গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা ও ডায়েট চার্ট
গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা: আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো, যারা গর্ভবতী তাদের জানার অনেক আগ্রহ থাকে সব কিছু বিস্তারত ভাবে জানার, সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে থাকুন।
গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা দেখে নিন
গর্ভধারণের ৩ মাসের পর খাওয়া দাওয়ার পরিমাণ আগের চেয়ে বেশি বাড়াতে হয়। একজন স্বাভাবিক ভাবে ওজনের ৪ মাস থেকে ৬ মাসের গর্ভবতীর তিন মাসের চেয়ে প্রতিদিন ৩৪০ ক্যালরি পরিমাণ অতিরিক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন হয়ে থাকে।
অন্যদিকে একজন স্বাভাবিক ওজনের ৭ মাস থেকে ৯ মাসের গর্ভবতী হওয়ার আগের সময়ের তুলনায় অতিরিক্ত প্রায় ৪৫০ ক্যালরির খাবার খেতে হবে।
কিন্তু আপনার ওজন বেশি হয় আরেকটু কম পরিমাণে অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে। এমন বিষয়ে আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে বিস্তারিত পরামর্শ নিতে হবে।
অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা ঠিক রাখতে প্রতিদিন প্রায় ৩ বেলার খাওয়ার পাশাপাশি দিনে আরও প্রায় কম পক্ষে ২ বার হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
খাবারটি যেমন একটি ফল, ৫–৬টি বাদাম অথবা আধা কাপ টক দই। এ ছাড়াও ক্ষুধা লাগলে যেকোনো সময়েই পরিমিত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ বোঝা যায় কত দিন পর
গর্ভাবস্থায় প্রথম যে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি দেখা যায়, পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া। এছাড়া কারো কারো ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ উপস্থিত থাকতে পারে। যেমন হলো:
১.যোনিপথ দিয়ে হালকা রক্তপাত
২.মাথা ঘুরানো
৩.চাপ দিলে স্তনে ব্যথা অনুভব করা
৪.বমি বমি লাগা
৫.ক্লান্তি অনুভব করা
৬.পেটে অস্বস্তি বা পেট ফাঁপা হয়েছে এমন মনে হওয়া
৭.সাদা স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া
৮.পিরিয়ড বা মাসিকের ব্যথার মতো তলপেটে মোচড় দিয়ে ব্যথা হওয়া
৯.ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসা
১০.প্রিয় কোনো খাবারে অরুচি বা নতুন কোনো খাবারের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা
১১.মুখে অদ্ভুত স্বাদ পাওয়া
১২.প্রখর ঘ্রাণশক্তি
কিন্তু এসব লক্ষণ থাকলেই যে আপনি গর্ভবতী সেইটা সুনিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। কেননা এমন লক্ষণ কারও কারও ক্ষেত্রে মাসিকের আগে হতে পারে। যেমন হলো: স্তনে ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং কোনো খাবারের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা।
আবার অনেকের ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর তেমন আর কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। এর ফলে গর্ভধারণের ব্যাপারটা আঁচ করতে দেরি হতে পারে।
আপনি গর্ভবতী কি না তা জানার সবচেয়ে নির্ভর পদ্ধতি হল প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা। প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের সাহায্যে খুব সহজে এখন ঘরে বসেই জেনে নিতে পারেন, আপনি গর্ভবতী কি না।
এই কিটগুলো ওষুধের দোকান অথবা ফার্মেসি থেকেই কিনতে পারবেন। নিকটস্থ কোনো ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল আবার গাইনী ডাক্তারের চেম্বারেও প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাতে পারেন।
প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ?
গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ:
নিয়মিত ঋতুচক্র হয় নারীদের জন্য ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যাওয়া গর্ভাবস্থার এটি প্রথম লক্ষণ।আপনি যদি গর্ভাবস্থায় রক্তস্রাব দেখতে পান, কিন্তু আপনার অবশ্যই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার
- গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে,,
- ক্লান্তি,
- বমি-বমি ভাব বা
- ঘন ঘন প্রস্রাব
এর মতো নিচের কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা পেটের কোন পাশে থাকে
সাধারণ লক্ষণ: গর্ভাবস্থার প্রথম সপ্তাহগুলোতে হরমোনের পরিবর্তনপুরো শরীরকে প্রভাবিত করবে। যদিও দুটি গর্ভাবস্থা কখনই একরকম হয়ে থাকে না, আবার প্রথম তিন মাস আপনি কিছু লক্ষণ অনুভব হতে পারে। লক্ষণগুলো নিম্নরূপ হলো:
১.স্তন নরম হয়ে যাওয়া
২.মেজাজে চরম পরিবর্তন হওয়া
৩.বমি-বমি ভাব বা বমি (প্রভাতকালীন অসুস্থতা)
৪.ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
৫.ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়া
৬.চরম ক্লান্তি বোধ হওয়া
৭.মাথাব্যথা করা
৮.বুকজ্বালা করা
৯.পায়ে খিল ধরা
১০.পিঠের নিচের অংশ এবং শ্রোণীতে ব্যথা হওয়া
১১.নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হওয়া
১২.নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি নতুন করে অপছন্দ তৈরি হওয়া
১৩.কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া
আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন, আপনি যদি এই পোস্টটির মাধ্যমে কোনো উপকার পেয়ে থাকেন তবে একটি শেয়ারের মাধ্যমে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন।