বিশ্বরাজনীতি

ইরানে ইসরায়েলের হামলা কেন? ট্রাম্পের ৬০ দিনের চিঠির সূত্রে কি যুদ্ধের সূচনা?

৬০ দিনের আলটিমেটাম শেষ, পরদিনই ইরানে ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা

৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সময়সীমা পেরোনোর একদিনের মধ্যেই ইরানের অন্তত আটটি শহরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধাবস্থার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানান, বছরের শুরুতে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেখানে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করে আলোচনায় আসার আহ্বান জানানো হয়। এই আলোচনার জন্য ইরানকে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

চুক্তির লক্ষ্যে প্রথম দফার আলোচনা শুরু হয়েছিল গত ১২ এপ্রিল। সেদিন থেকেই সময় গণনা শুরু হয়। এরপর ৬০ দিন পূর্ণ হয় ১১ জুন। আর ঠিক তার পরদিন, ১২ জুন বৃহস্পতিবার, ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। হামলার লক্ষ্য ছিল মূলত পারমাণবিক সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ও সামরিক ঘাঁটি।

ট্রাম্প এ বিষয়ে বলেন, “আমি বলেছিলাম ওদের ৬০ দিনের সময় দিয়েছি। আশা করেছিলাম, ইরান আলোচনায় বসবে। কারণ, না বসলে পরিণতি ভয়াবহ হবে।”

চিঠির বিষয়ে আগেই ট্রাম্প ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়েছিলাম। কিন্তু যদি সামরিকভাবে জড়াতে হয়, তাহলে সেটা ইরানের জন্য খুবই খারাপ হবে।”

মার্কিন কর্মকর্তারা এখনও আলোচনার পক্ষেই রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলি হামলার পর পরিস্থিতি অনেকটাই জটিল হয়ে গেছে। ইরানের পক্ষ থেকে এই হামলার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

❝ উত্তেজনার কেন্দ্রে পারমাণবিক কর্মসূচি ❞

বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের দীর্ঘদিনের উদ্বেগ রয়েছে। তবে ইসরায়েল সরাসরি হামলা চালিয়ে এই উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিল। এই ঘটনার পর অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এখন নজর রয়েছে ইরান এই হামলার জবাবে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায় এবং যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কী করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button