মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত জানেন কি আপনি
আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত? সে সম্পর্কে কিছু কথা নিয়ে হাজির হয়েছি, পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ করা হলো।
মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত
আমাদের দেহের স্বাভাবিক ভাবে তাপমাত্রা উত্তরোত্তর কমতে শুরু করবে, কিছুটা উদ্বেগ ভাবেই। উষ্ণতাই যে জীবনের মানদণ্ড। শীতলতা এক মৃত্যুর পরিচায়ক।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অব মেডিসিন’- সাম্প্রতিক গবেষণা জানিয়েছে, ১৬০ বছর অথবা তার কিছুটা বেশি সময় আগে আমাদের দেহের কিছু স্বাভাবিক তাপমাত্রা যা ছিল, সেই উনিশ শতকের কিছু উষ্ণতা আমরা রাখতে পারিনি। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা অনেক কমে গিয়েছে ১ ডিগ্রি ফারেনহাইটেরও বেশি। উন্নততর একুশ শতকে পৌঁছে।
গত ২০০ বছরে সেই স্বাভাবিকতা পৌঁছেছে ৯৭.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটে। কমেছে মহিলাদের তাপমাত্রাও। তবে সেই হার পুরুষের তুলনায় সামান্য কিছু কম। মহিলাদের শরীরের গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
অর্থাৎ ২০২০ সালে এসে সেই পুরনো হিসাব আর চলবে না। বর্তমানে পুরুষদের ৯৭.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট আর মহিলাদের ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট মানতে হবে।
১৬০ বছর জার্মান চিকিৎসক ভান্ডারলিচ হিসাবটা কষেছিলেন, আমাদের গড় আয়ু ছিল ৩৮ বছর। যক্ষা থেকে সিফিলিস এবং নানা রকমের তখন আকছার মৃত্যু হত মানুষের।
বাচ্চাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত
বয়স্ক শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায়, শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে। নবজাতকের জন্য, শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রায় 99.5°F (37.5°C)।
একটি শিশুর শরীরের ক্ষেত্রফল তাদের শরীরের ওজনের চেয়ে বেশি, যার তাদের তাপমাত্রা বেশি হয়। বিপাকীয় কার্যকলাপ বৃদ্ধির তাদের শরীরও তাপ উৎপন্ন করে
প্রাপ্তবয়স্কদের মতো শিশুর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে না। যখন এটি গরম হয়, তারা অনেক কম ঘাম দেয়, তাদের শরীরকে আরও তাপমাত্রা ধরে রাখতে দেয়। একটি জ্বর তাদের ঠান্ডা করা আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে৷
শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর ধরা হয়
মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হলো ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট অথবা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শরীরের তাপমাত্রা এর বেশি হয় তখন তাকে জ্বর বলা হয়ে থাকে।শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম লক্ষ্মণ, শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার সীমার ৩৬–৩৭.২ °সে (৯৬.৮–৯৯.০ °ফা) অধিক তাপমাত্রা নির্দেশ করে থাকে।
অনেক কারণেই আমাদের দেহে জ্বর হতে পারে। কিছু তথ্য থেকে জানা যায় তাপমাত্রায় শরীরের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যদিও, জ্বরের উপকারিতা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু অ্যান্টিপাইরেটিক ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে জ্বর কমানো যায়।
অনিয়ন্ত্রিত হাইপারথার্মিয়ার মাধ্যমেও জ্বরের কিছু কিছু পার্থক্য হয়;সেটা হল, হাইপারথার্মিয়া যা আমাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক করে অতিরিক্ত তাপমাত্রায়।
শরীরের উষ্ণতা বৃদ্ধি (>৯৮.৬ o ফাঃ) হয়। বিভিন্ন রোগে এই উপসর্গ দেখা আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার সীমা বেশ বড়। আমাদের দেহের তাপমাত্রা কোনো ক্রমেই ৯৫ o ফাঃ এর কম অথবা ১১০ o ফাঃ এর বেশি হতে পারে না। দেহের তাপমাত্রা মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত উচ্চ নির্দিষ্ট সূচক(set point)থেকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত।
- পায়ুপথের তাপমাত্রা হলো ৩৭.৫-৩৮.৩°সে. অথবা তার বেশি হলে
- মুখের তাপমাত্রা হলো ৩৭.৭°সে. অথবা তার বেশি হলে
- বাহু বা কানের তাপমাত্রা হলো ৩৭.২° সে. অথবা তার বেশি হলে তা জ্বর বলা হয় ।
একজন সুস্থ ব্যক্তির জন্য মুখে হলো ৩৩.২-৩৮.২° সে., পায়ুপথে হলো ৩৪.৪-৩৭.৮° সে.,কান পর্দায় হলো ৩৫.৪-৩৭.৮°সে. এবং বগলে হলো ৩৫.৫-৩৭.০° সে. ই হল স্বাভাবিক তাপমাত্রা। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বিষয়ের ওপর নির্ভর করে থাকে যেমন জল বয়স, লিঙ্গ, ও পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা, এবং কাজের মাত্রা ইত্যাদি।
তাপমাত্রা বৃদ্ধি জ্বর নয়। একজন সুস্থ লোক ব্যায়াম করে যখন তার দেহের তাপমাত্রা বেড়ে ওঠে । তবে সেটা জ্বর হিসেবে গণ্য হবে না, তার মস্তিষ্কে নিয়ন্তিত নির্দিষ্ট হয় এটা (set point) স্বাভাবিক।
আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন, পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্যে, ধন্যবাদ।