চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা – ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
চিয়া সিড পুষ্টিকর খাবার তাই এতে আছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে প্রায় ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালংশাক এর চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন ও কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম আবার, মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, ও স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩।
- এর মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোর মরুভূমি অঞ্চলে চিয়া নামে একটা ধরনের গাছ জন্মায়।
- ও পুদিনা পরিবারের ছোট এই গাছটির বীজ হলো চিয়া সিড।
- সাদা, কালো এবং বাদামি রঙের চিয়া সিডগুলো আকারে খুবই ছোট, অনেক তিলের মতো।
- পানি দিয়ে ভেজালে চিয়া সিড ফুলে উঠে ১২ গুণ পর্যন্ত বড় হতেও পারে।
- প্রাচীনকাল থেকেই এই চিয়া সিড মানুষের রসনা তৃপ্ত করে আসছে।
- অ্যাজটেক ও মায়ান সভ্যতার সময়ে চিয়া সিড খাবার প্রচলন ছিল বলেই আজ প্রমাণ পাওয়া যায়।
- আবার ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি চিয়া সিড রূপচর্চা করতে ব্যবহারও করা হতো।
- তাইএর অনেক ঔষধিগুণ আছে বলে বিশ্বাস করত অ্যাজটেক এবং মায়ান আদিবাসীরা।
- সেই কারণে সাধারণ অসুখে চিয়া সিড খাবার প্রচলনও ছিল তাদের মধ্যে।
- পুষ্টিবিদরা এই চিয়া সিডকে সুপারফুড নামে ডাকতে ভালোবাসেন।
কারণ এই চিয়াতে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ও আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ।
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
- বিশেষজ্ঞদের মতে যে , এর মধ্যে পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড আছে।
- এটি আলফা লিনোলিক অ্যাসিড, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ।
- আর আছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও উপাদান।
- এবীজ রোজ খেলে ওজন যেমন কমে যায় যেমন তেমনই শরীরকে রোগমুক্ত রাখে।
- এক আউন্স চিয়া বীজে ৪.৪ গ্রাম প্রায় প্রোটিন থাকে। তাই ডায়েটিং কালে অনেকে দুর্বল হয়ে যান।
- এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে চিয়া বীজ খেলে এনার্জির ঘাটতিও দূর হয়।
ওজন কমাতে গত কয়েক বছর বেশ জনপ্রিয়তা চিয়া বীজ। এ বীজ আসলে মেক্সিকান পুদিনা গ্রুপ অর্ন্তগত। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিয়ে থাকে । আবার শরীরের চাপ এবং প্রদাহ কমিয়ে দেয়।
এ মধ্যে কোয়েরসেটিন, ক্যাফেইন অ্যাসিড, কেমফেরল এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড থাকায় শরীর থেকে সকল প্রায় দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। একাধিক অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই চিয়া বীজ।
- ব্রেকফাস্টে দুধ ও দইয়ের সঙ্গে চিয়া সিডস খাওয়া যেতে পারে।
- ওটসের সঙ্গে খেতে পারেন এ প্রাকৃতিক উপাদান।
- আদা জলে চিয়া সিডস অনেক সময় ভিজিয়ে রেখে খাওয়া যেতে পারে।
- তবে চিয়া সিডস খেলে ওজন হুড়মুড়িয়ে কমে যাবে এমনটা কিন্তু নয়। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে তবে ফল পাবেন।
- যাদের গ্যাস অম্বলের সমস্যা আছে ,তারা একগ্লাস জল নিয়ে তাতে আদা থেঁতো ফুটিয়ে নিন।
- এবার ছেঁকে নিয়ে তার মধ্যে দু চামচ চিয়া সিডস ভিজিয়ে দিন। এরপর ৩০ মিনিট পর খেয়ে নিতে পারেন।
- এই স্মুদিতে দিয়েও খেতে পারেন আবার তাতেও উপকার পাবেন।
চিয়া সিড এর উপকারিতা
সুপারফুড চিয়া সীড এর ১৩ টি উপকারিতা:
১। চিয়া বীজ ওজন কমাতেও সহায়তা করে।
২। চিয়া সীড রোগ প্রতিরোধ ও ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে
৩।এটা শক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে
৪। চিয়া সিড ব্লাড সুগার (রক্তের চিনি) স্বাভাবিক রাখে , যার ফলে ডায়াবেটিস ঝুঁকি কমায়
৫। চিয়া বীজ হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা বিশেষ উপকারি
৬। চিয়া সিড মলাশয় (colon) পরিষ্কার রাখে এর ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
৭। চিয়া সিড শরীর থেকে টক্সিন (বিষাক্ত পদার্থ) নানা ভাবে বের করে দেয়
৮। চিয়া সীড প্রদাহজনিত ও সমস্যা দূর করে
৯। চিয়া সীড ভাল ঘুম হতেও সাহায্য করে
১০। চিয়া বীজ ক্যান্সার ও রোধ করে
১১। চিয়া সিড হজমেও সহায়তা করে
১২। চিয়া বীজ হাঁটু এবং জয়েন্টের ব্যথা দূর করে
১৩। চিয়া সিড ত্বক, চুল এবং নখ সুন্দর রাখে
মূলকথা:
চিয়া সিডে উচ্চমাত্রার ফাইবার ও প্রোটিন থাকায় যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
