পরকীয়া কাকে বলে? পরকীয়া কি অপরাধ
পরকীয়া কাকে বলে: বর্তমান সময়ে পরকীয়া একটি নেতিবাচক ও জন মুখে প্রচারিত হওয়া গণমাধ্যম ভিত্তিক এক অন্যতম সামাজিক সমস্যামূলক ঘটনা। প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের সমাজে এ ধরনের খারাপ পরিস্থিতি শুনতে পায় বা দেখতে পায়।
এক্ষেত্রে পরকীয়া হলো একটি মাধ্যম একটি সমাজ বা উৎকৃষ্ট সমাজকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার। এজন্য প্রতিটি মানুষকে পরকীয়া সম্পর্কে জানা প্রয়োজন এবং তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তাই উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা পরকীয়া সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাচ্ছি।
সামাজিক সমস্যা মূলক এবং সমাজ ও দেশকে নষ্ট করার একটি অন্যতম প্রক্রিয়া হলো পরকীয়া। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ নারী বা পুরুষ এক বা একাধিক পরকীয়া প্রেমের মাধ্যমে আবদ্ধ থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এর বিপুল নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
নেতিবাচকও খারাপ এই পরিস্থিতির থেকে নিজেকে প্রতিনিয়ত ঠিক রাখতে এবং এ পথে যেতে অগ্রসর হতে না পারে সে ক্ষেত্রে পরকীয়া সম্পর্কে যথাযথভাবে জানা প্রয়োজন এবং পরক্রিয়া থেকে সচেতন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য।
পরকীয়া মানে কি
যে কোন বিবাহিত পুরুষ অথবা মহিলা যদি বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তাহলে সংজ্ঞায়িতভাবে তাকে পরকীয়া বলা হয়।
এছাড়া অপরকে হলো একটি সামাজিক ব্যাধির মতো মহামারী আকারে সমস্যার মূলক পরিস্থিতি। অর্থাৎ বিবাহিত পুরুষ অথবা মহিলা যদি স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির সাথে বিবাহ উত্তর অথবা বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক, প্রেম এবং যৌন কর্মকান্ড চালিয়ে যায় তাহলে তাকে মানুষ সমাজে নেতিবাচক এবং পরকীয়া বলে গণ্য করা হয়।
পরকীয়া কাকে বলে?
বিবাহিত পুরুষ অথবা মহিলা যদি স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির সাথে বিবাহ উত্তর অথবা বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক, প্রেম এবং যৌন কর্মকান্ড চালিয়ে যায় তাহলে তাকে পরকীয়া বলে।
এছাড়াও, যে কোন বিবাহিত পুরুষ অথবা মহিলা যদি বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তাহলে সংজ্ঞায়িতভাবে তাকে পরকীয়া বলা হয়। এছাড়া অপরকে হলো একটি সামাজিক ব্যাধির মতো মহামারী আকারে সমস্যার মূলক পরিস্থিতি।
পরকীয়া কি অপরাধ
বিভিন্ন সময়ে আইনে দন্ডবিধি অনুযায়ী ভারতীয় দণ্ডবিধিতে পরকীয়া সম্পর্কে বলা হয় যে, যদি কোন বিবাহিত মহিলা তার স্বামীকে না জানিয়ে অথবা কোন বিবাহিত পুরুষ তার স্ত্রীকে না জানিয়ে অন্য কোন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে তাহলে তার জন্য ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে তার গণ্য করা হয়।
তবে বাংলাদেশে ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী স্ত্রীর পরকীয়ার ক্ষেত্রে অন্য কারো সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে আইনের প্রতিকার লক্ষণীয় রয়েছে। একইভাবে স্বামী যদি কোন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার নেওয়ার সুযোগ নেই।
তবে ব্রিটিশ আমলের ১৮৬০ সালের দিকে প্রণীত দন্ডবিধি অনুযায়ী ৪৯৭ ধারা মোতাবেক স্ত্রীর পরকীয়া জড়িয়ে পড়লে আইনের প্রতিকার করার সুযোগ রয়েছে।
পরকীয়া থেকে মুক্তির উপায়
১. সর্বপ্রথম একটি পরক্রিয়া সম্পর্কে থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নিজের সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে দৃঢ়ভাবে সম্পর্ক ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
