গনিত

রম্বস কাকে বলে? রম্বসের ৩টি বৈশিষ্ট্য

রম্বস কাকে বলে: গণিতের বিভিন্ন আলোচনার বিষয় গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জ্যামিতি এবং জ্যামিতির বিভিন্ন পরিচ্ছেদের মধ্যে রয়েছে চতুর্ভুজ। চতুর্ভুজকে বিভিন্ন আকার বা আকারের ভিত্তিতে অঙ্কন করার ক্ষেত্রে রম্বস কে খুঁজে পাওয়া যায়।

এজন্য রংবাজ কাকে বলে, রম্বস কিভাবে অঙ্কন করতে হয় রম্বসের অঙ্কনের পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে জানার প্রয়োজনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

তাই আমরা আমাদের উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে রম্বস সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি। 

চতুর্ভূজের আকৃতির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রকারে বা বিভিন্ন আকারে আকার জন্য প্রকারভেদ এর উপর তা নির্ভর করে। তেমনি প্রকারভেদের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন প্রকারভেদ অনুযায়ী চতুর অংকনের ক্ষেত্রে এক ধরনের চতুর্ভুজ হলো রম্বস। 

শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষামূলক প্রস্তুতির জন্য রম্বসের সম্পর্কে জানা প্রয়োজন পাশাপাশি রম্বস কাকে বলে ও রম্বসের চিত্র কিভাবে আঁকতে হয় পাশাপাশি রম্বসের অন্য সময়ের দৈর্ঘ্য নির্ণয় ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য জানা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

রম্বস কাকে বলে | rhombus kake bole

যে চতুর্ভুজে চারটি বাহুর দৈর্ঘ্য পরস্পর সমান তবে কোনগুলো সমকোণ নয় সে চতুর্ভুজকে রং বই বলা হয়। এছাড়াও যদি কোন সামান্তরিকের সন্নিহিত বাহুগুলোর দৈর্ঘ্য সমান হয় তাহলে সেই সামান্তরিক টিকে রম্বস বলা যায়।

মূলত রম্বস হল বিশেষ এক ধরনের চতুর্ভুজ চার বাহুগুলোর দৈর্ঘ্যের পরিমাণ সমান হয়। একটি রম্বসের যেকোনো চারটি বাহুর মান সমান তবে পরস্পর কোন সময় সমান বিপরীত কোন সমূহ অসমান রয়েছে। 

রম্বস আকার নিয়ম

সাধারণভাবে আমরা জানি যে একটি রম্বসংকনের ক্ষেত্রে অথবা রম্বসের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য সমান। তাই প্রথমে একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট বাহুকে রম্বসের বাহু হিসেবে ধরে নিতে হবে। 

একটি রম্বস অঙ্কনের ক্ষেত্রে ১ টি গ্রাফ কাগজে অথবা সাদা কাগজের পেন্সিলের মাধ্যমে সমান দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট শুধুমাত্র একটি রেখা টানতে হবে। 

পরবর্তীতে দেখার যেকোনো একটি নির্দিষ্ট ভিত্তিতে উল্লেখিত যেকোনো একটি কোণের মান বসাতে হবে অথবা কোনটি বশির অঙ্কন করতে হবে। 

পরবর্তীতে যে কোনটি অঙ্গন করা হবে সে কোণের বাহু থেকে প্রথমে অঙ্কিত বাহুর পরিমাণ বা দৈর্ঘ্যের সমান নিয়ে একটি নির্দিষ্ট অংশ কেটে নিতে হবে। 

ফলে কোনের দিকে উপরের লম্ব দিকে অঙ্কিত যে দিকটি রয়েছে এবং ভূমি হিসেবে যে দিক রয়েছে তার পরিমাণ বা দৈর্ঘ্য সমান থাকবে এবং একই দৈর্ঘ্য বা সমান দৈর্ঘ্য নিয়ে দুই পাশে একটি বৃত্তচাপ অঙ্কন করার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে ছেহাদও করবে। ফলে বিন্দুসমূহ শুধু যোগ করে দিতে হবে এবং যোগ করার ফলে অঙ্কিত চতুর্ভুজটি হবে একটি রম্বস। 