তাই প্রতি ২৮ গ্রাম চিয়া সিডে ১০ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে, তা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যচাহিদার প্রায় ৩৫%।
চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা
পৃথিবীর পুষ্টি খাবারগুলো মধ্যে চিয়া সিড অন্যতম। প্রাচীন অ্যাজটেক জাতি সোনার চেয়েও মূল্যবান মনে করতো।
উপকারিতা
১. চিয়া সিড রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক আরও শক্তিশালী করে।
২. চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩ হৃদরোগের ঝুঁকি এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে থাকে ।
৩. বিশেষজ্ঞদের মতে মুরগি এর ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি উচ্চমাত্রার প্রোটিন আছে চিয়া সিডে, সেটা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং উপকারী।
৪. দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও পাওয়া যায় চিয়া সিডে। টা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা এবং মজবুত করে তুলতেও বিশেষ উপকারী।
৫. গবেষকদের দাবি, চিয়া সিডে এমন স্যালমন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড । সেটা হৃদরোগের ঝুঁকি এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে থাকে ।
৬.এই চিয়া সিড ব্লাড সুগার (রক্তের চিনি) স্বাভাবিক রাখে, তা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায় থাকে ।
অপকারিতা
প্রতিটি খাবারের উপকারিতার পাশাপাশি ও বিপরীত অপকারিতা থাকে কিছুনা কিছু। তেমন চিয়া সিডের এবং কিছু অপকারিতা রয়েছে।
১. কয়েকজন বিজ্ঞানীর দ্বারা এই পরিচালিত পরীক্ষায় দেখা গেছে , চিয়া সিড প্রোটেস্ট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই এটি সীমিত পরিমাণ ব্যবহার করা উচিত।
মূলকথা :
অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে নানা ভাবে ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে।
চিয়া সিড দেহের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ও রক্তচাপ কমায়। এই জন্যে অতিরিক্ত চিয়া সিড সেবনে রক্তচাপ বেশি কম এ যাওয়ান সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুন: গণশিক্ষা কি গণশিক্ষার উদ্দেশ্য লক্ষ্য ও প্রয়োজনীয়তা
চিয়া সিড এর উপকারিতা কি
চিয়া সিড পুষ্টিকর ও খাবার: কারণ এতে আছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, ও পালংশাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, স্যামন মাছের চেয়ে ও ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩। মধ্য আমেরিকা এবং মেক্সিকোর মরুভূমি অঞ্চলে চিয়া নামে এ ধরনের গাছ জন্মায়।
তাই পুদিনা পরিবারের ছোট এই গাছটির বীজ হলো চিয়া সিড। সাদা, কালো এবং বাদামি রঙের চিয়া সিডগুলো আকার এ খুবই ছোট, অনেকটা তিলের মতো।পানিতে ভেজালে চিয়া সিড ফুলে ও উঠে ১২ গুণ পর্যন্ত বড় ও হতে পারে।
- চিয়া সিড স্বাদ এবং গন্ধবিহীন একটি খাবার।
- আসলে এটা খাওয়ার জন্য রান্না করার দরকার হয় না।
- তাই পানিতে ভিজিয়ে খুব সহজেই খাওয়া যায় চিয়া সিড।
- তাই চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুথি ইত্যাদি এর সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নেয়া যায়।
এছাড়া কেউ চাইলে আবার টকদই, সিরিয়াল, আবার রান্না করা সবজি অথবা সালাদের ওপরে ছড়িয়েও খেতে পারেন।
চিয়া সিড কুসুম গরম পানিতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে বা রাতে ঘুমানোর আগে চিয়া সিডসহ পানীয়টি ও পান করুন।
প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় চিয়া সিড নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। তাই মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করার মাধ্যমে ওজন কমাতে সহায়তা করে। তাই রক্তে চিনির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে বলে ডায়বেটিস এর ঝুঁকি কমে।
হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় এই চিয়া সিড দারুণ কাজ করে। কারণ এটাতে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। এই চিয়া সিড কোলন পরিষ্কার রাখতে কাজ করে বলে ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
চিয়া সিড শরীর থেকে অনেক বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনে। আবার দূর করে অ্যাসিডিটির সমস্যা।
চিয়া সিড এর কাজ কি
স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট এর তালিকায় যোগ হয়েছে নতুন নাম এই চিয়া সিডস। বিশেষত এই ওজন কমাতে গত কয়েক বছর ডায়েট মহলে টা বেশ জনপ্রিয় এ খাবারটি।
