প্রাচীন সভ্যতায় সংস্কৃতি কেমন ছিল – প্রাচীন মিশরের ইতিহাস
প্রাচীন সভ্যতায় সংস্কৃতি কেমন ছিল : প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্নভাবে পালাক্রম এবং নতুন ধরনের সংস্কৃতি বা সভ্যতা প্রণয়ন করার মাধ্যমে বর্তমান সময় পর্যন্ত সংস্কৃতি ও সভ্যতার দারা সমূহ টিকে রয়েছে। তবে বর্তমান সময়ের সংস্কৃতি বা সভ্যতার সঙ্গে আদিম বা প্রাচীন সময়ে সভ্যতার সংস্কৃতির কোন মিল নেই।
তবে সংস্কৃতি সম্পর্কে জড়াজত ভাবে জানার ক্ষেত্রে বর্তমান সংস্কৃতির পাশাপাশি প্রাচীন সভ্যতা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এজন্য উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে প্রাচীন সভ্যতা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি।
সভ্যতার টিকে থাকে যুগের পর যুগ। তবে সময়ের পালাক্রম বা ধারাবাহিকতার ফলে সভ্যতার কিছু না কিছু পরিবর্তন লক্ষণীয় হয়। সভ্যতার পালা বদল বা সভ্যতাকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে সভ্যতার বিভিন্ন প্রকারভেদ এবং সভ্যতার আধুনিক কারণ লক্ষণীয় হয়।
এজন্য সভ্যতা সম্পর্কে যথাযথভাবে জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ের সাহিত্য ও সভ্যতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি প্রাচীন যুগের সাহিত্য ও সভ্যতা সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
প্রাচীন মিশরের ইতিহাস
প্রাচীন মিশরের ইতিহাস হল,
তোকার উত্তর অংশের এক প্রাগ রাজবংশী বসবাস করত। এবং তাদের শাসনামল থেকে শুরু করি পরবর্তীতে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দের দিকে কর্তৃক মিশর বিজয় পর্যন্ত সময়কাল হল প্রাচীন মিশরের সময়কাল। এবং এ সময়কে ইতিহাসের প্রাচীন মিশরের ইতিহাস বলে।
ধারণ করা যায় যে খ্রিস্টপূর্ব ৩২ টা অব্দ থেকে শুরু করে উচ্চ এবং নিম্ন যে মিশর বাসি রয়েছে তাদের একত্রিত হয় এবং এই সময়ে ফেরাও রাজারাও রাজত্ব করে। তাই এ সময় কে প্রাচীন মিশরের ইতিহাস বা ইতিহাসের সময়কাল বলা হয়।
প্রাচীন সভ্যতায় রাষ্ট্র ব্যবস্থা কেমন ছিল
প্রাচীন সভ্যতায় রাষ্ট্র ব্যবস্থার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অধিকাংশ সভ্যতার বা নিজস্ব কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজতন্ত্র নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আইভি ঠিকভাবে সরকার পদ্ধতির প্রচলন রয়েছে। এবং তাদের একটি সাধারন ভাষায় কথা বলে সকলে নিজেদের নিজস্ব ধর্ম ও শিক্ষাব্যবস্থা থাকার সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
মিশরীয় এবং সুমেরিয়র থেকে যাত্রা শুরু করে পরবর্তীতে সকল সভ্যতার নিজস্ব লিখন পদ্ধতি প্রণয়ন ছিল। এবং তাদের লিখন পদ্ধতির মাধ্যমে তারা তাদের জ্ঞান সংকলন ও সংরক্ষণ করতো। অর্থাৎ উল্লেখিত প্রণয়ন গুলোর মধ্যে এরকম ধারণা বা এরকম রাষ্ট্র ব্যবস্থা ছিল প্রাচীন সভ্যতার সময়।
প্রাচীন সভ্যতায় সংস্কৃতি কেমন ছিল
প্রাচীনকালে সভ্যতার সংস্কৃতি ছিল এক অনন্য। তৎকালীন সময়ে প্রাচীন সভ্যতার নাম ছিল মেসোপটেমিয়া সভ্যতা,, যা বর্তমান সময়ে ইরাকের টার্গিস বা ইউক্রেটিকস নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থান রয়েছে।
তবে ধারণা করা যায় যে আনুমানিক ৫ হাজার সালি এই সভ্যতার বিকাশ শুরু হয়েছিল। এছাড়াও তৎকালীন সময়ে সভ্যতার অংশ হিসেবে ছিল –
→সুমেরীয় সভ্যতা,,,,
→ব্যাবিলনীয় সভ্যতা,,,,
→ আসেরীয় সভ্যতা,,,,
→ ক্যালডীয় সভ্যতা,,,,,
→মেসোপটেমিয়া সভ্যতা,, ইত্যাদি।
তৎকালীন সময়ে ইতর প্রাণী হিসেবে জন্মগ্রহণকারী মানুষ খাদ্য খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন ধরনের বড় বড় দাগ ও চিতা ইত্যাদি প্রাণীর খাবার হয়ে যেত মানুষ।
