পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা
পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা: আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা? সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনি যদি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহ করে থাকেন তবে পোস্টটি শেষ পযন্ত পড়তে থাকুন।
পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা
- আব্দিমের মানিকজোড়
- ইউরেশীয় সিঁথিহাঁস
- উত্তুরে ল্যাঞ্জাহাঁস
- উদয়ী মানিকজোড়
- কালাপাশ চুটকি
- কালো মানিকজোড়
- কালো হাঁস
- কালোঘাড় সারস
- কুড়া
- খয়েরি-ডানা পাপিয়া
- গিরিয়া হাঁস
- চখাচখি
- চাতক
- চিত্রা শালিক
- চিপি-উ ত পি-উ
- ডুবুরি (পাখি)
- দাগি রাজহাঁস
- দেশি মেটেহাঁস
- ধলাটুপি পায়রা
- নিশি বক
- পাতি তিলিহাঁস
- পান্না কোকিল
- পিয়াং হাঁস
- ফুলুরি হাঁস
- বড় সরালী
- বালু নাকুটি
- বৈকাল তিলিহাঁস
- মাগুয়ারি মানিকজোড়
- মান্দারিন হাঁস
- রাঙ্গামুড়ি
- লাল ঘুঘু
- শাহ চখা
- সাইবেরিয়ান সারস
- স্মিউ হাঁস
- হ্যারিয়ার (পাখি)
বাংলাদেশের পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা
১.পাতিহাঁস
২.রাজহাঁস
৩/নীলশির হাঁস
৪.পোষা হাঁস
৫.মাছরাঙা
৬.শালিক
৭.দোয়েল
৮.কোকিল
৯.চড়ুই
১০.টিয়া
১১.বালি হাঁস
১২.লেঞ্জা হাঁস
১৩.পাতারি হাঁস
১৪.বৈকাল হাঁস
১৫. গিরিয়া হাঁস
১৬.ধূসর রাজহাঁস
১৭. ভূতি হাঁস
১৮.চিতি হাঁস
১৯.বারো ভূতি হাঁস
২০.বৌমুনিয়া হাঁস
এগুলো হলো অতিথি হাঁসের নাম আবার কতোগুলো অতিথি কবুতর রয়েছে।
১.জাল কবুতর,
২.গঙ্গা কবুতর।
দুটি পরিযায়ী পাখির নাম
১.মাঠ চড়ুই (Larks)
২.কসাই পাখি (Shrikes)
পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী পাখি
১.মিনাখাঁ,
২.হিঙ্গলগঞ্জ,
৩.টেরেক স্যান্ডপাইপার,
৪.কমন রেডশ্যাঙ্ক,
৫.গ্রে হেডেড ল্যাপউইং,
৬.প্যাসিফিক গোল্ডেন প্লোভার
ইত্যাদি পরিযায়ী পাখি দেখতে পাওয়া যায়।
পরিযায়ী পাখির উদাহরণ
যেসব পাখিরা প্রতিবছর নির্দিষ্ট ঋতুতে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যায় ও আরেকটি ঋতুর শুরুতে নিজের দেশে ফিরে আসে তাদের বলা হয়ে থাকে পরিযায়ী পাখি।
যেমন হলো:
১.পাফিক্স,
২.গোল্ডেন সারস,
৩.সাইবেরিয়ান ক্রেন প্রভৃতি।
পৃথিবীর প্রায় ১০,০০০ প্রজাতি পাখির মধ্যে ১,৮৫৫ প্রজাতি পাখিই হলো পরিযায়ী পাখি। সাধারণত দূরুত্বের উপর নির্ভর করে পরিযায়ী পাখি কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যেমন হলো:
১.স্বল্প দৈর্ঘ্য,
২.মধ্য দৈর্ঘ্য এবং
৩.দীর্ঘ দৈর্ঘ্য পরিযায়ী পাখি।
এবার চলুন বিস্তারিত একটু জেনে নেওয়া যাক।
স্বল্প দৈর্ঘ্য পরিযায়ী পাখিঃ সাধারণত স্থায়ী হয়ে থাকে স্বল্প দৈর্ঘ্য পরিযায়ী পাখি গুলো। শুধুমাত্র খাদ্যাভাব দেখা দিলে একটা সময়ের জন্য এরা অন্যত্র চলে যায়। পরবর্তীতে আবার সেই স্থানে ফিরে আসে।
যেমন হলো: পাপিয়া, চাতক ইত্যাদি।
মধ্য দৈর্ঘ্য পরিযায়ী পাখিঃ মূলত স্বল্প দৈর্ঘ্য পারিযায়ী পাখিদের তুলনায় বেশি সময় ধরে পরিযান ঘটায় মধ্য দৈর্ঘ্য পরিযায়ী পাখীরা এবং এরা প্রায়ই পরিযানে চলে যায়।
দীর্ঘ দৈর্ঘ্য পরিযায়ী পাখিঃ এ জাতীয় পাখিরা দীর্ঘ সময় নিয়ে এবং বেশ বিস্তৃত এলাকা জুড়ে পরিযান ঘটায়। এই দীর্ঘ দৈর্ঘ্য পরিযায়ী পাখিরা হাজার হাজার মাইল পাড়ি দেয়।
যেমন হলো: লালশির, নীলশির ইত্যাদি।
হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পাখিরা পরিযান করে থাকে এটি একটি বিস্ময়কর একটি ঘটনা। এরা যদি হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পরিযানে যায় তাও নির্দিষ্ট একটা সময় পর এরা ঠিকই নিজেদের স্থান চিনে আবার ফিরে আসে। নিজেদের পথ সঠিক ভাবে খুঁজে নেয়। সত্যিই এ যেনো সৃষ্টিকর্তার এক মহা সৃষ্টির মহিমা।
ভারতের পরিযায়ী পাখি
১.গ্রেটার ফ্লেমিংগো,
২.রাফ,
৩.পানকৌড়ি,
৪.কালো ডানাযুক্ত স্টিল্ট,
৫.হলুদ ওয়াগটেল,
৬.হোয়াইট ওয়াগটেল,
৭.নর্দান পিনটেল,
৮.রোজি পেলিকান,
৯.নর্দান শোভেলার,
১০.ইউরেশিয়ান উইজেন,
১১.লং-বিলড পিপিট,
আবার কালো লেজযুক্ত গডভিটের মতো বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন প্রজাতি পাখি আসে। এক মহাদেশ থেকে আবার অন্য মহাদেশে কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পরিযায়ী পাখিরা ভারতে এসে থাকে।
এই পোস্টটির মাধ্যমে পরিযায়ী পাখির নামের তালিকা? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন, আপনি যদি এই পোস্টটির মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।