নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ ও এর সঠিক চিকিৎসা
বর্তমান সময়ের বিভিন্ন রোগ গুলোর মধ্যে নাক দিয়ে রক্ত পড়া এটি একটি সাধারণ রূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীরা এ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। তাই নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ ও এর সঠিক চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত সকলের জানা প্রয়োজন।
তাই উক্ত পোস্টের মাধ্যমে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ এবং এর চিকিৎসা এবং কি কি কারণে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া এটি সাধারণভাবে কোন একটি নির্দিষ্ট রূপ নয় বরং এটি হল বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ্য রূপ একটি লক্ষণ। বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে লক্ষণ হিসেবে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
যে সকল রোগের ক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে ওই সকল রোগ সম্পর্কে জানতে হবে যদি কারো নাক দিয়ে রক্ত পড়া সম্পর্কিত সমস্যা দেখা দেয়। পরবর্তীতে সেই লক্ষণ অনুযায়ী ডাক্তারি চিকিৎসা অনুযায়ী পরামর্শ নিতে হবে।
ছাড়াও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ সমস্যার অর্থাৎ একটি সমস্যা বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিচ্ছে তাই, তাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ এবং এ সমস্যা সমাধানের প্রতিকার এবং চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন: পাইলস এর প্রাথমিক চিকিৎসা
গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ
গরম কাল আসতে না আসতে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
- এ সমস্যার সাধারণত হিট স্টোক,
- ডিহাইড্রেশন,
এবং নাক দিয়ে পানি পড়া এই ধরনের সমস্যা গরমকালের জন্য একটি সাধারন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ সমস্যার সমাধানে অর্থাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়া এই সমস্যার সমাধানে একটি প্রতিকার মুলক ব্যবস্থা হল গোল্ড কম্প্রেস। কয়েক মিনিটের জন্য ঠান্ডা কম্প্রেসার কি নাকের মধ্যে ধরলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
এটি প্রয়োগের ফলে না খেয়ে ছোট ছোট রক্তনালীর যে সংকোচিত অবস্থা হয়েছে তার আরো বেশি সংকুচিত হতে সহায়তা করে।
আবার গরমকালে ত্বকের বিশেষ করে নাকের লেজমা জনিত যে সকল তরল পদার্থ তোকে জন্য উপকারী সেগুলোর ঘাটতি দেখা দিলে এ সমস্যা দেখা দেয়।
এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করার ক্ষেত্রে সূর্যকে এড়িয়ে চলুন অর্থাৎ সূর্যের যে সরাসরি এক্সপোজা রয়েছে তা ত্বক থেকে এড়িয়ে চলতে হবে।
গরম বারাই সাথে সাথে বাচ্চা সহ বড়দের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই কার দিয়ে মাতা সহ মুখ এবং অন্যান্য যেকোনো উপায়ে মুখ আগলে রাখা অর্থাৎ যে কে রাখা এবং সূর্য আলো থেকে দূরে রাখা হলো এ সমস্যার সমাধানের একমাত্র উপায়।
তবে এ সমস্যার সমাধানের ডাক্তারি পরামর্শ রয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে রোগীকে বিভিন্নভাবে ডাবের জল অথবা পানি অধিকারে পান করা প্রয়োজন।
অর্থাৎ শরীরের সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে ত্বকের যে স্লেশা অর্থাৎ ত্বকের শুষ্ক ওরুষ কথার কারণে ত্বক কেটে যায় এবং এর ফলে ত্বকের মধ্যে থাকা অর্থাৎ তোকে মির ভিতরে রক্তনালী যে চিকন আলী গড়ে রয়েছে সেগুলো ফেটে যায় ফলে ওই নালীগুলো থেকে ক্রমান্বয়ে রক্ত বেরিয়ে আসতে থাকে। তাই এ সমস্যার সমাধানের সর্বোত্তম ব্যবস্থা হলো যথাসম্ভব সূর্যকে এড়িয়ে চলা।
এ সমস্যা সমাধানে, প্রয়োজন হলে বিভিন্ন ধরনের মাছ চার্জিং ক্রিম ব্যবহার করার তবে সর্বোত্তম হলো সূর্যালোক থেকে দূরে থাকা।
গর্ভাবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ
গর্ভাবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ হিসেবে অন্যতম প্রধান হিসেবে পানি শূন্যতাকে দায়ী করা হয়।
- কারণ শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়।
- অবস্থায় নাক সহ দেহের বাদক এর বিভিন্ন অংশ কেটে যেতে পারে।
- ত্বকের বিভিন্ন অংশ কেটে গিয়ে সেই স্থান থেকে রক্ত বেরোতে পারে।
তবে নাকের ভেতরের অংশ বা নাকের মধ্যে তরল শুষ্ক ও ক্লিক তো ত্বক হিসেবে এক ধরনের ত্বক রয়েছে যা খুব তাড়াতাড়ি অর্থাৎ পানি শূন্যতা বা শুষ্কতার আবাসে খুব সহজেই ফেটে যায়।
এমন অবস্থায় কোন গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে তার শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিলে তার নাকের নিচের অংশ বা নাক থেকে রক্ত পড়তে পারে। এবং কিছুক্ষণ পরে চোখের মাধ্যমে জমাট বাধে।
তবে এক্ষেত্রে শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে এবং এ সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে সমস্যা কি এড়িয়ে চলার ক্ষেত্রে যথা সম্ভব বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানির ঘাটতি পূরণ করা প্রয়োজন।
তবে যেহেতু গর্ভাবস্থায় এ সমস্যাটি দেখা দেয় সেহেতু এই সমস্যার সমাধানে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। একজন গর্ভবতী মহিলার এই সমস্যার সমাধানের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। তবে সাধারণভাবে দেহের এ সমস্যা তৈরি হয় মূলত দেহের শুষ্কতার জন্য এবং দেহে পানি ঘাটতি দেখা দেওয়ার ফলে।
শারীরিকভাবে ত্বকের ভারসাম্য বাদে শুষ্কতা কমে গেলে এছাড়াও তোকে পানে রাত দি দেখা দিলে অর্থাৎ পানের অভাব লক্ষণীয় হলে তোকে যে কোন স্থানের বিশেষ করে কোমল অংশ বা স্থান নাকের অংশ থেকে ত্বক ফেটে সেখান থেকে রক্ত বেরোয়।এবং এর কারণেই অর্থাৎ পানি শূন্যতার কারণেইনগর্ব অবস্থায় নাক থেকে রক্ত ঝরে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করার উপায়
আবহাওয়ার উপর ভিত্তি করে ত্বকের রুক্ষতার উপর ভিত্তি করে সাধারণ তথ্য ফারতে শুরু করে এবং কোমল ত্বক এর ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব লক্ষণীয়। নাকের ভিতরের অংশ বা গোড়ালির অংশ সাধারণত কোমলত হিসেবে পরিচিত।
তবে এর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে এছাড়াও ডাক্তারি চিকিৎসার মাধ্যমে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে তা বন্ধ করা যায়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে তা বন্ধ করার একটি উপায় হল কোল্ড কম্প্রেস।
যখন কোন ব্যক্তির তোকে এই সমস্যা দেখা দেয় অর্থাৎ তোকে যে রক্তনালীগুলো রয়েছে তার সংকোচন হয়ে যায় এবং পেটে বাহিরের ত্বক আবরণ পেটে রক্ত আসতে থাকে তখন,
ত্বকে ঠান্ডা জাতীয় বরফ অথবা এরকম যে সকল ঠাণ্ডা উপাদানসমূহ রয়েছে তা নরম কাপড়ে আবৃত করে তার ভিজা অংশ বা ঠান্ডা অংশ ওই স্থানে প্রয়োগ করা ফলে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে দ্রুতগতির সাথে অনুচক্রিকা গুলো রক্ত জমাট বাধে।
ঠান্ডা লাগলে অথবা আবহাওয়া হঠাৎ পরিবর্তন হলে ত্বকের অভ্যন্তরের যে রক্তনালী গুলো রয়েছে তার সংকীর্ণ অবস্থায় এরকম দেখা দেয়।
কোল্ড কম্প্রেস প্রয়োগ করার কয়েক মিনিটের মধ্যে নাকের রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং রক্তনালী গুলোর সংকুচিত হয়ে যে রক্তপাত সৃষ্টি করে তা বন্ধ করে।
এছাড়াও যখন নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করবে তখন আঙুল দিয়ে চেপে ধরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই স্থানে ঠান্ডা বরফ লাগাতে হবে।
যথা সম্ভব নাকের মাধ্যমে ঠান্ডা জল শ্বাস গ্রহণের সময় নিতে হবে ফলে মিউকাস সময় জলের সংস্পর্শে এসে রক্ত জমাট বাধার ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা পালন করবে।
