উপকারিতা

ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ব্যাকটেরিয়া একটি আণুবীক্ষণিক জীব ব্যাকটেরিয়ারা সাধারণত এককোষী এরা একসাথে অনেকগুলো কোষকলোনি করে ও দলবেঁধে থাকতে পারে ।

ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্বন্ধে কিছু তথ্য প্রদান করা হল । ব্যাকটেরিয়া থেকে বিভিন্ন রোগের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ তৈরি করা হয়। 

ব্যাকটেরিয়া কোন ব্যক্তির দেহে টাইফয়েড, ডায়রিয়া, যক্ষা,নিউমোনিয়া কলেরা, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি ও ইত্যাদি মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে থাকে। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ালেই বুঝতে পারবেন।

আমাদের দেহে অনেক গুলো কোষ আছে সেগুলোর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া ও রয়েছে । 

আমাদের অন্ত্র ত্বকেও সর্বাধিক ব্যাকটেরিয়া রয়েছে ।তবে বেশিরভাগই কোন ক্ষতি করে থাকে না ।

কোনো কোনো ব্যাকটেরিয়া খাদ্যে বিষাক্ততা তৈরি করে থাকে । এতে মানুষের মৃত্যু ঘটে থাকে । এটাকে বটুলিজম বলা হয় ।

কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া মল দিয়ে পানিকে পানের অনুপযোগী করে তোলে।

ব্যাকটেরিয়া মাটি নাইট্রোজেন ধ্বংস করে  মুক্ত নাইট্রোজেনে পরিণত করে থাকে ও মাটির উর্বরতা হ্রাস করে থাকে এ ফলে ফসলের উৎপাদন কমে যায়ে থাকে ।

অনুজীবের উপকারিতা ও অপকারিতা

অণুজীব এমন এককোষী জীব এদের খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায় না ও একক কোষী আকারে এবং কোষের কলোনি ও উপনিবেশ হিসাবে বিদ্যমান থেকে থাকে।

উপকারিতা :

ক, চিকিৎসার ক্ষেত্রে 

১,অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ তৈরিতে : ব্যাকটেরিয়া হতে সাবটিলিন (Bacillus subtilis), পলিমিক্সিন (Bacillus polymyxa) প্রভৃতি অত্যন্ত জরুরী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রস্তুত হয়।

২, প্রতিষেধক টিকা তৈরিতে : ব্যাকটেরিয়া থেকে কলেরা, টাইফয়েড, যক্ষ্মা ইত্যাদি রোগের প্রতিষেধক প্রস্তুত করা হয়ে থাকে । ডি.পি.টি. রোগের টিকা ও প্রতিষেধক  ব্যাকটেরিয়া হতে প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।

খ,কৃষিক্ষেত্রে :

৩, মাটির উর্বরা বৃদ্ধি : মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির ব্যাকটেরিয়া অবদান অনেক রয়েছে মাটিতে জৈব পর্দাথ সঞ্চয় ব্যাকটেরিয়া প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। ব্যাকটেরিয়া মাটিতে উপাদান হিসেব কাজ করে থাকে । আবর্জনা হতে পচন এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও ব্যাকটেরিয়া জৈব সার জৈব গ্যাস প্রস্তুত করে থাকে ।

অপকারিতা :

খাদ্যদ্রব্যের পচন এবং বিষাক্তকরন : ব্যাকটেরিয়া অনেক রকম টাটকা ও সংরক্ষিত খাদ্য পচন করিয়ে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি সাধন করা হয়। ব্যাকটেরিয়া খাদ্যের  botulin নামে বিষাক্ত পদার্থ সৃষ্টি করে থাকে। এর প্রভাবে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে । যাকে বটুলিজম বলা হয় ।

পানি দূষণ : কলিফরম ব্যাকটেরিয়া পানিকে পানের অযোগ্য করে তোলে ।

মাটির উর্বরতা শক্তি বিনষ্টকরণ : নাইট্রেট এমন একটি উপাদান যা মাটিকে উর্বর করে থাকে। কতিপয় ব্যাকটেরিয়া নাইট্রিফিকেশন প্রক্রিয়া মাটিস্ নাইট্রেট ধ্বংস মুক্ত নাইট্রোজেনে পরিণত করে থাকে ও মাটির উর্বরতা হ্রাস করে, এর প্রভাবে ফসলের উৎপাদন কমে যায়।

নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যে ক্ষতিসাধন : ব্যাকটেরিয়ায় কাপড়,চোপড়, লোহা, ও কাঠের আসবাবপত্র সহ অনেক দ্রব্যের ক্ষতি করে থাকে। যেমন:লোহার পাইপে ক্ষতের তৈরি করে পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায়।

বায়োটেরোরিজম ও জৈব সন্ত্রাস : ক্ষতিকারক জীবাণু  যুদ্ধে ব্যবহার করা হয় । তাকে বায়োটেরোরিজম বলা হয়।

অনুজীবের উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা খাবার খাওয়ার পর তা হজম হয়ে যায়  এবং আমাদের শক্তি যোগায়। পুরো প্রক্রিয়াটি এই অণুজীব ছাড়া অসম্ভব । তাই মানুষ ও অন্যান্য পশুর দেহে অবস্থিত অণুজীব খাদ্য হজমে সাহায্য করে থাকে । 

ভিটামিন,বি বিপাকে এবং ভিটামিন,কে রক্তজমাট বাঁধতে সাহায্য করে থাকে । এসব ভিটামিন সংশ্লেষণ করার জন্যে অণুজীব প্রয়োজন।

এমনি ভাবে ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে  এলকোহলিক বেভারেজ, সয়া সস, ভিনেগার, আচার, মদ, পনির, দই, পাউরুটি ইত্যাদি খাবার তৈরিতে অণুজীব ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

 একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম

  • আমাদের চারপাশে সমস্ত সময় অগনিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া অবস্থান করে আছে । এ সমস্ত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া আমরা রোগ জীবাণু হিসেবে চিহ্নিত করে থাকি।
  • ভাইরাসের চাইতে ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরের জন্য এবং মানুষের জন্য অনেক উপকারী ।অনেক ধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া আছে । 
  • এ সমস্ত উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলির কারণে আমাদের প্রতিদিনের জীবনের অনেক ধরনের কাজ আমাদের অজান্তেই করে থাকে। 
  • কাজগুলির মাঝে উপকার কাজ গুলোই বেশি হয় । অনেক সময় দেখা যায় ভাইরাস ধ্বংস করার কাজেও ব্যাকটেরিয়া প্রদান করা হয়ে থাকে। 
  • বিভিন্ন ধরনের রোগের জন্য ভাইরাস দায়ী হয়ে থাকে ।আমরা যদি ভাইরাসক দমন করতেও পারি তাইলে অবশ্য ব্যাকটেরিয়া উপকারী ভূমিকা পালন করলো । বিভিন্ন ধরনের খাদ্য তৈরী কাজে ও ব্যাকটেরিয়া অংশগ্রহণ হয়ে থাকে।
  • অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া  ছাড়া সেই সকল খাবার গুলি উৎপন্ন হবে না ও সেই সকল খাবার যেস্বাদ সেস্বার্থকণ গ্রহণ করতে পারবো না ও স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হবে। বাঙালির শখের খাদ্য ও গরিবের স্বাদের খাবার পান্তা ভাত। 
  • পান্তা ভাতকে পান্তা করার জন্য এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া অংশগ্রহণ করে । আপনি যে দই খাচ্ছেন ও দুধ থেকে তৈরি যে যে খাবার খাচ্ছেন সেই দই তৈরিতে নানা ভাবে অবশ্যই ব্যাকটেরিয়া অংশগ্রহণ করছে।
ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম

ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা নিয়ে কথা এতক্ষণ পর্যন্ত বললাম । এখন আপনারা আমাদের থেকে জেনে নিতে পারবেন, একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম। 

উপকারী ব্যাকটেরিয়া হলো: ল্যাকটোব্যাসিলাস।

দই, চিজের মতো খাবারে থাকে এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া। ল্যাকটোব্যাসিলাস অন্ত্রে বাস করা উপকারী ও ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে আছে বিফিডোব্যাকটেরিয়াম । 

ইয়োগার্ট  কিছু ভিনিগারে ও বিফিডোব্যাকটেরিয়াম থেকে থাকে ।আপনারা অনেকগুলি উপকারী ব্যাকটেরিয়ার এখান থেকে দেখে নিতে পেরেছেন। বুঝেও নিতে পারলেন ব্যাকটেরিয়া কোন ধরনের উপকার দেহের মধ্যে করে থাকেন।

ছত্রাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

ছত্রাক জীব একটি গোষ্ঠী হিসাবে অনেক গুলি সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে আছে :

ছত্রাকের উপকারিতা :

  • পচন : ছত্রাক মৃত জৈব পদার্থ ধ্বংস করে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে যা পুষ্টির পুনর্ব্যবহার করতে বজায় রাখে ও স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে ।
  • ঔষধ : ছত্রাকের উপকারিতা মধ্যে ঔষধি গুণ সম্পন্ন যৌগ থাকে । এর মধ্যে আছে অ্যান্টিবায়োটিক, ইমিউনোসপ্রেসেন্টস ও অ্যান্টিক্যান্সার এজেন্ট । এই যৌগ গুলি মানবের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
  • খাদ্য উৎপাদন : রুটি এবং বিয়ার উৎপাদন খাদ্য উৎপাদন অসংখ্য প্রজাতির ছত্রাক ব্যবহার হয়।
  • জৈব জ্বালানি : ছত্রাক জৈব জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহারের জন্য অধ্যয়ন করা হয় ও জীবাশ্ম জ্বালানি টেকসই বিকল্প প্রদান করে।
  • বায়োরিমিডিয়েশন : কিছু প্রজাতির ছত্রাক যে পরিবেশের বিষাক্ত দূষক ভেঙে ফেলে সক্ষম হয় তা দূষিত স্থান গুলি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
  • কৃষি : কিছু ছত্রাক মাইকোরিজাই, উদ্ভিদের সাথে সিম্বিওটিক সম্পর্ক সৃষ্টি করে ও গাছের বৃদ্ধি ও পুষ্টি গ্রহণ উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে।

ছত্রাকের আপকারিতা

ছত্রাকের উপকারিতা অনেক, তবে জীবের সাথে যুক্ত ছত্রাকের আপকারিতা রয়েছে। 

এখানে কিছু উদাহরণ আছে:

  • উদ্ভিদ ও প্রাণীর রোগ : কিছু প্রজাতির ছত্রাক গাছপালা ও প্রাণীদের রোগে হতে যা উল্লেখ আছে অর্থনৈতিক ও পরিবেশ গত প্রভাব ফেলে।
  • খাদ্য নষ্ট হওয়া : প্রজাতির ছত্রাক খাদ্য নষ্টে দায়ী  যার কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি,খাদ্যের অপচয় হয়।
  • বিষাক্ততা : ছত্রাক বিষাক্ত যৌগ তৈরি করে তা খাওয়া হলে মানুষ ও প্রাণীদের জন্য ক্ষতিকারক হয় ।
  • অ্যালার্জি : ছত্রাকের সংস্পর্শে আসা লোকের মধ্যে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে, যা থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে।
  • অভ্যন্তরীণ বায়ুর গুণমান: উচ্চ মাত্রার আর্দ্রতা ও আর্দ্রতা সহ পরিবেশ নির্দিষ্ট  বৃদ্ধিকে উন্নীত করে  তা অভ্যন্তরীণ বায়ুর গুণমানকে নেতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করে। স্বাস্থ্য সমস্যায় নানা ভাবে অবদান রাখতে পারে ।

ছত্রাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

ছত্রাক বাস্তুতন্ত্র এবং মানবের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সহ জীবের একটি গোষ্ঠী। এরা মাটি ও জল থেকে শুরু করে মানব দেহ পর্যন্ত নানা পরিবেশে পাওয়া যায়। 

ছত্রাক পচন ও পুষ্টির সাইক্লিংয়ে  ভূমিকা পালন করে । অনেক অনেক প্রজাতির গুরুত্বপূর্ণ ঔষধিও রয়েছে।

ওষুধে ছত্রাকের ঐতিহ্য ব্যবহার হাজার বছর আগের আজও অধ্যয়ন বিকাশ করা হয় । কিছু ছত্রাকের মঝে প্রদাহরোধী ,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ও  এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধকযৌগও পাওয়া যায় । 

জলবায়ু পরিবর্তন এদের জনসংখ্যা ও বাস্তুতন্ত্রের কার্যকারিতার উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে । ছত্রাকের জীব রক্ষা এবং স্বাস্থ্যকর বজায় রাখার জন্য গবেষণা সংরক্ষণ গুরুত্ব তুলে ধরে। 

ব্যাকটেরিয়া কত প্রকার

আকৃতি অনুসারে ব্যাকটেরিয়া চার প্রকার হয়ে থাকে ৷ যথা: ১। কক্কাস (এসমস্ত ব্যাকটেরিয়া গোলাকার আকৃতির হয়ে থাকে । এই সমস্ত ব্যাকটেরিয়া এককভাবে বা দলবেঁধে থাকতে পারে । এরা নিউমোনিয়া রোগ সৃষ্টি কারী ব্যাকটেরিয়া বলা হয়।)

২৷ ব্যাসিলাস  (দন্ডাকার ও ব্যাকটেরিয়া)

৩৷ স্পাইরিলাম (সর্পিল আকৃতির ব্যাকটেরিয়া)

৪৷ কমা (এরা দেখতে কমার মত  উদাহরণ কলেরার কারণে দায়ী ব্যাকটেরিয়া)

রঞ্জনের ভিত্তিতে দুই প্রকার :

১৷ গ্রাম পজিটিভ (যে সব ব্যাকটেরিয়া ক্রিস্টাল ভায়োলেট রং রেখে সে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া বলা হয় । )

২। গ্রাম নেগেটিভ  (এরা ক্রিস্টাল ভায়োলেট রং ধরে রাখতে পারেনি।)

ব্যাকটেরিয়ার অপকারিতা:

১।খাদ্য দ্রব্যের পচন তৈরি এবং বিষাক্ত করে: খাদ্য দ্রুত পচতে সাহায্য করে থাকে। এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে তা খাদ্যে বিষাক্ততা তৈরি করে থাকে। তা খেয়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।

২। মানুষের রোগ সৃষ্টি করে: মানুষের বিভিন্ন রোগ যেমন: যক্ষ্মা, টাইফয়েড, নিউমোনিয়া,আমাশয়, ধনুষ্টংকার,টিটেনাস, হুপিং কাশি আরো ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয় । তাছাড়া সিফিলিস, গনোরিয়া, এনথ্রাক্স, লেপরসি বা কুষ্ঠরোগ, আনডিউলেটেড ইত্যাদি রোগের কারণ হল ব্যাকটেরিয়া।  

৩। অন্যান্য পশু,পাখির রোগ সৃষ্টি করে: বিভিন্ন পশু,পাখির রোগ সৃষ্টির কারণ ব্যাকটেরিয়া দ্বায়ী।  যেমন : গরু-মহিষের যক্ষা, ইদুরের প্লেগ, হাস-মুরগির কলেরা,আনডিউলেটেড ফেভার,ইত্যাদি রোগও ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হয় ।

৪। উদ্ভিদেররোগ সৃষ্টি করে : ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদের যেমন: গমের টুন্ডুরোগ, লেবুর ক্যাংকার, আলুর স্ক্যাব,আখের আঠা ঝরে পড়া, ভুট্টার বোটা পচা , টমেটোর ক্যাংকার,সিমের লিফ স্পট রোগ ব্যাকটেরিয়া কারণে হয় ।

৫। ঘরের ব্যবহারের জিনিস ক্ষতি সাধন করে : ব্যাকটেরিয়া ঘরের কাপড়,চোপড়, কাঠের আসবাবপত্র অনেক দ্রব্যের ক্ষতিসাধন করে থাকে।

৬। পানিদূষণ করে: কলিফর্ম  নামে  এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া থাকে সাধারণত মল দিয়ে পানিদূষিত করে তা পানের অযোগ্য করে ।

৭। মাটির উর্বরতা বিনষ্ট করে : কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে মাটিস্থ নাইট্রোজেন ভেঙে ফেলে ও তা মুক্ত নাইট্রোজেন পরিণত করে থাকে। যার মাধ্যমে মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস করে থাকে । যার কারণে ফসলের উৎপাদন কমে যায় আরো অনেক ক্ষতি করে ।

ব্যাকটেরিয়ার অর্থনৈতিক গুরুত্ব

ব্যাকটেরিয়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এ জীবটির অবদান নানা ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 

চিকিৎসাক্ষেত্রে : চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয় । অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ  তৈরি ব্যাকটেরিয়া কাজে লাগানো যায় । যেমন: সাবটিলিন, পলিমিক্সিন ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়া গুলার থেকে ওষুধ তৈরী করা হয় । সেই ওষুধ রপ্তানি করে থাকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত করা হয়। 

কৃষি ক্ষেত্রে: পাটথেকে আশ ছাড়াতে ব্যাকটেরিয়া সাহায্য করে থাকে । দই তৈরি করতে ব্যাকটেরিয়া সাহায্য করে থাকে কৃষিক্ষেত্রে অগ্রগতিতে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা রাখে । তাছাড়া আবর্জনা পঁচাতে সাহায্য ব্যাকটেরিয়া করে থাকে ।

মানব জীবনে: মানবদেহে ফলিক অ্যাসিড, বায়োটিন তৈরিতে ব্যাকটেরিয়া করে থাকে ।মৃত জীব দেহ পঁচাতে সাহায্য করে।

গবেষণায় ব্যাকটেরিয়া: ব্যাকটেরিয়া জীন কৌশল মূল ভিত্তি। কিছু ক্ষেত্রে জীবের বৈশিষ্ট্য পাওয়ার জন্য জীনগত পরিবর্তনে কাজ ব্যাকটেরিয়াকে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।

ব্যাকটেরিয়া দিয়ে মানুষ, পশু পাখির এবং গাছপালার অসংখ্য রোগ সৃষ্টি হয় । এরমধ্যে কতিপয় রোগ ফসল এবং মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে । এ দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে থাকে।

ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে উদ্ভিদ সাধারণত(blight,gall, rot) রোগ হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়াজনিত ধানের ব্লাইট রোগ ও মানুষের কলেরা রোগ সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।  

কৃষিক্ষেত্রে অগ্র গতির ব্যাকটেরিয়া ভূমিকা অনেক। আবর্জনা পঁচাতে সাহায্য ব্যাকটেরিয়া করে থাকে।

ব্যাকটেরিয়ার অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হয়েছে ।ব্যাকটেরিয়া যে মানব জীবনের জন্য শুধু ক্ষতিকর এমন টি নয় ।

এরা উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহ পচিয়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।

প্রকৃতির স্বতঃশুদ্ধকরণ শক্তি আসল ব্যাকটেরিয়া নামে একটি অনুজীবের উপর নির্ভরশীল আছে।

ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা

সাধারণত ব্যাকটেরিয়ারা মাটিতে, বাতাসে,পানিতে,, জীব দেহের বাইরে ও ভেতরে অর্থাৎ প্রায় সব জায়গায় থাকে। এমনকি মানুষের অন্ত্রে ও বাস করে থাকে।

 জৈব পদার্থ  বেশি থাকে সে মাটিতে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা অনেক বেশি থাকে । মাটির গভীরে জৈব পদার্থের পরিমান যেমন , তেমন ব্যাকটেরিয়া পরিমান অনেক কম থাকে।

জলাশয় জৈব পদার্থ পরিমান  বেশি , জলাশয়ে ব্যাকটেরিয়ার পরিমান অনেক বেশি । বাতাসের একটা স্তর পর্যন্ত থাকে। এক গ্রাম মাটিতে ৪০ মিলিয়নের মতো ব্যাকটেরিয়া  এবং এক মিলিমিটার পানিতে প্রায় এক মিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া থাকে ।

ব্যাকটেরিয়া উপকার অপকার দুধরণের কাজই করে থাকে। 

ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা হলো। 

অনেক প্রকার ব্যাকটেরিয়া থেকে কলেরা, যক্ষা, টাইফয়েড,রোগের টীকা অথবা ঔষধ তৈরি করা হয় । ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি ও ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়। 

ব্যাকটেরিয়া থেকে সাবটিলিন- পলিমিক্সিন থেকে আরও অনেক প্রকার জীবন রক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা হয়ে থাকে ।

মাটির উর্বর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও পতঙ্গ নিধন করতে ও ফলন বৃদ্ধিতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে ।

মানব দেহে ভিটামিন তৈরি ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হয়। E.coli এবং অন্য ব্যাকটেরিয়া ভিটামিন -B ভিটামিন- K,ভিটামিন -B2,ফলিক এসিড ইত্যাদি তৈরি করে ।

দুগ্ধজাত শিল্পে দুগ্ধ বৃদ্ধি করতে ও পাটশিল্পে পাটের ফলন বাড়াতে প্রক্রিয়াজাত করতে ভূমিকা রাখে। তাছাড়া চামড়াশিল্পে, জৈব গ্যাস তৈরি করতে অনেক বেশি কাজ করে ।

আবর্জনা পচন ব্যাকটেরিয়া ভমিকা অনেক।বায়োগ্যাস উৎপাদনে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হয়।

গবাদি পশু ঘাস, খড় অনেক খাদ্য খেয়ে থাকে , যার প্রধান উপাদান হলো সেলুলোজ। গবাদি পশুর অন্ত্রে এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া সেলুলোজ হজম করতে সাহায্য করে । যার মাধ্যমে পশুর হজম ভালো হয়। 

পরিপাকতন্ত্রে ভাল ও খারাপ উভয় ধরণের ব্যাকটেরিয়া থাকে। 

ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য দেহে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা জন্য নানা ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

 ভালো ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিক পাকতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। 

মানব দেহের পরিপাক তন্ত্রে লক্ষলক্ষ অণুজীব ও ব্যাকটেরিয়া  আছে যার মধ্যে ভাল ও খারাপ উভয় ধরণের ব্যাকটেরিয়াই রয়েছে ।

ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ট্য ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা:

১। প্রতিষেধক টিকা তৈরিতে: অনেক প্রকার ব্যাকটেরিয়া থেকে কলেরা, যক্ষা, টাইফয়েড রোগের টীকা অথবা ঔষধ তৈরি করা হয়। তাছাড়া ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি এবং ধনুষ্টংকার রোগের ঔষধ ও ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়ে থাকে ।

২। অ্যান্টিবায়োটিক তৈরিতে: ব্যাকটেরিয়া দ্বারা  সাবটিলিন Bacillus sutilis থেকে – পলিমিক্সিন , Bacillus polymyxa থেকে – স্ট্রেপটোমাইসিন, ও  Actinomycetes থেকে আরও অনেক প্রকার জীবন রক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা হয়।

৩। কৃষিক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা : মাটির উর্বর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে নাইট্রোজেন সংবন্ধনে পতঙ্গ নিধন করতে ও ফলন বৃদ্ধিতে। ব্যাকটেরিয়া অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। 

৪। মানবদেহে ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার: মানবদেহে ভিটামিন তৈরিতে ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হয় । E.coli ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া ভিটামিন -B, ভিটামিন-K, ভিটামিন-B2,  বায়োটিন , ফলিক এসিড ইত্যাদি তৈরি করে ও সরবরাহ করে থাকে। 

৫। শিল্প ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া কাজ: দুগ্ধ জাত শিল্পে দুগ্ধ বৃদ্ধি করতে, পাট শিল্পে পাটের ফলন বাড়াতে ও চা, কফি ও তামাক প্রক্রিয়া জাত করতে ব্যাকটেরিয়া ভূমিকা রাখে। তাছাড়া চামড়া শিল্পে, জৈব গ্যাস তৈরিতে, টেস্টিং লবণ তৈরি করতে ও অনেক বেশি কাজ করে থাকে।

৬। পরিবেশ রক্ষায়: আবর্জনা পচনেও ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা অনেক। তাছাড়া তেল নিস্কাশনে বায়োগ্যাস উৎপাদনে ব্যাকটেরিয়াও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

৭। সেলুলোজ হজমে : গবাদি পশু ঘাস, খড় ও প্রভৃতি খেয়ে থাকে। যার প্রধান উপাদানও হলো সেলুলোজ। গবাদি পশুর অন্ত্রে অবস্থিত এক ব্যাকটেরিয়া সেলুলোজ হজম করতে প্রত্যক্ষ ভাবে সাহায্য করে। যার মাধ্যমে পশুর হজম ক্রিয়া ভালো হয়। 

ব্যাকটেরিয়ার অপকারিতা:

১। খাদ্যদ্রব্যের পচন তৈরি বিষাক্ত করে: এটি খাদ্য দ্রুত পচতে সাহায্য করে ।  এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া  আছে যা খাদ্যে বিষাক্ততা সৃষ্টি করে থাকে। যা খেয়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।

২। মানুষের রোগ সৃষ্টি করে: মানুষের বিভিন্ন রোগ যেমন: কলেরা, যক্ষ্মা, টাইফয়েড,, আমাশয়, ধনুষ্টংকার বা টিটেনাস, হুপিং কাশি ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয় । তাছাড়া সিফিলিস, গনোরিয়া, এনথ্রাক্স, লেপরসি বা কুষ্ঠরোগ, আনডিউলেটেড ফেভার ইত্যাদি রোগের অন্যতাম কারণব্যাকটেরিয়া।  

৩। অন্যান্য পশুপাখির রোগ সৃষ্টি করে: বিভিন্ন পশুপাখির রোগ সৃষ্টির জন্য ব্যাকটেরিয়া অনেকাংশে দ্বায়ী।  যেমন:ভেড়ার এনথ্রাক্স, ইদুরের প্লেগ, হাস-মুরগির কলেরা,আনডিউলেটেড ফেভার, গিলাফোরা রোগ ইত্যাদি রোগও ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হয় ।

৪। উদ্ভিদের রোগ সৃষ্টি করে: ব্যাকটেরিয়াও  বিভিন্ন উদ্ভিদের যেমন: গমের টুন্ডুরোগ, ধানের পাতা ধবংসা, লেবুর ক্যাংকার, আলুর স্ক্যাব,আখের আঠা ঝরে পড়া, ভুট্টার বোটা পচা , টমেটোর ক্যাংকার, তামাকের ব্লাইট, সিমের লিফ স্পট রোগ ব্যাকটেরিয়া কারণে হয় ।

৫। ঘরের ব্যবহারের জিনিস ক্ষতি সাধন করে: ব্যাকটেরিয়া ঘরের কাপড়-চোপড়,  আসবাবপত্র সহ অনেক দ্রব্যের ক্ষতিসাধন করে থাকে ।

ব্যাকটেরিয়া আণুবীক্ষণিক জীব । ব্যাকটেরিয়ারা এককোষী তবে একসাথে অনেক গুলো কোষ কলোনি বা দলবেঁধে থাকতে পারে।  ব্যাকটেরিয়া হতে বিভিন্ন রোগের ও নানা রকমের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রস্তুত করা হয়ে থাকে।

ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা

অপকারিতা (Disadvantages) : 

১। ভাইরাস মানব দেহে বসন্ত , হাম, পোলিও, জলাতঙ্ক, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হার্পিস, ডেঙ্গু, চিকুন গুনিয়া, ভাইরাল হেপাটাইটিস, ক্যাপোসি সার্কোমা প্রভৃতি মারাত্মক রোগও সৃষ্টি করে ।

২। বিভিন্ন উদ্ভিদ রোগ সৃষ্টি যেমন-সিমের মোজাইক রোগ, আলুর লিফরোল,পেঁপের লিফকার্ল, ক্লোরোসিস, ধানের টুংরো রোগ প্রায় ৩০০ উদ্ভিদ রোগ ভাইরাস দ্বারা ঘটে ।এতে ফসলের উৎপাদন বিপুলভাবে হ্রাস পেয়ে যায়।

৩। গরুর বসন্ত; ভেড়া, ছাগল, শূকর, মহিষ ইত্যাদি প্রাণীর ‘ফুট এ্যান্ড মাউথ’ রোগ অর্থাৎ এদের মুখের বিশেষ ক্ষতরোগ (খুরারোগ) এবং মানুষ,  বিড়ালের দেহে জলাতঙ্ক (hydrophobia) রোগ ভাইরাস দিয়েই সৃষ্টি হয়। 

৪। ভাইরাস মানুষের কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়াকেও ধ্বংস করে থাকে। 

৫। HIV ভাইরাস দিয়ে AIDS  হয়। এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।    

৬। Ebola  ভাইরাসের আক্রমণে cell lysis হয় ও কোষ ফেটে যায়। 

৭। Zika ভাইরাস মশকীর মাধ্যম ছড়ায়। মাইক্রোসেফালি ঘটে এবং অপরিণত মস্তিষ্ক নিয়ে শিশু জন্মায়। ডেঙ্গুর মত লক্ষণ দেখা যায়। 

উপকারিতা :

১। বসন্ত, পোলিও, প্লেগ এবং জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক টিকা ভাইরাস দিয়ে তৈরি করা হয়। 

২। ভাইরাস হতে ‘জন্ডিস’ এর টিকা  তৈরি করা হয়। 

৩। কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয় ইত্যাদি রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যাকটেরি ওফায ভাইরাস ব্যবহার করা হয়। 

৪। ভাইরাসকে বর্তমানে বহুল আলোচিত ‘জেনেটিক প্রকৌশল’ বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 

৫। ক্ষতি কারক ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে ভাইরাস ব্যবহার করা হয়। 

৬। কতিপয় ক্ষতিকারক কীট পতঙ্গ দমনেও ভাইরাসের ভূমিকা উল্লেখ করার মতো। কীট পতঙ্গনাশক হিসেবে প্রয়োগ করা হয়। 

৭। ফায ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে থাকে।  

৮। লাল টিউলিপ ফুলে ভাইরাস আক্রমণের ফলে লম্বা সাদা দাগ পড়ে। একে ব্রোকেন টিউলিপ বলে। এর ফলে ফুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় আবার ফুলের মূল্য বেড়ে যায় ।

বিজ্ঞানিগণ গবেষণা করে ভাইরাসকে বিভিন্নভাবে মানুষের কিছু উপকারে সক্ষম হয়েছে ।

অতিক্ষুদ্র জৈব কণা বা অণুজীব যারা জীবিত কোষের ভিতরেই মাত্র বংশবৃদ্ধি করে।

ব্যাকটেরিয়ার গঠন

আদিকোষী অণুজীবদের বিরাট অধিজগৎ ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গঠিত। 

সাধারণত দৈর্ঘ্য  মাইক্রোমিটার ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন আকৃতি রয়েছে, গোলকাকৃতি,দণ্ডাকৃতি ও সর্পিলাকার পর্যন্ত ব্যাপ্ত। গোড়ার দিকে পৃথিবীতে যেসব প্রাণের আবির্ভাব ঘটেছিল, ব্যাকটেরিয়া তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলো।

পৃথিবীর অধিকাংশ আবাসস্থল ব্যাকটেরিয়া বিদ্যমান রয়েছে। 

ব্যাকটেরিয়া মাটি,আম্লিক উষ্ণ ঝরনা,তেজস্ক্রিয় বর্জ্য এবং ভূত্বকের গভীর জীবমণ্ডলে বাস করে থাকে । ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদ,প্রাণীর সাথে মিথোজীবী ,পরজীবী সংসর্গেও বাস করে।

বেশিরভাগ ব্যাকটেরিয়া চিহ্নিত হয়নি এবং মাত্র প্রায় সাতাশ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া পর্বের প্রজাতি গুলোকে গবেষণাগারে আবাদ (Culture) করা যায়।মাইক্রো বায়োলজির শাখায় ব্যাকটেরিয়া নিয়ে অধ্যয়ন করা হয় তাকে ব্যাকটেরিওলজি বলা হয় ।

ব্যাকটেরিয়া কোষের গঠন

এটি একটি জেলের মতো ম্যাট্রিক্স যা এনজাইম, পুষ্টি, বর্জ্য,গ্যাসের সমন্বয়ে গঠিত ও এতে রাইবোসোম, একটি ক্রোমোজোম ও প্লাজমিডের মতো কোষের গঠন রয়েছে।

 কোষের খাম সাইটোপ্লাজম এর সমস্ত উপাদানকে আবদ্ধ করে থাকে ।  ইউক্যারিওটিক কোষের বিপরীতে, ব্যাকটেরিয়াগুলির ঝিল্লি আবদ্ধ নিউক্লিয়াস থাকে না।

ব্যাকটেরিয়ার কাজ কি

মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি (In increasing soil fertility) : মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে ব্যাকটেরিয়া অবদান অনেক । মাটির জৈব পর্দাথ সঞ্চয় ব্যাকটেরিয়ার প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে । 

ব্যাকটেরিয়া মাটির উপাদান হিসেবে  কাজ করে। নানা বিধ আবর্জনা হতে পচন প্রক্রিয়ার ব্যাকটেরিয়া জৈব সার ও জৈব গ্যাস প্রস্তুত করে।

Azotobacter, Pseudomonas, Clostridium ব্যাকটেরিয়া সরাসরি বায়ু থেকে  নাইট্রোজেন গ্রহণ করে নাইট্রোজেন যৌগ পদার্থ হিসেবে মাটিতে স্থাপন করে  মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। 

Rhizobium ব্যাকটেরিয়াজাতীয় উদ্ভিদের মূলের নডিউলে নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে থাকে। বাংলাদেশে মসুর ডালের  নডিউল তৈরি করে Rhizobium গণের তিনটি প্রজাতি। 

এগুলো হলো বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) – এর তরুণ বিজ্ঞানী ড. মোঃ হারুন- অর রশিদ নতুন ব্যাকটেরিয়ার আবিষ্কারক করে ।

ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগ করে ধানের উৎপাদন এই শতকরা ৩১.৮ ভাগ এবং গমের উৎপাদন শতকরা ২০৮ ভাগ বাড়ানো সম্ভব হয় ।

চা, কফি, তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণে (coffee, tobacco processing) চা, কফি, তামাক প্রভৃতি প্রক্রিয়াজাত করণে Bacillus megaterium নামক ব্যাকটেরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

দুগ্ধজাত শিল্পে (In dairy industry) Streptococcus lactis, Lactobacillus জাতীয় ব্যাকটেরিয়ার  দুগ্ধ হতে দই, পনির, ঘোল, ছানা প্রভৃতি তৈরি করা যায়।

ব্যাকটেরিয়ার গঠন ও বৈশিষ্ট্য 

ব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ট্য গুলি হল-

১. কোষীয় জীবদের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম এবং সরলতম আণুবীক্ষণিক জীব। এদের দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে প্রায় 0.15um – 80um পর্যন্ত হয়।

২. ব্যাকটেরিয়ার কোষ পর্দার বাহিরে স্থূল ও জড় কোষপ্রাচীর উপস্থিত যা পেপটাইডোগ্লাইকেন দিয়ে গঠিত।

৩. প্রায় অধিক ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরে বাইরে একটি পিচ্ছিল স্লাইম স্তর থাকে। এই স্তরটি অনেকক্ষেত্রে শক্ত হয়ে ও ক্যাপসুল গঠন করে।

৪. প্রোটোপ্লাজম 7-8 nm পুরু প্রোটিন, লিপিড স্তর দিয়ে গঠিত কোষ পর্দা দিয়ে আবৃত হয়। গ্রাম নেগেটিভ ও ব্যাকটেরিয়ায় কোষ প্রাচীর এর বাহিরের দিকে একটি অতিরিক্ত কোষ পর্দা যাকে বহিঃপর্দা বলে।

৫. ব‍্যাকটেরিয়া কোষ পর্দার কোনো স্থানে ভাঁজযুক্ত হয়ে মেসোজোম গঠন করে।

৬. বহিরাকৃতির ভিত্তিতে ব্যাকটেরিয়া গোলাকার বা কক্কাস , দন্ডাকার বা ব্যাসিলাস, সর্পিলাকার কমা আকৃতির বা ভিব্রিও প্রকৃতির হয়।

৭. মিয়োসিস ও গ্যামেট উৎপাদন অনুপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার যৌন জনন অনুপস্থিত। তবে সংযুক্তি , সংশ্লেষ, রূপান্তর ভবন এবং ট্রান্সডাকশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জিনের পুনঃসংযোজন ঘটে।

৮. ব্যাকটেরিয়া নানা পরিবেশে বসবাস করতে সক্ষম। নানান ধরনের তাপমাত্রায় বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-

সাইক্রোফিলস :এটি হল সল্প তাপমাত্রায় বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া।

মেসোফিলস :এটি হল সাধারণ তাপমাত্রায় বসবাস কারী ব্যাকটেরিয়া।

iii. থার্মোফিলস : এই ব‍্যাকটেরিয়া উচ্চ তাপমাত্রায় বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া।

৯. ব্যাকটেরিয়ায় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি লক্ষ্য করা যায় । Chlorobium ব্যাকটেরিয়া সালোকসংশ্লেষকারী বা ফটো অটোট্রপ রাসায়নিক পদার্থ থেকে শক্তি সংগ্রহ করে কেমো অটোট্রফ। এছাড়া ব্যাকটেরিয়া মৃতজীবী, পরজীবী বা মিথোজীবী প্রকৃতির হয়।

১০. সালোক সংশ্লেষ কারী ব্যাকটেরিয়ার সাইটো প্লাজমে পর্দা বেষ্টিত চ্যাপ্টা থলির মতো ল্যামেলি বা গোলাকার ভেসিকেল থাকে।অঙ্গানুর মধ্যে সালোকসংশ্লেষকারী রঞ্জক বা ব্যাকটেরিওক্লোরোফিল থাকে।

ব্যাকটেরিয়ার গুরুত্ব 

মানুষ ও অধিকাংশ প্রাণীতে সর্বাধিক সংখ্যক ব্যাকটেরিয়া থাকে অন্ত্রে ও বিরাট অংশ থাকে ত্বকে।ইমিউনতন্ত্রের কার্যকারিতার ফলে মানব দেহে অবস্থিত বেশিরভাগ ব্যাকটেরিয়াই  ক্ষতি করতে পারে না ।

যদিও অনেক ব্যাকটেরিয়া বিশেষ করে অন্ত্রের মানুষের জন্যে উপকারী,কিছু ব্যাকটেরিয়ার প্রজাতি রোগজনক এবং সংক্রামক ব্যাধির কারণ। 

যেমন, কলেরা, সিফিলিস,কুষ্ঠব্যাধি, বিউবনিক প্লেগ ইত্যাদি। শ্বাস নালীর সংক্রমণের সৃষ্ট রোগসমূহ হলো ব্যাকটেরিয়াজনিত সর্বাপেক্ষা মারত্মক ব্যাধি। শুধু যক্ষ্মারোগে ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে আক্রান্ত হয় এক কোটি মানুষ  মারা যায় ১৫(১.৫ মিলিয়ন) লাখ মানুষ।

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যায় ।আবার কৃষিক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়। ফলে অ্যান্টি বায়োটিক প্রতিরোধ্যতা ক্রমবর্ধমান সমস্যায় পরিণত হয়েছে। 

শিল্পক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পতিত তেলের (Oil spill) ভাঙনে, গাঁজন প্রক্রিয়ায় পনির, দই উৎপাদনে এবং খননকার্যে[১৩] সোনা, প্যালেডিয়াম, তামা অন্যান্য ধাতু পুনরুদ্ধারে ব্যাকটেরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  

জৈবপ্রযুক্তিত ও অ্যান্টিবায়োটিক  অন্যান্য যৌগ তৈরিতেও ব্যাকটেরিয়া প্রয়োজনীয়।

ব্যাকটেরিয়াকেSchizomycetes (“fission fungi”) শ্রেণি গঠনকারী উদ্ভিদ হিসেবে বিবেচনা করা হলে, আদিকোষী হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। প্রাণিকোষে অন্যান্য সুকেন্দ্রিক কোষের মতো ব্যাকটেরিয়ায় নিউক্লিয়াস এবং ঝিল্লিবদ্ধ অঙ্গাণু নেই।

একটা সময় (bacteria) পরিভাষাটি ঐতিহ্যগতভাবে সকল আদিকোষী জীবকে অন্তর্ভুক্ত করত। পরবর্তীতে ১৯৯০ এর দশকে আবিষ্কৃত হয় যে প্রোক্যারিওটরা “সর্বজনীন সাধারণ পূর্বপুরুষ” (Last universal common ancestor) উদ্ভূত দুইটি পৃথক জীবগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত। ফলশ্রুতিতে বৈজ্ঞানিক শ্পাল্টে যায়। বিবর্তনীয় অধিজগৎ দুটিকে ব্যাকটেরিয়া ও আর্কিয়া বলা হয়। 

ব্যাকটেরিয়ার নাম 

ব্যাকটেরিয়া প্রাণিজগতের সবচেয়ে ছোট হলো এককোষী  অণুজীব। সহজ জীবন যাপন করতে পারে। পৃথিবীতে ট্ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া বাস করে। মরুভূমি , প্যাচপেচে কাদায়, প্রাণীর অন্ত্রে, গাছের শিকড়ে এবং সমুদ্রে, পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় এদের বাস। মানুষ বা প্রাণীর বেঁচে থাকার কারণে ব্যাকটেরিয়া অপরিহার্য। এরা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে মারাত্মক রোগ হতে পারে।

১. Clostridium Botulinum ( ক্লোস্ট্রিডিয়াম বটুলিয়াম ): এরা সাধারণত মাটিতে বাস করে।  এরা ভয়ংকর বিষ উৎপাদন করতে পারে। এই বিষে মানুষ বা প্রাণী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। সব ব্যাকটেরিরার মতো এরাও জ্যামিতিক হারে বিভাজিত হয় এবং দ্রুত সংখ্যা বাড়িয়ে ফেলে।

২. Nitrobacter (নাইট্রোব্যাকটার): মাটি ও পানিকে উর্বর করে, গাছপালা,  প্রাণীদের বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। লম্বা চুল বা চাবুকের মতো লেজ নাড়িয়ে সামনের দিকে এগোতে পারে। প্রতি সেকেন্ডে এরা ৫০ বার চুল,লেজ নাড়াতেপারে।

৩. Staphylococcus epidermidis (স্ট্যাফিলোকক্কাস এপিডারমিডিস): ত্বকে বসবাস করে এই ব্যাকটেরিয়া। সচরাচর এরা তেমন ক্ষতি করে না। এরা শরীরের ভেতরে ঢুকে পড়ে, তাহলে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

৪. Psychrobacter urativorans (সাইক্রোব্যাকটার আর্টিভোরানস): অত্যন্ত ঠান্ডা জায়গায়ও বাঁচতে পারে। অতি ঠান্ডায় যাতে জমে যেতে না পারে, সে জন্য এদের শরীরে রয়েছে বিশেষ একধরনের পদার্থ।

৫. Lactobacillus acidophilus (ল্যাকটোব্যাকিলাস অ্যাসিডোফিলিস): গরম দুধে খুব ভালো বংশ বৃদ্ধি করতে পারে। দই তৈরিতে এই ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়।

দুটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া নাম 

অতি পরিচিত উপকারী ব্যাকটেরিয়া যেমন ;

ল্যাকটোব্যাসিলাস। দই, চিজের মতো খাদ্যে থাকে এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া। ল্যাকটোব্যাসিলাস ছাড়া অন্ত্রে বাস করা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে রয়েছে বিফিডো ব্যাকটেরিয়াম।

ব্যাকটেরিয়া হল কোষ প্রাচীর এককোষী, প্রাককেন্দ্রিক অণুজীব যা সাধারণত ক্লোরোফিল বিহীন এবং দ্বিভাজন প্রক্রিয়ায় বংশ বৃদ্ধি করে। ৩৬০ কোটি বছর পূর্বে আর্কিওজয়িক আদিকোষী জীবের উৎপত্তি ঘটেছিল। এবং প্রচন্ড ঠান্ডা -১৭ ডিগ্রী থেকে ৮০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় বাঁচতে পারে ব্যাকটেরিয়া।

মানুষের দেহে যত কোষ আছে তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া আছে। মানুষের  ত্বকে সর্বাধিক সংখ্যক ব্যাকটেরিয়া থাকে। এদের বেশিরভাগই কোন ক্ষতি করে না।

দেহে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগের মধ্যে যক্ষা রোগ বেশি ভয়ানক এবং রোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায়  2  মিলিয়ন মানুষ মারা যায়।

 যুক্তরাষ্ট্রের AIDS সংক্রম  যত মানুষ মারা যায় তার চেয়ে বেশি মারা যায় Methicillin-resistant Staphylococcus aureus (MRSA) ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে। পরজীবী হিসেবে বেঁচে থাকা চরিত্রকে পরজীবিতা বলে।

ভাইরাস বাধ্যতা মূলক পরজীবী (obligate parasite)। এটি আদি বৈশিষ্ট্য। ভাইরাস তার বংশবৃদ্ধি জীবনের লক্ষণ প্রকাশ করার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে ঐ জীবের সজীব কোষের ওপর নির্ভরশীল। 

অন্য কোনো জীবের (মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী, উদ্ভিদ, ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল ইত্যাদি) সজীব কোষ কোনো ভাইরাসই জীবের লক্ষণ প্রকাশ হতে পারে না, বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। 

কোনো আবাদ ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি করা বিজ্ঞানীদের পক্ষেও আজ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। 

আমাদের পোস্ট রিলেটেড প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্নের উত্তর যা তার জ্ঞানকে আরো বৃদ্ধি করবে।

আরো পড়ুন: জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা

অনুজীবের উপকারিতা কি কি?

মানুষ ,অন্যান্য পশুর অন্ত্রে অবস্থিত অণুজীব খাদ্য হজমে সাহায্য করে। ভিটামিন-বি বিপাকে ,ভিটামিন-কে রক্তজমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ভিটামিন সংশ্লেষণের জন্য অণুজীব প্রয়োজন।

একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম কি?

অতি পরিচিত উপকারী ব্যাকটেরিয়া হল ল্যাকটোব্যাসিলাস। দই, চিজ-এর মতো খাদ্যে থাকে এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া ।

ভাইরাসের অপকারিতা কি?

ভাইরাস উদ্ভিদ, প্রাণী ,মানবকুলের অনেক ক্ষতি করে থাকে। ১. ভাইরাস মানুষের বসন্ত, হাম, পোলিও, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হার্পিস, ডেঙ্গু, ভাইরাস হেপাটাইটিস প্রভৃতি রোগ সৃষ্টি করে থাকে।

উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজ কি?

উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলি ভিটামিন তৈরি করতে সাহায্য করে। উদাহরণ হিসেবে ভিটামিন কে এইটার কথা বলা যায়। এমন কী নির্দিষ্ট পুষ্টি উপাদানের শোষণেও সাহায্য করে ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলি। 

একটি উপকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম কি

উপকারী ব্যাকটেরিয়া হল ল্যাকটোব্যাসিলাস। দই, চিজের মতো খাদ্যে থাকে এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া। ল্যাকটোব্যাসিলাস অন্ত্রে বাস করা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে রয়েছে বিফিডোব্যাকটেরিয়াম।

ব্যাকটেরিয়া মানুষের কি ক্ষতি করে?

খাদ্য দ্রব্যের পচন,বিষাক্ত করণ (Digestion and poisoning of food) : ব্যাকটেরিয়া টাটকা ও সংরক্ষিত খাদ্যদ্রব্যে পচন ঘটিয়ে আমাদের প্রচুর আর্থিক ক্ষতি সাধন করে। 

ভালো ব্যাকটেরিয়া আমাদের কিভাবে সাহায্য করে?

মানুষের খাবার হজমে সাহায্য করে এবং প্যাথোজেন থেকে দেহকে রক্ষা করে। হজমের গণ্ডগোলে ও সুস্থ থাকার জন্য দেহে ভালো ও খারাপ ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত।

ভাইরাসের অপকারিতা কি?

ভাইরাসের অপকারিতা  হলো : ভাইরাস উদ্ভিদ, প্রাণী ,মানবকুলের অনেক ক্ষতি করে থাকে। ১. ভাইরাস মানুষ এর বসন্ত, হাম, পোলিও,ইনফ্লুয়েঞ্জা, হার্পিস, ডেঙ্গু, হেপাটাইটিস প্রভৃতি মারাÍক রোগ সৃষ্টি করে থাকে। 

ব্যাকটেরিয়া কত প্রকার কি কি?

ব্যাসিলাস (দণ্ডাকার ব্যাকটেরিয়া) ও 

স্পাইরিলাম (সর্পিল আকৃতির ব্যাকটেরিয়া) ও 

কমা (এরা দেখতে কমার মত, উদাহরণ কলেরার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া) ও 

গ্রাম পজিটিভ (যে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া ক্রিস্টাল ভায়োলেট রং ধরে রাখে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া )

ব্যাকটেরিয়া একটি কি?

ব্যাকটেরিয়া অতি ছোট আকারের জীব, সাধারণত ০.২ – ৫ মাইক্রোমিটার হয়ে থাকে, অর্থাৎ এরা আণুবীক্ষণিক ।

আর কি ব্যাকটেরিয়া কাকে বলে?

ব্যাকটেরিয়া আদি কেন্দ্রিক (প্রাককেন্দ্রিক = Prokarytic) । কোষ 70s রাইবোজোম থাকে; কোন ঝিল্লিবদ্ধ অঙ্গাণু থাকে না ।

বৃহত্তম ব্যাকটেরিয়ার নাম কি? এই ব্যাকটেরিয়ার নাম দেওয়া হয় :  থিওমার্গারিটা ম্যাগনিফিকা ।

ব্যাকটেরিয়া কত প্রকার কি কি?

  • ব্যাসিলাস (দণ্ডাকার ব্যাকটেরিয়া) ও 
  • স্পাইরিলাম (সর্পিল আকৃতির ব্যাকটেরিয়া) ও 
  • কমা (এরা দেখতে কমার মত, উদাহরণ কলেরার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া) ও 
  • গ্রাম পজিটিভ (যে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া ক্রিস্টাল ভায়োলেট রং ধরে রাখে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া )

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button