মাছের অভয়াশ্রম কি? কেন স্থাপন করা হয়
মাছের অভয়াশ্রম কি: বর্তমান সময়ে আমিষের চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে এবং মাছ মাছের চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে মাছ উৎপাদন বিপুল হারে করা প্রয়োজন। চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য অভয়াশ্রম গুলো খুবই প্রয়োজন।
সাধারণভাবে যারা মাছ ধরে থাকে তারা অনেক ক্ষেত্রে ডিম ওয়ালা যেগুলো মা মাছ রয়েছে ওইগুলো চিনতে পারেনা বা বুঝতে পারেনা আবার অনেকে বুঝে এগুলো ধরে করে থাকে।
এক্ষেত্রে মাছ উৎপাদন এর ক্ষেত্রে রেনু পনা উৎপাদন হয় না অর্থাৎ ডিম থেকে তারা শেষ হয়ে যায়।
তাই মাছের অবয়শ্রম কি মাসে অবাশ্রম কেন প্রয়োজন তা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন এবং মাছের অভয়চরণ গুলো স্থাপনের মাধ্যমে মাছ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাচ্ছি কেন মাছের অবআশ্রম প্রয়োজন এবং অবআশ্রম কি ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্যাদি।
মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে মাছের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে রেনু কণাগুলো তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে অর্থাৎ প্রজননীর ক্ষেত্রে যাতে কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয় বা প্রয়োজনের আগে যেন কোন মাছ নষ্ট না হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে লক্ষণীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিক ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে তাকে মৎস্য অভয়াশ্রম গুলো।
এজন্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অবাকরণ স্থাপন প্রয়োজন এবং অভয়াশ্রম ঐখানে মাছ যথাযথভাবে নিরাপদে থাকার জন্য একটি জায়গা। তাই মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে এবং বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরি করা খুবই প্রয়োজন।
মাছের অভয়াশ্রম কি?
প্রশ্ন : মাছের অভয়াশ্রম কি?
উত্তর : মাছের অভয়াক্রম হলো মাছের নিরাপদে থাকার জন্য নির্দিষ্ট একটি জায়গা।
প্রজননের এর ব্যবস্থা করে গড়ে তোলা। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিপুল আকারে খাল বিল নদী নালা না থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে তা মাস চাষের জন্য।
তবে মাছের প্রজননের ক্ষেত্রেও অর্থাৎ মা মাছগুলো যখন ডিম থেকে রেনুপনা বের করবে বাউ তৈরি করবে সে ক্ষেত্রে মাছগুলো নিরাপত্তা প্রয়োজন এজন্য ওই সময় মালগুলো নিরাপত্তার জন্য যে সকল জলাশয় সমূহ নির্দিষ্ট করে রাখা হয় ওই সকল জলাশয় সমূহকে মাছের অবআশ্রম বলা হয়ে থাকে।
নিরাপদে থাকার জন্য মাছের একটি নির্দিষ্ট জায়গা হল মাছের অবে আশ্রম।
মৎস্য অভয়াশ্রম কয়টি?
প্রশ্ন : মৎস্য অভয়াশ্রম কয়টি?