সাধারণত এই সমস্যা ঘরোয়া পদ্ধতিতে সমাধান করা যায় তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে অনেক ক্ষেত্রে যদি এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না হয় তাহলে এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
এবং সুস্থতার কারণে এই সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বরফ অথবা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার ঔষধ
সাধারণভাবে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার ক্ষেত্রে কৃত্রিম পদ্ধতিতে এ সমস্যার সমাধান করা হয়। তবে এর তেমন কোন চিকিৎসা লক্ষণীয় নয় যদি কোন ক্ষেত্রে তা বাড়াবাড়ি বা জটিল কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়।
১.সাধারণত নাক দিয়ে রক্ত পড়লে বাস এটি যদি স্বাভাবিকভাবে হয় বা কিছুদিন পর পর হয় সে ক্ষেত্রে তার চেপে ধরতে হবে এবং সে স্থানে বরফ ব্যবহার করতে হবে।
২.সমস্যাটি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রথমত সকল পরীক্ষা করতে হবে এবং তার ওপর ভিত্তি করে ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।
৩. সাধারণত এনিমিয়া সম্পর্কিত সমস্যা এই সমস্যা হতে পারে।
৪. আবার কখনো কখনো সাবধানতার কারণে এই সমস্যার লক্ষণ দেখা দেয়।
৫. সব জাতীয় লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে যত সম্ভব তার পরীক্ষা-নির মাধ্যমে রুপ সনাক্ত করতে হবে এবং ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।
সমস্যা সমাধানের নির্দিষ্ট কোন ঔষধ সরাসরি ভাবে দেওয়া হয় না তবে রোগব্যাথিকভাবে যাচাইকৃত রোগের ফলাফল হিসেবে এই সমস্যার সমাধানে ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।
সাধারণত বিভিন্ন কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের বিভিন্ন লক্ষণ ভিত্তিকভাবে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
ভাই সম্ভাবনা মোতাবেক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগবৃত্তিকভাবে যে সকল রোগ দেখা দেয় এই সকল রোগ ভিত্তিক এর ঔষধ খেতে হবে। আবার অনেকে বলে থাকে এটি সরাসরি রোগ নয় বরং কোন না কোন রোগের লক্ষণ হিসেবে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে সাধারণত ঘরোয়া পদ্ধতিতে বরফ দিয়ে চেপে ধরে তার সমাধান করতে হবে। তবে এই সমস্যা যদি বারবার হয় বা কারা পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে এ সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে এটি হয়ে থাকে তাই এটি পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ শনাক্তের মাধ্যমে ঔষধ সেবন করতে হবে।
আরো পড়ুন: স্ট্রোক এর প্রাথমিক চিকিৎসা
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ
১. আবহাওয়া পরিবর্তন অর্থাৎ শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে।
২. যদিফাঙ্গাল ইনফেকশন এর দেখা দেয় তাহলে।
৩. এছাড়াও রোগী যদি টিউমার হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
৪. ছোট বাচ্চারা খেলার ক্ষেত্রে প্রতি বা ছোট ছোট ডাল বা কোন অংশ যদি নাকের ভিতরে প্রবেশ করে দেয় ভুলভাবে তাহলে তা যদি যথা সময় বের করতে না পারে তাহলে সে ক্ষেত্রে রক্ত পড়ে।
৫. ঘুসি বা এক্সিডেন্ট অথবা যেকোন ভাবে আঘাত লাগলে সে স্থান থেকে রক্ত পড়তে পারে।
৬. এছাড়াও সিস্টেমিক উচ্চ রক্তচাপ এর কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে।
৭. নিউমোনিয়া হলে মাঝে মাঝে রক্ত পড়া দেখতে পাওয়া যায়।
৮. কেউ যদি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে তার নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
৯. ওই ব্যক্তি যদি এপিস্ট্যটিস রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে তার নাক দিয়ে রক্ত পড়বে।
এছাড়াও নাক দিয়ে রক্ত পড়ার আরো আবহাওয়া জনিত কারণ ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে এটাকে সরাসরি কোন রোগ বলে বিবেচিত করা হয় না।
বরং নাক দিয়ে রক্ত পড়া কে কোন না কোন রোগের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যে কোন রোগের লক্ষণ হিসেবে এটিকে বিবেচনা করা হতে পারে বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম লক্ষণ থাকলেও কিছু কমন রোগ রয়েছে যেগুলোতে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে।
অর্থাৎ বিভিন্ন রোগের কারণ বা বৈশিষ্ট্য হিসেবে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে।
সাধারণভাবে যদি আবহাওয়ার পরিবর্তন হয় অথবা যেকোনো রোগের লক্ষণ হিসেবে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে।
আরো পড়ুন: বুকে ব্যাথা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ ও প্রতিকার
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ:-
☑ উচ্চরক্তচাপ,,,
☑ রক্তনালির কিছু জন্মগত ত্রুটির কারণে,,,
☑ মাসিকের সময় এবং গর্ভাবস্থায়,,
☑ জন্ডিস বা লিভারের প্রদাহ,,,
☑ লিভার সিরোসিস,,,
☑ রক্তের রোগ,
যেমন- এপ্লাস্টিক অ্যানমিয়া,,,
হিমোফিলিয়া,,,
থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া,,,
পারপুরা ইত্যাদি।
এছাড়াও –
☑ আঘাতজনিত,,,
☑ অপারেশনজনিত,,
☑ নাকের সর্দি, সাইনোসাইটিস,,,
☑ বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন।
যেমন-
এট্রফিক রাইনাইটিস,
রাইনসপোরিডিওসিস।
☑ নাকের ভেতর টিউমার,,
☑ নাকের মাঝখানের হাড় অতিরিক্ত বাঁকা,,,
☑ নাকের মাঝখানের পর্দায় ছিদ্র ইত্যাদি,,,,
অর্থাৎ নাকের যে সমস্ত সমস্যার দেখা দেয় তার মধ্যে একটি সাধারন সমস্যা হিসেবে রক্ত পড়া পরিচিত। শিশুসহ যেকোনো বয়সের যেকোন মানুষের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া এটি সরাসরি কোন রোগ নয় বরং বিভিন্ন ধরনের রোগের বিভিন্ন লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি লক্ষণ হিসেবে এটি পরিচিত।
বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে নাক দিয়ে রক্ত পড়া এ সমস্যাটি দেখা দেয়। পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কোন কোন রোগের লক্ষণ হিসেবে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারি ওই সকল রোগের টেস্ট করাতে হবে।
অর্থাৎ এ ধরনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানস্বরূপ এর পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন এবং খেয়াল রাখতে হবে।
*প্রতিকার: নাক দিয়ে রক্ত পড়া এরকম সমস্যায় কোন রোগে আক্রান্ত হলে তাকে যথাসম্ভব ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং কোন রোগের লক্ষণ হিসেবে তার থেকে রক্ত পড়ছে ওই সকল সম্পর্কিত টেস্ট গুলো করার মাধ্যমে রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
এবং রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর যথাযথভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। এবং পরবর্তী সময়ের প্রতিকার থেকে যত যত ভাবে সচেতন বোধ থাকতে হবে।
উপরে উল্লেখিত রয়েছে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার বিভিন্ন রোগের কারণ। এই সকল কারণবশত একজন রোগীর নাক দিয়ে রক্ত পড়ে।
তাই এর প্রতিকার স্বরূপ অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে এবং যে রোগ হয়েছে বা যে রোগের লক্ষণ হিসেবে নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে ওই রোগের সমাধানস্বরূপ ঔষধ সেবন করতে হবে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার চিকিৎসা
সাধারণভাবে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার ক্ষেত্রে কৃত্রিম পদ্ধতিতে এ সমস্যার সমাধান করা হয়। তবে এর তেমন কোন চিকিৎসা লক্ষণীয় নয় যদি কোন ক্ষেত্রে তা বাড়াবাড়ি বা জটিল কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়।
