শিক্ষা

তানবীন কাকে বলে – কত প্রকার

এই পোস্টটির মাধ্যমে তানবীন কাকে বলে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে তাই সম্পুর্ণ পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তানবীন অর্থ কি

তানবিন নামের অর্থ হলো সচল দেহের অধিকারী। এছাড়াও তানবিন নামের আরো অন্য একটি অর্থ হলো স্বাস্থবান। আবার তানবিন নামের ইসলামিক অর্থ অবশ্য ভিন্ন।

তানবিন আরবী নাম, তানবিন নামের ইসলামিক অর্থ হলো কর্মক্ষম ব্যক্তি। তানবিন নামের ইসলামিক অর্থ কর্মশীল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে কোনো কোনো ইসলামি বইতে।

তানবিন সাধারণত হলো ছেলেদের নাম। মেয়েদের জন্য রাখা হয়না এই নামটি। তানবিন নামের বানান হলো Tanbin সঠিক ইংরেজি। Tanbeen’ও ব্যবহার করা যায় তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে।

তানবিন নামের আরবি অর্থ “সচল ব্যক্তি“। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে তানবিন নামের অর্থ আরবি ভাষায় হিসেবে কাজ করতে পারে এবং এমন মানুষ হিসেবেও নানা ভাবে বর্ননা করা বোঝানো হয়েছে।

তানবীন কি

দুই যাবার দুই পেশ এবং দুই যের’কে তানবীন বলা হয়ে থাকে। নুন সাকিন লুকায়িত থাকে তানবীনের ভিতরে। অর্থাৎ প্রথমটি হারকাত দুই যাবার,

দুই যের ও দুই পেশের আর দ্বিতীয়টি নুন সাকিন (যাবার, যের, পেশ)। উদাহরণ স্বরুপ নুন সাকিন দিয়েও লিখা যেতে পারে ‘মান্’ কথাটি মিমে’র বাম পাশে এবং মিমে’র উপর দুই যাবার দিয়েও আবার লিখা যেতে পারে। 

তানবীন কাকে বলে

দুই যাবার দুই পেশ এবং দুই যের’কে “তানবীন” বলা হয়। নুন সাকিন তানবীনের ভিতরে লুকায়িত থাকে। অর্থাৎ দুই যাবার, দুই যের এবং দুই পেশের প্রথমটি হারকাত (যাবার, যের, পেশ) আবার দ্বিতীয়টি নুন সাকিন।

তানভীন হলো দুই যবর, দুই পেশ, দুই যের কে বলা হয়। তানভীনের ভিতরে লুকায়িত থাকে নূন সাকিন। একত্রে তানবীন বলা হয় দুই যবর দুই যের দুই পেশকে। তানবীনের মধ্যে অপরটিকে নুন সাকিন কয় আর একটি হারকাত বলে।

তানবীন কাকে বলে কত প্রকার
তানবীন কাকে বলে কত প্রকার———–

তানবীন কত প্রকার

তানবীন হলো ৫ প্রকার। যথাঃ 

১। তামাক্কুন;

২। তানকির;

৩। ইয়ায;

৪। মুক্বাবিলা;

৫। তারান্নুম;

তানবীন হলো দুই যাবার দুই পেশ ও দুই যের’কে বলা হয়। নুন সাকিন তানবীনের ভিতরে লুকায়িত থাকে। অর্থাৎ প্রথমটি হারকাত দুই যাবার, দুই যের ও দুই পেশের আর দ্বিতীয়টি (যাবার, যের, পেশ) নুন সাকিন।

তবে দম না ফেললে নুন সাকিন তানবীনের পড়ে যেতে হবে। উপরের আয়াতে  নুন সাকিন নীল স্থানে দম না ফেলে পড়ে যাওয়া হয়েছে আরদম ফেলার কারণে এক আলিফ লাল স্থানে মাদে এওয়াজ করা হয়েছে।

তানবীন কাকে বলে উদাহরণ

তানবীন হলো দুই যাবার দুই পেশ ও দুই যের’কে বলা হয়। তানবীনের ভিতরে লুকায়িত থাকে নুন সাকিন। অর্থাৎ প্রথমটি হারকাত দুই যাবার,  দুই যের ও দুই পেশের আর দ্বিতীয়টি (যাবার, যের, পেশ) নুন সাকিন।

উদাহরণ স্বরুপ বাম পাশে মান্’ কথাটি মিমে’র নুন সাকিন দিয়েও লিখা যেতে পারে আবার দুই যাবার দিয়েও মিমে’র উপর লিখা যেতে পারে।

আরো পড়ুন: ইজমা অর্থ কি

ইযহারের ৬টি হরফ হইতে নুন সাকিন বা তানভীনেরপর কোন একটি হরফ আসিলে, গুন্নাহ ছাড়া স্পষ্ট করিয়া পড়াতে হয় উক্ত নুন সাকিন বা তানভীনকে

ইদগামে বে-গুন্নার ২টি হরফ হইতে নুন সাকিন বা তানভীনের পরে কোন একটি হরফ আসিলে গুন্নাহ ছাড়া মিলাইয়া পড়িতে হয় উক্ত নুন সাকিন বা তানভীনকে।

এই পোস্টটির মাধ্যমে তানবীন কাকে বলে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন এই পোস্টটির মাধ্যমে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মধ্যে একটি শেয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে দিন। (ধন্যবাদ)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button