শিক্ষাসাধারণ জ্ঞান

চন্দ্র গ্রহণ কাকে বলে? সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ কিভাবে হয়

চন্দ্র গ্রহণ কাকে বলে: সৌরজগতে অসংখ্য গ্রহ উপগ্রহ এবং নক্ষত্র বিদ্যমান। সৌরজগতের শ্বশুর যে সবচেয়ে কাছে বিভিন্ন নক্ষত্র অবস্থান করলেও অথবা গ্রহ অবস্থান করলেও পৃথিবী ও রয়েছে।

এক্ষেত্রে পৃথিবীর মানুষকে বসবাস করার জন্য চাঁদ সূর্য ও পৃথিবী এই তিনটি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। চাঁদ সূর্য পৃথিবীর ক্রমান্বয়ে অনবরত গতি থাকে এবং যার মাধ্যমে একটি আবর্তন ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। 

তবে এদের আবর্তন ক্রিয়া যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে অথবা গ্রহনের ক্ষেত্রে চন্দ্রগ্রহণ দেখা দিতে পারে। এজন্য উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে চন্দ্র গ্রহণ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি। 

পৃথিবীকে সুন্দর ও সাবলীল ভাবে টিকিয়ে রাখার জন্য চাঁদ এবং সূর্য অনবদ্ধভাবে ঘুরছে পাশাপাশি পৃথিবী ও ঘুরছে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি সময়ে চাঁদ সূর্য এবং পৃথিবী একটি রেখায় যদি চলে আসবে তখন সে ক্ষেত্রে চন্দ্রগ্রহণ ঘটতে পারে।

এজন্য চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য। পাশাপাশি একটি চন্দ্রগ্রহণ কিভাবে ঘটে তা সম্পর্কে যথাযথভাবে জানার মাধ্যমে চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। 

চন্দ্রগ্রহণ কি?

যখন একটি নির্দিষ্ট সময়ে চাঁদ পৃথিবী এবং সূর্য একই সরলরেখার অবস্থান করে এবং পৃথিবীর চাঁদের সামনে চলে আসে এবং সূর্যের আলো অপেক্ষা করে চাঁদের আলো পৃথিবীতে আসতে পারে না তখন সে পরিস্থিতিকে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। 

এক্ষেত্রে পৃথিবী সূর্যকে আংশিক দেখে নিলে পৃথিবীর জন্য চাঁদকে আংশিক দেখা যায় তবে পুরোপুরি ভাবে যদি দেখে নেয় তাহলে চাঁদকে দেখা যায় না এবং এ আংশিক বা পুরোপুরিভাবে ডেকে নেয়ার পদ্ধতি হলো চন্দ্রগ্রহণ। 

চন্দ্র গ্রহণ কাকে বলে?

পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্য যখন একই সরলরেখায় চলে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারে না, তখন চাঁদকে কিছু সময়ের জন্য দেখতে পাওয়া যায় না।

অর্থাৎ পৃথিবীর পৃষ্ঠে কোন দর্শকের কাছে চাঁদ আংশিকভাবে অথবা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য থাকে না বা অদৃশ্য হয়ে যায়। চাঁদের এ পরিস্থিতিকে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। 

অর্থাৎ নির্দিষ্ট সরলরেখায় যখন চাঁদ, পৃথিবী এবং সূর্য চলে আসে তখন সূর্যের আলো পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে পৌছাতে পারে না ফলে চাঁদকে আংশিক সময়ের জন্য অদৃষ্ট হয়ে যায় বা দেখতে পাওয়া যায় না এবং এ পরিস্থিতিকে চন্দ্রগ্রহণ বলে। 

চন্দ্রগ্রহণ কেন হয়

একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর পৃথিবীর চাঁদ এবং সূর্য যখন একটি নির্দিষ্ট রেখায় অবস্থান করে, তখন চাঁদের উপরে পৃথিবীর ছায়ার আকার বেশ বড় হলে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় কাল বলা হয় বা বড় হয়। এক্ষেত্রে এক সময় পৃথিবীর একটি বড় অংশ থেকে দেখা যায় যা পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ নামে পরিচিত। 

অবস্থান হওয়ার কারণে চাঁদকে সূর্যের সামনে পৃথিবী চলে আসার কারণে সূর্যের আলো পৃথিবীর ছায়ার কারণে চাঁদকে ঘিরে ফেলে এবং চাঁদকে খানিক সময়ের জন্য স্পষ্টভাবে দেখা যায় না এমনকি পৃথিবীর ছায়া বড় আকার ধারণ করলে পুরো পুরোপুরি ভাবে দেখা যায় না। এবং উক্ত কারণে চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে। 

