মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় গুলো কি হতে পারে
মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়: আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়? সে সম্পর্কে আলোচনা করবো, কেউই চাইবে না মুখে কালো দাগ অথবা ব্রণ থাকুক। তাদের জন্যেই আজের এই পোস্টটি পড়তে থাকুন।
মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়
১. কমলার খোসা গুলো করে মুখে লাগালে আপনার ব্রণের আরাম হবে, আবার ত্বকও ফ্রেস এবং উজ্জ্বল হবে।
২. ঘুমাতে যাওয়ার আগে লেবুর রস লাগিয়ে ঘুমান। দেখবেন ত্বক ব্রণ মুক্ত থাকবে।
৩. দিনে কমপক্ষে দুই বার ভাল ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তবে মুখে সাবান ব্যবহার না করলেই ভাল।
৪. ব্রণের দাগ কমাতে পানি আবার ভিনেগারের মিশ্রণ গরম করে ঠাণ্ডা করতে হবে, এই মিশ্রণ দিয়ে মুখে মাত্র ৫ মিনিট রাখে দিন। এরপর পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন।
৫. ২-৩ ফোঁটা যে কোনো বেবি অয়েল লাগান কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকে কোনো ভাবেই এটি ব্যবহার করবেন না।
৬. যাদের চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল আছে তার ঘুমানোর আগে শসা বা আলু কুড়িয়ে চোখের চারপাশে কিছুক্ষণ রাখুন। বা আপনি ঠাণ্ডা টি ব্যাগ ১০-১৫ মিনিট চোখের পাতার উপর দিয়ে রাখুন। চোখের চারপাশের কালো দাগ কমে যাবে।
৭. মুখের কালো দাগ, বয়সের ছাপ, বিসন্নতা, এসব দূর করতে চন্দনের প্যাক খুব কার্যকর। চন্দন গুড়ার সাথে হলুদ এবং দুধ এক সাথে মিশিয়ে ভালো ভাবে মুখে লাগান নিয়মিত। ত্বক উজ্জ্বল আর সতেজ করতে এর জুড়ি নেই।
মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
হলুদ: রূপচর্চায় আদিযুগ থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে হলুদ। ত্বকের হাজার সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে হলুদ। নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরে। তাই সপ্তাহে এক থেকে দু’দিন হলুদ বেটে লাগান।
টমেটো: অনেক সময়ই স্যান ট্য়ানের জন্য় ত্বক কালো হয়ে যায়। ফলে কালো দেখায়। আর এই সান ট্যানের সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে টমেটো। এতে লাইকোপিন রয়েছে। যা ত্বকের ট্যান তুলে ত্বককে ঝকঝকে করে দেয়।
বেসন: ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে বেসনও। তবে যাঁদের ত্বকে শুষ্কতার সমস্যা রয়েছে তাঁরা শুধু বেসন ব্যবহার করবেন না। এতে কয়েক ফোঁটা মধু ও এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মুখে লাগান। কয়েক সপ্তাহেই ফল দেখতে পাবেন।
টকদই: এছাড়া ত্বকের অনেক বেশি উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন টকদই। কারন এতে ত্বক পরিষ্কার হয়। টকদইয়ের মধ্যে মধু যোগ করে মুখে লাগান ভালো ফল পেতে বাধ্য হবেন।
অ্যালোভেরা: ত্বকের ট্যান দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। রোদ থেকে ফিরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন। চকচক কতরে ত্বক।
মুখের দাগ দূর করার ক্রিম
কোজিক অ্যাসিড ক্রিম: কোজিক অ্যাসিড হল একটি প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট যা মেলানিন উৎপাদনকে হ্রাস করতে পারে।এটি কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করতে পারে।
গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ক্রিম: গ্লাইকোলিক অ্যাসিড হচ্ছে একটি আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড যেটা ত্বকের কোষের মৃত স্তরগুলিকে অনেক বেশি অপসারণ করতে পারে।
স্কিন পরিষ্কারের মধ্যে ক্লিনজারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু বাজারে এমন আরো ক্লিনজারই রয়েছে ভেজাল ভিত্তিক। সেই ক্লিনজার আছে যেগুলো স্কিন পরিষ্কার করে ঠিকই, ত্বকে জ্বালাপোড়া তৈরি করে থাকে।
মুখের ব্রণ দূর করার উপায়
শরীরে পুষ্টি ও অক্সিজেন বহন করতে পানির গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম। নিয়মিত ৩ লিটার পানি পান করার অভ্যাস আপনার অঙ্গগুলোকে পুষ্ট করার পাশাপাশি ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে।
লেবুর রস অ্যাসিড বর্জ্য দূর করতে ও লিভারকে সাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে। রক্তের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে আবার এনজাইম তৈরি করতে সহায়তা করে থাকে, যা আপনার ত্বককে সতেজ ও অনেক বেশি উজ্জ্বল রাখে।
ত্বকের দাগ শেষ করতে তরমুজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভিটামিন এ, বি এবং সি সমৃদ্ধ তরমুজ ত্বককে অনেক সতেজ এবং উজ্জ্বল ও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে থাকে।
পুরুষের মুখের কালো দাগ দূর করার ক্রিম
ক্লিনজার ত্বক থেকে ময়লা, অতিরিক্ত তেল ও অমেধ্য গুলোকে ধ্বংস করে একটি মৃদু ক্লিনজার দিয়ে শুরু করতে পারেন।
আপনার ত্বকের ধরণের জন্য একটি ক্লিনজার সন্ধান করুন, তা তৈলাক্ত, শুষ্ক অথবা সংমিশ্রণ হোক না কেন সেটা ব্যবহার করতে পারেন।
এক্সফোলিয়েটর ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করতে, ছিদ্র বন্ধ করতে এবং কালো দাগের চেহারা কমাতে সাহায্য করে।
স্যালিসিলিক অ্যাসিড বা গ্লাইকোলিক অ্যাসিডের মতো উপাদান সহ একটি রাসায়নিক এক্সফোলিয়েন্ট সন্ধান করুন, যা ব্রণ এবং কালো দাগের চিকিত্সার জন্য কার্যকর।
আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়? সে সম্পর্কে জানতে পারলেন, আপনার যদি ভালো লেগে থাকে এই পোস্টটি অবশ্যই সবার সাথেই শেয়ার করতে ভুলবেন না।