জি আই এস বলতে কি বুঝ

জি আই এস বলতে কি বুঝ : দেশসহ তথ্যভিত্তিক বিভিন্ন অনলাইন কার্যক্রম বা অন্যান্য ক্ষেত্রে জিআইএফ এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। তবে জিআইএস ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এ সম্পর্কে যথাযথভাবে জানার প্রয়োজন।

পাশাপাশি জিআইএস ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য বার্থডেটা সংরক্ষণ করা এবং বিভিন্ন স্থানিক কাজে ব্যবহার করা হয়। এজন্য উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা জিআইএস রিলেটেড বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাচ্ছি। 

ভৌগলিক বিভিন্ন ডাটা সংগ্রহ করা সংরক্ষণ করা এবং বিশ্লেষণ করা পাশাপাশি উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে জিআইএস ব্যবহার এবং প্রয়োগ উল্লেখযোগ্য। এজন্য জিআইএস ব্যবহার করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা লাভ করা যায়।

তবে যেকোনো ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা লাভ করার ক্ষেত্রে এবং জিআইএস ব্যবহার করার জন্য জিআইএস কাকে বলে এবং কিভাবে ব্যবহার করা যায় ইত্যাদি সম্পর্কে পাশাপাশি জিআইএস এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

জি আই এস কি

জিআইএস হলো একটি মাধ্যম যে মাধ্যমকে ব্যবহার করার মাধ্যমে দেশের তথা ভৌগোলিক ভৌগোলিক বিভিন্ন উপাত্ত সংগ্রহ করা, সংরক্ষণ করা, বিশ্লেষণ করা এবং উপস্থাপন করা যায়। জি আই এস হলো Geographic Information System ইংরেজি শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ।

জি আই এস বলতে কি বুঝ

জিআইএস হলো Geographic Information System ইংরেজি শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ। যে মাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশের তথা ভৌগোলিক ভৌগোলিক বিভিন্ন উপাত্ত সংগ্রহ করা, সংরক্ষণ করা, বিশ্লেষণ করা এবং উপস্থাপন করার পদ্ধতিকে জি আই এস বলা হয়। 

ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন ভৌগলিক অবস্থান এবং ডাটা বিশ্লেষণ ভাষণ করার মাধ্যমে ডাটা সমূহ কল্পনাভিত্তিকভাবে বিন্যাস্থাপন এবং উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে সহায়তা লাভ করে। এছাড়াও কম্পিউটার ভিত্তিক বিভিন্ন ভৌগোলিকের মাধ্যমে মানবতা পরীক্ষা স্থানিক  সম্পর্ক এবং নিদর্শন ইত্যাদি কাজকর্ম করা হয়। 

জি আই এস এর গুরুত্ব লেখ

জিআইএস এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরি অপরিসীম।  জিআইএস শব্দটির অর্থ হিসেবে বিভিন্ন পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশল, বীমা, পরিবহন, দূরসঞ্চার এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে এটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ফলে অবস্থানিক বোধবিদ্যা প্রয়োগের মাধ্যমে জিআইএস ব্যবহার করে অবস্থান ভিত্তিক বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান করে আধার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 

বিভিন্ন তথ্য সমূহকে বিশ্লেষণ করলে জানা যায় যে এ সঞ্চালন পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন ডাটা কে সংরক্ষণ করা যায়। বৈজ্ঞানিকভাবে পৃথিবীতে বসবাসকারী বিভিন্ন বর্ণনাত এবং তথ্য দেয় এবং এ সম্পর্কে এতে তথ্য বিদ্যমান। ফলে বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন তথ্য সমূহকে সংরক্ষণ এবং শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। 

জি আই এস – হলো সমস্ত নির্দিষ্ট উপাদান গুলো খুঁজে ভৌগলিকভাবে দক্ষতার সাথে যাচাইয়ের মাধ্যমে তথ্যগুলো পরামর্শ উপস্থাপন করে বিশ্লেষণ করা এবং সহায়তা করা। 