২. যে কোন সম্পর্ক শেষ করা সবচেয়ে ভালো উত্তম বিষয় হলো সামনে থেকে সরাসরি বিষয়টি একে অপরকে জানান। এবং সম্পর্ক ভেঙে ফেলার কথাটি সামনাসামনিভাবে যদি জানাতে সক্ষম না হয় সে ক্ষেত্রে ফোনে অথবা ইমেইলের মাধ্যমে জানানো।
৩. পরকীয়া একটি নেতিবাচক দিক হওয়ায় এ ব্যাপারে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা এবং অতিরিক্ত বেশি চিন্তা ভাবনা করা প্রয়োজন নেই কারণ যত দেরি হবে সম্পর্ক তত বেশি জটিল হয়ে যাবে।
৪. যোগাযোগের ক্ষেত্রে সম্পর্ক রাখা ঠিক হবে না তবে না জানিয়ে ফেসবুক টুইটার অথবা চিঠির মাধ্যমে একেবারে সম্পর্ক শেষ করা যায় না। এক্ষেত্রে যেকোন মাধ্যমে হোক যোগাযোগ বন্ধের ব্যাপারটি বা ইতি টেনে দেওয়ার ব্যাপারটি ফোনের মাধ্যমে বাজে কোন যোগাযোগের মাধ্যমে জানিয়ে পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ রাখবেন।
৫. কোন ব্যক্তি যদি পরকীয়া সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে তাই তবে তা সে নিজে থেকে কোন ভাবে বেরিয়ে আসতে না পারে তাহলে সে ক্ষেত্রে যত সম্ভব মানুষের ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
৬. পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে নিজের পরিবার এবং পরিবারের মানুষদেরকে গুরুত্ব দিন এবং তাদের সময় দিন।
পরকীয়া নারী চেনার উপায়
১. মহিলা তাদের জীবন সঙ্গিনীর সাথে কোন কারণ ছাড়াই ঝগড়া করে।
২. কোন সুনির্দিষ্ট কারণ বা তেমন কোন কারণ না থাকার ফলেও প্রতিদিন নিজেদের মধ্যে ইগো দেখানো।
৩. হঠাৎ করে কোন মিষ্টি কথা বলে এবং প্রতিদিন যদি মর্নিংওয়াক বা জগিং করে তাহলে পরের ক্রিয়ায় লিপ্ত রয়েছে।
৪. যদি কোন নারী তার শরীরচর্চার দিকে বেশি মনোযোগী হয় তাহলে তা পরকীয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
৫. যদি কোন নারী তার স্ত্রীকে সম্মান না করে তাহলে সে স্ত্রী পরকীয়া লিপ্ত থাকতে পারে।
৬. যদি কোন মহিলা কোন প্রয়োজন ছাড়া প্রতিদিন ঘরের বাইরে যায় তাহলে তা পরকীয়ার একটি লক্ষণ।
৭. কোন মহিলা যদি তার সৌন্দর্যের দিকে হঠাৎ করে সচেতন হয়ে ওঠে তাহলে তারপরও কি আর লক্ষণ।
৮. কোন কারণ ছাড়াই যদি কোন মহিলা তার স্বামীর প্রতি রেগে যায় এবং ঘরের বাইরে যাই তাহলে সে মহিলা পরকীয়ায় লিপ্ত।
৯. কোন মহিলা যদি তার পরিবারে তুলনামূলকভাবে কম সময়ে দেন তাহলে তা একটি প্রকের লক্ষণ।
১০. এছাড়াও যদি মহিলার মোবাইল ফোন দিনের বেশিরভাগ সময় অথবা ইন্টারনেট নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাহলে সেই মহিলাটি পরকীয়ায় লিপ্ত।
পরকীয়া প্রেমের লক্ষণ
পরকীয়া প্রেমের লক্ষণগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো :-
১. বিনা কারণে জীবন সঙ্গিনীর সঙ্গে ঝগড়া করা।
২. একে অপরের সাথে তুলনামূলকভাবে বেশি হারে ইগো দেখানো।
৩. কোন কারণ ছাড়াই মিষ্টি মধুর কথা বলা এবং প্রায় প্রতিদিন মর্নিংওয়াক বা জগিং করতে যাওয়া।
৪. তুলনামূলকভাবে শরীরচর্চা বা রূপচর্চা বেশি করা।
৫. স্বামী স্ত্রী একে অপরকে সম্মান না দেওয়া।
৬. কারণে-অকারণে হঠাৎ করে সাধারণ বিষয় নিয়ে রেগে যাওয়া।
৭. যেকোনো বিষয় নিয়ে রাগারাগি করার পর ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়া।
৮. তেমন কোন কারণ ছাড়া প্রতিদিন নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া।
ইত্যাদি।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে পরকীয়া সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি,,
আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে আপনি পরকীয়া সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।