মুড়ি ইংরেজি কি | খাবার, চালের মুড়ি ভাজা ইংরেজি কি
চালের মুড়ি ভাজা মুড়ি ধান থেকে তৈরি একধরনের স্ফীত খাবার ও ভাজা চাল, যা সাধারণত প্রাতরাশ বা জলখাবারে খাওয়াও হয়। এটি ভারত অনেক বাংলাদেশে জনপ্রিয় খাবার হিসেবে এই পরিচিত।
চালের অন্তর্বীজ গরম করে বাষ্প উপস্থিতিতে উচ্চ চাপের এমন সাহায্যে মুড়ি তৈরি করা হয়, যদিও এর প্রস্তুত পদ্ধতি বিভিন্ন রকমের ও হয়ে থাকে।
খাবার মুড়ি ইংরেজি কি
প্রতিটা বাঙালির ঘরে খাবার হিসেবে আর কিছু থাকুক এবং না থাকুক মুড়ি কিন্তু সবসময় থাকে। এমনকি মসলা মুড়ি থেকে এই ভেল পুরি এমনকি পেটের গোলমালে মুড়ি জল সবেতেই মুড়ির অনেক ভূমিকা অপরিহার্য।
৯৯ শতাংশ মানুষ আছেন যারা জানেন নেই মুড়িকে ইংরেজিতে কি বলে। আজকের প্রতিবেদনে সেই নিয়েই বিস্তারিত এই ভাবে আলোচনা করবো। মুখরোচক খাবার হোক ও পেটের সমস্যা সবেতেই মুড়ি সুপার ডুপার হিট।
এমনকি অনেকেই আছেন খিদে নানা ভাবে পেলে বাড়িতে তৈরি যেকোন তরকারির সঙ্গে মুড়ি খেয়েও থাকেন। তবে এই সব এতকিছু তো হল। কিন্তু মুড়ির ইংরেজি নামই তাদের অজানা অনেকের কাছে।
মুড়ির ইংরেজি নাম হল পাফড রাইস এবং (Puffed Rice)। অনেকেই আছেন মুড়ির এ নামটি জানেন না। আবার অনেকেই এমন চর্চার অভাবে নামটি মনে করতে পারেন না।
আমেরিকা (America), ইতালি (Italy), ইংল্যান্ডের আবার (England) মানুষেরাও মুড়ি খান। আপনি শুনলে অবাক হবেন যে, এমন প্রবাসী বাঙালিদের বন্ধু বান্ধব যখন বিদেশে মুড়ি এই বিষয় নিয়ে যান তাদের আত্মীয়দের জন্য তখন তারা খুবই অনেক পছন্দ করেন।
ধরুন আপনি বিদেশে গিয়ে দেশি খাবারের খোঁজ করতে ও করছেন। বিদেশের দোকান থেকে মুড়ি কেনার চেষ্টা ও করছেন। এই মতাবস্থায় আপনি যদি দোকানীকে মুড়ি বস্তুটা তা বুঝিয়ে না বলতে পারেন তাহলে আপনাকে খালি হাতেই ফিরতে ও হবে।
সাধারণত যেকোনো সামগ্রীর ইংরেজি এই নাম যদি জানা থাকে তাহলে পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান না কেন, ইংরেজি এই নাম ব্যবহার করে আপনি যা চাইছেন তা পাওয়া সহজ হয়। কাজে এমন এখন আপনাকে মুড়ির ইংরেজি নামটাও জেনেও নিতে হবে।
সাধারণত শিশুদের পাঠ্যপুস্তকে মুড়ির ইংরেজি এই নামের উল্লেখ থাকে। অর্থাৎ একজন শিশুও এই নামটি বলে দিতেও পারে। মুড়ির ইংরেজি নেন আপনার জানা আছে কী? সঠিক উত্তরটি হলো আবার পাফড রাইস(Puffed Rice), তাহলে এবার থেকে আর আবার বিদেশে গিয়ে মুড়ি কিনতে অপ্রস্তুত এমন হতে হবে না।
চালের মুড়ি ইংরেজি কি
মুড়ি ধান থেকে তৈরি একধরনের স্ফীত খাবার ও ভাজা চাল, যা সাধারণত প্রাতরাশ বা জলখাবারে খাওয়াও হয়। এটি ভারত অনেক বাংলাদেশে জনপ্রিয় খাবার হিসেবে এই পরিচিত।
চালের অন্তর্বীজ গরম করে বাষ্প উপস্থিতিতে উচ্চ চাপের এমন সাহায্যে মুড়ি তৈরি করা হয়, যদিও এর প্রস্তুত পদ্ধতি বিভিন্ন রকমের ও হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ এ মুড়ি একটি নিত্যদিন এমন খাদ্য তালিকার অংশ। ছোলা ভাজির সাথে মুড়ি বেশি খাওয়া ও হয়। ঝাল মুড়ির প্রধান এর উপদান এটি। এছাড়াও শুকনো খাবার হিসেবে সংরক্ষণ করা যায় বলে বন্যার বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় খাদ্য হিসেবে অনেক বন্যার্ত বা দুর্যোগ কবলিতদের দেয়া হয়।
এছাড়াও ভারতীয় এমন ভেলপুরীর চটপটির একটি উপাদান। এটি দক্ষিণ ভারতের কেরলা ও তামিলনাড়ু রাজ্যের প্রায় সমস্ত পূজায় হিন্দু দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে অনেক সময় অর্পণ করা হয়।
পেটের সমস্যা পেটের সমস্যায় শুকনো মুড়ি আবার ভেজা মুড়ি খেলে তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া ও যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মুড়িতে ভিটামিন বি এবং প্রচুর পরিমাণ এর জন্যে মিনারেল থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই করোনা কালে ভিটামিন সি এই জাতীয় খাবারের পাশাপাশি মুড়ি এবং কিন্তু আপনাকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা ও করবে।
হাড় এবং দাঁত মুড়ি ভিটামিন ডি, রাইবোফ্লাভিন ও থিয়ামিনের উৎস। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফাইবার। তাই মুড়ি খেলে হাড় এবং দাঁত শক্ত হয়।সুতরাং,বুড়া বয়সেও দাঁত দিয়ে এই গরুর হাড়-মাংস চিবিয়ে খেতে আপনাকে সহায়তা করবেও এই মুড়ি।
শক্তির উৎস মুড়িতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ এর এমন শর্করা। এটি আমাদের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন কাজে সক্রিয় থাকতে ও জ্বালানি হিসেবে কাজ করে মুড়ি।
ডায়েট এ ক্ষেত্রে আজকাল মানুষ শরীর নিয়ে বেশ ভাবে সচেতন।ছেলে-মেয়ে, ছোট-বড় নির্বিশেষে সকলকে আজ ডায়েট করতে দেখা যায়।
ডায়েট এ ক্ষেত্রে এই মুড়ি আপনাকে খুব ভাল কাজ দিবে তাই ক্ষিধে লাগলে ঝটপট মুড়ি খেয়ে নিবেন।এতে না আছে ক্যালরি বাড়ার চিন্তা তাই না আছে ফ্যাট বাড়ার সম্ভাবনা থাকে
চিড়া ইংরেজি কি
চিড়া’ কথাটির ইংরেজি flattened rice শব্দটি আমাদের অনেকের কাছে অপরিচিত। চিড়া হচ্ছে একধরনের খাবার যা বাংলাদেশ, ও ভারত, নেপালে খাওয়া হয়। ধান থেকে চিড়া তৈরীও করা হয়।
তাই ভালো স্বাদের চিড়া পেতে হলে নির্দিষ্ট জাতের ধান নির্বাচন করতেও হয়। এই চিড়া শুকনো বা ভেজা অবস্থায় খাওয়া ও যায়। আবার এই পানি, দুধ এবং অন্যান্য তরল জাতীয় পদার্থ খুব সহজে চিড়া ও শুষে নিতে পারে।
আবার শুকনো চিড়া গুড়ের পাটালি দিয়ে খাওয়ারও রীতি আছে। এটা ভাবে খুব সহজে হজম হয়। মিষ্টির দোকান গুলোতে চিড়া একটি বহুল প্রচলিত খাবার।
চিড়া খাওয়ার উপকারীতা ও এই চিড়া খাওয়ার উপকািরতা বলে শেষ করা যায় ও না। গরমে, নাশতায়, বিকেলের খাবার এর বিভিন্ন ভাবে রান্না করে, দই এর সাথে, আমের সা্থে এমন কতকি উপাইয়ে চিড়া খাওয়া যায় তা বেল শষ করাও যাবেনা।