আমেরিকান এই সোসাইটি ফর নিউট্রিশন অনুসারে, এমন চিয়া বীজ গুলি অদ্রবণীয় নানা ভাবে ফাইবার সরবরাহ করে সেটা একজন ব্যক্তিকে দীর্ঘসময় পর্যন্ত অনেক পরিপূর্ণ রাখতে সহায়তা করে,যার ফলে খিদে কম পায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কিন্তু ওজন কমানো ছাড়া হরেক রকম উপকারিতা প্রদান করে এই চিয়া বীজ। তাই তবে সর্বাধিক উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক সময় জল ভিজিয়ে খেতে হবে চিয়ার বীজ।
আবার ‘সালিভা হিসপানিকা’ নামক উদ্ভিদ থেকে পাওয়া এ বীজ খেলে কী-কী উপকারিতা পাওয়া যায়, তা দেখে নিন এক ঝলকে।এই চিয়া বীজে ‘ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড’ নামক ১ প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
এ উপাদানটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ও সহায়ক। এর জন্য চিয়া বীজ এর স্মুদি বানিয়ে আপনি খেতে পারেন। এতে উপকারও মিলবে।
- চিয়া বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে ।
- এই মধ্যে একটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হলো আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড।
- এ উপাদানটি হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে থাকে।
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর ও করতে সাহায্য করে।
- তাই জলে ভিজিয়ে চিয়া বীজ খেলে শরীর এর জলের ঘাটতি পূরণ হবে আবার ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে।
- এবং এর পাশাপাশি চিয়া বীজ রূপচর্চায় ব্যবহার করলে এবং ত্বকের জেল্লা ও বাড়বে।
চিয়া সিড এর গাছ
চিয়া একটি উষ্ণ-জলবায়ু বার্ষিক ভেষজ যা মেক্সিকো ও গুয়াতেমালা আদিবাসী।
এই নামটি একটি মায়ান শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ “শক্তি” ও একটি অ্যাজটেক শব্দ যার অর্থ “তৈলাক্ত”।
তাই এর বোটানিকাল নাম, সালভিয়া হিস্পানিকা, এটিকে বোঝায়।
Lamiaceae , বা পুদিনা, পরিবার এর বৃহত্তম প্রজাতি হল সালভিয়া।
আবার অনেক পুদিনা গাছের মতো, এই প্রকারগুলি তাদের দৃঢ় বৃদ্ধি ও কিছু ক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক বিস্তার এর জন্য পরিচিত।
তাই একবার প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে, এই চিয়া গাছগুলির খুব কম যত্নের প্রয়োজন হয়।
তাই ফুলগুলি স্পাইকের উপর তৈরি হয় তাই ডালপালাগুলি গমের অনুরূপ যা পাঁচ ফুট উচ্চতায় তাই পৌঁছাতে পারে।
আবার বসন্তের শেষ থেকে গ্রীষ্মের প্রথম দিকে ফুটে থাকা ক্ষুদ্র, ঘণ্টা-আকৃতির, এবং বেগুনি-নীল ফুলগুলি নান্দনিকভাবে আনন্দদায়ক।
যদি এই উদ্ভিদটির কিছু শোভাময় মূল্য রয়েছে, তাই তবে চিয়ার প্রকৃত তারকা গুণটি এর বীজের মধ্যে ও রয়েছে ।
চিয়া বীজ সালভিয়া হিসপানিকা ভোজ্য বীজ যা পুদিনা পরিবার এর ( লামিয়াসেই ) মধ্য এবং দক্ষিণ মেক্সিকো, অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সম্পর্কিত সালভিয়া কলম্বিয়ারিয়া ফুলের একটি উদ্ভিদ।
চিয়া বীজ ডিম্বাকৃতি ও ধূসর বর্ণের সাথে কালো ও সাদা দাগযুক্ত আবার ব্যাস প্রায় ২ মিলিমিটার (০.০৮ ইঞ্চি)
- চিয়া সিড এর দাম | চিয়া সিড এর দাম কত
- ইন্টারনেটে অনেকে চিয়া সিড এর দাম কত খুজে থাকে।
- আবার এটি মূলত স্থান ভেদে মূল্যের তারতম হয়ে ও থাকে।
- কোথাও কোথাও এই পণ্যটি এর দাম অনেক কম আবার কোথাও কোথাও এ পণ্যটির দাম অনেক বেশি।
- তাই সবচাইতে ভালো হয় আপনি আপনার নিজস্ব এলাকায় এ পণ্যের দাম সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া।
- আবার অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে আমরা এই চিয়া সিড দাম কেমন তার একটি ধারণা ও পেয়েছি।
অনলাইন যেহেতু লোকাল মার্কেট এর পণ্যের দাম এর চেয়ে মোটামুটি বেশি হয়ে থাকে, তাই এক্ষেত্রে প্রতি কেজি এই চিয়া সিড দাম কোয়ালিটি অনুযায়ী ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকা ও পর্যন্ত হতে পারে।
অর্থাৎ প্রায় ১ কেজি চিয়া সিড এর দাম ১০০০ টাকা থেকে প্রায় ২৫০০ টাকা পর্যন্ত।
তাই অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে আপনি প্রায় ৫০০ গ্রাম বা ১০০০ গ্রাম আকার আপনার ইচ্ছামতো এই চিয়া সিড ক্রয় করতে পারবেন।
১ গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ এই চিয়া সিড প্রায় ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে খালি পেটে খেলে শরীর এর উপকার হয়।
আবার এইভাবে সারাদিনে প্রতি কাপের চায়ের সাথে মিশিয়ে ও খাওয়া যায়।
আবার সকালে এবং রাতে পানি ও লেবুর রসের সাথে চিয়া সিড খেলে পেট এর উপরকার হয়।
এই চিয়া সিডস’এর মূল্য : দামঃ প্রতি কেজি প্রায় ২,৮০০/- টাকা হতে পারে।
চিয়া সিড এর বাংলা নাম
