চিকিৎসাশিক্ষা

প্রাথমিক চিকিৎসা কাকে বলে

প্রাথমিক চিকিৎসা: প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা মাধ্যমে কোনো রোগের জন্য কী উপায় নেয়া উচিত, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার চিহ্ন ও উপসর্গ নির্ণয় করা হয়

প্রাথমিক চিকিৎসা | প্রাথমিক চিকিৎসা কি

প্রাথমিক চিকিৎসা হলো স্বাস্থ্যসেবার একটি ধারণকেন্দ্রিক মডেল, যা মৌলিক চিকিৎসা, পরামর্শ এবং প্রতিবেদন সরবরাহ করে।

এটি ব্যক্তিগত চিকিৎসা প্রদানের প্রাথমিক স্তর হতে পারে এবং সাধারণত স্বাস্থ্যসেবার প্রাথমিক পরিচালক বা পরামর্শদাতা দ্বারা প্রদান করা হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা প্রায়শই স্বাস্থ্যসেবার মৌলিক উপাদানগুলি শামিল করে, যা সাধারণত করা হয় চিকিৎসা প্রারম্ভে বা সাধারণ সমস্যার সময়ে প্রয়োজনীয় হলে।

এটি সাধারণত প্রশ্নগুলি নিয়ে চিকিৎসা করে, রোগের পরামর্শ দেয়, ঔষধ প্রেসক্রিপশন করে এবং প্রয়োজনে অন্যান্য পেশাজীবীদের সাথে যোগাযোগ করে।

যেমনঃ কাছাকাছির ব্যথা, পেট খারাপি, জ্বর, কাশি, শুকনো চাপলুস, অতিরিক্ত মোটামুটি ইত্যাদি।প্রাথমিক চিকিৎসা একটি অগ্রসর চিকিৎসা মডেল হলেও এর মাধ্যমে অনেকগুলি পরিচালিত স্বাস্থ্য সমস্যা ও চিকিৎসা পরিচালনা হয়।

কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা প্রকার নিচে দেওয়া হলোঃ

সাধারণ পরামর্শ: প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে চিকিৎসা পেলেন এমন রোগীদের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।

যেমনঃ প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা মাধ্যমে কোনো রোগের জন্য কী উপায় নেয়া উচিত, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার চিহ্ন ও উপসর্গ নির্ণয় করা হয়।

রোগ নিরীক্ষণ: প্রাথমিক চিকিৎসা একটি রোগ নিরীক্ষণ ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়াও হতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসকরা মাধ্যমে রোগীদের সাধারণ রোগ নিরীক্ষণ করে তাদের অবস্থা এবং সমস্যার স্তর নির্ণয় করা হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা কাকে বলে

প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি

প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যক্তির সাধারণ স্বাস্থ্যস্থান সম্পর্কিত সমস্যার নির্ধারণ ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

এই পদ্ধতিতে প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ বিভিন্ন উপাদানে ভিত্তি করে, যা নিম্নরূপে উল্লেখ্যঃ

1.রোগীর পরিচিতি: চিকিৎসার শুরুতে রোগীর পরিচিতি নির্ধারণ করা হয়।

এটি পরিবারের তথ্য, মেডিকেল হিস্ট্রি, জরুরী সমস্যা সম্পর্কিত তথ্য ইত্যাদি নির্ধারণের মাধ্যমে হতে পারে।

2.বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: রোগীর সমস্যা নির্ধারণ করার পরে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া হয়।

এটি সাধারণত সামগ্রিক চিকিৎসার সাথে সম্পর্কিত হয়, এমনকি কিছু সাধারণ পরামর্শও দেওয়া হতে পারে।

3.সামগ্রিক পরীক্ষা: চিকিৎসার প্রাথমিক অংশ হিসাবে রোগীর সামগ্রিক পরীক্ষা করা হয়। 

4.রোগীর ইতিহাস নির্ধারণ: রোগীর সমস্যার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নির্ধারণ করা হয়।

এটি রোগীর আগের রোগের ইতিহাস, আক্রান্ত সমস্যা বা বিপদের তথ্য, পরিবারে সমস্যা সম্পর্কিত তথ্য ইত্যাদি নির্ধারণের মাধ্যমে সম্ভাব্য কারণগুলি সনাক্ত করা হয়।

5.শারীরিক পরীক্ষা: রোগীর শারীরিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিভিন্ন পরীক্ষা প্রদান করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ রক্তপরীক্ষা, মুখের মাধ্যমে তাপমাত্রা নির্ধারণ, পাল্পেশন পরীক্ষা, বিভিন্ন অঙ্গের যন্ত্রণামূলক অবস্থা পরীক্ষা ইত্যাদি।

6.রোগীর লক্ষণ পর্যবেক্ষণ: রোগীর লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করা হয় যাতে সঠিক রোগের নির্ধারণ এবং চিকিৎসার পথনির্দেশনা করা যায়।এটি রোগীর শ্বাসকষ্ট, ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা, ত্বকের রঙের পরিবর্তন ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে করা হয়।

চিকিৎসা পদ্ধতি

7.রোগীর প্রশ্নোত্তর: রোগীর প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে তার সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ পেতে হয়।

এটি রোগীর অনুভূতি, লক্ষণ, সমস্যার সময়কাল, সম্ভাব্য কারণ ইত্যাদির জন্য প্রশ্ন করে প্রদর্শন করে।

8.রোগীর চিকিৎসার পরামর্শ: প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের পরে রোগীকে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়।

এটি মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ দেয়।

9.ঔষধ পরামর্শ: প্রাথমিক চিকিৎসার পরে রোগীকে ঔষধ প্রদানের পরামর্শ দেওয়া হয়।

এটি সঠিক পরিমাণ, সঠিক সময়কালে ঔষধ নেওয়া, ঔষধের ব্যবহার ব্যাপারে সচেতনতা জাগ্রত করা ইত্যাদি কর্মসূচি সম্পর্কিত।

10.চিকিৎসা প্রদান: প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

এটি শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর সমস্যার কারণ সনাক্ত করে এবং তা সমাধানের জন্য চিকিৎসা প্রদান করে।

11.পর্যবেক্ষণ ও অনুসরণ: প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের পর রোগীর স্থিতির পর্যবেক্ষণ ও পরবর্তী অনুসরণ করা হয়। এটি রোগীর অবস্থা সম্পর্কে নতুন তথ্য সংগ্রহ করে।

প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য কি

প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্য হলো মানব স্বাস্থ্যের সমগ্র পরিদর্শন, পরামর্শ এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা।

এটি সাধারণত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সংগ্রহস্থল, যেমন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরিবার ক্লিনিক, গ্রামবাসী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ইত্যাদির মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসার উদ্দেশ্যগুলো নিম্নরূপ:

১. প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধ ও বিনায়ক চিকিৎসা: প্রাথমিক চিকিৎসা সাধারণত রোগ প্রতিরোধ,

করার উপকারিতা ও স্বাস্থ্যপরামর্শ দেয়ার জন্য প্রযোজ্য।

এটি স্বাস্থ্য সংরক্ষণের উপাদানগুলো শিক্ষা দিয়ে পুরোনো এবং নতুন সমস্যাগুলোর চেয়ে মানুষের স্বাস্থ্যকে বুদ্ধিমান করে তোলে।

২. প্রাথমিক চিকিৎসার পরিদর্শন ও বিমূল্যে চিকিৎসা: প্রাথমিক চিকিৎসা পরিদর্শনের মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

৩. সাধারণ রোগ ও সমস্যার চিকিৎসা: প্রাথমিক চিকিৎসা বিভিন্ন সাধারণ রোগ এবং সমস্যার চিকিৎসা প্রদানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এটি আক্রান্ত ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট ঔষধের প্রেসক্রিপশন, সাধারণ চিকিৎসা প্রদান এবং উচিত পরামর্শ প্রদান করে।

৪. সাম্প্রতিক ও ছোটবেলার রোগ পরীক্ষা ও চিকিৎসা: প্রাথমিক চিকিৎসা মাধ্যমে বাচ্চাদের সাম্প্রতিক এবং ছোটবেলার রোগ পরীক্ষা ও চিকিৎসা সম্পন্ন করা হয়।

