শিক্ষা

রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে – লেখার নিয়ম

এই পোস্টটির মাধ্যমে রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো তাই সম্পুর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ করা হলো।

রাসায়নিক কি

রসায়ন পদার্থের উপাদান, ও পারস্পরিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া, কাঠামো, ধর্ম  সংক্রান্ত বিজ্ঞান। বিশ্বের যাবতীয় বস্তু রসায়নবিদেরা মনে করেন পরমাণু দিয়ে গঠিত।দুই বা ততোধিক বন্ধন দ্বারা আবদ্ধ হয়ে পরমাণু রাসায়নিক অণুর সৃষ্টি করে থাকে।

ইলেকট্রন পরমাণু এক বা একাধিক বা অণু থেকে সরিয়ে নিলে অথবা যোগ করলে সৃষ্টি হয় আধানযুক্ত কণা তথা আয়ন।ঋণাত্মক আয়নের সংযোগে সৃষ্টি হয় ও ধনাত্মক আয়ন   আধান-নিরপেক্ষ লবণ (সালফেটের যৌগ বা মূলত এটি ক্লোরিন)। 

নতুন নতুন যৌগ সৃষ্টি করতে পারেন এই রসায়নবিদেরা পদার্থের পরিবর্তন সাধন করতে পারেন ও যাদের মধ্যে আছে বিস্ফোরক, প্রসাধনী ঔষধ ও খাদ্য। বিভিন্ন শিল্পে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক এবং রাসায়নিক সংশ্লেষণ কাজে লাগিয়ে দ্রব্য উৎপাদন করা হয়।

রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে

রাসায়নিক সমীকরণ রাসায়নিক লক্ষণ এবং দিকনির্দেশ ও সূত্র ব্যবহার করে প্রতিক্রিয়ার প্রতিনিধিত্ব হিসাবে রাসায়নিক সংজ্ঞায়িত করা হয়।

অর্থাৎ বিক্রিয়ক দ্রব্য কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকরী এবং সংকেত ও কতকগুলো চিহ্নের উৎপাদ দ্রব্যকে প্রতীক থাকে  (+, → বা =)প্রকাশ করাকে এর সাহায্যে সংক্ষেপে রাসায়নিক সমীকরণ বলে।

সমীকরণগুলি প্রথম ফ্রেঞ্চ রসায়নবিদ ও রাসায়নিক জাঁ বেগুইন ১৬১৫ সালে তৈরি করেন।

সুতরাং, রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার প্রতীকী, রাসায়নিক সমীকরণগুলি  উপস্থাপনা করে থাকে।

রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে লেখার নিয়ম
রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে লেখার নিয়ম

রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে

এমন একটি প্রক্রিয়া, রাসায়নিক বিক্রিয়া হলো যার মাধ্যমে একত্রিত হয়ে সম্পূর্ণ এক বা একাধিক পদার্থ ভিন্নধর্মী নতুন পদার্থে রূপান্তরিত হয়।

বিক্রিয়ক পদার্থ হলো: রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী পদার্থগুলোকে বিকারক করা। রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে অপরদিকে পদার্থ উৎপন্ন হয় নতুন ধর্মবিশিষ্ট যেসব, তাদের পদার্থ বিক্রিয়াজাত বা উৎপাদ বলা হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়া পদার্থগুলোর মধ্যে বিকারক   আদান-প্রদান বা ইলেকট্রনের ভাগাভাগির ফলে হয়ে থাকে।

রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রভাবক কাকে বলে

কোন পদার্থের উপস্থিতিতে বৃদ্ধি, রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি বাহ্যিক  পাওয়ার ঘটনাকে অণুঘটন বলে আবার ঐ বাহ্যিক পদার্থকে প্রভাবক অথবা অণুঘটক বলে।

ধনাত্মক প্রভাবক হলো: যে সকল প্রভাবক রাসায়নিক বিক্রিয়ার স্বাভাবিক কোনো গতিকে আরো বৃদ্ধি করে তাই তাকে ধনাত্মক প্রভাবক বলা হয়।রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রভাবক কোনো স্বাভাবিক গতিকে হ্রাস করে থাকে তাকে ঋনাত্মক প্রভাবক বলা হয়।

রাসায়নিক সমীকরণ লেখার নিয়ম

বিক্রিয়ক ও উৎপাদের মাঝে রাসায়নিক সমীকরণের ( →) তীর চিহ্ন বসাতে হয় ও (=) চিহ্ন দিলে বিক্রিয়ার সমতা উভয় পাশে বের করতে হবে, যাকে বলা হয় রাসায়নিক সমীকরণের সমতা।

বিক্রিয়াসমূহ এবং উৎপাদসমূহ প্রতীক অথবা সংকেতের মাধ্যমে নানা ভাবে লেখা হয়ে থাকে। একাধিক বিক্রিয়কসমূহ অথবা উৎপাদসমূহ থাকলে আবার তাদের মাঝে এমন (+) যোগ চিহ্ন বসাতে হয়।

এই পোস্টটির মাধ্যমে রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে? এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,এই পোস্টটি পড়ার মা আপনি যদি উপকৃত হন, তাহলে সবার সাথেই শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন: আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে

রাসায়নিক সমীকরণ সমতাকরণ

রাসায়নিক সমীকরণের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়াকে সংক্ষিপ্তরুপে  প্রকাশ করা হয়। 

রাসায়নিক সমীকরণের সমতাকরণ কাকে বলে

মৌলের সেই কয়টি পরমাণু সমান চিহ্নের ডান পাশে থাকলে আমরা রাসায়নিক সমীকরণ ঐ সমতাকরণ বলা হয়ে থাকে।

শ্বসনের রাসায়নিক সমীকরণ

অবাত শ্বসনের সমীকরণ অক্সিজেনের অনুপস্থিতি  C6H12O6 → 2C2H5O H+ 2CO2+ শক্তি

সালোকসংশ্লেষের রাসায়নিক সমীকরণ

কার্বন ডাই – অক্সাইড + পানি (আলো / ক্লোরোফিল) = গ্লুকোজ  + অক্সিজেন +  পানি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button