☑. সাধারণত নাক দিয়ে রক্ত পড়লে বাস এটি যদি স্বাভাবিকভাবে হয় বা কিছুদিন পর পর হয় সে ক্ষেত্রে তার চেপে ধরতে হবে এবং সে স্থানে বরফ ব্যবহার করতে হবে।
☑ সমস্যাটি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রথমত সকল পরীক্ষা করতে হবে এবং তার ওপর ভিত্তি করে ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।
☑ সাধারণত এনিমিয়া সম্পর্কিত সমস্যা এই সমস্যা হতে পারে।
☑ আবার কখনো কখনো সাবধানতার কারণে এই সমস্যার লক্ষণ দেখা দেয়।
☑ সব জাতীয় লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে যত সম্ভব তার পরীক্ষা-নির মাধ্যমে রুপ সনাক্ত করতে হবে এবং ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।
সমস্যা সমাধানের নির্দিষ্ট কোন ঔষধ সরাসরি ভাবে দেওয়া হয় না তবে রোগব্যাথিকভাবে যাচাইকৃত রোগের ফলাফল হিসেবে এই সমস্যার সমাধানে ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।
সাধারণত বিভিন্ন কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের বিভিন্ন লক্ষণ ভিত্তিকভাবে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
ভাই সম্ভাবনা মোতাবেক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগবৃত্তিকভাবে যে সকল রোগ দেখা দেয় এই সকল রোগ ভিত্তিক এর ঔষধ খেতে হবে। আবার অনেকে বলে থাকে এটি সরাসরি রোগ নয় বরং কোন না কোন রোগের লক্ষণ হিসেবে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রূপ বিবেচনার মাধ্যমে অর্থাৎ কোন রোগের লক্ষণ হিসেবে নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে তা সিউর হওয়ার মাধ্যমে যথাযথভাবে ঔষধ সেবন এর মাধ্যমে ঐরূপ থেকে মুক্ত হতে পারলে নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার হোমিও চিকিৎসা
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে তা বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার মধ্যে একটি চিকিৎসা হলো হোমিও চিকিৎসা। হোমিও চিকিৎসার বেশ কিছু মেডিসিন রয়েছে যার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
নির্দিষ্ট কিছু মেডিসিন রয়েছে যে মেডিসিন গুলো হোমিও চিকিৎসকগণ নাক দিয়ে রক্ত পড়া সমাধানের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে বলেন।
তবে বয়স বেদে কতটুকু কখন ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিদিন কতটুকু ব্যবহার করতে হবে তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়।
এমন ঔষধ সমূহ :-
- Trillium pendulum,,,
- Belladonna,,,
- Millefolium,,
- Trillium pendulum:
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে তা বন্ধ করার একটি কার্যকরী মেডিসিন হচ্ছে এটি। দিনে ২ থেকে ৩ বার চার থেকে ছয় ফুটো করে ব্যবহার করার ফলে এ রোগ থেকে সমাধান পাওয়া যায়। কিভাবে মহিলাদের সংসার ক্ষেত্রে এই ওষুধটি পুরুষদের তুলনায় বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
Belladonna:পুরুষ এবং মহিলা বয়স বেদে যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে হোমিও চিকিৎসা হিসেবে সকলের কাছে ব্যাপক পরিচিত।
প্রতিদিন চারবার ছয়ফুটা করে ব্যবহার করার ফলে এই ওষুধটি নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে হোমিও চিকিৎসকগণ পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়া ও রয়েছে –
Millefolium: এই মেডিসিনটি বয়সবেদে এমন নয় যে কোন বয়সের যে কেউ এটি ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া ওই মেডিসিন টি অনির্দিষ্ট ভাবে বা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখযোগ্য নয় বরং প্রতিদিন নির্দিষ্ট বা সমসাময়িক কয়েকবার ব্যবহার করার ফলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
