পূরক কোণ কাকে বলে? পূরক কোণের বৈশিষ্ট্য কি কি?
পূরক কোণ কাকে বলে :-আসসালামু আলাইকুম। আমাদের ওয়েবসাইটের পূরক কোন রিলেটেড উক্ত পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম। আমাদের উক্ত পোস্টে পড়ার মাধ্যমে আপনারা —
👉পূরক কোণ কাকে বলে,,,
👉পূরক কোণের বৈশিষ্ট্য কি কি,,,
ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
গাণিতিক বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি গণিতের একটি অন্যতম অংশ হলো জ্যামিতিক। জ্যামিতির প্রধান ও অন্যতম শাখা সমূহের মধ্যে কোন একটি অন্যতম।
শিক্ষার্থীদের জানার জন্য এবং শেখার জন্য কোন কে বিভিন্ন প্রকারে ভাগ করা যায় যেখানে পূরক কোণ রয়েছে। এজন্য গণিতের অন্যান্য শাখার পাশাপাশি গণিতে জ্যামিতির কোণ সম্পর্কে জানার জন্য এবং পূরক কোণ সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য।
পূরক কোণ কাকে বলে?
যদি দুটি কোণের সমষ্টি বা যোগফল ৯০ ডিগ্রি হয় অথবা এক সমকোণ হয় তখন একটি কোণ কে অপর কোণের পূরক কোণ বলা হয়।
যেমন :-
10° এর পূরক কোণ হলো = ( 90° – 10°) = 80°
15° এর পূরক কোণ হলো = ( 90° – 15° ) = 75°
18° এর পূরক কোণ হলো = ( 90° – 18°) = 72°
20° এর পূরক কোণ হলো = ( 90° – 20° ) = 70°
25° এর পূরক কোণ হলো = ( 90° – 25°) = 65°
28° এর পূরক কোণ হলো = ( 90° – 28) = 62°
30° এর পূরক কোণ হলো = ( 90° – 30 ) = 60°
40° এর পূরক কোণ হলো = ( 90° – 40°) = 50°
45° এর পূরক কোণ হলো = ( 90° – 45) = 45°
50° এর পূরক কোণ হলো = ( 90° – 50°) = 40°
60° এর পূরক কোণ হলো = ( 90° – 60°) = 30°
55° এর পূরক কোণ হলো = ( 90° – 55° ) = 35°
70° এর পূরক কোণ হলো = ( 90° – 70° ) = 20°
80° এর পূরক কোণ হলো = ( 90° – 80°) = 10°
অর্থাৎ যেকোনো দুটি কোণের সমষ্টি এক সমকোণ বা ৯০ ডিগ্রী হলে তাকে পূরক কোণ বলা হয়।
পূরক কোণের বৈশিষ্ট্য কি কি?
পূরক কোণের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিম্নে পূরক কোণের বৈশিষ্ট্য গুলো তুলে ধরা হলো :-
১. যখন দুটি কোণের যোগফল বা সমষ্টি ৯০ ডিগ্রি হয় তখন সেই দুইটি কোণ কে পূরক কোণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
২. একটি পূরক কোণের অসংলগ্ন কোণ হতে পারে বা সন্নিহিত কোন হতে পারে।
৩. একটি অসংলগ্ন পূরক কোণ যদি সাধারণ শীর্ষ বা পার্শ্বভাগ কোন হিসেবে বিবেচিত হয় না।
৪. বিশ্ব পরিচিতি বিভিন্ন কোন নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে এবং ত্রিকোণমিতিতে বিভিন্ন কোণ নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে পূরক কোণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৫. একটি পূরক কোসাইন এবং কোণের সাইন এর গুণফল সর্বদা ১ অর্থাৎ সমান থাকে।
৬. পুরো কোনগুলো ৯০ ডিগ্রি পর্যন্ত যোগ করে তাই পূরক কোণ গুলো সর্বদা তীব্র কোন হয়ে থাকে।
৭. দুইটি সম্পূরক কোণে প্রতিটি অংশে আলাদা আলাদা ভাবে দুইটি কোণ একে অপরের পূরক কোণ।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে পূরক কোণ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে আপনারা পূরক কোণ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হতে পেরেছেন।