এই চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে যা ডায়রিয়া, ক্রন’স ডিজিজ, এবং আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ রোগ প্রতিরোধে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
এমন চিড়ায় পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকার জন্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক চিড়া খাওয়ার ও উপকারিতা অনেক। আবার সিলিয়াক ডিডিজের রোগীদের জন্য চিড়া খাওয়ার ও উপকারিতা রয়েছে।
চালের এমন প্রোটিন প্রোলামিন এবং গ্লুটেলি এর শোষণে কোন সমস্যা না থাকার এই রোগীদের জন্য চিড়া গ্রহণ করা নিরাপদ।
বাঙালি নাশতায় চিড়া খেতে ও পছন্দ করে। দই-চিড়ার এই সঙ্গে কলা বাঙালির প্রিয় নাশতা। বিশেষ করে গরমের মৌসুম এ খাবারের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
শরীর ঠান্ডা রাখতে এ খাবারের জুড়ি নেই। শুধু দুধ-চিনির সঙ্গে চিড়া খাওয়া যায়, যা খেলে অল্পতেই পেট ও ভরে উঠবে। স্বাদেও দারুণ অনেক এটি। শুধু স্বাদে নয়, বৈজ্ঞানিকভাবেও চিড়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অনেক।
বাঙালীর একটি প্রিয় খাবারের নাম এই মুড়ি। এই খাবারটি এত জনপ্রিয়তা এতই বেশি যে বাংলা সাহিত্যে ব্যাপক স্থান করে নিয়েছে। এক সময় গ্রাম বাংলায় অতিথি আপ্যায়ন এর বহুল ব্যবহৃত হতো।
বাঙালী শহরে জীবনেও মুড়ি ব্যবহার এর ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। এমন কারণে দেশে বিশেষ করে শহরে বাণিজ্যিক উৎপাদন রয়েছে।
আর বাণিজ্যিক উৎপাদন করতে গিয়ে এই মুড়িতে মেশানো হচ্ছে সোডিয়াম হাইড্রো সালফাইড। যার বাণিজ্যিক নাম হলো হাইড্রোজ।
সংশ্লিষ্টদের মতে হাইড্রোজ মেশানোর কারণে মুড়ি বেশি ও অনেক পরিমাণ ফুলে ফেঁপে ওঠে। সাদা চকচকে হয়। আবার ক্রেতা আকর্ষণ করে বেশি। ফলে বেশি দামে বিক্রি করা সেটা সম্ভব হয়। আসছে এই রমজান মাস। আর এই মাসেই দেশে মুড়ির চাহিদা কয়েকগুণ ভাবে বেড়ে যায়। বিশেষ করে রমজানে ইফতারে অবশ্যকীয় একটি এই উপাদান হলো মুড়ি।
সন্ধ্যায় ইফতারের সময় ছোলা মুড়ি ছাড়া তাই ইফতার হয় না। রমজানকে এই ভাবে টার্গেট করেই মুড়ি কারবারিদের এখন রমরমা ও ব্যবসা।
এছাড়া সারাবছরই মুড়ির ব্যবহার করা রয়েছে। শহরের জীবনে ও সাধারণ মানুষ এই বাণিজ্যিক মুড়ির ওপর বেশি নির্ভরও করে থাকে। বিএসটিআই জানিয়েছে, মুড়ি ভাজতে সাধারণত লবণ এবং পানির মিশ্রণের প্রয়োজন হয়। এই লবণ মিশ্রিত পানি মুড়ি আবার মেশানোর সময় হাইড্রোজ মিশিয়ে দেয়া হয়।
মুড়ি ভাজার সঙ্গে জানিয়েছেন, হাইড্রোজ মেশানোর কারণে মুড়ি বেশি পরিমাণ হয়ে ওঠে। ভাজা মুড়ি সাদা পড়ে। এতে ক্রেতা আকর্ষণ বেশি এবং ফলে বেশি দামে বিক্রি করা সম্ভব হয়। বিশেষজ্ঞ এর মতে মুড়িতে এভাবে হাইড্রোজ মেশানো এমন মানব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
আবার খাদ্যে এভাবে হাইড্রোজ মেশান নিষিদ্ধ। কিন্তু বেশি মুনাফার লোভে এভাবে মুড়ি ভেজে বিক্রি ও করা হচ্ছে। বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে পুরান ঢাকা, বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে আবার শনির আখড়া, গোবিন্দপুর, বাগানবাড়িসহ বিভিন্ন এই এলাকায় গড়ে উঠেছে মুড়ি ভাজার ও কারখানা।
ঝালমুড়ি ইংরেজি কি
ঝালমুড়ি একটি খাবার যা মুড়ি, চানাচুর ও অন্যান্য অনেক মসলা সংযোগে তৈরি হয়। ঝালমুড়ি বাংলাদেশ ও ভারতে খুব জনপ্রিয়।[২] বিশেষ করে স্কুল, কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে এটি সাধারণত ফেরি করে বিক্রি ও করা হয়। ঝালমুড়ি বিক্রেতা ঝালমুড়িওয়ালা ও বলা হয়ে থাকে।
পশ্চিমবঙ্গ এর রাস্তার খাবারের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই খাবার হল ঝালমুড়ি। বহু মানুষ বিশেষত মহিলা এর কাছে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও মুখরোচক অনেক একটিখাবার।
ঝালমুড়ি তৈরী করতে হলে চানাচুর, ধনেপাতা, ও কাঁচালঙ্কা, ভেজানো কাঁচা ছোলা, সেদ্ধছোলা, বাদামভাজা, এবং বেশ কয়েক ধরনের মশলা, সরষের তেল, নারকেল কুচি সহযোগে ও অতি যত্ন সহকারে মুড়ি দিয়ে মাখতে হয়।
কমবেশি প্রতিটি বাঙালি ঝালমুড়ি খেতে বেশ পছন্দ করেন। এ দেশের পূর্বের দিকে রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, এবং ত্রিপুরা ও অসমের কিছুটা এলাকা জুড়ে ঝালমুড়ির অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে ৷ তবে বাংলাদেশে ঝালমুড়ির পছন্দ করেন না এই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন।
প্যান গরম করে মৌরি, জিরা, দারুচিনি, জয়ত্রি, আবার এলাচ ও লবঙ্গ হালকা আঁচে ভেজে ৫ মিনিট নিন। এই ভাবে নাড়তে হবে ঘনঘন। চুলা থেকে নামিয়ে পাটায় বেটে নিন আবার ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন।
চুলার প্যানে রান্নার তেল ও সরিষার তেল দিন। তেলে আবার আদা, রসুন ও পেঁয়াজ বাটা দিন। ধনিয়া, হলুদ অনেক মরিচ গুঁড়া ও লবণ দিন। গুঁড়া করে রাখা মসলা দিয়ে দিন। এই সব মসলা ভালো করে নেড়ে কষিয়ে নিন মিডিয়াম জ্বালে। প্রায় ১০ থেকে ১২ মিনিট কষানোর পর নামিয়ে ঠাণ্ডাও করুন।
আপনি হয়ত এটি চেষ্টা করেছেন ও আপনি এটি জানেন না! অনেক বিক্রেতা ট্রেনে এটি বিক্রি করে, বিশেষ ভাবে করে যখন আপনি হাওড়া পৌঁছাতে চলেছেন।
এই যখন তারা মুম্বাই এর কাছাকাছি থাকে তখন তারা এটিকে ভেলপুরি বলে ও কিন্তু কলকাতায় তারা এসে তারা নাম পরিবর্তন করে ঝালমুড়ি রাখে। মানে চাট এমনই।জিনিস ভিন্নভাবে করুন এবং আপনি অন্য পরিবর্তন ও করুন।
ঝাল মুড়ি বানানো তাই সোজা। মাত্র ১৮ মিনিট সময় নেয়। তাই আপনি যদি দ্রুত খাবার খেতে চান ও নতুন কিছু চেষ্টা করতে চান, তাহলে ঝাল মুড়িই হল পথ!