এটি পরীক্ষা, টিকা প্রদান, পুষ্টি পরামর্শ এবং পরিবারের সাথে মাতৃশিশু স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।

৫. গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্য যোগাযোগ: প্রাথমিক চিকিৎসা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলো।

৬. স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতনতা উন্নয়ন: প্রাথমিক চিকিৎসা মাধ্যমে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান করে এবং মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা উন্নয়ন করে।

এটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরী তথ্য, সঠিক পুষ্টির তথ্য, নিরাপদ জীবনযাপন এবং জরুরি সেবা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে।

৭. সাধারণ চিকিৎসার প্রাধান্য বিনায়ক চিকিৎসা: প্রাথমিক চিকিৎসা মাধ্যমে সাধারণ চিকিৎসার প্রাধান্য দেওয়া হয়।

যাতে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে দেওয়া যায়। রোগের প্রথম ধাপ পরিচালনা করে যাতে বেশিরভাগ সাধারণ রোগ হতে উচিৎ চিকিৎসা সম্পন্ন করা যায়।

৮. পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা উন্নতি: প্রাথমিক চিকিৎসা মাধ্যমে পর্যাপ্ত ও উন্নত সেবা প্রদান করা যাই। 

প্রাথমিক চিকিৎসার ঔষধ

প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এক কিছু ঔষধ রয়েছে যা সাধারণত অ্যাপটিক্যাল মেডিসিন বলা হয়।

এই ঔষধগুলো কোনো প্রমাণপত্র ছাড়া কাউকে সরাসরি ও অক্ষরিকভাবে প্রদান করা যায়,

কিন্তু তাদের ব্যবহারের পূর্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।

কিছু প্রাথমিক চিকিৎসার ঔষধ যেমনঃ

1.পেরাসিটামলল (Paracetamol): জ্বর, শিরাপ এবং মাংশপেশি ব্যথা বা প্রাথমিক বা সাধারণ ব্যথা সহ অন্যান্য মানসিক ব্যাধি মোকাবেলায় ব্যবহৃত হয়।

2.ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen): মাংশপেশি ব্যাথা, জ্বর, মাসপেশি ব্যথা এবং প্রাথমিক মাসপেশি ব্যথার উপসর্গ মোকাবেলায় ব্যবহৃত হয়।

3এসিডোমাগ (Antacids): অতিরিক্ত পেট অ্যাসিড সাম্প্রতিক খাবারের উপরে চিকিৎসার জন্য এসিডোমাগ ব্যবহার করা হয়।

4.ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (Calcium Carbonate): ক্যালসিয়াম কার্বোনেট প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কার্যকরি।

5.এন্টিহিস্টামিন (Antihistamines): এন্টিহিস্টামিন প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় যখন কাশি, সর্দি, হাঁচি, চোখের জ্বলবানি ইত্যাদি

অ্যালার্জি সম্পর্কিত লক্ষণগুলি মোকাবেলা করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ সেলেরজিন, লেভোসেটিরিজিন ইত্যাদি।

6.এন্টিব্যাকটেরিয়াল (Antibiotics): ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের জন্য এন্টিব্যাকটেরিয়াল ঔষধ ব্যবহার হয়।

এগুলি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কারণে উঠা জ্বর, ডায়রিয়া, মাংশপেশি সংক্রমণ, কানের সমস্যা ইত্যাদি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।

7.এন্টিফাংগাল (Antifungal): ফাংগাল ইনফেকশনের জন্য এন্টিফাংগাল ঔষধ ব্যবহার হয়।

এগুলি চর্ম সংক্রমণ, শরীরের মধ্যে ফাংগাল সংক্রমণ, পা আক্রমণ হয়লে।

8.প্রবলিন (Probiotics): প্রবলিন ব্যবহার হয় যখন পাচন সিস্টেমে অস্থিতিকর পরিবর্তন হয়।

এই ঔষধগুলি পাচন প্রক্রিয়া ও পেটের স্বাস্থ্য উন্নয়নে সাহায্য করে।

9.কাফেইন (Caffeine): কাফেইন প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয় যখন নিউরোলজিক সমস্যা সম্পর্কিত লক্ষণগুলি মোকাবেলা করতে হয়।

যেমন মাইগ্রেন, হেডাচ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি

10.এন্টিএসিড (Antiseptics): ক্ষতস্থানের পরিস্কারের জন্য এন্টিএসিড ব্যবহার করা হয়।

এগুলি আমুদ বা ছুটকি স্ক্র্যাপ, ছোট ক্ষত সম্পর্কিত সমস্যায় ব্যবহৃত হয়।

11.স্টিরয়েড (Steroids): স্টিরয়েড ব্যবহার হয় প্রাথমিক চিকিৎসায় যখন শরীরে অতিরিক্ত এলার্জি উত্পন্ন হয় বা ভিক্ত অবস্থায় রয়েছে। 

প্রাথমিক চিকিৎসার নীতি

প্রাথমিক চিকিৎসার নীতি একটি সমগ্র পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের সেট, যা প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা সরবরাহের জন্য উপযুক্ত মানদণ্ড,

নীতি সমূহ এবং দক্ষ কর্মসংস্থানের পরিচর্যার উপর ভিত্তি করে।

প্রাথমিক চিকিৎসা সাধারণত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য প্রথম সম্পর্ক স্থাপন করে,

এটি শক্তিশালী প্রাথমিক চিকিৎসা ও পর্যালোচনা নির্দেশ করে এবং পর্যালোচনা প্রদান করে।

প্রাথমিক চিকিৎসার নীতির গুরুত্ব হলো প্রাথমিক স্বাস্থ্য যত্নের উচ্চতম মান ও গুণমানের উন্নয়ন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সরবরাহের সঠিক পদ্ধতি নির্ধারণ করা।

প্রাথমিক চিকিৎসার নীতি যেমন নির্ধারিত হতে পারে, তেমনি একটি দেশ বা সংস্থা অনুসারে পার্যবেক্ষককে যেসব বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে:

1.প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতির মূল্যায়ন ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার প্রাথমিক উন্নয়ন: প্রাথমিক চিকিৎসা নীতির একটি প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্বস্ত ও বিশদ তথ্য সংগ্রহ করা,

সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা সরবরাহ করা।

এটি স্থানীয় চিকিৎসা প্রাথমিক কেন্দ্র ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য পরিস্থিতি নির্ধারণ ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

2.প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা সরবরাহের জন্য মানদণ্ড এবং দিকনির্দেশনা: নীতি সম্প্রসারণ ও সঠিক চিকিৎসা সেবা সরবরাহের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ,

মানদণ্ড ও দিকনির্দেশনা সরবরাহ করা উচিত।

3.প্রাথমিক স্বাস্থ্য যাচাই ও প্রত্যয়ন: প্রাথমিক চিকিৎসা সরবরাহের জন্য চিকিৎসা প্রদানকারীদের যাচাই ও প্রত্যয়ন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা উচিত।

চিকিৎসা প্রদানকারীদের প্রশিক্ষণ, যাচাই প্রক্রিয়া এবং মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা গুণমানের উন্নয়ন ও প্রত্যয়ন করা উচিত।

চিকিৎসার নীতি

4.প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার সার্বিক অবস্থান: প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা সরবরাহের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র,

স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উন্নয়ন ও সার্বিকতা সম্পর্কে সঠিক নীতি গড়ে তোলা উচিত।

সেবা প্রাপ্তদের উপলক্ষে সরকার ও অন্যান্য সংস্থার মধ্যে কর্মসংস্থান এবং সমন্বয় করা হয়।

5.প্রাথমিক স্বাস্থ্য শিক্ষা: প্রাথমিক চিকিৎসা নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্যসচেতনতা উন্নয়ন করা।

স্বাস্থ্য পরিচর্যা, রোগ প্রতিরোধ, পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব, সামাজিক নিরাপত্তা এবং পরিবারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনগণের জাগরুকতা উন্নয়ন করা উচিত।