রম্বসের কর্ণ কি সমান

না, একটি রম্বস অঙ্কন করার ক্ষেত্রে তাদের বাহুর মান গুলো সমান বা দৈর্ঘ্য সমান নিয়ে অঙ্কন করা হয়। এছাড়াও কোন গুরু বিপরীতভাবে পরস্পরে একান্তর কোণ হিসেবে বা বিপ্রদীপ কোন হিসেবে সমান হয়ে থাকে। 

তবে একটি রম্বসের কর্ণ কখনোই সমান হয় না। কেননা একটি রম্বসের দুইটি কর্ণ বিদ্যমান থাকে ফলে কর্ণ দুটি দৈর্ঘ্য একটি বড় হয় এবং একটি ছোট হয়ে থাকে। ফলে একটিকে d1,  এবং অন্যটিকে d2 মনে করে বিভিন্ন ধরনের সূত্রের মাধ্যমে রম্বসের কর্ণ নির্ণয় করা হয়ে থাকে। 

রম্বস কাকে বলে রম্বসের ৩টি বৈশিষ্ট্য
রম্বস কাকে বলে রম্বসের ৩টি বৈশিষ্ট্য

রম্বসের কর্ণদ্বয়ের দৈর্ঘ্য

একটি রম্বসের কর্ণদ্বয়ের দৈর্ঘ্য সমান না হওয়ার কারণে আলাদা আলাদা সূত্র প্রয়োগ করার মাধ্যমে রম্বসের কর্ণ বা রম্বসের দৈর্ঘ্য নির্ণয় করা হয়। 

এক্ষেত্রে রম্বসের কর্ণদ্বয়ের দৈর্ঘ্য নির্ণয় করার জন্য বিভিন্ন সূত্র প্রয়োগ করা হয়। নিম্নে এরকম কিছু সূত্র তুলে ধরা হলো যে সূত্রগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে একটি রম্বসের কর্ণদ্বয়ের দৈর্ঘ্য নির্ণয় করা যায়। 

একটি রম্বসের দুইটি কর্ণের দৈর্ঘ্য বা কর্ণ যথাক্রমে d1 এবং d2 হে,,,

কর্ণদ্বয়ের দৈর্ঘ্য  নির্ণয় সূত্র যথাক্রমে :-

  1. (3D/2)2 + (4D/2)2 = (10)2.,,,

বা,9D2/4 + 4D2 = 100,,

বা, 9D2 + 16D2 = 400,,

বা, 25D2 = 400,,

সুতরাং D2= 400÷ 25= 16 

আরো পড়ুন: সন্নিহিত বাহু কি

রম্বসের ৩টি বৈশিষ্ট্য

একটি রম্বসের বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও রম্বস অঙ্কনের ভিত্তিতে এবং রম্বসের সংজ্ঞার ভিত্তিতে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সংজ্ঞায়িত করা হয়ে থাকে। 

নিম্নে একটি রম্বসের তিনটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো :-

১. একটি রম্বসের যে বাহুগুলো রয়েছে অর্থাৎ তার চারটি বাহুর দৈর্ঘ্য পরস্পর সমান। 

২. রম্বসের বিপরীত কোনগুলো পরস্পর সমান হয়ে থাকে। 

৩. রম্বসের কর্ণদেব পরস্পরের সমকোণী সমদ্বিখণ্ডিত থাকে এবং প্রতিটি রম্বসের কর্ণদ্বয় বিপরীত কোন দুটিকে সমকোণ্ডিত করে থাকে ফলে কর্ণদ্বয়ের দৈর্ঘ্য সমান হয় না। 

আমাদের উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে রম্বস সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করি, আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে আপনি রম্বসীরে যেকোনো তথ্য বা যে সকল তথ্য জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button