নাক বন্ধ হলে করনীয়? নাক বন্ধ হলে ঘরোয়া উপায়
আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে নাক বন্ধ হলে করনীয়? সে সম্পর্কে কিছু কথা নিয়ে হাজির হয়েছি। ঠান্ডায় অনেকের নাক বন্ধ হয়ে থাকে, তাদের জন্যেই আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে বুঝতে পারবেন।
নাক বন্ধ হলে করনীয়
৩. ইনফেকশন এবং নাক বন্ধের সমস্যায় লেবু খেতে পারেন। লেবু খাওয়ার জন্য প্রয়োজন হবে অর্ধেকটি লেবুর রস, ১গ্লাস পরিমাণ পানি এবং ১ চা চামচ মধু।
প্রথমে পানি গরম করে এতে মধু মিশিয়ে নিতে হবে। পরে এতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে হবে। রোজ দুবার লেবু-মধুর মিশ্রণ খেলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
৪. তেজপাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি। যা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাগুলোর প্রকোপ কমাতে কাজ করে। বিশেষত বন্ধ নাকের সমস্যাটি কমিয়ে স্বাদ ফিরিয়ে আনতে তেজপাতা খুব ভালো কাজ করবে। দেড় গ্লাস পানিতে ৫-৬টি তেজপাতা পনের মিনিট জ্বাল দিতে হবে। জ্বাল দেয়া শেষে পানি ছেঁকে নিয়ে পান করতে হবে।
নাক বন্ধ হলে ড্রপ নাম
ন্যাজেল ড্রপস এটি একধরনের আইসোটোনিক দ্রবণ, যেটা নাকের ভেতরে অবস্থিত শক্ত মিউকাস পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্রতি মিলিতে আছে সোডিয়াম ক্লোরাইড বিপি ৯ মিলিগ্রাম। এটি অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, সাইনাস ইনফেকসন এবং বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা জনিত সমস্যায় নাক পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করা হয়।
অক্সিমেটাজোলিন ন্যাজেল ড্রপস অ্যালার্জি ও ইনফেকশনজনিত নাকের শ্লেষ্মা ঝিল্লির প্রদাহ, সাইনোসাইটিস, সাধারণ সর্দি-কাশির জন্য এই ড্রপস ব্যবহার করা হয়। ২ থেকে ৩ ফোঁটা করে দিনে ২ বার নাকের ভেতর প্রয়োগ করতে হবে।
মাথা নিচের দিকে রেখে প্রথমে নাকের এক ছিদ্রের ভেতর, এরপর অপর ছিদ্রের ভেতর দিতে হবে। এর ফলে রোগীর ওষুধ গিলে ফেলার আশঙ্কা কমে যায়।
নেজ্যাল স্প্রে শিশুদের অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিলে, সেখান থেকে হাঁচি ও নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেয়। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত আরাম পেতে অনেকে নেজ্যাল স্প্রে ব্যবহার করেন। ভেপার বা বাষ্প নিলেও বন্ধ নাক স্বাভাবিক হয়ে যায়।
নাক বন্ধ হলে ঘরোয়া উপায়
এবার এই রুমালটি নাকে-মুখে লাগিয়ে রাখুন। এটি ৩ থেকে ৪ বার করতে হবে। আপনি স্বস্তি বোধ করবেন। এতে করে ফোলাভাব কমে যাবে এবং সাইনাসের জায়গা খুলে যাবে।
আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার জল গরম করে তাতে ১ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার যোগ করুন। এবার এটি মিশিয়ে পান করুন।
এটি দিনে দুবার করুন। আসলে, এই ভিনেগারে রয়েছে অ্যাসিটিক অ্যাসিড এবং পটাসিয়াম যা বন্ধ নাক খুলতে, শ্লেষ্মা অপসারণ এবং সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
পেপারমিন্ট চা পান করুন ১ কাপ গরম জলে কিছু পুদিনা পাতা দিন। এরপর ঢেকে রাখুন ও কম আঁচে ৫ থেকে ১০ মিনিট সেদ্ধ করুন। এটি দিনে ২ বার পান করুন। এটি প্রদাহ কমায় ও নাক খুলতে সাহায্য করে থাকে।
নাক বন্ধ হওয়ার কারণ
নাক বন্ধের বিষয়টির ক্ষেত্রে প্রথমেই একটি ধারণা দেওয়া দরকার। আমাদের নাকের যে ২ টি ছিদ্র থাকে, ২ টি ছিদ্র দিয়ে বাতাস যায়, স্বাভাবিক শারীরিক নিয়মে এটির একটি এমন তারতম্য হতে পারে।
এই বিষয়ে অনেকেই একটি ভুল ধারণা পোষণ করে যে আমার নাক বন্ধ থাকে। তবে বাস্তবিকই নাক দীর্ঘ সময়ে বন্ধ থাকার জন্য কিছু কারণ থাকতে পারে।
যেমন নাকের ভেতর যেই মধ্যভাগ, যাকে আমরা বলি নেজাল সেপটাম, সেটা বাঁকা থাকতে পারে, এই বাঁকাটা যদি থাকে এবং বেশি মাত্রায় থাকে, তাহলে তার উপসর্গ সাধারণ চিকিৎসায় নাও যেতে পারে।
নাকের হাড় বাঁকা থাকার বিষয়টি দর্শকদের পরিষ্কার হওয়ার প্রয়োজন। নাকের হাড় প্রায় বেশি লোকের বাঁকা থাকে। এদের প্রায় সবারই কোনো উপসর্গ থাকে না। যাদের উপসর্গ তৈরি হয়, তাদেরই এটা নিয়ে বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
আজকে এই পোস্টটির নাক বন্ধ হলে করনীয়? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন, আপনার যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে, তবে অবশ্যই কাছের মানুষদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।