তাছাড়া পৃথিবীর অনেক অঞ্চল রয়েছে যেগুলোতে এ সময় রাত থাকে সে ক্ষেত্রে সেসব অঞ্চল থেকে এ গ্রহণ দেখা যায়। চন্দ্রগ্রহণ কয়েক ঘন্টা বা তার বেশি সময় হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে ২০২১ সালের ১৯ শে নভেম্বর ছিল একটি বিশেষ দিন। কারণ এই দিনে প্রায় ৬০০ বছরের দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল।  ফলে সেখানে দীর্ঘ ছয় ঘন্টা এ চন্দ্রগ্রহণ স্থায়িত্ব ছিল। 

চাঁদ পৃথিবী থেকে ক্রমে দূরে সরে যাচ্ছিল এবং এর দূরত্ব যত বাড়তে থাকবে তাদের ছায়া ও তার আকার ও তত  ছোট হতে থাকবে। 

এছাড়াও ধারণা করা যায় যে আজ থেকে প্রায় একশ কোটি কোটি বছর পরে এ পৃথিবীতে হয়তো কোন গ্রহ নিয়ে দেখা যাবে না।

চন্দ্র গ্রহণ কাকে বলে

সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ কিভাবে হয়

একটি মহাকাশে বস্তু দেখার সময় যদি অপর একটি বস্তু মহাকাশেও আড়ালে চলে যায় তখন এ অবস্থাকে গ্রহণ সংঘটিত হয়।  পরে এ ধরনের ঘটনা ঘটার জন্য একটি মহাকাশে বস্তুর সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে আড়ালে চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া ঘটে থাকে।

মহাকাশে ও এরকম বস্তু সম্পূর্ণভাবে অপর মহাকাশের বস্তুর আড়ালে চলে গেলে এমন কি তৃতীয় মহাকাশে বস্তু থেকে তাকে পুনর্গ্রাস বলা যায়।

এভাবেই যদি মহাকাশী ও অন্যান্য বস্তু আংশিকভাবে আড়ালে চলে যায় তখন তাকে আংশিক গ্রাস অথবা খন্ডগ্রাস ও বলা যেতে পারে। এভাবে গ্রহণের উপর ভিত্তি করে সাধারণ মানুষের কাছে দুইটি পরিচিত গ্রহণ রয়েছে যেগুলো হল সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ। 

সৌরজগতে সূর্যকে ঘিরে যে আবর্তিত পৃথিবীর রয়েছে আবার পৃথিবী কেউ ঘিরে আবর্তিত রয়েছে চন্দ্র। তারা ক্রমান্বয়ে আবর্তনের সাথে চলার সময় কখনো কখনো পৃথিবী সূর্য এবং চন্দ্র একটি নির্দিষ্ট রেখায় অবস্থান করতে দেখা যায়। ফলে তখন চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণের সৃষ্টি হয়। 

এক্ষেত্রে কখনো যদি, পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্য যখন একই সরলরেখায় চলে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারে না, তখন চাঁদকে কিছু সময়ের জন্য দেখতে পাওয়া যায় না। তখন তাকে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। 

তবে কখনো যদি পৃথিবী চাঁদ এবং সূর্য একটি নির্দিষ্ট সরলরেখায় আসি এবং পৃথিবীর ছাড়ার জন্য সূর্যের আলো সম্পূর্ণরূপে দেখতে পাওয়া না যায় অথবা আংশিকভাবে সূর্যের আলো দেখতে না পাওয়া যায় তখন সেখানে আধারের মতো একটি অংশ লক্ষণীয় হয় এবং তাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। 

চন্দ্রগ্রহণ এর মানে কি?

পৃথিবীপৃষ্ঠে যে সকল দর্শকের কাছে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃষ্ট হয়ে যায় সংক্ষেপে একে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। 

অর্থাৎ যখন একটি নির্দিষ্ট সময়ে চাঁদ পৃথিবী এবং সূর্য একই সরলরেখার অবস্থান করে এবং পৃথিবীর চাঁদের সামনে চলে আসে এবং সূর্যের আলো অপেক্ষা করে চাঁদের আলো পৃথিবীতে আসতে পারে না তখন সে পরিস্থিতিকে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। 

এক্ষেত্রে পৃথিবী সূর্যকে আংশিক দেখে নিলে পৃথিবীর জন্য চাঁদকে আংশিক দেখা যায় তবে পুরোপুরি ভাবে যদি দেখে নেয় তাহলে চাঁদকে দেখা যায় না এবং এ আংশিক বা পুরোপুরিভাবে ডেকে নেয়ার পদ্ধতি হলো চন্দ্রগ্রহণ। 

উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করি,,

 আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে আপনি চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কিত যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button