6.প্রাথমিক চিকিৎসা সরবরাহের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নির্দেশিকা: প্রাথমিক চিকিৎসা সরবরাহের জন্য সঠিক সেবা প্রদানের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নির্দেশিকা প্রণীত করা উচিত।

এই নির্দেশিকা উপর ভিত্তি করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং চিকিৎসা কর্মকর্তাদের কার্যক্রম নির্ধারণ করা হবে, যাতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা যাই। 

প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা

প্রাথমিক চিকিৎসা এমন চিকিৎসা যা স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত প্রথম ধাপ হিসাবে প্রয়োজনীয় হয়।

এটি মূলত সাধারণ রোগ ও সমস্যার জন্য প্রয়োজন হয়, যা সাধারণত পরিষ্কার বা সাধারণ চিকিৎসা দ্বারা ঠিক হয়ে যায়।

প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা নিম্নলিখিত কিছু বিষয়ে ভিত্তি করে:

1.স্বাস্থ্য মনিটরিং: প্রাথমিক চিকিৎসা সাধারণত একটি ব্যক্তির স্বাস্থ্য মনিটরিং ও জীবনযাপন দেখার মাধ্যমে শুরু হয়।

রোগের প্রাথমিক লক্ষণ নির্ণয় করে এবং যদি প্রয়োজন হয় তাদের অগ্রাধিকার পরামর্শ দেওয়া হয়।

2.ব্যথা ও রোগের প্রশ্নের মূল্যায়ন: প্রাথমিক চিকিৎসা একটি ব্যক্তির ব্যথা ও অসুস্থতা গভীরতা নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজনীয়।

সাধারণ রোগের প্রভাব, স্থিতি। 

3.প্রকৃতির বিপর্যয়ে চিকিৎসা: প্রাথমিক চিকিৎসা প্রকৃতিতে সংঘটিত দুর্যোগ বা বিপর্যয়ে কার্যকর হয়।

মানুষের জীবন এবং স্বাস্থ্য বিপর্যয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সরবরাহ করে বিভিন্ন দুর্যোগ সমূহে জীবন বাঁচাতে সহায়তা করে।

4.প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা: প্রাথমিক চিকিৎসা মাধ্যমে মানুষের শরীরের প্রতিরোধশীলতা বৃদ্ধি করা হয়।

এটি উচ্চতর মানুষের রোগ ও অসুস্থতার জন্য প্রতিরক্ষা দেয়, যাতে তারা আক্রান্ত হতে অপসারণ করতে পারেন।

5.পরামর্শ ও উচিত নির্দেশনা: প্রাথমিক চিকিৎসা মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ ও উচিত নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

এটি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অগ্রিম পদক্ষেপ, যাতে মানুষ নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন।

6.রোগের পরিচিতি ও নির্ধারণ: প্রাথমিক চিকিৎসা মাধ্যমে রোগের পরিচিতি ও নির্ধারণ করা হয়।

চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী রোগের লক্ষণ এবং পরিবর্তনের ভিত্তিতে রোগের পরিচিতি নির্ধারণ করে এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা বা টেস্ট নির্দেশ করেন।

7.স্বাস্থ্যপরামর্শ: প্রাথমিক চিকিৎসা মাধ্যমে স্বাস্থ্যপরামর্শ প্রদান করা হয়।

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ প্রাথমিক চিকিৎসকের দ্বারা যেমন পুষ্টিবিদ্যা, শরীরবিজ্ঞান, প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি ইত্যাদি ব্যবহার করে দেওয়া হয়।

8.সাধারণ চিকিৎসা: প্রাথমিক চিকিৎসা সাধারণত মানুষের সামান্য রোগ এবং সমস্যার জন্য প্রয়োজন হয়।

সাধারণ রোগ যেমন সর্দি, কাশি, জ্বর, পেট ব্যথা, চুলের সমস্যা ইত্যাদি প্রাথমিক চিকিৎসা দ্বারা ঠিক করা হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসার ভূমিকা