মুড়ি অর্থ কি
অফিস থেকে বাড়ি ফিরে চায়ের সঙ্গে মুড়ি চানাচুর— অনেক বাঙালিরই সন্ধ্যার খাবার এটি। অনেকে দুপুরে হাল্কা পেট ভরানোর জন্যও অল্প মুড়ি খেয়ে নেন। রোজ এ ভাবে মুড়ি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল?
মুড়ি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ মতো বাড়তে পারে। তাই অনেকেই মুড়ি এড়িয়ে চলেন। তবে মুড়ির গুণও কম নয়। রোজ মুড়ি খেলে ক্ষতির চেয়ে লাভের সম্ভাবনা বেশি।
অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে পারে এই মুড়ি। নিয়মিত মুড়ি খেলে পেটে অ্যাসিডের ক্ষরণে ভারসাম্য রক্ষা আসে। বাড়াবাড়ি রকমের অ্যাসিড হলে, মুড়ি জলে ভিজিয়ে খান বলেন অনেকে। তাতে যে দ্রুত অ্যাসিডের সমস্যা কমে।মুড়িতে ক্যালসিয়াম আর আয়রনও থাকে। এটি হাড় অনেক শক্ত করে।
- এতে ক্যালোরির মাত্রা অনেক অত্যন্ত কম। অল্প খিদে ও পেলে মুড়ি খেলে পেট ভরে যায়। ক্যালোরির মাত্রা কম স্বাভাবিক বলে মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে না। যাঁরা হাল্কা খাবার খাওয়া হিসাবে নিয়মিত মুড়ি খান, তাঁদের পক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণে করে রাখা সহজ।
- আপনি কি রোজ মুড়ি খান? তা হলে সেটা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে আপনার রক্তচাপও। এতে সোডিয়ামের এই মাত্রা কম। ফলে এটি খাওয়ার পরে পেট ভরলেও এই রক্তচাপ বাড়ে না।
খাদ্য প্রিয় বাঙালির কাছে মুড়ি এক সময় বিশেষ জায়গা ধরে রেখেছে। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা মুড়ির সাথে নানা তেলেভাজা হোক বা চানাচুর খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে।
অত্যন্ত আকর্ষণীয় সহজপাচ্য এই খাবার মুড়ি শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারি বলেই এই মনে করা হয়। দেশ থেকে শুরু করে আমাদের রাজ্যেও সকালের জল ও খাবার অথবা সন্ধের টিফিন, অনেকেই মুড়ি খেতে বেশি কম পছন্দ করেন।
তরকারি দিয়ে মুড়ি, অথবা চানাচুর দিয়ে মুড়ি, এবং তেলেভাজা দিয়ে মুড়ি খাওয়ার এক আলাদাই মজা। মুড়ি খাওয়ার সময় যেমন মজা রয়েছে এর পাশাপাশি মুড়ির রয়েছে বিশেষ ও কিছু পুষ্টিগুণ,
মুড়ি এর ইংরেজি কি
প্রতিটা বাঙালির ঘরে খাবার হিসেবে আর কিছু থাকুক এবং না থাকুক মুড়ি কিন্তু সবসময় থাকে। মসলা মুড়ি থেকে ভেল পুরি এমনকি পেটের গোলমালে মুড়ি জল সবেতেই মুড়ির ভূমিকা অপরিহার্য
৯৯ শতাংশ মানুষ আছেন যারা জানেন মুড়িকে ইংরেজিতে কি বলে। আজকের প্রতিবেদনে সেই নিয়েই আলোচনা করবো। মুখরোচক খাবার হোক বা পেটের সমস্যা সবেতেই মুড়ি সুপার এই ডুপার হিট।
এমনকি অনেকেই আছেন ও খিদে পেলে এই বাড়িতে তৈরি যেকোন তরকারির সঙ্গে মুড়ি খেয়ে থাকেন। তাই সেগুলো এতকিছু তো হল। এই মুড়ির ইংরেজি নামই অজানা অনেক কাছে।
মুড়ির ইংরেজি নাম হল পাফড (Puffed Rice)। অনেকেই আছেন মুড়ির এই নামটি জানেন না। আবার অনেকেই চর্চারনামটি মনে করতে পারেন না।
আমেরিকা (America), ইতালি (Italy), (England) মানুষেরাও মুড়ি খান। আপনি শুনলে অবাক হবেন যে,বাঙালিদের বন্ধু বান্ধব যখন বিদেশে মুড়ি নিয়ে যান তাদের আত্মীয়দের তখন তারা খুবই পছন্দ করেন।
মাছ যেমন বাঙালির (Bengali) প্রিয় তেমনি মুড়ি (Puffed Rice) ছাড়াও চলে না বাঙালির। বাঙালির পাঁচ দিন মাছ-ভাত আর জমিয়ে আড্ডা মানে মুড়ি-চানাচুর।
তাই ভাতের মতো মুড়িও বাঙালির বড় প্রিয় একটা খাবার। তবে সেটা আজ থেকে বহুকাল থেকেই এই মুড়ির সঙ্গে একটা সম্পর্ক ছিল বাঙালির।ইংরেজ আমলে বিপ্লবীরাও ভিড় জমাতেন বিভিন্ন দোকানে। আর চপের সঙ্গে খেতেন মুড়ি।
কিন্তু সময় বদলালেও বদল ঘটেনি বাঙালির ও বাঙালি তৃপ্তি করে খায় তার প্রিয় চপ মুড়ি। আজকাল সন্ধ্যা বাঙালি বাড়িতে থাকছে চানাচুর, ঝুড়িভাজা, আলু সিদ্ধ, কাঁচালঙ্কা, টমেটো এবং চাপের সঙ্গে মুড়ি। অনেকে আবার অফিস থেকে এসে কাপে চুমুক দিয়ে খেয়ে নেয় মুড়ি। আর অনেকের আবার রাতের দুধ-মুড়ি।
তবে শুধু বাড়িতেই নয় বাইরেও ঘুরতে গিয়ে ঠোঙা ভরে ঝালমুড়িটা লাগবেই। অবশ্য শুধু ঝাল মুড়ি রয়েছে ভেলপুরির মতো উত্তর ভারতীয় খাবারও।
তবে শুধু শরীর ভাল থাকলেই শরীর খারাপ হলেও রয়েছে জল মুড়ি। এই খাবার খেলে ধীরে ধীরে সুস্থ হয় যায়। কিন্তু দেশী এই খাবার টি বিদেশে কী বলে এটা হয়তো জানা নেই?
বিদেশেও পাওয়া যায় মুড়ি, সে ইংল্যান্ড এবং হোক বা ইটালী, সব জায়গায়তেই। তাই ইংল্যান্ডে গিয়ে মুড়ি চাইলে অবশ্যই বলতে হবে পাফড রাইস। আসলে বাংলা ছাড়াও ইউরোপ এবং আমেরিকার বহু দেশে মুড়ি খুব জনপ্রিয় একটা খাদ্য তাই সেখানে গিয়ে এমন কেনা যাবে মুড়ি।
মুড়ি ভাজা ইংরেজি কি
মুড়ি অনেকেরই পছন্দের এর খাবার। খালি পেটে এইসাদা মুড়ি খেলে গ্যাসের সমস্যার উপশম হয় বলে অনেকে বলে থাকে। মুড়ির এমন সবচেয়ে বেশি চাহিদা তৈরি হয় রমজান মাসে। আবার ইফতারে ছোলা, বেগুনি, পিঁয়াজু, আলুর চপসহ নানা মেশানো হয় মুড়ি।
বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদরা বলছেন যে, রাসায়নিক ছাড়া ভাজা হলে মুড়ি নিরাপদ, তবে এতে পুষ্টিগুণ অনেক কম।নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর সদস্য প্রফেসর ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন যে, ‘মুড়ি বিশুদ্ধ ও মজার একটি হলো খাবার, এতে সন্দেহ নেই।
তবে হোয়াইট রাইস তৈরি বলে পুষ্টিগুণ কিছুটা কম থাকে। বিভিন্ন দেশে মুড়িতে বাড়তি পুষ্টি যুক্ত করা হয় তাই , যেটা আমাদের দেশে সাধারণ হয় না।
তিনি বলেন তাই ‘কেউ যদি মুড়ি সাদা করার উদ্দেশ্যে এই কোনো ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করে, সে মুড়ি খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।’