উপরুক্ত ঔষধ গুলো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য ব্যবহার করে থাকেন। যেকোনো রোগের চিকিৎসা হিসেবে হোমিও এবং এলিও ইত্যাদি চিকিৎসকগণ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে চিরতরে সমস্যা নির্মূল করা যায়।
তাই উপরে এরকম কিছু ওষুধের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যা যেকোনো বয়সের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুযায়ী ব্যবহার করার মাধ্যমে নাক দিয়ে রক্ত পড়া চিরতরে নির্মূল করা যায়।
আরো পড়ুন: মাথায় আঘাত লেগে ফুলে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা
বাচ্চাদের নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ
বিভিন্ন ধরনের কারণে শিশুদের দাগ দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। তবে এর কারণ শিশুদের তা অথবা যেকোনো রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
শিশুদের নাক দিয়ে রক্ত পড়ার বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু কারণ হলো :-
- নাকের পলিপ,,,
- সাইনোসাইটিস,,,
- নাকে আঘাত,,,
- মাথায় আঘাত,,,
- অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ,,,
- রক্তরোগ,,,
- প্রদাহ,,
ইত্যাদি।
প্রধান দুটি কারণ রয়েছে।
- ১. শিশুদের অন্যান্য জায়গার তুলনায় নাকের মধ্যে রক্ত সংবহন একটু বেশি থাকে।
- ২. তোমরাও শিশুদের গন গণ, কাশি, সর্দি এবং ঠান্ডা লেগে থাকে।
আরো কিছু কারণ রয়েছে,
☑️ আঙ্গুল দিয়ে নাক খোচানো,,
☑️ এলার্জি ইনফেকশন,,
☑️ ভেক্টোরিয়া অথবা বায়োলজির ইনফেকশন,,,
☑️ ফরেইন বডি
- (বাচ্চারা নাকের ভিতর পুতি,
- কাগজ,
- ফোম
- ইত্যাদি ঢুকিয়ে রাখে)।
☑️ নাকের পার্টিশন অথবা হাড় বাকা।
☑️ নাকে আঘাত লাগা,,
☑️ টিউমার,,
☑️ রক্তজমাট বাধা সংক্রান্ত সমস্যা,,
☑️ ডেঙ্গুজ্বর,ইত্যাদি।
এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রেই শিশুরা খেলতে গিয়ে বিভিন্নভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। উল্লেখিত কারণ গুরুর জন্য শিশুদের নাক দিয়ে রক্ত পড়া সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারি। তবে শিশুদের এ সমস্যা সাধারণভাবে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিলেও,
সাধারণভাবে শিশুরা খেলতে গিয়ে অথবা বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম অংশগ্রহণ ও অসচেতনতার কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়া সম্পর্কিত সমস্যা হয়ে থাকে।
বড়দের তুলনায় শিশুদের সচেতনবোধ এবং সচেতনতা সম্পৃক্ত জ্ঞান এর পরিমাণ কম থাকার কারণে শিশুদের বিভিন্ন মাধ্যম অনুযায়ী নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারি।
তবে অনেকে শিশুরা এ ধরনের সমস্যা বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও মূলত বিভিন্ন রোগের লক্ষণ এর তুলনায় পড়ে গিয়ে বা অসাবধানতার কারণে এ সমস্যার প্রকটতা বেশি দেখা দেয়।
আরো পড়ুন: সর্দির ট্যাবলেট এর নাম
সর্দির সাথে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ
নাকের ভিতরের ভিতরের মাংস বেশি স্পর্শকাতর এবং নরম প্রকৃতির। স্পর্শকাতর এবং নরম প্রকৃতির উপাদান দিয়ে গঠিত হয় এটি ফলে শিশুদের সর্দি হলে এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হলে ওই নরম অংশটি পাতলা বা পর্দা অথবা রক্তনালীর যে জীবন নালি সমূহ রয়েছে তা ফেটে যায়।
ভিতরের চিকন রক্তনালি ফেটে যাওয়ার ফলে রক্তনালী থেকে রক্তপাত ঘটে। এ সমস্যা দীর্ঘদিন যাবৎ চলতে থাকতে পারে।
কারণ শিশুরা অথবা বড়দের যদি দীর্ঘস্থায়ী বা একনাগরে ১৫ থেকে ২০ দিনের বেশি সর্দি থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে ওই চিকন রক্তনালী সমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ফেটে গিয়ে রক্তপাত হয়। অর্থাৎ রক্তনালীর সিরোটনিন এর কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়।
