
দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে পত্রিকায় হাজিরার নির্দেশ
ঢাকা, ১৭ জুন:
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং পরিবারের আরও সদস্যসহ ১২ জনকে আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। তাঁদের খুঁজে পাওয়া না যাওয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে তলবের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মোট ছয়টি মামলার মধ্যে একটি মামলায় এই নির্দেশনা আসে। বাকি পাঁচ মামলার অগ্রগতি জানতে ওই একই তারিখে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কারা কারা আছেন অভিযুক্তদের তালিকায়?
আদালতের নির্দেশে যাঁদের নাম পত্রিকায় প্রকাশ করতে বলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন:
* সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
* তাঁর বোন শেখ রেহানার দুই মেয়ে যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক
* রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিয়া
* সাবেক সদস্য খুরশিদ আলম, তন্ময় দাস ও নাসির উদ্দিন
* অবসরপ্রাপ্ত মেজর শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী
* গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন
* অতিরিক্ত সচিব মো. অলিউল্লাহ ও সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার
* রাজউকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার
দুদকের তদন্তে কী উঠে এসেছে?
দুদক জানিয়েছে, পূর্বাচল প্রকল্পে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দে ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং প্রশাসনিক অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তদন্ত শুরু করে দুদক এবং এরপর ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়। চলতি বছরের মার্চে মামলাগুলোর অভিযোগপত্র আদালতে জমা পড়ে।
আরও কিছু মামলার তথ্য
গত এপ্রিল মাসে আরও একটি মামলায় শেখ হাসিনা ও তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। একই মাসে তাঁর ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদসহ ২১ জনের বিরুদ্ধেও আলাদা মামলায় আদালত থেকে পরোয়ানা জারি হয়।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
আসামিদের আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে হাজির হতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি তাঁরা হাজির না হন, তাহলে আদালত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। একই সঙ্গে বাকি মামলাগুলোর গ্রেপ্তারি আদেশ কার্যকর হয়েছে কি না, সে সম্পর্কেও সেদিন প্রতিবেদন দিতে হবে।