গনিত

গণিত কাকে বলে? ব্যবসায় গণিত কাকে বলে

গণিত কাকে বলে: গাণিতিক বিভিন্ন তথ্য সংজ্ঞা বা অংক সমূহ  জানার ক্ষেত্রে এবং আলোচনা করার ক্ষেত্রে গণিতকে ব্যবহার করা হয়।  গণিত হলো একটি বিষয় যে বিষয়ের মধ্যে গাণিতিক বিভিন্ন কার্যাবলী নিহিত থাকে। 

এজন্য গাণিতিক পরিমাপ বা গণিতিক তথ্য, উপাত্ত  সম্পর্কে যথাযথভাবে জানার ক্ষেত্রে গণিত সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

পাশাপাশি গণিত কাকে বলে এবং ব্যবসায়িক গণিত কাকে বলে ইত্যাদি সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এজন্য উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা গণিত কাকে বলে বা ব্যবসায়ী গণিত কাকে বলে সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি। 

বিজ্ঞানের জ্ঞান চর্চার বিভিন্ন শাখার মধ্যে গণিত হলো একটি অন্যতম শাখা। এছাড়াও গণিত শুধু শাখা নয় তা হলো জ্ঞান অর্জন বা জ্ঞানচর্চার অন্যতম বিষয়। গণিতের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সংখ্যাভিত্তিক আলোচনা, তথ্য, উপাত্ত ইত্যাদি। 

এজন্য গণিত সম্পর্কে যথাযথভাবে জানার জন্য এবং জ্ঞান অর্জন করার জন্য গণিত কাকে বলে, ব্যবসায় গণিত কাকে বলে এ সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য। 

গণিত কাকে বলে

বিজ্ঞানের যে শাখায় গঠন, পরিমাপ, পরিবর্তন এবং স্থান নিয়ে গবেষণা করা হয় বিজ্ঞানের সে  শাখা কে গণিত বলা হয় অর্থাৎ জ্ঞানের পরিধির যে ক্ষেত্রে সূত্র, সংখ্যা এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন আকার বা কাঠামো ইত্যাদির স্থান রয়েছে। এছাড়া পরিবর্তন, পরিমাপ অন্তর্ভুক্ত থাকে।

সে  শাখা বা পরিধি হলো গণিত। এর মধ্যে রয়েছে প্রধান উপশাখা সমূহ।  যা হলো পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি এবং বিশ্লেষণ সমূহ। 

অংক কাকে বলে

বিভিন্ন সংখ্যাকে প্রকাশ করার জন্য যে সকল প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাকে অংক বলে।

যেমন :- 

সাত এবং দশ কে প্রকাশ করার জন্য যথাক্রমে ৭,১০ প্রতীক  দুইটি ব্যবহার করা হয়েছে। 

এছাড়াও দশমিক পদ্ধতিতে যে সকল সংখ্যা ব্যবহার করা হয়েছে এগুলোকে অংক বলা হয়। যেমন:- 

 ০,, ১,, ২,, ৩,, ৪,, ৫,, ৬,, ৭,, ৮ ও ৯,,,,

গণিত কাকে বলে ব্যবসায় গণিত কাকে বলে
গণিত কাকে বলে ব্যবসায় গণিত কাকে বলে

ব্যবসায় গণিত কাকে বলে

গণিতের যে প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ এবং ব্যবসায়িক কার্যাবলি রেকর্ড করা এবং পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় তাকে ব্যবসায় গণিত বলা হয়।  এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী গণিতকে ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্যবসায়িক বিভিন্ন কার্যক্রম বিশ্লেষণ করা যায়।

অর্থাৎ গণিতকে যে প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করার মাধ্যমে বিক্রয় পূর্বাভাস, মার্কেটিং, আর্থিক  বিশ্লেষণ, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এবং অ্যাকাউন্টটি নিয়ে কাজ করা হয়ে থাকে তাকে ব্যবসায়ী গণিত বলা হয়। 

গণিত শিক্ষণ পদ্ধতি

যে পদ্ধতি প্রয়োগ করার মাধ্যমে গণিতের শিক্ষা অর্জন করা যায় তাকে গণিত শিক্ষন পদ্ধতি বলে। গণিত শিক্ষাদানের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলো হলো :- 

→বক্তৃতা,,,

→ প্রবর্তক,,,

→ডিডাক্টিভ,,,

→হিউরিস্টিক,,,

→ আবিষ্কার,,,

→ বিশ্লেষণাত্মক,,,

→সিন্থেটিক,,,

→সমস্যা সমাধান,,,

→ পরীক্ষাগার,,,

→প্রকল্প পদ্ধতি, ইত্যাদি। 

আরো পড়ুন: গণিতের জনক কে

এছাড়া গণিত  শিখনের আরো কিছু পদ্ধতি রয়েছে। তা হলো :-

→ গণিতের সাধারণ ধারণা সম্পর্কে জানা। 

→ গণিত পাঠদানের কৌশল এবং প্রক্রিয়া আয়ত্ত করা। 

→ মাধ্যমিক গণিত শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জানা। 

→ গণিতের  বিভিন্ন উপকরণ এবং উপকরণসমূহ সংরক্ষণ করা। 

→ গণিত শিখন চর্চার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করা। 

→ গণিতের বিভিন্ন বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা। 

→ গনিতে আইসিটির ব্যবহার এবং সহশিক্ষায় শিক্ষা নেওয়া।

→ গণিতের সহ পাঠক্রমে কার্যাবলি  সম্পর্কে শিক্ষা নেওয়া। 

উক্ত পোস্টের  মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে গণিত এবং ব্যবসায়িক গণিত সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করি, আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে গণিত এবং ব্যবসায় গণিত সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button