শিক্ষা

মোলারিটি কাকে বলে? মোলারিটি নির্ণয়ের সূত্র

মোলারিটি কাকে বলে: রসায়ন এবং পদার্থের বিভিন্ন ধরনের পদার্থ কে পরিমাপ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। 

সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পদার্থের মোলারিটি নির্ণয় করা প্রয়োজন। পাশাপাশি মৌলারিটি কাকে বলে এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এজন্য আমাদের উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে মোলারিটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছি। 

রসায়নের বিভিন্ন ধরনের পদার্থের মিশ্রণসমূহের দ্রব্য ও দ্রবণ এবং দ্রাবকের মোট পরিমাণ কে ভিন্ন সময় পরিমাপ করতে হয়। ওই সকল কিছু বা্পাদ্য সমূহকে পরিমাপ করার জন্য এবং ভিন্ন সূত্র প্রয়োগ করার মাধ্যমে মোলারিটি নির্ণয় করা হয়ে থাকে। 

শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলক প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও মোলারিটির গুরুত্ব রয়েছে। এজন্য মোলারিটি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন এবং মল আইডি কিভাবে নির্ণয় করতে হয় সেই সম্পর্কে সূত্র ও জ্ঞান অর্জন জানা খুবই জরুরী। 

মোল কাকে বলে

এককের আন্তর্জাতিক পরিমাণের পদ্ধতিকে মোল বলা হয়। এছাড়াও কোন পদার্থের পরিমাপের এস আই পদ্ধতিতে মোল বলা হয়। আমরা জানি এক মূল কণাকে বা এক মূল পদার্থতে সংজ্ঞাই তো করা হয় ৬.০২২১৪০৭৬×১০২৩টি কনা দ্বারা। 

অর্থাৎ কোন পদার্থের অনুপ অথবা পরমাণুর মোট পরিমাণ বা মূল পরিমানকে যখন পরিমাপ করা হয় সে ক্ষেত্রে পরিমাপ করার ক্ষেত্রে মোল কে ব্যবহার করা হয়। 

মোলারিটি কাকে বলে

নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এক লিটার দ্রবণের কোন দ্রবণে দ্রবীভূত দ্রাবের মোট সংখ্যাকে মোলারিটি বলা হয়। মোলারিটি কে প্রকাশ করা হয় ইংরেজি M দ্বারা। 

আমরা জানি, ১ মোল সোডিয়াম ক্লোরাইড (Nacl) = ৫৮.৫ গ্রাম। এর থেকে বোঝা যায় যে কোন নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এক লিটার দ্রবণের মধ্যে যদি সোডিয়াম ক্লোরাইড এর ৫৮.৫ গ্রাম দ্রবণ থাকে তাহলে উক্ত দ্রবণটিকে সোডিয়াম ক্লোরাইড এর মোলারিটির দ্রবণ বা মোলারিটি  বলা হয়। 

মোলারিটি কাকে বলে মোলারিটি নির্ণয়ের সূত্র
মোলারিটি কাকে বলে মোলারিটি নির্ণয়ের সূত্র

মোলারিটি নির্ণয়ের সূত্র

মোলারিটি নির্ণয়ের সূত্র নিম্নরূপ :-

Molarity,,, M = moles of solute/ 1 litre of solution ,, 

Or,,,,

Moles = Volume ( liters)×molarity( moles/ liter),,

÷

M = n/v

যেখানে,,M = moler concentration (  মোলারিটি)

n= moles of solutes

v= liters of solution…… 

অর্থাৎ মোলারিটি নির্ণয়ের সূত্র হলো : M = n/v

নরমালিটি কাকে বলে

নির্দিষ্ঠ  তাপমাত্রায় বা স্থির তাপমাত্রায়, প্রতি লিটার দ্রবণে দ্রব্যের মোট পরিমাণের গ্রাম তুল্য ভর কে নরমালিটি বলা হয়। একে  N দ্বারা প্রকাশ করা হয়। 

Normality,  N = Eq/V

Here, N= normality,,, 

Eq= number of Gram equivalents of solute,,,

V= volume of solvent in letters,,,, 

মোলার আয়তন কাকে বলে

চাপ এবং তাপমাত্রাকে স্থির রেখে কোন একটি কঠিন মৌল বা পদার্থ যে আয়তনকে দখল করে ওই আয়তনকে ওই গ্যাসের মোলার আয়তন বলে। 

তাছাড়া অন্যভাবে বলা যায় কোন একটি পদার্থের এক মূল গ্যাসীয় পদার্থ যে আয়তন দখল করে তা মোলার আয়তন। 

STP তে এক মোল গ্যাসের আয়তন হল ২২.৪ লিটার। আমরা জানি অক্সিজেনের আণবিক ভর হল 32 গ্রাম। 

সে অনুযায়ী ৩২গ্রাম অক্সিজেন = এক মোল অক্সিজেন। 

এছাড়া আমরা জানি কার্বন ডাই অক্সাইড এর আণবিক ভর হল ৪৪ গ্রাম। 

অর্থাৎ,,,

৪৪ গ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড =  এক মোল কার্বন ডাই অক্সাইড। 

মোলারিটি তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল

কোন পদার্থের আয়তন বৃদ্ধি পায় তাহলে সে ক্ষেত্রে দ্রবণের গণমাত্রা কম হয়। আবার দ্রবণের আয়তন যদি কম কমে তাহলে গণমাধ্যা সে ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পায়। এ থেকে বোঝা যায় যে কোন দ্রবণের তাপমাত্রা যদি পরিবর্তন হয় তাহলে ওই দ্রবণের আয়তন পরিবর্তন ঘটবে। 

ফলে তাপমাত্রা পরিবর্তন করলে দ্রবণের ঘনমাত্রার পরিবর্তন হয়। এজন্য মোলারিটির তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল। 

আরো পড়ুন: জড়তার ভ্রামক এর একক ও সূত্র কি

কারন আমরা জানি, 

মোলারিটি তাপমাত্রার স্থির অবস্থা অথবা তাপমাত্রার সাপেক্ষে বিভিন্ন সময় চাপ ও আয়তনের উপর নির্ভর করে বৃদ্ধি এবং হ্রাস পায়। এজন্য মোলারিটি তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে আলোচনা করার মাধ্যমে মোলারিটি সম্পর্কে জানানোর জন্য চেষ্টা করেছি।আশা করি আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা মোলারিটি সম্পর্কে জানতে পারবেন  এবং মোলারিটি কাকে বলে? মোলারিটি নির্ণয়ের সূত্র এটা দিয়ে সম্পর্কে যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button