যাযাবর পাখির নামের তালিকা
যাযাবর পাখির নামের তালিকা: পৃথিবীর সৌন্দর্যের মধ্যে পাখি অন্যতম। গাছপালা গুলো যেন পাখি ছাড়া অসহায়।
আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে যাযাবর পাখির নামের তালিকা? সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। তাই এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহ থাকলে পড়তে থাকুন।
যাযাবর পাখির নামের তালিকা
হোয়াইট সারস: সাদা পেন্ট, কালো ডানার প্রান্ত শুধুমাত্র। দীর্ঘ লম্বা ঘাড় ও পা এবং পাতলা ঠোঁটের। এরা প্রায় 20 বছর বেঁচে থাকে।
কোয়েল: ফালা মধ্যে অন্ধকার আবার হালকা বাদামি দাগ আছে পালকের গৈরিক রয়েছে। এটি একটি মাঝারি আকারের পাখি। সংক্ষিপ্ত ঘাড় ও বৃহৎ মাথা। পালকের রং ধূসর-বাদামী। ঠোঁটের রং গাঢ় বাদামী, পায়ে গাঢ় ধূসর হয়।
নাটাই: বার্ড গাওয়া অনেক সময় কমে যায়। একটি সহজ চড়ুই সঙ্গে বৃদ্ধি হয়। এটি কালো – শীতকালে হয় এবং রঙ বাদামী ও ধূসর গ্রীষ্মে হয়ে থাকে।
টিট্টিভপক্ষী: এটি একটু চড়ুই চেয়ে বড়। এটা নদীর তলে, হ্রদ এবং সমুদ্র তীরে বসবাস করে থাকে। শীর্ষ বাছুর রং বাদামি-ধূসর, নিম্ন অংশের রং সাদা। গরূৎ ভেতরের দিকে রং সাদা ডোরা এমনকি ফ্লাইট দৃশ্যমান হয়ে থাকে।ঠোঁটের রং কমলা হলুদ।
অতিথি পাখির নাম
১.পিনটেইল
২.কার্লিউ
৩.হেরন
৪.নিশাচর হেরন
৫.কাদাখোঁচা
৬.গায়ক রেন পাখি
৭.রাজসরালি
৮.গ্যাডওয়াল
৯.নরদাম সুবেলার
১০.কমন পোচার্ড।
কয়েকটি যাযাবর পাখির নাম
১.হোয়াইট সারস
২.কোয়েল
৩.নাটাই
৪.টিট্টিভপক্ষী
৫.রুক
৬.গান থ্রাশ
৭.ডুবোনোস
৮.ফিল্ড লার্ক
৯.ফিঞ্চ
১০.ওরিওল
১১.বনের ঘোড়া
১২.রবিন
১৩.চিফচাফ
দুটি পরিযায়ী পাখির নাম লেখ
১.আব্দিমের মানিকজোড়
২.ইউরেশীয় সিঁথিহাঁস
পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী পাখি
পরিযায়ী পাখি: রাজস্থানের ভরতপুর আবার ওড়িশার চিল্কা হ্রদ এবং গুজরাতের কচ্ছের রণ বিভিন্ন জায়গা গুলোতে এবং জলাভূমিতে শীতের সময় বিশেষ করে এই পরিযায়ী পাখির দেখা পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গেরও বিভিন্ন জলাশয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় এই পরিযায়ী পাখি গুলোকে।
বাংলাদেশের অতিথি পাখি
শীতের সময় অতি ঠান্ডার কারণে, যে সব পাখি ওদের নিজের দেশের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম শীতের অঞ্চলে চলে আসে। তাদেরক বলা হয়ে থাকে অতিথি পাখি বা পরিযায়ী পাখি।
প্রতিবছর আমাদের দেশেও শীতকালে কিন্তু এরকম কিছু অতিথি পাখি আসে। ওরা আসে মূলত রাশিয়ার বিভিন্ন জায়গা আর হিমালয়ের পাদদেশ থেকে। শীতের সময় দলবেঁধে আমাদের দেশে অতিথি পাখিরা চলে আসে।