উত্তর: মৎস্য অভয়াশ্রম ৫০০ টি।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের মৎস্য খামার রয়েছে এসবগুলো মৎস্য খামার থাকার পরেও বাংলাদেশের মোট
মৎস্য অভয়াশ্রম গুলোকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার মাধ্যমে মাসকে নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে মৎস্য অব আশ্রমগুলো তৈরি করা হয়ে থাকে।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এবং ডিম থেকে যখন মাছ রেনু বোনা তৈরি হবে ওই সময় নিরাপত্তার জন্য মৎস্য অভয়াশ্রমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। মৎস্যদের নিরাপত্তার জন্য এরকম অবআশ্রমের পরিমাণ বাংলাদেশে রয়েছে মোট ৫০০ টি।
মৎস্য অভয়াশ্রম হলো মোট ৫০০ টি।
মৎস্য অভয়াশ্রমের গুরুত্ব
মাছের জন্য মৎস্য অভয়াশ্রমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। মৎস্য সমূহের চাহিদা পূরণ করার জন্য অতিরিক্ত হাড়ে জনন ব্যবস্থা গড়ে তোলার সুযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে সকল মৎস্য খামারগুলো রয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে মৎস্য উৎপাদন করে থাকে। ছাড়ো বাংলাদেশে আনাচে-কানাচে অনেক জলাশয় রয়েছে যেগুলোতে মাছের উৎপাদন ব্যবস্থা রয়েছে।
মা আছে চাহিদা পূরণ করার জন্য যেরকম মৎস্য প্রয়োজন ঠিক সেই ভাবে মৎস্য উৎপাদনের জন্য মৎস্য অর্থাৎ মা মালগুলোকে রেনুকোনার মাধ্যমে ডিম থেকে ছোট মাছ তৈরি করার সুযোগ করে দিতে হবে।
এক্ষেত্রে অনেকেই এ সম্পর্কে অবগত নয় তাই যেকোনো জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের মা মাছ তারা ধরে।মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
এক্ষেত্রে মৎস্যদের অভয়া আশ্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেখানে মসূদের প্রজননের জন্য খুবই উৎকৃষ্টভাবে পরিলক্ষনীয়। প্রজননের ক্ষেত্রে মৎস্য অবআশ্রম এর গুরুত্ব তাৎপর্য অপরিসীম।
মৎস্য অভয়াশ্রম রক্ষার উপায়
সাধারণত আমরা আমাদের আশেপাশে যে সকল সময় থেকে মাছ ধরে থাকে সেই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় মাছগুলোকে ছেড়ে দেওয়া উচিত। কারণ মা মাছগুলো সবচেয়ে বড় হয়ে থাকে। এছাড়াও মৎস্য গবেষণা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আমাদের সাধারণ মানুষের যা জানা নেই।
এক্ষেত্রে মৎস্য উৎপাদনের যে প্রজননকাল বিশেষ করে ইলিশ সহ অন্যান্য মাছের ক্ষেত্রে যে প্রজননের একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে ওই সময়ে মৎস্য উৎপাদন থেকে বিরত থাকা উচিত।
এ ধরনের সমস্যা এড়ানোর জন্য টেলিভিশন মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নির্দিষ্ট ভাবে আইন জারি করা হয়ে থাকে যে নির্দিষ্ট এই সময়ের মধ্যে মৎস্য ধরা নিষেধ।
এক্ষেত্রে ওই সময়ে মা মাছ ডিম ছাড়া বাড়ে নব্য না তৈরি উৎপাদনের সময় থেকে থাকে। এছাড়াও বাংলাদেশে এমন কিছু মানুষ হয়েছে যারা এই আইন গুলো লঙ্গিত করে। ফলে এমন হয় যে বাংলাদেশের মাছ মাছ উৎপাদনে ঘাটতি এবং চাহিদা পূরণে অক্ষম থাকে।
ফলে মৎস্য সমূহে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সময় মাছ ধরা যাবে না। আবার আমরা আমাদের আশেপাশের পুকুর থেকে যে সমস্ত মাছ ধরে থাকে সেক্ষেত্রের ডিম রয়েছে এরকম মাছ আবার পাশাপাশি যে মাছগুলো বৃহৎ রয়েছে তা সেগুলো কে ছেড়ে দিতে হবে নতুন প্রজননের জন্য।
রোগাক্রান্ত মাছের বৈশিষ্ট্য কি
১. পুকুরে যে সকল মাছ চাষ করা হয় সেগুলো রোগাক্রান্ত হলে পানির তলদেশে মাটির সাথে ঘেষে বিভিন্ন শক্ত বস্তুর সাথে এটে থাকে।
২. সাধারণভাবে মাছ যেভাবে দলবদ্ধভাবে ঘোরাফেরা করে মাছ রোগে আক্রান্ত হলে সেভাবে দলবদ্ধভাবে চলাচল করতে দেখা যায় না।
৩. ছাড়াও পুকুরের মাছ সময় যদি রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে স্বাভাবিক খাদ্য খাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা দেয়।
৪. এছাড়াও আক্রান্ত বিভিন্ন মাসূহ খাদ্য ঠিকভাবে না খাওয়াই এবং আক্রান্ত হয়ে পড়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয় বিশেষ করে পুকুরের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়।
৫. পুকুরে চাষী তো মাসুম রোগে আক্রান্ত হলে শারীরিকভাবে স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
৬. এছাড়াও মাছের ফুলকার রং বিবর্ণ হয়ে যায় স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে না।
অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয় কেন?
প্রশ্ন : অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয় কেন?
উত্তর: মাছের রেনু পোনা উৎপাদনের জন্য এবং মাছের প্রজননের সুবিধার ক্ষেত্রে অভআশ্রম স্থাপন করা প্রয়োজন।
এছাড়াও অভয়াশ্রম স্থাপন করার মাধ্যমে ছোট ছোট মাছগুলো ধরার প্রবণতা কম থাকে এবং মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পায় পাশাপাশি প্রজননের সুবিধা তো রয়েছে।
অভয়াশ্রম স্থাপনের মাধ্যমে ডিম থেকে যখন রেনুপনা তৈরি হবে ওই সময়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে অবাক শ্রম স্থাপন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করে থাকে।
এছাড়া মাছ সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে এবং বড় হওয়ার ক্ষেত্রে পাশাপাশি রেনু পোনা উৎপাদন অর্থাৎ মাছের চাহিদা পূরণের স্বার্থে উৎপাদন ব্যবস্থা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অবধারণ স্থাপন করা হয়।
মাছের অভয়াশ্রম বলতে কী বুঝায়?
প্রশ্ন: মাছের অভয়াশ্রম বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: যেখানে মাছ সমূহকে সংরক্ষণ করা হয় অর্থাৎ মাছকে নিরাপদ আশ্রয় থাকতে পারে ওই জায়গা বা আশ্রয়স্থলকে মাছের অভআশ্রম বলা হয়।
বিভিন্ন ছোটখাটো খাল-বিল নদী নালা এবং অভয়াশ্রমগুলো থেকে মাছকে সুরক্ষা করার জন্য এবং আজকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার জন্য একটি সম্পূর্ণ ও উৎপাদন ব্যবস্থা এবং আশ্রয়স্থল হলো মাছের অবআশ্রম সমূহ।
মৎস্য অভয়াশ্রম কয়টি
প্রশ্ন: মৎস্য অভয়াশ্রম কয়টি
উত্তর: মৎস্য অভয়াশ্রম ৫০০ টি।
বাংলাদেশের মৎস্যদের নিরাপদ ভাবে থাকার লক্ষ্যে যে সকল অবআশ্রম গুলো তৈরি করা হয়েছে সেগুলোকে মৎস্য অভয়াশ্রম বলা হয়।।। এ ধরনের মৎস্য অভয় আশ্রমের সংখ্যা রয়েছে মোট ৫০০ টি।
যেগুলোতে এক মৎস্য থেকে অর্থাৎ ডিম মাছ থেকে রেনু পনা উৎপাদনের সময় গুলোতে বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাকে মৎস্য অবআশ্রম গুলো। উৎপাদন ব্যবস্থার জন্য মৎস্য উৎপাদন ও প্রজননের জন্য মৎস্য অভয়আশ্রম গুলোর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে গুরুত্বপূর্ণ দিয়ে অর্থাৎ মৎস্য অবআশ্রমগুলো তৈরি করা ইত্যাদি সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।
সকলেরই চেষ্টা করা উচিত যেন মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং মত এর চাহিদা রক্ষা করা সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে উক্ত পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে।
অভয়াশ্রম কি এগুলো কেন তৈরি করা হয় ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার যদি কোন তথ্য জানার থাকে তা এবং তা আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে যথাযথভাবে জানতে পেরে থাকেন অর্থাৎ উপকৃত হতে পারেন তাহলে তা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
পোস্ট রিলেটেড আরো কিছু প্রশ্ন উত্তর নিম্নে তুলে ধরা হলো :-
১. অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয় কেন?
= দেশীয় মাছের পোনা মজুতকরণ করার জন্য।
২. মাছের অভয়াশ্রম বলতে কী বুঝায়?
= যে সকল জলাশয়ে মাছদের সংরক্ষণ করা হয় এবং আমাজদের ডিম উৎপাদন ও পোনা তৈরির জন্য প্রস্তুত করা হয় সেগুলোকে মাছের অভয় আশ্রম বলে।
৩. বদ্ধ জলাশয় শতকরা কত ভাগ?
= ৮৮.৪৬ ভাগ।
৪. দেশের প্রথম মৎস্য অভয়াশ্রম কোথায় অবস্থিত?
= হাইল হাওড়ে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত।