ডেঙ্গু মশা দেখতে কেমন
ডেঙ্গু মশা দেখতে কেমন: ডেঙ্গু মশা বর্তমান সময়ে একটি আলোচিত বিষয় যা প্রতিনিয়ত মানুষকে আক্রান্ত করে আসছে। তাই ডেঙ্গু মশা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানা প্রয়োজন এবং ডেঙ্গু মশার আক্রান্ত ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচার জন্য,
ডেঙ্গু জ্বর কি কি কারনে হয় কি মশা কামড়ের ডেঙ্গু জ্বর হয় এবং ডেঙ্গু মশা দেখতে কেমন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন।
তাই উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে ডেঙ্গু মশা দেখতে কেমন এবং ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচার বিভিন্ন ধরনের এইতো তথ্য জানাচ্ছি।
সাধারণভাবে জ্বর হচ্ছে একটি সাধারণ রূপ যা সকলের প্রায় সময় হয়ে থাকে। তবে এ সাধারণ জ্বরের মধ্যে অসাধারণ একটি ব্যাপার হল ডেঙ্গুজ্বর। কোন ব্যক্তি যদি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে তার ভয়াবহতা যথেষ্ট।
তবে ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে, তাই ডেঙ্গু জ্বর কেন হয় ডেঙ্গু জ্বর কি মশার কামড়ে হয় এবং মশাটি দেখতে কেমন এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা প্রয়োজন।
পাশাপাশি বিস্তারিত তথ্য জানা এবং এর প্রতিরোধ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার মাধ্যমে এ সম্পর্কে অত অবগত হওয়া প্রয়োজন এবং সচেতন বোধ তৈরি করা খুবই প্রয়োজন।
আরো পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ? ডেঙ্গু জ্বরের বৈশিষ্ট্য
ডেঙ্গু মশা দেখতে কেমন
ডেঙ্গু মশা বা এডিস মশা আকারে অনেক ছোট এবং তার খালি চোখে দেখা যায় না যা এতটাই ছোট পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। তবে অনেকের মতে ডেঙ্গু মজা হল খুবই ক্ষুদ্র আকারে তবে তা দেখতে অনেকটা মাঝারি আকারের।
ডেঙ্গু রোগ আক্রান্ত করে যে সকল মশাগুলো সেগুলোকে এডিস মসকি বা ডেঙ্গু মশা বলা হয়। ডেঙ্গু মশাগুলোর গায়ে এবং পায়ে সাদা এবং কালো রঙের ডোরাকাটা দাগ লক্ষণীয়।
ডেঙ্গু মশা দেখতে মাঝারি আকারের এবং এদের হাতে এবং পায়ে সাদা কালো ডোরাকাটা দাগ দেখা যায়।
ডেঙ্গু মশাগুলো একদম মশকী
ডেঙ্গু মশাগুলো আসলে এক ধরনের মশকী। অর্থাৎ লিঙ্গ বৈষম্য অনুযায়ী এগুলো অর্থাৎ ডেঙ্গু মশাগুলো হচ্ছে স্ত্রীলিঙ্গের অন্তর্ভুক্ত এক প্রজাতীর মশকী।
এছাড়া ও ডেঙ্গু মশা বা এডিস মশকী তারা ডেঙ্গু রোগ হয়ে থাকে। মশকী গুলো তিন দিনের বা এর চেয়ে বেশি সময় যাবত জমে থাকা পরিস্কার বানিয়ে ইত্যাদি স্থানে এরা ডিম পারে এবং সেখান থেকে বংশগত উৎপত্তি করে থাকে। অর্থাৎ মশকী দ্বারা বংশগত উৎপত্তি হয় এবং এই মশকীর যদি কাউকে কামড় দেয় তাহলে তার দ্বারা ডেঙ্গু জ্বর হয়।
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য যে মশাগুলো কামড় দেয় সেগুলো আসলে এক ধরনের স্ত্রীলিঙ্গ অর্থাৎ মশকী।
ডেঙ্গু মশা চেনার উপায়
ডেঙ্গু মশকী দেখতে অনেক ছোট। তবে তার খালি চোখে সনাক্ত করা যায়। এ সম্পর্কে বিশিষ্টকের তত্ত্ববিদ কবিরুল ভাষার বলেছেন যে,
ডেঙ্গু রোগ যে মশার জন্য আক্রান্ত হয়েছে মশারটি খালি চোখে দেখা যায় এবং তার সনাক্ত করা যায়। এছাড়াও বলেছেন এ মশাটি দেখতে মাঝারি আকারের।
তবে ডেঙ্গু মশার যেগুলো তাদের পায়ে এবং পায়ে সাদা এবং কালো রঙের ডোরাকাটা দাগ লক্ষণীয়। তবে এক প্রজাতির ডেঙ্গু রয়েছে যেগুলো আর্মিগিয়ার নামে পরিচিত। এ মশাগুলোর পেটেও সাদা এবং কালো রঙের ডোরাকাটা দাগ লক্ষ্য করা যায়। উল্লেখিত লক্ষণগুলো ধারা একটি ডেঙ্গু মশাকে সনাক্ত করা যায়।
এডিস মশা ও ডেঙ্গু রোগ
এডিস মশা: বিভিন্ন প্রকারের ম্যালেরিয়া সহ অনেক ধরনের মশা রয়েছে তবে এদের মধ্যে এক প্রজাতির মজা নামে পরিচিত।
এ এডিস মশাগুলো কামড়ের ফলে অর্থাৎ এডিস মশাগুলোর প্রজাতির মধ্যে যেগুলো স্থির প্রজাতি রয়েছে তাদের কামড়ের ফলে ডেঙ্গু জ্বর হয়।
অর্থাৎ ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার জন্য যে ভাইরাস রয়েছে সেই ভাইরাস মশা কর্তৃক মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং ডেঙ্গু রোগ হয়ে থাকে।
ডেঙ্গু রোগ : ডেঙ্গু রোগ হল এক প্রজাতির জ্বর যা সাধারণত মশার কামড়ে হয়ে থাকে।
সাধারণত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার জন্য এডিস মৌসুমী কর্তৃক কামড় দেয়ার ফলে এটি হয়ে থাকে। এবং জ্বর টি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং তার শরীরের জন্য মারাত্মক প্রভা ব ফেলে।
ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়
ডেঙ্গুজোল সাধারণত মশার কামড়ে হয়ে থাকে এবং এডিস মশার কামড়ের সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ব্যক্তির ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
কাউকে যদি এডিস মশা কামড় দেয় তাহলে তার ডেঙ্গু জ্বর আসতে সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগে। সুতরাং পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।
তবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর পাঁচ থেকে ছয় দিন পর্যন্ত তা স্থায়ী থাকে। মূলত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে সে ঝড় কত দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে তার চিকিৎসার উপর এবং সচেতনতার উপর নির্ভর করে।
সঠিক চিকিৎসা করলে তা সর্বোচ্চ 5 থেকে 6 দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব হয়।
আরো পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে?
ডেঙ্গু রোগের কারণ ও লক্ষণ
ডেঙ্গু রোগের কারণ :- সাধারণভাবে স্ত্রী জাতীয় এডিস মশকের কামড়ে ডেঙ্গু রোগ হয়ে থাকে। এছাড়াও স্ত্রী জাতীয় এডিস যে মশকী গুলো রয়েছে এগুলোর মধ্যে যে মৌসুগুলো রোগ বহন করে এবং তার ক্রপের মধ্যে ডেঙ্গু রোগের জীবাণু বহন করে তাদের কামড়ের ফলে ডেঙ্গু রোগ হয়।
ডেঙ্গু রোগের প্রধান কারণ হল মশকী দ্বারা তা মানুষের শরীরে বহনের মাধ্যমে। এছাড়াও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত এরকম কোন মানুষের গায়ে যদি মশা কামড় দেয় তাহলে তার থেকে জীবাণু নিতে পারে এবং এরপর যদি সুস্থ কোন ব্যক্তির গায়ে কামড় দেয় তাহলে সেখানে জীবাণু ছড়িয়ে ওই সুস্থ ব্যক্তি ও রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলো হলো :-
- প্রচন্ড জ্বর যা : (40°C/104°F),,,
- তীব্র মাথার যন্ত্রণা,,,
- চোখের পিছনে ব্যথার অনুভূতি হয়,,,
- মাংসপেশি এবং অস্থি সন্ধিতে যন্ত্রণা অনুভব,,,,,
- বমিভাব,,,,,
- মাথাঘোরা,,,,
