
জুলাই মাসে দেশের একটি আলোচিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আত্মসমর্পণের নির্দেশ জারি করেছে।
আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গৃহীত হয়েছে এবং ট্রাইব্যুনাল মনে করছে, তাঁরা পলাতক রয়েছেন কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ কারণে ট্রাইব্যুনাল তাঁদের আগামী ২৪ জুনের মধ্যে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কেউ আত্মসমর্পণ না করলে, তাঁদের অনুপস্থিতিতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এই মামলার প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, “একবিংশ শতাব্দীতে কেউ নিজের বিরুদ্ধে মামলা চলছে জানে না এমনটি খুবই অস্বাভাবিক। তবে আইনি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আমরা প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করছি।”
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর নির্দেশে, রেজিস্ট্রার এ এস এম রুহুল ইমরান স্বাক্ষরিত হয়ে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলো সাধারণত ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে হলেও, এবার একটি সাম্প্রতিক ঘটনার তদন্ত নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি বিচারব্যবস্থায় নতুন এক মাত্রা যুক্ত করতে পারে।
পরবর্তী ধাপ কী হতে পারে?
আসামিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ করলে মামলার নিয়মিত শুনানি শুরু হবে। অন্যথায়, প্রচলিত আইনের আওতায় তাঁদের অনুপস্থিতিতেই বিচার সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে।
সার্বিকভাবে, এই মামলার পরবর্তী অগ্রগতি শুধু দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।