন্যান্য তরঙ্গ যেমন শব্দ তরঙ্গ রয়েছে ঠিক তেমনি প্রতিসরণ হতেও দেখা যায়। অর্থাৎ অন্যান্য তরঙ্গ যেভাবে ঘটে ঠিক একই ভাবে আলোর তরঙ্গ ঘটে থাকে।
আলু একটি নির্দিষ্ট তরঙ্গ বেগে চলতে থাকে অর্থাৎ আলো যদি মানুষের চোখে বা লেন্সে আঘাত হানে তবে তা একটি প্রতি সারিত বিন্দুর মাধ্যমে কোন বস্তুর যে বস্তুটি থেকে আগত হয় ওই বস্তুটিতে পড়ে যার ফলে মানুষ ওই বস্তুটিকে দেখতে পায়।
অর্থাৎ আলোর প্রতিসরণ হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যে মাধ্যমের কারণে নির্দিষ্ট উৎস হতে আলোর বা আলোর একটি তরঙ্গ এসে মানুষের চোখে পড়ে অর্থাৎ লেন্সের মধ্যে আঘাত হানে এবং পরবর্তীতে ইহার কারণে,
চোখ পুনরায় ওই বৃষ্টির দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সাথে অর্থাৎ প্রতিসরণের সাথে সাথে বস্তুটির দিকে তাকালে বস্তুটি দেখতে পাওয়া যায়।
উত্তল লেন্স কাকে বলে
বাহ্যিক বক্ররেখা তৈরি করেএ ধরনের লেন্সকে উত্তর লেন্স বলা হয়। অথবা যে লেন্স সমূহের প্রান্তের অংশের পুরুত্ব অনেক বেশি থাকে তবে কেন্দের গুরুত্ব তুলনামূলক কম থাকে ওই ধরনের লেন্সকে উত্তর লেন্স বলা হয়। উত্তল লেন্সে আলো সামন্তরাল ভাবে একত্রিত করার ক্ষমতা বিদ্যমান।
উত্তল লেন্স ব্যবহার
বিভিন্ন ক্ষেত্রে উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়। নিম্নে লেন্সের ব্যবহার তুলে ধরা হলো :
১. দূরবীক্ষণ যন্ত্রে,,,,,
২. অলংকার নির্মাতা,,
ঘড়ি মেরামতকারীরা উক্ত লেন্সটি ব্যবহার করে থাকে।
৩.বিবর্ধক কাচ হিসেবে,,,,
৪.আতশী কাচ হিসেবে,,,,,,
৫. চশমায় ব্যবহার করা হয়,,,
৬. দৃষ্টির ত্রুটি প্রতিরোধ করতে,,,,
৭.ক্যামেরায়,,,,
৮.অণুবীক্ষণ যন্ত্রে,,,,
৯. বিভিন্ন ধরনের আলোক যন্ত্রে,,,
১০. ফোকাস দূরত্ব যখন নির্ণয় করা হয় সেই ক্ষেত্রে অবতল লেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়,,,,,
১১. গাড়িচালক-গাড়ির রিয়ার ভিউ ফাইন্ডার এর জন্য -ব্যবহার করে,,,,,,ইত্যাদি।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে লেন্স সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যাদি যেমন লেন্স কাকে বলে লেন্সের বৈশিষ্ট্য কত প্রকার,ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর জন্য চেষ্টা করেছি।
ল্যান্ড সম্পর্কে যেকোনো ধরনের প্রশ্ন অথবা ছোট প্রশ্ন অথবা কাকে বলেই তবে সম্পর্কে যে কোন তথ্য যদি আপনার জানা থাকে তাহলে তো আমাদের পোস্টের মাধ্যমে যথাযথভাবে জানতে পারবে।
এছাড়া আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে অর্থাৎ আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে যদি কোন উপকৃত হতে পেরে থাকেন তাহলে তা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন।
আরো পড়ুন: ভূমিকম্প কাকে বলে
আমাদের পোষ্টের সঙ্গে রিলেটেড এরকম বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর নিম্নরূপ :-
১. উত্তল লেন্স কে কি বলা হয়,
= অভিসারী লেন্স ।
২. অবতল লেন্স এর অপর নাম কি,
= অপসারী লেন্স।
৩. দর্পণ ও লেন্সের মধ্যে পার্থক্য কি,
= লেন্স নির্দিষ্ট একদিকে প্রতি ছবি অথবা প্রতিফলন দেখায় তবে দর্পনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একদিকে নয় বরং তা যে কোন অংশে ছোট অথবা বড় আকৃতি তৈরি করতে পারে।
৪.অবতল লেন্স কেমন প্রতিবিম্ব তৈরি করে,
= সোজা,,,,
সঙ্কুচিত,,,,
অসদ এবং সমশীর্ষ।
৫.লেন্স এর ক্ষমতা কি,
= লেন্স ব্যবহার করে যদি কোন বস্তুকে পজিটিভ অথবা নেগেটিভ এর পয়েন্ট এর উপর ভিত্তি করে দেখা হয় তবে তাকে ঐ লেন্সের ক্ষমতা বলে।
৬. লেন্সের ক্ষমতা কাকে বলে এর একক কি
= লেন্স ব্যবহার করে যদি কোন বস্তুকে পজিটিভ অথবা নেগেটিভ এর পয়েন্ট এর উপর ভিত্তি করে দেখা হয় তবে তাকে ঐ লেন্সের ক্ষমতা বলে। লেন্সের ক্ষমতা নিয়ে কখনো ডায়াপ্টর।
৭.কোন লেন্সের ক্ষমতা বলতে কি বোঝায়
=লেন্স ব্যবহার করে যদি কোন বস্তুকে পজিটিভ অথবা নেগেটিভ এর পয়েন্ট এর উপর ভিত্তি করে দেখা হয় তবে তাকে ঐ লেন্সের ক্ষমতা বলে।
৮.লেন্সের শক্তি কাকে বলে,
= ফোকাস দূরত্বের যে অনন্যতা রয়েছে তাকে লঞ্চের শক্তি বলে।
৯.অবতল লেন্সের বৈশিষ্ট্য,
= মাঝখানে পাতলা এবং প্রান্তে মোটা,,,,,প্রতিবিম্বটি সর্বদা সোজা এবং অসদ।
১০.উওল লেন্স ও অবতল লেন্স কাকে বলে,
উত্তল লেন্স ও অবতল লেন্স কাকে বলে,ক্যামেরা লেন্স কাকে বলে,