প্রাথমিক চিকিৎসা মানে হলো প্রাথমিক রোগীর সামান্য রোগ বা সমস্যা পরিষ্কার করার জন্য অন্যদের কাছে যাওয়া না প্রয়োজন করে নিজে করার চিকিৎসা।

এটি প্রাথমিক স্তরের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষদের স্বাস্থ্যসম্মত রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

প্রাথমিক চিকিৎসা বিভিন্ন উপায়ে সামান্য রোগ বা সমস্যার চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়।

এটি প্রধানত প্রথমবারে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা পাওয়ার সময় অনেক মানুষের প্রথম পদক্ষেপ হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য মানুষ তাদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং উপযুক্ত প্রাথমিক চিকিৎসার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।

প্রাথমিক চিকিৎসা সাধারণত নিম্নলিখিত কাজগুলো শামিল করে:

1.রোগীর মেডিকেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করা: প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করার আগে রোগীর মেডিকেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করা হয়।

এতে রোগীর পূর্ববর্তী রোগের তথ্য, ঔষধ প্রণালী, অ্যালার্জি, চিকিৎসা ইত্যাদি তথ্য থাকে যা চিকিৎসকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

2.রোগীর পরীক্ষা: রোগীর সমস্যার পরিসংখ্যান ও পরীক্ষা করা হয়।

এতে রোগীর উপস্থিতির সময় চিকিৎসক তার লক্ষণ, বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা ও সমস্যার ধরণ নির্ধারণ করতে পারেন।

3.ঔষধ পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন: রোগীর সমস্যার ভিত্তিতে চিকিৎসক ঔষধ পরামর্শ দেয় এবং যেকোনো প্রয়োজনে ঔষধের নির্দেশ প্রেসক্রিপশন করেন।

4.প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা: প্রাথমিক চিকিৎসা অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা ও উপযোগী খাদ্যপন্থা পরামর্শ দেওয়া।এতে পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে জ্ঞান দেয়া হয় এবং নিরামিষ জীবনযাপনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পরামর্শ করা হয়।

চিকিৎসার ভূমিকা

5.পরামর্শ ও শিক্ষা: প্রাথমিক চিকিৎসা করার সময় চিকিৎসক রোগীদের জন্য পরামর্শ ও শিক্ষা প্রদান করেন।

রোগীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করে, স্বাস্থ্যসম্পর্কিত উপদেশ দেয় এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের প্রয়োজনীয় পরামর্শ করেন।

6.সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ: প্রাথমিক চিকিৎসা অন্তর্ভুক্ত করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের উপায় ও পরামর্শ প্রদান করা। রোগীদেরকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে।

7.প্রাথমিক স্ক্রিনিং টেস্ট: প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগীদের জন্য প্রাথমিক স্ক্রিনিং টেস্ট সম্পন্ন করা হয়।

এটি সাধারণত শরীরের প্রাথমিক পরিদর্শন, রক্তপরীক্ষা, মোটা বৈপ্রযুক্তির পরীক্ষা, পাপসমুচ্চয়নের টেস্ট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করে।

এটি রোগীদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যসম্মত রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

8.মোটা পরামর্শ এবং পরামর্শ সংগ্রহ: প্রাথমিক চিকিৎসা অন্তর্ভুক্ত করে রোগীদের সাথে মোটা পরামর্শ এবং পরামর্শ সংগ্রহ করা হয়।

এতে চিকিৎসক রোগীর জীবনযাপন, আহারপদার্থ, কার্যক্রম, শ্রমিকতা, নিরামিষ জীবনযাপন ইত্যাদি সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করেন।

প্রাথমিক চিকিৎসার লক্ষ্য

প্রাথমিক চিকিৎসার লক্ষ্য হলো মানুষের স্বাস্থ্য ও সুখবর্ধনের জন্য প্রাথমিক ও প্রথম স্বাস্থ্য যত্ন নিশ্চিত করা।

এটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সংজ্ঞায়িত করা হয়, যা মানুষের স্বাস্থ্য পরিচর্যা, রোগ প্রতিরোধ ও পরামর্শের জন্য প্রযোজ্য হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসার লক্ষ্যের মধ্যে অন্যান্য উদ্দীপনা সম্মিলিত থাকতে পারে:

1.প্রতিরোধ: প্রাথমিক চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো রোগ ও অসুখের প্রতিরোধ করা।

এটি স্বাস্থ্যসেবার আদ্যতম পর্ব যা মানুষের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা উন্নত রাখতে সাহায্য করে।

এটি প্রাথমিক উপস্থিতি করে এবং মানুষের শারীরিক পরিস্থিতি এবং জীবনযাপন পর্যালোচনা করে।

2.পরামর্শ: প্রাথমিক চিকিৎসার অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো স্বাস্থ্য বিষয়ে সঠিক পরামর্শ প্রদান করা।

3.চিকিৎসা ও প্রতিস্থাপন: প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার লক্ষ্য হলো রোগের প্রতিস্থাপন এবং মানুষের স্বাস্থ্য পূর্ণতা প্রাপ্তি।

এটি রোগের প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যা, ঔষধ প্রেসক্রিপশন, চিকিৎসা পরামর্শ এবং উচ্চতর চিকিৎসা প্রয়োজনের জন্য উপস্থিতি করে।

4.স্বাস্থ্য শিক্ষা: প্রাথমিক চিকিৎসার একটি মুখ্য উদ্দেশ্য হলো স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান করা।

এটি লোকেরা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে সহায়তা করে এবং সঠিক পরিবর্তন এবং জীবনযাপনের জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা উন্নত করে।

এটি পুষ্টিকর খাদ্য, পরিবেশের পরিস্থিতি, সংক্রমণ প্রতিরোধ, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সংরক্ষণ ইত্যাদি। 

5.প্রথম সাহায্য: প্রাথমিক চিকিৎসা পরিচালনার লক্ষ্য হলো অত্যাবশ্যক সামার্থ্য ও প্রথম সাহায্য প্রদান করা।

এটি আকস্মিক আপত্তি, দুর্ঘটনা বা সমস্যা সম্পর্কে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে মানুষকে সাহায্য করে।

এটি আবহাওয়া আক্রমণ, ধুমপান বা মাদক পদার্থ ব্যবহার, তাপমাত্রা বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ঘাঁটি বা সর্দি চিকিৎসা,

পুতুলামি বা কাটাকুটির চিকিৎসা ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ পরামর্শ ও সামগ্রিক চিকিৎসা প্রদানে মানুষের জীবনমান উন্নতি করে।

6.স্বাস্থ্য মনিটরিং: প্রাথমিক চিকিৎসার আরেকটি লক্ষ্য হলো মানুষের স্বাস্থ্য মনিটরিং করা।

আরো পড়ুন: এলার্জির প্রাথমিক চিকিৎসা গলায় চর্ম

প্রাথমিক চিকিৎসা

এটি নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা, উচ্চতর সাধারণ পরীক্ষা, রোগের চিহ্ন ও লক্ষণের মূল্যায়ন, স্ক্রিনিং টেস্টিং, রক্তপরীক্ষা।

7.জনগুণমান চিকিৎসা: প্রাথমিক চিকিৎসার লক্ষ্য হলো জনগুণমান চিকিৎসা প্রদান করা।

এটি সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রোগ প্রতিরোধের টিকা প্রদান, পুষ্টিকর খাদ্য ও পুষ্টিকর জীবনযাপন উপদেশ,

প্রতিষ্ঠানিক বা সার্বিক স্বাস্থ্য প্রেরণের জন্য পরামর্শ এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য বিধান ও জীবনযাপনের মান উন্নতি করে।

8.সার্জিক্যাল সহযোগিতা: প্রাথমিক চিকিৎসা একটি সার্জিক্যাল সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সহজ অ্যাক্সেস সরবরাহ করতে পারে।

এটি চিকিত্সাগারে কমপক্ষে মৌলিক চিকিত্সা, চিকিত্সাবিদের নির্দেশনা অনুসারে চিকিৎসা সরবরাহ, পরামর্শ প্রদান করতে সহায়তা করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button