চিয়া বীজের জন্ম সুদূর এই মেক্সিকোতে। স্থানীয় “Salvia hispanica” নামক প্রজাতির গাছে বীজ এটি, তাই কোনও বাংলা নাম নেই, ও এটি চিয়া বীজ নামেই প্রচলিত।
আবার ছোট, সাদা, ধূসর, বাদামী ও কালো রঙের এ বীজটি পুষ্টিগুণে ভরপুর ও এর অনেক উপকারিতা আছে।
চিয়া বীজ সালভিয়া হিসপানিকা ভোজ্য বীজ সেটা পুদিনা পরিবারের ( লামিয়াসেই ) মধ্য এবং দক্ষিণ মেক্সিকো, অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র আবার মেক্সিকো সম্পর্কিত সালভিয়া কলম্বিয়ারিয়া ফুলের একটি উদ্ভিদ।
এই চিয়া বীজ ডিম্বাকৃতি ও ধূসর বর্ণের সাথে কালো ও সাদা দাগযুক্ত এবং ব্যাস প্রায় ২ মিলিমিটার (০.০৮ইঞ্চি)।
সাধারণত পুষ্টিগুণ ঠাসা উদ্ভিজ্জ খাদ্য বস্তু ও যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্য এর জন্য খুবই উপযোগী, তাই তাদের বলা হয় সুপার ফুড ।
প্রাচীনকালে এর ইতিহাসে চিয়া সিড প্রধান খাদ্য নানা ভাবে হিসাবে জায়গা পেলে খুব অল্প কিছুদিন হল এই চিয়া সিড আধুনিককাল এর ‘সুপার ফুড’ পরিচিতি পেয়েছে। আবার গত কয়েক বছরে এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে। তাই এখন সারা পৃথিবীরই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা এটা খেয়ে থাকেন ।
সালভিয়া কলম্বারিয়ার বীজগুলি খাবারের ও জন্য ব্যবহৃত হয়।
আবার একবিংশ শতাব্দীতে, চিয়া মেক্সিকো ও গুয়াতেমালা পাশাপাশি বলিভিয়া, আর্জেন্টিনা ।
ইকুয়েডর, নিকারাগুয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদিত হয় ও খাওয়া হয়।
চিয়া সিড এর শরবত
এই শরবত তৈরি করে খেলে ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর রাখে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ ইসবগুলের ভুষি রয়েছে নানা ধরনের রোগ ও প্রতিরোধী গুণ।
এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণটি হল এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রতিরোধ দারুণভাবে কাজ করে।
এতে করে উপস্থিত অদ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীর মল নরম করে দেয় ফলে অনেক সহজেই ইলিমিনেশন সম্ভব হয়।
আর আপনি যদি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ২ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি ও ১ গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করে থাকেন তবে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
আর হ্যাঁ, দীর্ঘদিন যাবত কেউ যদি এ রোগটি পুষে রাখেন তাহলে কোলন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা ও থাকে।
আবার রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে এই ভূষি খেলে আমাদের অন্ত্রে এক ধরনের স্তর তৈরি হয় যা কোলেস্টেরল শোষণ বাধা দান করে।
যার ফলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
হৃদরোগীদের জন্য দারুণ একটি খাবার এটি।
আবার ডায়রিয়া প্রতিরোধে অনেকেই ডায়রিয়ায় ভুগে থাকেন মাঝেমধ্যে।
আবার তাদের জন্য দারুণ একটি টনিক হলো ইসবগুলের ভুষি , দই।
এ দুটি একসাথে মিশিয় এ খেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাবেন সহজে। আবার ওজন কমাতে সাহায্য করে এতে ফাইবার উপস্থিত থাকায় হজম প্রক্রিয়া অনেক ধীরগতি হয় তাই ক্ষুধা লাগে অনেক কম।
আবার এটি খেলে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ইসবগুলে ভূষিতে রয়েছে জিলা নামক একটি উপাদান যা দেহ গ্লুকোজের শোষণ এবং ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে থাকে ।
যার ফলে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এই ভুষি খুব উপযুক্ত।
এই অ্যাসিডিটি কমাতে ভুষিতে উপস্থিত ফাইবার পাকস্থলীতে এটি স্তর তৈরি করে আমাদেরকে অ্যাসিডিটি হাত রক্ষা করে।
এছাড়া হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এই ভুষি। এই হালিমদানা কাশি ও হাঁপানির প্রতিকার: কাশি ও গলা ব্যথার চিকিৎসায় এই শাহী দানা চিবান।
এটি সক্রিয় যৌগে উপস্থিতি ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে বলে ক্রেস বীজ খেয়ে অ্যাজমার লক্ষণগুলি হ্রাস করা পারে।
প্রোটিন ভর্তি: হালিম বীজ অথবা শাহী দানা বীজ প্রোটিনের এটি চমৎকার উৎস তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। খালি পেট এক গ্লাস পানির সাথে মিশ্রিত টেবিল চামচ যারা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চেষ্টা করছেন তাই তাদের জন্য খুবই উপকারী।
এই সিড খাওয়ার নিয়ম বিষয় পুষ্টিবিদ সৈয়দা শিরিনা স্মৃতি জানান যে, দ্রুত ওজন কমাতে খালি পেটে সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস পানির মধ্যে ২ চা চামচ চিয়া সিড এবং ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
খাওয়ার প্রায় ৩০ মিনিট আগে পানিতে সাধারণ তাপমাত্রা তে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
চিয়া সিড কিভাবে খেতে হয়
চিয়া সিড স্বাদ এবং গন্ধবিহীন এটি খাবার। এটা খাবার খাওয়ার জন্য রান্না করার কোনো দরকার হয় না।
তাই পানিতে ভিজিয়ে সহজেই খাওয়া যায় এই চিয়া সিড। চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুথি ইত্যাদি সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নেয়া যায়। এছাড়া কেউ চাইলে নানা ভাবে টকদই, সিরিয়াল, রান্না করা সবজি অথবা সালাদের ওপরে ছড়িয়ে খেতে পারেন।
এই চিয়া সিড কুসুম গরম পানিতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
এই সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে চিয়া সিডসহ পানীয় পান করুন।
এই ফ্রুট সালাদের সঙ্গে খাওয়া যায় সেই চিয়া সিড।
আবার চাইলে স্মুথি বানিয়ে খাওয়া যায়।তাই টক দই, চিয়া সিড ও শসা দিয়ে স্মুথি বানিয়ে বিকেল নাশতা হিসেবে খাওয়া যেতে পারে সুপারফুড।
এই ২ কাপ নারকেলের পানির সঙ্গে পছন্দের ফলের রস এর সঙ্গে ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ এই চিয়া বীজ দিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে নিন।এই প্রয়োজনে পানি যোগ করতে পারেন।প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে খেয়ে নিন।
পুষ্টিবিদরা জানান,এই চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করতে কাজ করে। প্রায় দিনে দুই চা চামচ চিয়া সিড শরীরের শক্তি দেয় ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
প্রায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এই চিয়া সিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।তাই মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করার মাধ্যমে ওজন কমাতে সহায়তা করে।রক্তে চিনির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে বলে ডায়বেটিস এর ঝুঁকি কমে। হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় চিয়া সিড দারুণ ভাবে কাজ করে।
কারণ এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। এই চিয়া সিড কোলন পরিষ্কার রাখতে কাজ করে বলে কোলন ক্যানসার এর ঝুঁকি কমে।
আরো পড়ুন: প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ক্ষুধা সীমিত করে তুলেছে
চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা
অপকারিতা: প্রতিটি খাবার এর উপকারিতা এর পাশাপাশি বিপরীত অপকারিতাও থাকে কিছুনা কিছু। তাই তেমনই চিয়া সিডের এবং কিছু অপকারিতা রয়েছে।
১. কয়েকজন ও বিজ্ঞানী এর দ্বারা পরিচালিত পরীক্ষায় দেখা গেছে যে এই চিয়া সিড প্রোটেস্ট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। সুতরাং এটি একটি সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত।
২.এই চিয়া সিড বেশি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। কারণ এই চিয়া বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। আবার তাই অল্প পরিমাণে এই চিয়া খাওয়া উচিত।আবার আর স্বাস্থ্য সমস্যা মনে হলে সাথেই এটি খাওয়া বন্ধ কড়া উচিত।
৩. তাই অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে ওজন অস্বাভাবিক ভাবে কমে যেতেও পারে।
৪. এই চিয়া সিড দেহের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ কমায়। তাই এই অতিরিক্ত চিয়া সিড সেবন ওই রক্তচাপ বেশি কমে যাওয়ান সম্ভাবনা থাকে ।
ওজন বাড়তে শুরু করলে মেদ শুধু শরীর জমে না যে , থুতনি এর নিচেও চর্বি জমতে থাকে।তাই থুতনির বাড়তি মেদ অনেকে কাছেই অস্বস্তি কারণ হয়ে ওঠে। এই ভরাট মুখ পছন্দ অনেকের।
আবার কারও তীক্ষ্ণ মুখ চাই ও মুখের বাড়তি মেদ অনেক সময় প্রসাধনী ব্যবহার করে অনেক খানিকটা আড়াল করা গেলে তা পুরোটা কোনো ভাবে সম্ভব নয়।
তাই মুখের বাড়তি মেদের কারণে কমবয়সে বয়স্ক দেখাতে পারে। তাই মুখের মেদ রাতারাতি ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব না ।
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
উপকারিতা: ১. চিয়া সিডস রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
২. এই চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩ হৃদরোগের ঝুঁকি এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে ।
৩. বিশেষজ্ঞদের মতে এই মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি উচ্চমাত্রার প্রোটিন আছে এই চিয়া সিডে, যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং উপকারী।
৪. দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও পাওয়া যায় চিয়া সিডে। যা হাড়ের ও স্বাস্থ্য রক্ষা এবং মজবুত করে তুলতে এই বিশেষ উপকারী।
৫. গবেষকদের দাবি,এই চিয়া সিডে এ স্যালমন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। সেটা হৃদরোগের ঝুঁকি এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
অপকারিতা: প্রতিটি খাবার এর উপকারিতার পাশাপাশি বিপরীত অপকারিতা এবং থাকে কিছুনা কিছু। তেমন চিয়া সিডের এবং কিছু অপকারিতা রয়েছে।
১.তাই কয়েকজন বিজ্ঞানীর দ্বারা পরিচালিত পরীক্ষায় দেখা গেছে যে এই চিয়া সিড প্রোটেস্ট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। সুতরাং এটি একটি সীমিত পরিমাণ ব্যবহার করা উচিত।
২. এই চিয়া সিড বেশি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। কারণ এতে চিয়া বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। তাই খুব অল্প পরিমাণে চিয়া খাওয়া উচিত।তাই স্বাস্থ্য সমস্যা মনে হলে সাথে সাথে এটি খাওয়া বন্ধ করা উচিত।
ধনুরাসনউপুড় হয়ে এমন ভাবেই শুয়ে পড়ুন। এর পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতটা সম্ভব পিঠ এর ওপর নিয়ে আসুন।
- এবার হাত দুটি পেছন নিয়ে গিয়ে গোড়ালি এর ওপর শক্ত করে চেপে ধরুন।
- প্রায় চেষ্টা করুন পা দুটি মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতো ।
- এ ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুকে হাঁটু এবং উরু উঠে আসবে।
- তাই তলপেট এবং পেট মেঝেতে রেখে ওপর এর দিকে তাকান।
- এ ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে প্রায় ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন।
- তারপর পূর্ব এর ভঙ্গিতে ফিরে যান এবং এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
খাওয়ার নিয়ম: চিয়া সিড এর নিজস্ব কোন স্বাদ না থাকায় এ সাধারণত সালাদ, কাস্টার্ড,এই স্মুদি যেকোন খাবারের সাথে নানা ভাবে মিশিয়ে খাওয়া যায়।তবে এইটা খাওয়ার আগে ৩০ মিনিট পানিতে ভিনিয়ে রাখলে ভালো উপকার ও পাওয়া যাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে যে, দ্রুত ওজন কমাতে খালি পেটে সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে প্রায় ১ গ্লাস পানির মধ্যে ২ চা চামচ চিয়া সিড ও ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে এমন ভাবেই খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
উপকারিতা:১. চিয়া সিডস এ আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
২. চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩ হৃদরোগ এর ঝুঁকি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে থাকে ।
৩. বিশেষজ্ঞদের মতে এই মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি উচ্চমাত্রার প্রোটিন আছে এই চিয়া সিডে,তা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং উপকারী।
৪. দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও পাওয়া যায় চিয়া সিডে। সেটা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা ও মজবুত করে তুলতে বিশেষ উপকারী।
৫. গবেষকদের দাবি, চিয়া সিডে এই রকমের স্যালমন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যেটা হৃদরোগের ঝুঁকি এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে থাকে ।
এই বর্তমান সময়ে মানুষ এর খাবার নিয়ে সচেতনতা অনেক। প্রতিদিন এর খাবারে কি কি পুষ্টিগুণ আছে যেটা আর কি কি খেলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং পুষ্টি পাওয়া যাবে তা নিয়ে সচেতন অনেক । আর তাই নিত্য নতুন খাবার এর মনোযোগ সবার।
ঠিক তেমন এক সুপারফুড এই চিয়া সিড। এমন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের খাবার এর তালিকায় এখন অনেক বেশ জনপ্রিয় ‘চিয়া সিড’।
চিয়া সিড খাওয়ার সময়
চিয়া সিড স্বাদ এবং গন্ধবিহীন একটি খাবার। এটা এই ভাবে খাওয়ার জন্য রান্না করার দরকার হয় না।
তাই পানিতে ভিজিয়ে সহজেই খাওয়া যায় চিয়া সিড। তাই চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুথি ইত্যাদি সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নেয়া যায়।
এই ছাড়া কেউ চাইলে তাই টকদই, সিরিয়াল, রান্না করা সবজি বা সালাদের ওপরে ছড়িয়েখেতে পারেন।
এই চিয়া সিড কুসুম গরম পানিতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
তাই সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে এই চিয়া সিডসহ পানীয়টি পান করুন।তাই ফ্রুট সালাদের সঙ্গে খাওয়া যায় এই চিয়া সিড।
চাইলে এমন স্মুথি বানিয়ে খাওয়া যায়। আবার টক দই, চিয়া সিড ও শসা দিয়ে স্মুথি বানিয়ে বিকেল নাশতা হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে সুপারফুড।
আবার ২ কাপ নারকেলের পানির সঙ্গে পছন্দ এর ফলের রসের সঙ্গে ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ চিয়া বীজ দিয়ে নানা ভাবে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। তাই প্রয়োজনে পানি যোগ করতে পারেন। প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে খেয়ে নিন।
চিয়া সিড ও পুষ্টিকর খাবার। তাই এতে আছে দুধ এর চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও কমলার চেয়ে প্রায় ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালং শাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন এবং কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি থাকে ওমেগা-৩।
তাই খাদ্য তালিকায় সপ্তাহে অন্তত প্রায় ৩-৪ দিন চিয়া সিড রাখতে পারেন।
আবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে এবং যারা ব্যায়াম করেন। তাই তারা ব্যায়ামের ১ ঘণ্টা পর চিয়া সিড খেতে পারেন তার যোগ করেন তিনি।
আরো পড়ুন: কারিগরি শিক্ষা কি এবং কাকে বলে
চিয়া সিডের উপকারিতা
চিয়া সীড এর উপারিতা: এতে আছে ওমেগা-৩, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি ক্ষতিকর এবং কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। শরীরের শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়
- প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এই চিয়া সিড রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করে
- মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করার এর মাধ্যমে এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে থাকে।
- ব্লাড সুগার (রক্তের চিনি) স্বাভাবিক রাখে রাখে, যা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
- এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা তাই হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ উপকারী ।
- কোলন পরিষ্কার রাখে যার ফলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে থাকে ।
- এটি শরীর থেকে টক্সিন (বিষাক্ত পদার্থ) নানা ভাবে বের করে দিতে সাহায্য করে থাকে।
- পেটের প্রদাহজনিত অথবা গ্যাসের সমস্যা দূর করে থাকে ।
- ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে থাকে।
- ক্যানসার রোধ করে থাকে।
- হজমে সহায়তা করে থাকে।
- হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করে থাকে।
- অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার-অ্যাকটিভিটিও ডিজঅর্ডার দূর করে থাকে।
- ত্বক, চুল এবং নখ সুন্দর রাখে থাকে ।
- এই চিয়ার যে নানা রকম পুষ্টিগুণ রয়েছে, সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
তাই যেহেতু চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে, তাই আবার পানিতে ভেজানো চিয়া খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত এমন ভাবেই পেট ভর্তি থাকে এবং বারবার খাওয়ার ও প্রবণতা কমে।
তাই তবে সরাসরি মেদ ঝরানোর সঙ্গে চিয়া সিড এর আদৌ কোনো যোগ আছে কি না, সেটার প্রমাণ না পাওয়া গেলে এই বীজ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হজম এর সমস্যা হয়, সে বিষয় নানা ভাবে নিশ্চিত চিকিৎসকরা ।
আশা করি ইতিমধ্যে আপনি চিয়া সিড কি ও এটি কেন খেতে হয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
তাই আজকের এ পোস্টে আমি চিয়া সিডের দাম কত তা জানানো এর চেষ্টা করেছি আশা করি তাই ইতিমধ্যে আপনি প্রায় ৫০০ গ্রাম থেকে শুরু করে।
প্রায় ১ কেজি চেয়ারের দাম কেমন সেটা জানতে পেরেছেন অথবা পোস্টে যদি ভালো লেগে থাকে।
তাই তাহলে সকলের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
চিয়া সিড খেলে কি উপকার পাওয়া যায়?
এতে আছে ওমেগা-৩, যা হৃদ্রোগ এর ঝুঁকি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে থাকে।
- শরীরের শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায় থাকে।
- প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় চিয়া সিড রোগ
- প্রতিরোধক্ষমতা আরও শক্তিশালী করে থাকে ।
- মেটাবলিক সিস্টেম উন্নত করার মাধ্যম এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে থাকে ।
- চিয়া সিড এর অপকারিতা কি?
- কিছু বিজ্ঞানী, চিয়া বীজ সম্পর্কে বলেছেন, তাঁর দ্বারা পরিচালিত পরীক্ষায় দেখা গেছে, এ বীজগুলি প্রোটেস্ট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারকে বাড়িয়ে তুলতে থাকে ।
- অথবা এটি সীমিত পরিমাণ ব্যবহার করা উচিত।
- চিয়া বীজ বেশি খাওয়া এর ফলে পেট এর সমস্যা হতে পারে।
- তাই কারণ চিয়া বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে।
চিয়া সিড খেলে কি ক্ষতি হয়?
চিয়াবীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার । অতিরিক্ত খেলে হজম এর সমস্য়া হতে পারে। তাই কারণ অতিরিক্ত ফাইবার হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ও ঘটায়।যার ফলে পেট ফুলে যায়,যে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খেলে কি হয়?
গর্ভাবস্থায় এটি একটি অত্যন্ত সহায়ক। তাই গর্ভবতী অবস্তায় কেন এই চিয়া বীজ খাওয়া প্রয়োজন, সেটা জেনে নেওয়া যাক।
এ বিশেষ বীজটি হজমশক্তি বাড়ায় ও পাকস্থলীর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
এই চিয়া বীজে লোহার আধিক্য থাকায় দেহ এর লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ও অ্যানিমিয়া থেকে রক্ষা করে থাকে ।
চিয়া সিড কি কোলেস্টেরল কমায়?
বিভিন্ন গবেষণার তথ্য়ের মাধ্যমে দাবি করা হয় নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে শরীরে কোলেস্টরল এর সমস্যা কমে। হাই ডেনসিটি কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়ায়, কমায় লো ডেনসি কোলেস্টেরল । এই কোলেস্টেরল এর জন্যে ক্ষতিকর বলে পরিচিত।তাই রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্যও করে এই বীজ ।
চিয়া বীজের নেতিবাচক প্রভাব ?
ওজন বেশি থাকলে ও একাধিক জটিল-কুটিল অসুখ পিছু ও নিতে পারে। তাই ওজন কমিয়ে নেওয়া এর পক্ষে বারবার সওয়াল করেন বিশেষজ্ঞরা। আর এমন কাজে আপনার হাতিয়ার হতে পারে এই চিয়া সিড। এ বীজের জাদুতেই মেদ এর ‘কাম তামাম’ হয় বলে প্রমাণিত হয়েছেও বিভিন্ন গবেষণায়।
চিয়া সিড কি ভাবে খেলে ওজন কমে?
এ সিড খাওয়ার নিয়ম বিষয়ে পুষ্টিবিদ সৈয়দা শিরিনা স্মৃতি জানান যে, দ্রুত ওজন কমাতে খালি পেটে সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস পানির মধ্যে ২ চা চামচ চিয়া সিড এবং ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়াও যাবে। খাওয়ার প্রায় ৩০ মিনিট আগে পানিতে সাধারণ তাপমাত্রা তে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
চিয়া সিড টা কি?
এই চিয়া সীড সব ধরণের আবহাওয়ায় হতে পারে এবং এতে পোকামাকড় এর আক্রমণ তেমন হয় না। এই চিয়া বীজ সাদা এবং কালো রং এবং তিলের মত ছোট সাইজেও হয়। এখানে নানা ভাবে উল্লেখ্য যে চিয়া সীড ও তোকমা নিয়ে একটি সীমিত ভুল ধারণা আছে। অনেকে তোকমাকে ভুল করে চিয়া সীড মনে করেন।এই চিয়া সীড তোকমার চেয়ে সাইজ এর ছোট, তোকমার ইংরেজি ও নাম ব্যাসিল সীড ।
চিয়া সিড এর অপকারিতা কি?
কিছু বিজ্ঞানী, চিয়া বীজ সম্পর্কে বলেছেন তাঁর দ্বারা পরিচালিত পরীক্ষায় দেখা গেছে এর বীজগুলি প্রোটেস্ট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করাও উচিত।চিয়া বীজ বেশি খাওয়ার ফলে এই পেটের সমস্যা হতে পারে। কারণ এই চিয়া বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে।
চিয়া সিড খেলে কি উপকার হয়?
চিয়া সিডস এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে থাকে ।চিয়া সিডে থাকা এই ওমেগা-৩ হৃদরোগের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
১০০ গ্রাম চিয়া সিডে কত ক্যালরি?
সেখানে খাদ্যশক্তি আছে ১৩৮ ক্যালরি। তবে আবার ওজন কমানোর সহায়ক খাবার হিসেবে এই চিয়া সিডের জনপ্রিয়তা বাড়লে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলার মত এই বৈজ্ঞানিক গবেষণা এখন নাই।
চিয়া সিড এর বাংলা নাম কি?
সালভিয়া কলম্বারিয়ার বীজগুলি খাবার এর জন্য ব্যবহৃত হয়। একবিংশ শতাব্দীতে, চিয়া মেক্সিকো ও গুয়াতেমালা পাশাপাশি বলিভিয়া, আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়ে থাকে এবং খাওয়া হয়।
চিয়া সিড ১ কেজি দাম কত?
প্রতি কেজি চিয়া সিড এর দাম কোয়ালিটি অনুযায়ী প্রায় ১ হাজার টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত ও হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কি