হিমেল হাওয়াতে ভেসে আসা এসব অতিথি হাঁস। সন্ধ্যায় আবার নীড়ে ফেরা সরালির ঝাঁকের দিকে যদি কখনও চোখ পড়ে, তাহলে দেখতে পাবেন ইংরেজি অক্ষরের ভি অক্ষরের আকৃতির মতো করে এগিয়ে চলছে এই পাখিরা দলবেঁধে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে আবার বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঝাঁকে ঝাঁকে এই অতিথি পাখিগুলোর দেখা মিলে।আমাদের দেশে পাখি আছে প্রায় ৬২৮ প্রজাতির। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ২৪৪ প্রজাতির পাখিই একই স্থানে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাস করে না।
এমন কিছু পাখিদের কে দেশের পরিযায়ী পাখি বা অতিথি পাখি বলা হয়ে থাকে। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এমন ভাবেই হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে হাজার হাজার পাখি আমাদের দেশে আসতে শুরু করে। তারপর মার্চ ও এপ্রিলের দিকে ঐ দেশের বরফ গুলো গলতে শুরু করলে তারা আবার নিজ স্থানে ফিরে যেতে থাকে।
বাংলাদেশের পরিযায়ী পাখি
শীতের সময় হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে পরিযায়ী পাখি বা অতিথি পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের বাংলাদেশের হাওর এবং উপকূলীয় কিছু কিছু এলাকা ছাড়াও আবার সমতলের বেশ কিছু এলাকায় আগামী কয়েক মাস এসমস্ত পাখির দেখা মিলবে।
মূলত অতিথি পাখিগুলো বর্ষার শেষে এবং শীতের আগে থেকেই বাংলাদেশে আসা শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় মার্চ মাস থাকার পর আবার ফিরে যায় নিজেদের দেশে পাখিগুলো।
১.আব্দিমের মানিকজোড়
২.ইউরেশীয় সিঁথিহাঁস
৩.উত্তুরে ল্যাঞ্জাহাঁস
৪.উদয়ী মানিকজোড়
৫.কালাপাশ চুটকি
৬.কালো মানিকজোড়
৭.কালো হাঁস
৮.কালোঘাড় সারস
৯.কুড়া
১০.খয়েরি-ডানা পাপিয়া
১১.গিরিয়া হাঁস
১২.চখাচখি
১৩.চাতক
১৪/চিত্রা শালিক
১৫.চিত্রিত পি-উ
১৬.ডুবুরি (পাখি)
১৭.দাগি রাজহাঁস
১৮.দেশি মেটেহাঁস
১৯.ধলাটুপি পায়রা
২০.নিশি বক
২১.পাতি তিলিহাঁস
২২.পান্না কোকিল
২৩.পিয়াং হাঁস
২৪.ফুলুরি হাঁস
২৫.বড় সরালী
২৬.বালু নাকুটি
২৭.বৈকাল তিলিহাঁস
২৮.মাগুয়ারি মানিকজোড়
২৯.মান্দারিন হাঁস
৩০.রাঙ্গামুড়ি
৩১.লাল ঘুঘু
৩২.শাহ চখা
৩৩.সাইবেরিয়ান সারস
৩৪.স্মিউ হাঁস
৩৫.হ্যারিয়ার (পাখি)
ভারতের পরিযায়ী পাখি
১.গ্রেটার ফ্লেমিংগো,
২.রাফ,
৩.পানকৌড়ি,
৪.কালো ডানাযুক্ত স্টিল্ট,
৫.হলুদ ওয়াগটেল,
৬.হোয়াইট ওয়াগটেল,
৭.নর্দান পিনটেল,
৮.রোজি পেলিকান,
৯.নর্দান শোভেলার,
১০.ইউরেশিয়ান উইজেন,
১১.লং-বিলড পিপিট,
কালো লেজযুক্ত গডভিটের মতো এমন কিছু বিভিন্ন প্রজাতি পাখিগুলো আসতে থাকে। এক মহাদেশ থেকে আবার আরেক মহাদেশে কয়েক হাজার পথ অতিক্রম করে এই পরিযায়ী পাখিরা ভারতে এসে পারি জমায়।
এই পোস্টটির মাধ্যমে যাযাবর পাখির নামের তালিকা? সে সকল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন, আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে।