চুলকানির ঔষধের নাম | চুলকানি দূর করার ঔষধ
আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে চুলকানির ঔষধের নাম? সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো, আমাদের মধ্যে বেশির ভাগই মানুষই চুলকানি সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন।
চুলকানির ঔষধের নাম
চুলকানি রোগ সাধারণ হলেও এটি অনেক তাড়াতাড়ি প্রতিকার করা উচিত। নিচে এর কিছু ওষুধের নাম দেওয়া হল। কিন্তু সকল প্রকার ওষুধ ব্যবহারের অথবা খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
১,Alatorl
২,Atarax
৩,Darma 50
৪,Ordain
৫,Diphenhyramine
৬,Fexofenadine
৭,Desloratadine
৮,Sendo
৯,Cetrizine.
চুলকানির ট্যাবলেট এর নাম
১,Alatrol
২,Oradin
৩,Sedno
৪,Atarax 250
৫,Darma 50
৬,Rupadin 10 mg
চুলকানি দূর করার ক্রিম
চুলকানির বিভিন্ন ধরনের ক্রিম এবং ঔষধ আছে। কিছু জনপ্রিয় ক্রিম হলো:
১,অ্যালোভেরা ক্রিম
২,ক্যালামাইন ক্রিম
৩,বেটামেথ্যাসোন ক্রিম
৪,হাইড্রোকর্টিসোন ক্রিম
৫,বেনজিল পারঅক্সাইড ক্রিম
৬,স্যালিসিলিক অ্যাসিড ক্রিম
৭,ক্লোরহেক্সিডিন ক্রিম
সারা গায়ে চুলকানি ঔষধ
১,পেভিসোন ক্রীমব্যবহারের নিয়ম: আক্রান্ত স্থানে পেভিসোন ক্রীম দিনে ২ বার ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহার করার আগে আক্রান্ত স্থান হালকা গরম পানির মাধ্যমে পরিষ্কার করে নিতে হয়।
২,পেভিটিন ক্রীম
ব্যবহারের নিয়ম: এটি ব্যবহার করার আগে আক্রান্ত স্থানটি হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। দিনে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করা যাবে। বিশেষ করে সবচেয়ে ভালো হয় সকাল ও সন্ধ্যায় ব্যবহার করলে।
আক্রান্ত স্থান ছাড়া ক্রিম লাগানো যাবে না তবে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। রোগ ভালো না হওয়া অব্দি ব্যবহার করতে পারবেন তবে সেটা ২ সপ্তাহের বেশি হবে না।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অতি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হয়।মূল্য: স্কয়ার কোম্পানির এই ক্রীমটি ৬৫ টাকা দিয়ে যেকোনো ফার্মেসি থেকে ক্রয় পেয়ে যাবেন।
এছাড়া স্কয়ার কোম্পানি আরেকটা ক্রীম আছে যেটির নাম হল ফানজিডাল-এইচসি ক্রীম, একই নিয়মে ব্যবহার করতে হবে। ১৫ গ্রামের এই ক্রীমের দাম মাত্র ৫৫ টাকায় পেয়ে যাবেন।
এছাড়া সারা চুলকানির উল্লেখযোগ্য ক্রিম হলো:
1,Betameson Cl Cream
2,Fungin
3,Fungin-B
চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন
১। নারকেল তেলনারকেল তেল ত্বকে ব্যবহারের জন্য অনেক নিরাপদ পণ্য। যে কোন প্রকার চুলকানি, পোকার কামড় অথবা অন্য কোন কারণে ত্বকে চুলকানি হয়, যেখানে চুলকাবে সেখানে নারকেল তেল দিয়ে দিন।
যদি পুরো শরীরে চুলকানি হয় তবে পুরো শরীরে নারকেল তেল মাখেন। কুসুম গরম পানিতে নারকেল তেল মিশিয়ে গোসলও করে নিতে পারেন।
২। পেট্রোলিয়াম জেলিযদি আপনি সেনসিটিভ ত্বকের অধিকারী হয়ে থাকেন, তবে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করবেন। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। শরীরের কিছু অংশে চুলকানি হয়, আপনি পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করবেন। এটি সবার ঘরেই থাকে, ফলে যেকোন সময়ই এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
যোনিতে চুলকানি হলে করনীয়
– প্রয়োজন ছাড়া ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে ও ডুশ ব্যবহার করবেন না।
– সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন তাদের ক্লোরিনের কারণেও চুলকানি হতে পারে।
– দইয়ে ল্যাকটোব্যাসিলাস ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে।
– সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস পরুন।
– ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
– ওজন কমান।
– নিয়মিত গোসল করুন।
যোনিতে চুলকানি হলে দূর করার ঘরোয়া উপায়
১.আপেল সাইডার ভিনেগার গরম পানির সাথে ২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে যৌনাঙ্গ ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। পুরুষদের যৌনাঙ্গের চুলকানি থেকে উপায় পেতে সপ্তাহে ২ বার এই মিশ্রণের ব্যবহার করবেন।
2.বরফ চুলকানি থেকে তাৎক্ষলিক ভালো করার জন্যে বরফ বা বরফ-ঠাণ্ডা পানির সেঁক দিতে হবে। রাতের বেলা এই চুলকানির তীব্রতা অনেক বৃদ্ধি পায় তখন এই প্রতিকারটি খুবই কার্যকরী।
3.লবণ জলে গোসল গোসলের পানিতে বা বাথটাবে চার টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে নিতে হবে, পানিতে কমপক্ষে আধ ঘণ্টা গা ভিজিয়ে রেখে বসে থাকতে হবে। ১ সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই লবণ জল সংক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়া বিনাশ করতে সক্ষম। এটিও যৌনাঙ্গের চুলকানি প্রতিরোধের ঘরোয়া প্রতিকার।
আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে চুলকানির ঔষধের নাম? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন, এই পোস্টটির মাধ্যমে যদি কোনো ভাবে উপকৃত হয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই সকল বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন।