মাঝারি শিল্প কাকে বলে? মাঝারি শিল্পের উদাহরণ
মাঝারি শিল্প কাকে বলে: বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংখায় সবচেয়ে বেশি।তবে এর ক্ষেত্রে মাঝারি শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প এবং বৃহত্তম শিল্পের লক্ষণীয় প্রভাব রয়েছে। উক্ত পোস্টে আমরা আপনাদেরকে মাঝারি শিল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি।
অন্যান্য শিল্পের মত মাঝারি শিল্পে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ব্যাপক হারে বেকারত্ব দূর করতে ব্যবহার করে করা হয়ে আসছে।
এমনকি বাংলাদেশের মাজারি শিল্পকে ব্যবহার করার মাধ্যমে বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যাপক সহায়ক ভূমিকা হিসেবে পালন করছে।এজন্য মাঝারি শিল্পোষ কাকে বলে এই সম্পর্কে তথ্য জানা প্রয়োজন এবং জ্ঞান অর্জন করার মাধ্যমে এর সম্পর্কে অবগত হওয়া জরুরী।
মাঝারি শিল্প কি
যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শ্রমিক নিয়োজিত থাকে এবং তাদেরকে বছরের মোট ব্যয় সহ ১০ কোটি টাকার অধিক পরিমাণ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ কোটি টাকার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিজস্ব কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকিস তা হলো মাঝারী শিল্প।
অর্থাৎ মাঝারি শিল্প বলতে ঐ সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বোঝায় যেগুলো ১০ কোটি থেকে ৩০ কোটি টাকার বাজেট মূল্যে ১০০ জন থেকে ২৫০ জন শ্রমিক নিজস্ব কারখানাতে নিয়োজিত রাখে।
যেসব প্রতিষ্ঠান, কারখানা, ভবন অথবা জমি ব্যতিরেক স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ যদি ১০ কোটি টাকার অধিক পরিমান টাকা এবং ৩০ কোটি টাকার মধ্যে যে শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৫০ জন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে ওই সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানকে মাঝারি শিল্প বলা হয়।
মাঝারি শিল্প কাকে বলে? মাঝারি শিল্প বলতে কি বুঝায়
যেসব প্রতিষ্ঠান, কারখানা, ভবন অথবা জমি ব্যতিরেক স্থায়ী সম্পদের মূল্য প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ যদি ১০ কোটি টাকার অধিক পরিমান টাকা এবং ৩০ কোটি টাকার মধ্যে যে শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৫০ জন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে ওই সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানকে মাঝারি শিল্প বলা হয়।
এছাড়াও অন্যভাবে বলা যায় যে শিল্প খাতের ক্ষেত্রে প্রতিবছর বিভিন্নভাবে উৎপাদন মুখী যে সকল প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেগুলোকে ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বলা হয়ে থাকে।
মাঝারি শিল্পের উদাহরণ
মাঝারি শিল্পের উদাহরণ সমূহ হলো :-
১.তাঁত শিল্প,,,,
২.চামড়া শিল্প,,,,
৩.ডেইরি ফার্ম,,,,,
৪.বস্ত্র শিল্প,,,,
মুক্ত পণ্য সমূহ দ্বারা তৈরিকিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাঝারি শিল্পের প্রতিষ্ঠান বলা হয়ে থাকে।এছাড়াও রয়েছে, সিগারেট → বিশ্বজুড়ে সিগারেটের বিপুল হারে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এটি হলো একটি মাঝারি শিল্প।
সাবান → সাবান তৈরির কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানকে মাদারি শিল্প বলা হয়ে থাকে। চামড়া শিল্প → বর্তমান সময়ে বিলুপ্ত প্রায় চামড়া শিল্পটি হচ্ছে মাঝারি শিল্পের অন্তর্ভুক্ত।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প | ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কাকে বলে
ক্ষুদ্র শিল্প :
যে সকল প্রতিষ্ঠান একক দল হিসেবে অথবা একক সংস্থা হিসেবে কার্য পরিচালনা করে তাকে ক্ষুদ্র শিল্প বলে। যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে ব্যয়সমূহ এবং এককভাবে উৎপাদন সীমানা বজায় রেখে কার্যসম্পাদন করাকে ক্ষুদ্র শিল্প বলা হয়ে থাকে।
মাঝারি শিল্প :
যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শ্রমিক নিয়োজিত থাকে এবং তাদেরকে বছরের মোট ব্যয় সহ ১০ কোটি টাকার অধিক পরিমাণ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ কোটি টাকার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিজস্ব কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকিস তা হলো মাঝারী শিল্প।
আরো পড়ুন: লোকশিল্প কাকে বলে
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বৈশিষ্ট্য
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বৈশিষ্ট্য নিম্নে তুলে ধরা হলো :
ক্ষুদ্র শিল্পের বৈশিষ্ট্য :
১. ক্ষুদ্র শিল্পে একটি ক্ষুদ্র পরিসরে স্কেল ব্যবহার করে ব্যবসা চালানো হয়।
২. এক্ষেত্রে কর্মচারী ১০০ এরচেয়ে কম নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে।
৩. ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে উৎপাদন এবং বিপনণের পরিমাণ কম থাকে।
মাঝারি শিল্পের বৈশিষ্ট্য :-
১.মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র পরিসরের তুলনায় বেশি আকারে এবং বৃহৎ পরিসরে তুলনায় কম আকারে মাঝামাঝি একটি পন্থায় স্কেল ব্যবহার করে ব্যবসা চালানো হয়ে থাকে।
২. মাঝারি শিল্পের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০০ থেকে ২৫০ জন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে।
৩. মাদারী শিল্পের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র শিল্পীর তুলনায় উৎপাদনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি এবং বিপণনের পরিমাণ ও বেশি থাকে।
এই পোস্টটির মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে মাঝারি শিল্প সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি উক্ত পোস্টটি পড়ে মাদারী শিল্প সম্পর্কে আপনার যে সকল তথ্য জানার ছিল অথবা আপনি যে সকল তথ্য জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।