বিভিন্ন ধরনের ভৌগলিক উপাদান গুলোর মধ্যে স্থানিক উপাদান রয়েছে এবং এগুলো গুণগত তথ্য এবং অবস্থান বেদে আয়ত্ত করা যেতে পারে যা বিভিন্ন আইটেম ভিত্তিকভাবে বিবরণ নিয়ে তথ্যগুলো কাজে লাগানো যায়।

ফলে জিআইএস এর ব্যবহারের মাধ্যমে একটি মানচিত্রে বিভিন্ন ডাটা বা ভিজুয়ালাইজেশনের সুবিধা করা যায়। ফলে পরিবহনের বিভিন্ন সংস্থা থেকে শুরু করে পরিবেশগত কার্যক্রম মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো জিআইএফ এর অন্যতম উপাদান। ফলে মানব জীবনের ব্যবহার তাৎপর্য এবং গুরুত্ব অপরিসীম। 

জি আই এস এর ব্যবহার

জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সানি সম্পূর্ন এবং নেটওয়ার্ক ব্যক্তির বিভিন্ন কাজ প্রদর্শন করা যায়। এছাড়াও, বিভিন্ন ক্ষেত্রে জিআইএস এর ব্যবহার রয়েছে। জি আই এস এর ব্যবহারের ক্ষেত্র সমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলো :-

→প্রকৌশল,,,

→পরিকল্পনা,,,

→ব্যবস্থাপনা,,,

→ পরিবহন,,,

→বীমা,,,

→ দূরসঞ্চার,,,

→ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ,,,,

→অবস্থানিক বোধবিদ্যা,,,

→পরিসেবা,,, 

→স্থানিক সম্পর্ক,,,

→রৈখিক নেটওয়ার্ক প্রদর্শন,,,,, 

→ কৃষিক্ষেত্র,,,

→স্রোত,,,

→পার্ক কমপ্লেক্স,,, 

→হাউজিং কমপ্লেক্সে,,,

ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে জিআইএস এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। 

জি আই এস এর সুবিধা

জি আই এস ব্যবহারের সুবিধা সমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলো :-

১. জিআইএস ব্যবহার করার মাধ্যমে ম্যাপিং প্রদান করা যায়। 

২. প্যাটার্ন সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজ এবং ক্ষমতার প্রবণতা ইত্যাদি করা যায়।

৩. অনলাইন ভিত্তিক এবং জিআইএস ভিত্তিকভাবে জটিল সমস্যাগুলো সমাধান বা তা বোঝার ক্ষমতা বিদ্যমান রয়েছে। 

৪. বিভিন্ন জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। 

৫. স্থানিক বিশ্লেষণ করা যায়। 

৬. বিভিন্ন ডাটা ভিজ্যুয়ালাইগেশন করা যায়। 

৭. উন্নত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়। 

৮. দক্ষ সম্পদ বরাদ্দ করা যায় এবং পরিবেশের ব্যবস্থাপনা নির্ণয় করা যায়। 

৯. কাজভিত্তিকভাবে বিভিন্ন কাজের পরিকল্পনা এবং পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। 

১০. জনস্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ এবং ঐতিহাসিক সংরক্ষণে application এর কাজে ব্যবহার করা হয়। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জিআইএস সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানিয়েছি।

আশা করি,, 

আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জিআইএস সম্পর্কিত যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

আমাদের পোস্টের সাথে রিলেটেড এরকম কয়েকটি প্রশ্ন ও তার উত্তর :-

১. জি আই এস কেন গুরুত্বপূর্ণ?

= জিআইএস ব্যবহার করার মাধ্যমে  বিভিন্ন পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, প্রকৌশল, বীমা, পরিবহন, দূরসঞ্চার এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে এটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এজন্য জিআইএস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

২. GIS কৌশলটি প্রথম ব্যবহার শুরু হয় কত সালে?

= ১৯৬৮ সালে ।

৩. জি এস আই এর পুরো নাম কি?

= জি এস আই এর পুরো নাম → Geographic information system,,,,,