গনিত

তথ্য উপাত্ত কাকে বলে সূত্র পরিসংখ্যান

তথ্য উপাত্ত: তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়ে থাকে বিভিন্ন উৎস থেকে, যেমন লেখা প্রবন্ধ, বই, প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেস, ইন্টারনেট, পরিসংখ্যান বিভাগ ইত্যাদি।

তথ্য উপাত্ত কি | তথ্য বা উপাত্ত কাকে বলে

তথ্য উপাত্ত হল তথ্য বা মাহিতির সংগ্রহ, প্রাপ্তি এবং সংরক্ষণের পদ্ধতি বা পদ্ধতিগুলি। তথ্য উপাত্ত হল সম্পর্কিত উপাত্তের তথ্যসমূহ যেগুলি একটি

  • ব্যক্তি,

  • সংস্থা,

  • সংস্কৃতি,

  • জনগণ,

  • সমাজ ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করে থাকে।

তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়ে থাকে বিভিন্ন উৎস থেকে, যেমন লেখা প্রবন্ধ, বই, প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেস, ইন্টারনেট, পরিসংখ্যান বিভাগ ইত্যাদি।

এই তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে

  • মনসিক প্রক্রিয়া,

  • গবেষণা,

  • পরিকল্পনা,

  • নির্ধারণ,

  • নিয়োগ,

  • বিশ্লেষণ,

  • বিজ্ঞান,

  • প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে আমরা সকল ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। এটি সময়, তথ্য, আংশিকভাবে বা সম্পূর্ণভাবে সত্যতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ইত্যাদির উপর নির্ভর করতে পারে। তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যেমন:

গবেষণা: বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গবেষণা প্রকল্প অনুসারে ডেটা সংগ্রহ, পরিসংখ্যান, পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা ইত্যাদি পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

ডেটা বেস: ব্যক্তিগত বা সংগঠিত তথ্য সংগ্রহের জন্য ডেটা বেস ব্যবহার করা হয়। এটি তথ্যসংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য কোম্পানি বা সংস্থা আদি দ্বারা সৃষ্ট করা হয়।

ইন্টারনেট: আধুনিক যুগে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য ইন্টারনেট ব্যাপক ভুমিকা রাখে। 

তথ্য উপাত্ত সূত্র

তথ্য উপাত্তের সূত্র বা উৎস হলো এমন সুত্র বা সংগ্রহ , যেখান থেকে আমরা তথ্য পেতে পারি এবং সমালোচনা করতে পারি। এই সূত্রগুলো প্রামাণিক এবং বিশ্বস্ত হতে হবে যাতে সঠিক এবং বিশ্বস্ত তথ্য পেতে পারি। কিছু প্রমুখ তথ্য উপাত্তের সূত্র বা সংগ্রহ  নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

প্রাথমিক সূত্র: প্রাথমিক সূত্র হলো সর্বসাধারণের পরম ধারাবাহিক তথ্য যা আমরা বিশ্বস্ততা দিয়ে গ্রহণ করি। এগুলো অধিকাংশই নির্ভরযোগ্য সূত্র বা উৎসের উপর ভিত্তি করে। উদাহরণস্বরূপ, গবেষণা নিয়ে বিজ্ঞানের প্রাথমিক সূত্র হলো বিজ্ঞানীরা একই কাজের জন্য একই পরিমাপ ফলাফল পাবে।

প্রামাণিক সূত্র: প্রামাণিক সূত্র হলো বিশ্বস্ততা এবং নির্ভরযোগ্যতা সহ তথ্য উপাত্তের উৎস। এগুলো অধিকাংশই তথ্য সংগ্রহ করতে হয়।

প্রযুক্তিগত সূত্র: প্রযুক্তিগত সূত্র হলো প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিং সংক্রান্ত তথ্যের উৎস। এগুলো প্রযুক্তি ও প্রযুক্তিগত বিষয়বস্তুগুলোর সম্পর্কে সূচনা করে।

উদাহরণস্বরূপ, একটি নির্মাণ প্রকল্পের উপর আলোচনা করতে প্রযুক্তিগত সূত্রগুলো প্রয়োজন হয়, যেমন নির্মাণ সম্পর্কিত কোড বা মান স্ট্যান্ডার্ড।

সামাজিক সূত্র: সামাজিক সূত্র হলো সামাজিক বিষয়বস্তুর উৎস যা সামাজিক পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করতে ব্যবহৃত হয়।

এগুলো

  • সমাজশাস্ত্র,
  • সামাজিক গবেষণা,
  • রাজনীতি,
  • সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি। 

সাহিত্যিক সূত্র: সাহিত্যিক সূত্র হলো সাহিত্য, কবিতা, উপন্যাস, নাটক ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে তৈরি বিষয়বস্তু যা সাহিত্যিক লেখকের কথা বা তথ্য প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি উপন্যাস নির্মাণের জন্য লেখক নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও চিন্তাভাবনা ব্যবহার করতে পারে।

ইতিহাসগত সূত্র: ইতিহাসগত সূত্র হলো ইতিহাসের প্রাথমিক উপাত্ত। এগুলো ইতিহাসের প্রামাণিক উপাত্ত, পুরাতন লেখকের কথা,

প্রাচীন শাস্ত্র ইত্যাদি থেকে উদ্ভূত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ইতিহাস প্রবন্ধে লেখক পূর্বকালের ঐতিহ্যগত লেখা বই, প্রাসঙ্গিক সংগঠিত তথ্য, সিদ্ধান্ত বা প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করতে পারে।

তথ্য উপাত্ত কি | তথ্য বা উপাত্ত কাকে বলে

তথ্য ও উপাত্ত কাকে বলে পরিসংখ্যান।পরিসংখ্যানে তথ্য ও উপাত্ত কাকে বলে

পরিসংখ্যানে তথ্য ও উপাত্ত দুটি প্রধান পদার্থ হলেও তাদের কাজের সুত্র আলাদা।

পরিসংখ্যান: পরিসংখ্যান বা সাংখ্যিকী হলো তথ্যগত পর্যবেক্ষণ, শ্রেণীবিন্যাস এবং প্রশ্নাবলী এর মাধ্যমে তথ্যের বিশ্লেষণ ও বর্ণনা করার একটি প্রক্রিয়া।

পরিসংখ্যান দ্বারা আমরা বিভিন্ন তথ্যের মধ্যে সম্পর্ক এবং প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে বুদ্ধিমত্তা বা নির্ণয় করতে পারি। এটি সংখ্যাগত তথ্য প্রাপ্তি,

শ্রেণীবিন্যাস ও ব্যবস্থাপনা, বর্ণিত পরিসংখ্যানিক পর্যবেক্ষণ এবং তথ্যের বিভিন্ন নমুনা এবং সম্পত্তি উপাত্তের মাধ্যমে নতুন জ্ঞান প্রাপ্তির জন্য ব্যবহৃত হয়। পরিসংখ্যানের সাথে সাধারণত ব্যাপারিক পর্যবেক্ষণ, নির্ধারণ, মডেলিং এবং নির্ণয় নড়ানো হয়।

তথ্য: তথ্য হলো তথ্যমূলক বা পরিবর্তনশীল তথ্যের সমষ্টি। এটি কোনও পরিমাপ, পর্যবেক্ষণ বা তথ্যপ্রাপ্তির ফলাফল যেগুলো সংগ্রহ করা হয়

এবং প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তথ্যের মাধ্যমে আমরা পর্যবেক্ষণ, প্রাকবিজ্ঞান, নতুন জ্ঞানের বিকাশ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি।

তথ্য সাধারণত অবজেক্টিভ এবং ব্যাক্তিগত মতামত বা মতামত নয়, বরং তথ্যপ্রাপ্তির কার্যকলাপের ফলাফল হয়ে থাকে।

উপাত্ত: উপাত্ত হলো কোনও প্রযুক্তি, সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জামগুলির একটি ব্যক্তিত্ব বা উপাদান। এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয়

এবং নতুন প্রযুক্তির বিকাশের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।উপাত্ত হলো কোনও পদার্থ বা সরঞ্জাম যা একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।

বিন্যস্ত উপাত্ত কাকে বলে

বিন্যস্ত উপাত্ত বলতে বোঝায় যে একটি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা যা নিয়মিত ও অবিচ্ছিন্ন উপাত্ত এবং কার্যকলাপ ব্যবহার করে পরিচালিত হয়।

উপাত্তগুলি নির্মাণ, সংরক্ষণ এবং ব্যবহারের জন্য একটি নির্দিষ্ট নীতি ও নির্দেশিকা অনুসরণ করে।

একটি বিন্যস্ত উপাত্ত ব্যবহার করা হয় কারণ এটি নিয়মিত ও পরিচ্ছন্ন করার সুবিধা সরবরাহ করে। উপাত্তগুলি পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং কর্মীদের কার্যক্রম বোঝায় এবং সুস্থিতিশীলভাবে কার্যকর করে।

এছাড়াও বিন্যস্ত উপাত্ত ব্যবহার করা হয় কারণ এটি ক্ষমতাবদ্ধ ও দ্রুত কাজ সম্পাদনে সাহায্য করে।নিচে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

1.সম্পূর্ণতা এবং স্থায়িত্ব: বিন্যস্ত উপাত্ত ব্যবহার করা হয় তাকে সম্পূর্ণভাবে ও স্থায়িত্বপূর্ণভাবে করার জন্য। সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান একটি নির্দিষ্ট উপাত্ত ব্যবহার করে তাদের কার্যক্রম এবং উপাদানগুলির স্থায়িত্ব ও গুণমান নিশ্চিত করতে পারে।

2.দ্রুততা এবং কার্যক্ষমতা: বিন্যস্ত উপাত্ত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্ষমতা এবং দ্রুততা বাড়ানোর সাথে সাথে সহায়তা করে। যেমনঃ একটি উদাহরণ হল একটি উদ্যোগের বা নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়, সেটি বিন্যস্ত উপাত্ত ব্যবহার করে অন্ধকারের মধ্যে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য কাজের দিক দেখতে সহায়তা করে।

আরো পড়ুন: শীর্ষ বিন্দু কাকে বলে

3.ভাগীদারবাদ: বিন্যস্ত উপাত্ত ব্যবহার করা হলে ভাগীদারবাদ এবং সমন্বয় বৃদ্ধি পায়। প্রতিষ্ঠানের সকল সদস্যের জন্য স্পষ্ট নির্দেশাবলী রয়েছে যা তাদের কার্যক্রমকে একটি স্থির ও ঐক্যবদ্ধ ভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করে।

4.সময় ও সামগ্রিকতা: বিন্যস্ত উপাত্ত ব্যবহার করে সময় ও সামগ্রিকতা বৃদ্ধি পায়। প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়া এবং কার্যক্রমগুলি পরিচালনা করতে সময় সংরক্ষণ এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও সামগ্রিকভাবে সংগঠিত উপাত্তগুলি প্রদান করে সুস্থিতিশীলভাবে কাজ সম্পাদন করতে সহায়তা করে।

5.উন্নতি এবং অনুকূলতা: বিন্যস্ত উপাত্ত ব্যবহার করে উন্নতি ও অনুকূলতা লাভ করা যাই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button