
ময়মনসিংহ, ১৭ জুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্ভাব্য নেতৃত্বে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে বিতর্কিত আলোচনার মধ্যে তাঁর উদ্দেশে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেছেন, “আপনি বিদেশে বসে একটি দলের সঙ্গে কীভাবে দেশের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের চেষ্টা করলেন? এর ব্যাখ্যা জাতির কাছে দিতে হবে।”
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলনের মহানগর ও সদর শাখার যৌথ কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
‘নির্বাচন নয়, আগে চাই সংস্কার ও বিচার’
চরমোনাই পীর আরও বলেন, “বিএনপি বারবার ডিসেম্বরের নির্বাচন চাইছে, যেন অস্থির হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা বলছি আগে চাই রাষ্ট্র সংস্কার, বিচারপ্রক্রিয়া, তারপর নির্বাচন। এ দেশে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা সক্রিয়, তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে কী হবে, তা জনগণের বুঝতে বাকি নেই।”
ক্ষমতালোভীদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমীদের ঐক্যের ডাক
তিনি দেশকে দুটি ভাগে ভাগ করে বলেন, “একটি ধারা দেশপ্রেমিক, আরেকটি ক্ষমতাপ্রেমিক। আমরা যারা দেশ ও মানুষের কথা বলি, তারা একত্র হলে এই স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা সম্ভব। এখন সময় মাঠে নামার, ইসলাম ও মানবতার পক্ষে কাজ করার।”
ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নেওয়ার দাবি
চরমোনাই পীর বলেন, “দেশের মানুষ ৫৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছে। এখন তারা পরিবর্তন চায়। মানুষ চায় ইসলামী দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ হয় এবং প্রার্থী দেয়, তাহলে খুনি-লুটেরা-চাঁদাবাজরা ক্ষমতায় যেতে পারবে না।”
তিনি আরও জানান, ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে ইসলামী আন্দোলনের মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিনকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
কর্মীদের প্রতি বার্তা
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা যদি ইসলামী আদর্শে মানুষের পাশে থাকেন, তাহলে ইনশাআল্লাহ ফ্যাসিস্ট শক্তি ও গুম-খুনকারী চক্র আবার ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম রুহুল আমীন, এবং ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের আমির আবদুল করীম।