বিনোদন

“বাবার সঙ্গে ছেলের ছবি ঘিরে ‘অস্বস্তি’! স্পষ্ট বার্তায় কী বললেন অপু বিশ্বাস?”

শিরোনাম:

বাবা দিবসে সন্তানদের সঙ্গে মুহূর্ত শেয়ার করে আলোচনায় শাকিব, অপু-বুবলীর পোস্টে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা

সংবাদ প্রতিবেদন:

চিত্রনায়ক শাকিব খান ব্যক্তিজীবনে যত ব্যস্তই থাকুন, সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে বরাবরই আগ্রহী। তাঁদের সঙ্গে হাসিখুশি মুহূর্তগুলো অনেক সময়ই ধরা পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। বাবা দিবসে সেই চিত্রই দেখা গেল আরও একবার। কিন্তু এবার বিষয়টি শুধু পারিবারিক ভালোবাসার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি জড়িয়ে গেছে আলোচনা ও ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তায়।

গতকাল রোববার ছিল আন্তর্জাতিক বাবা দিবস। দিনটি উপলক্ষে শাকিব খানের দুই সন্তান—জয় ও বীরকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তাঁদের মায়েরা, অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। দুজনেই সন্তানের সঙ্গে শাকিব খানের পারিবারিক ভিডিও ও ছবি শেয়ার করেন, যা কিছুক্ষণের মধ্যেই আলোচনায় উঠে আসে।

তবে দিন শেষে একটি পোস্ট ঘিরে বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে অপু বিশ্বাস। ফেসবুকে দেওয়া নিজের এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “আমার সম্পর্ক, আমার জীবনের অধ্যায়গুলো দর্শকের চোখের সামনেই কেটেছে। সেখানে লুকোচুরি নেই, নাটক করার কিছু নেই।” তিনি আরও বলেন, ছেলের মানসিক বিকাশ এবং সুন্দর শৈশবের জন্য বাবার সঙ্গে সময় কাটানো জরুরি, আর তা প্রকাশে কারও অস্বস্তি হলে সেটি তাঁর দায় নয়।

এই বক্তব্যকে ঘিরে অনেকেই মনে করছেন, অপু বিশ্বাস আসলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বুবলীর উদ্দেশে, যিনি একই দিন সন্তানের সঙ্গে শাকিবের মুহূর্ত শেয়ার করেন। তবে কেউ কারও নাম না নিলেও ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা।

অপু বিশ্বাস আরও জানান, তিনি একজন মা, অভিনেত্রী ও উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করেন এবং ব্যক্তিজীবন নিয়ে অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতায় যেতে চান না।

অন্যদিকে, বুবলী বা শাকিব খান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

সামাজিক মাধ্যমে দুই মায়ের এমন কর্মকাণ্ডে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে পিতা-সন্তানের সুন্দর মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন, কেউ আবার বলছেন, ব্যক্তিগত বিষয়কে প্রকাশ্যে এনে অপ্রয়োজনীয় নাটক তৈরি করা হচ্ছে।

শেষ কথা:

পারিবারিক বিষয় যেহেতু সংবেদনশীল, তাই জনসমক্ষে এমন বার্তা ও প্রতিযোগিতা কতটা প্রয়োজনীয় সেটি নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। তবে এতটুকু স্পষ্ট, সন্তানদের প্রতি শাকিব খানের ভালোবাসা এবং সময় দেওয়ার বিষয়টি দিন দিন আরও বেশি প্রকাশ্য হচ্ছে, আর তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমও থাকে সরগরম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button