বড়রা অথবা ছোটরা অথবা যেকোনো বয়সের মানুষের সর্দিতে একনাগাড়ে পানি পড়তে থাকলে ক্রমাগত নাকের ভিতরের নরম অংশটি পানি দিয়ে আদ্রতা না থেকে বরং বিজা অবস্থা পরিস্থিতি তৈরি হয়।
তবে এ অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে তা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শিশুদের অথবা বড়দের ক্ষেত্রে এরকম অনেক সময় হয়ে থাকে যে দীর্ঘ সময় অতিক্রম হয়ে গেছে তবে এ সমস্যা অর্থাৎ সর্দি থেকে মুক্তি পাচ্ছে না।
ফলে অতিরিক্ত সময় ধরে চিকিৎসা চলা অথবা সর্দি চলমান থাকার কারণে ওই নাকের ভিতর নরম অংশে ফাটল ধরে অর্থাৎ ছিদ্র হয়ে যায়।
এ ক্ষেত্রে আদ্রতার পরিমাণ অতিরিক্ত হওয়ার কারণে এবং পানির এই সমস্যা দেখা দেয়। বড়দের ক্ষেত্রে সর্দির ক্ষেত্রে যথা চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তা যেন দীর্ঘস্থায়ী হয়ে রক্ত পরাজনিত সমস্যায় পরিণত না হয় সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে।
ছোটদের এবং বড়দের সর্দির কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ কি সমস্যা অর্থাৎ সর্দি জাতীয় সমস্যা চলমান থাকার কারণে নাক থেকে রক্ত পড়ে এবং শিরিটোনিন এর অবস্থার অবনতি ঘটায়।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার ফলে যে সকল রোগ হতে পারে এবং এর সমাধানস্বরূপ যে সকল চিকিৎসা রয়েছে তা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।
উক্ত পোস্টে নাক দিয়ে রক্ত পড়া যেসব রোগের লক্ষণ এবং এবং এর ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে এ সম্পর্কে বিস্তারিত এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে এবং হোমিও যে সকল সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
আপনি যদি নাক দিয়ে রক্ত পড়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান এবং তা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরে থাকেন এবং উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে তা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আমাদের পোস্ট রিলেটেড আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর নিম্নে দেয়া হলো :-
১. গর্ভবতী মায়ের নাক দিয়ে রক্ত আসে কেন?
= গর্ভাবস্থায় মহিলাদের পানি শূন্যতা অর্থাৎ পানির প্রয়োজনীয়তা বেশি হয়। পাশাপাশি শরীরের পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজনীয় পানি এর কাঁদতে হলে শরীরের ডিহাইড্রেশন হয়।
ফলে ডিহাইড্রেশন এর কারণে গর্ভবতীর মায়েদের ত্বক রুক্খ ও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলে নাক দিয়ে রক্ত আসে।
২. নাক দিয়ে রক্ত পড়ার চিকিৎসা
= সাধারণত নাক দিয়ে রক্ত পড়লে বাস এটি যদি স্বাভাবিকভাবে হয় বা কিছুদিন পর পর হয় সে ক্ষেত্রে তার চেপে ধরতে হবে এবং সে স্থানে বরফ ব্যবহার করতে হবে।
☑ সমস্যাটি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রথমত সকল পরীক্ষা করতে হবে এবং তার ওপর ভিত্তি করে ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।
☑ সাধারণত এনিমিয়া সম্পর্কিত সমস্যা এই সমস্যা হতে পারে।
☑ আবার কখনো কখনো সাবধানতার কারণে এই সমস্যার লক্ষণ দেখা দেয়।
☑ সব জাতীয় লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে যত সম্ভব তার পরীক্ষা-নির মাধ্যমে রুপ সনাক্ত করতে হবে এবং ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।
৩.নাক দিয়ে রক্ত আসার কারণ
= শরীরের সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে ত্বকের যে স্লেশা অর্থাৎ ত্বকের শুষ্ক ওরুষ কথার কারণে ত্বক কেটে যায় এবং এর ফলে ত্বকের মধ্যে থাকা অর্থাৎ তোকে মির ভিতরে রক্তনালী যে চিকন আলী গড়ে রয়েছে সেগুলো ফেটে যায় ফলে ওই নালীগুলো থেকে ক্রমান্বয়ে রক্ত বেরিয়ে আসতে থাকে।