- গ্রন্থি ফুলে যাওয়া,,,,,
- ত্বকে বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ডেঙ্গু মশা কামড়ালে করণীয়
যদি কাউকে ডেঙ্গু মশা কামড়ায় তাহলে প্রথমে তার জলদি করে ওই কামরানোর স্থানটি পরিষ্কার পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে পানির সঙ্গে এলকোহল ব্যবহার করে পরিষ্কার করতে হবে। পরবর্তীতে যে স্থানে কামড়েছে ওই স্থানে অ্যান্টিসেপটিক জাতীয় কোন ঔষধ লাগাতে হবে, যাতে করে ভিতরে যে জীবাণুগুলো প্রবেশ করেছে তার ধ্বংস হয়ে যায়।
তবে মশা যে জায়গায় কামড় দিয়েছে সেখানে জ্বালা অনুভব হতে পারে তাই সেখানে লেবু পিস পিস করে কেটে লাগাতে হবে।
আক্রান্ত স্থানে লেবু লাগানোর ফলে লেবুতে থাকা এসিটিক এসিড মশার প্রতিক্রিয়াকে নষ্ট করে দেবে এবং চুলকানি সহ যে জলা অনুব্রত হয়েছে তা কমিয়ে দেবে।
তাছাড়া এর ফলেও দ্রুত ব্যথা হতে পারে তাই ব্যাথা কমানোর জন্য মধু ব্যবহার করা যেতে পারে মধু দ্রুত ব্যাথা শোষণ করতে পারে।
ডেঙ্গু মশার প্রতিরোধের তালিকা
ডেঙ্গু মজা প্রতিরোধে তালিকা গুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো :
১. যথা সম্ভব জনবসতিপূর্ণ এলাকায় না থাকার চেষ্টা করুন,,,,
২. জানালায় নেট লাগান অথবা দরজা জানালা বন্ধ করে রাখুন,,,
৩. এয়ারকন্ডিশন থাকলে ব্যবহার করুন,,,
৪. ডেঙ্গুর লক্ষণ থাকলে ডাক্তার দেখান,,,,
৫.বাড়িতে মশারি, মশা তাড়ানোর ঔষধ ব্যবহার করুন,,,,
৬.বাইরে যাওয়ার সময় ফুলহাতা জামা ব্যবহার করুন,,,
৭.মোজা পরুন,,,
তাই উপরের লক্ষ্যনীয় বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে। এবং তা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
আরো পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে?
ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি
বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানি অর্থাৎ ছোট ছোট টপ বা ডাবের খোসা বা যোগ বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা তিন দিনের বেশি পরিষ্কার পানিতে ডেঙ্গু মশা জন্ম নেয়।
ওই ওই সকল স্থানে ডেঙ্গু মশা ডিম তৈরি করে এবং ডিম থেকে পরবর্তীতে লার্ভা এবং লার্ভা থেকে পিউপা র জন্ম হয় পরবর্তীতে ওই পিউপা গুলো একটি সম্পূর্ণ হিসেবে পরিণত হয় বৃদ্ধি কালে।
আর এভাবেই ডেঙ্গু মশার জন্ম হয়।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে ডেঙ্গু জল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।এবং পাশাপাশি ডেঙ্গু জ্বর দেখতে কেমন এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।
ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে যদি আপনার কোন তথ্য বা মতামত জানা থাকে এবং তা আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে যথাযথভাবে জানতে পারেন এবং তার ফলে উপকৃত হতে পারে থাকেন তাহলে তা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আমাদের পোস্ট রিলেটেড আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর নিম্নে তুলে ধরা হলো :-
১. ডেঙ্গু মশা কত বড়?
= মাঝারি আকারের।
২. ডেঙ্গু মশার নাম কি?
= এডিস এজিপ্টি।
৩. এডিস মশা কি রকম?
= দেখতে মাঝারি আকারের,,,
এদের গায়ে এবং পায়ে সাদা কালো ডোরাকাটা দাগ রয়েছে।