তাছাড়া তাদের মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা তেমন কোনো প্রণয়ন এমনকি তাদের খাবার ব্যবস্থার প্রণয়ন করার কোন ব্যবস্থা ছিল না পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর শিক্ষাব্যবস্থা মানুষের ভিতর সন্ত্রাসবাদ ও হিজড়া এছাড়া অপ্রকৃত শিক্ষা বলতে তেমন কিছু দিতে পারেন।
পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে তারা তাদের সমগোত্রীয় লাখ লাখ পশুকে হত্যা করতে পারে না। এমনকি সমগোত্রীয় লাখ লাখ পশুকে হত্যা করতে না পারার কারণে তাদের খাবার বিনষ্ট করতে পারে নাই। অবশেষে মানুষের কাজগুলো করতে সক্ষম হয়।
তবে দীর্ঘ সময় পর যখন তাদের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থা দেওয়া সক্ষম হয় পরবর্তী সময়ে মানুষ পশু না হয় সত্যিকারের মানুষ হিসেবে পরিণত হয়। এভাবে তারা তাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে শিল্পকলা, বিজ্ঞান, ধর্ম বাণিজ্য ইত্যাদি বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশগ্রহণ করে এবং তারা তাদের সাহিত্যকে রক্ষা করে।
প্রাচীন সভ্যতার আইন কেমন ছিল
প্রাচীন সভ্যতায় রাষ্ট্র ব্যবস্থার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অধিকাংশ সভ্যতার বা নিজস্ব কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজতন্ত্র নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আইভি ঠিকভাবে সরকার পদ্ধতির প্রচলন রয়েছে। এবং তাদের একটি সাধারন ভাষায় কথা বলে সকলে নিজেদের নিজস্ব ধর্ম ও শিক্ষাব্যবস্থা থাকার সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
মিশরীয় এবং সুমেরিয়র থেকে যাত্রা শুরু করে পরবর্তীতে সকল সভ্যতার নিজস্ব লিখন পদ্ধতি প্রণয়ন ছিল। এবং তাদের লিখন পদ্ধতির মাধ্যমে তারা তাদের জ্ঞান সংকলন ও সংরক্ষণ করতো।
এবং তাদের মধ্যে সকলের নির্বাচিত প্রণয়নের মাধ্যমে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছিল যাকে সকলে শ্রদ্ধার সম্মান করত। তাদের মধ্যে কেউ যদি ভয়াবহ কোন ভুল কাজ বা বড় ধরনের ভুল কাজ করত তাহলে সকলে মিলে বিচার হিসেবে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত বা সকলের মতামতের মাধ্যমে নির্বাচিত সেই ব্যক্তিটির কাছে যেত।
এবং পরবর্তীতে তাদের নির্বাচিত রাজা বা বড় নেতা হিসেবে নেতা করতে ওই ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট শাস্তি দেওয়া হতো। এবং তাদেরকে সঠিকভাবে আইনের আওতায় আর এনে প্রাচীনকালে আইনের প্রয়োগ ও শাস্তির প্রণয়ন ছিল।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে প্রাচীন সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি, আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে আপনি প্রাচীন সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।
আমাদের পোস্ট রিলেটেড বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর :-
১. মিশরীয় সভ্যতার নিদর্শন কি?
= মিশরীয় সভ্যতার নিদর্শন অনেকগুলো রয়েছে। যেমন :-
→পিরামিডসমূহ,,,,
→মন্দির,,,,,
→ ওবেলিস্কসমূহ,,,,
→ মিশরীয় গণিত ব্যবস্থা,,,,
→একটি ব্যবহারিক এবং কার্যকরী চিকিৎসা ব্যবস্থা,,,,
→ সেচব্যবস্থা,,,
→কৃষি উৎপাদন কৌশল,,,,
→ প্রথম জাহাজ নির্মাণ,,,,
→ মিশরীয় চীনামাটি,,,
→কাঁচশিল্পবিদ্যা,,,,, ইত্যাদি।
২. প্রাচীন সংস্কৃতি বলতে কী বোঝো
= প্রাচীনকালের মানুষজন তাদের জীবনধারার পরিচালনা করার জন্য যে সকল সংস্কৃতি গুলো ব্যবহার করত বা সংস্কৃতি মেয়ে সকলে গোষ্ঠীবদ্ধভাবে বেঁচে থাকত তাদেরকে প্রাচীন সংস্কৃতি বলে।
৩. পৃথিবীর প্রাচীনতম সংস্কৃতি কোনটি
= মেসোপটেমিয় সভ্যতা।
৪. বিশ্বসভ্যতা কি?
= দেশের সকল মানুষকে অসভ্য জাতি গোষ্ঠী থেকে সব্য জাতি গোষ্ঠীর দিকে উন্নতভাবে সভ্যতার সঠিক পূরণের মাধ্যমে উন্নত জাতের পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার ব্যবহারকে বিশেষ সভ্যতা বলে।