মুড়িযোগে বানানো ইফতারি ক্ষতি কোনো খাবার নয় যদি সংশ্লিষ্ট খাবারগুলো তৈরির সময় দূষণ করা যায়, বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদরা এমনটাই বলছেন। তবে তাঁরা সতর্ক থাকতে করে দিয়ে বলছেন, ভাজাপোড়া খাবার পরিমিত মাত্রায় এমন খাওয়া উচিত।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের এমন পরিচালক (পুষ্টি) ও পুষ্টিবিদ ড. মো. মনিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন যে, ‘মুড়ির সঙ্গে ছোলা মেশালে সেটা একটা খাবার।
কারণ ছোলায় প্রচুর পরিমাণ এনার্জিও থাকে।’ তাই নানা ভাজাপোড়া আইটেমের সঙ্গে মুড়ি মিশিয়ে এই ইফতারি বানানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে খেয়াল রাখার বিষয় হলো ভাজা তাই খাবারগুলো যাতে ভালো তেলে ভাজা হয়। বাসি তেল ব্যবহার করা আবের কোনোভাবেই উচিত নয়। বাইরে থেকে খাবার কেনার ক্ষেত্রে এমন এগুলো ভাবতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাই ‘আসলে সবার হজমশক্তি এক না। কারো হয়তো মুড়ি খেলে গ্যাস হবে, কারো এমন হয় না। এটা আগেও খেয়াল রাখতে হবে।’
কারখানায় মুড়ি তৈরি করা হয় সাধারণত এই পলিশ করা চাল থেকে। আবরণ তুলে ফেলা হয় বলে সাধারণ এমন মানের চালের চেয়ে পুষ্টিগুণ এই চালে কিছুটা কম।
মুড়ির মধ্যে নির্দিষ্ট এবং পরিমাণে চর্বি, কার্বোহাইড্রেট, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, এবং হজমে উপকারী ফাইবারসহ বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে। ক্যালরিই। কাছাকাছি মানের অন্য খাবারের তুলনায় পরিমাণে পুষ্টি কম পাওয়া এবং যায় মুড়িতে।
জানা গেছে, চাল ও প্রক্রিয়াজাত ফুলিয়ে মুড়ি তৈরি করা হয়। এই খাবারটি সহজে পেট ভরিয়ে দেয় ও দ্রুত হজম হয়। তাই মুড়ি ঘরোয়াভাবে হাতে এবং কারখানায় যান্ত্রিকভাবে দুই পদ্ধতিতে বানানো যায়।
বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদদের মতে, হাতে তৈরি মুড়ি ও মেশিনে তৈরি মুড়ির মধ্যে পুষ্টির কোনো পার্থক্য হওয়ার কথা না। এটা অনেকটা মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার হয়ে ও দাঁড়িয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এই গুলো হাতে তৈরি মুড়ির চেয়ে বিভিন্ন কম্পানির প্যাকেটজাত মুড়ি তাই এখন বেশি বিক্রি হচ্ছে। এটা যায় বেশি। হাতে তৈরি মুড়ির এমন দাম অনেক ক্ষেত্রেই মেশিনে তৈরি মুড়ির তুলনায় এই দ্বিগুণ।
আরো পড়ুন: ফুসকা ইংরেজি কি
রমজানে বেশি লাভের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ক্ষতিকার উপাদান মিশিয়ে মুড়ি উৎপাদন করছে।আবার জানা গেছে ৫০ কেজি চাল থেকে প্রায় ৪৪ কেজি মুড়ি উৎপাদন ওকরা যায়।
এ ভাবে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য ক্রেতাদের কাছে ও আকর্ষণীয় করতে ও ইউরিয়া আর হাইড্রোজ মেশানো হচ্ছে। এতে মুড়ি দেখতে চকচকে সাদা এবং ফাঁপা হয়। আবার আকারেও বড় দেখা ও যায়। তাই কিন্তু আসল মুড়ি বাদামি বর্ণের এবং দেখতে আকারে ছোট হয়। ক্রেতা তেমন আকর্ষণ করে না।
বেশি দাম আর ক্রেতা আকর্ষণও করতে মুড়িতে ক্ষতিকর এবং উপাদান মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সেটা জানিয়েছেন।