খাবার সোডার সংকেত কি? খাবার সোডা ও লেবুর রসের বিক্রিয়া
খাবার সোডার সংকেত কি: রাসায়নিক বিভিন্ন উপাদান বা মৌল গুলো সমন্বয়ে বিক্রিয়া ঘটানোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের যৌগ তৈরি করা যায়। এরকম একটি যৌগ হলো সোডিয়াম বাই কার্বনেট।
সোডিয়াম বাই কার্বনেট হল খাবার সোডা অথবা একে শুধু সোডা বলা হয়। আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সোডার ব্যবহার রয়েছে। তবু উক্ত পুষ্টির মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে খাবার সোডা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি।
রাসায়নিকভাবে বিভিন্ন মৌল অথবা মৌল থেকে যৌগ তৈরীর ক্ষেত্রে মৌল সময়ের বৃত্তির উপর নির্ভর করে যৌগের কার্যকারিতা রয়েছে। একইভাবে খাবার সোডার তৈরি করাতে বিভিন্ন ধরনের মৌলের প্রয়োজন রয়েছে।
মৌলভিত্তিকভাবে মৌলের আলাদা গুণবাচক হিসেবে তৈরি হয় এবং এটি খাবারের গুণগত মান সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে কাজে লাগে।খাবার সোডার আসেনিকভাবে তৈরি হয় এবং এটি খাবার সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
খাবার সোডা কি
খাবার সোডা হল হাইড্রোজেন, কার্বন, অক্সিজেন এবং সোডিয়াম এর সমন্বয়ে তৈরি একটি উপাদান। যাকে সোডিয়াম বাই কার্বনেট বলা যায়।
অর্থাৎ কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং সোডিয়ামের বিক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন সোডিয়াম বাই কার্বনেট হল খাবার সোডা।
খাবার সোডার সংকেত কি
রাসায়নিক বিভিন্ন মৌলের সমন্বয়ে সোডা তৈরি হয়। খাবার সোডা হাইড্রোজেন, সোডিয়াম, কার্বন এবং অক্সিজেনের সমন্বয়ে তৈরি হয়। খাবার সোডা কে সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট অথবা সোডিয়াম বাই কার্বনেট বলা হয়।
আবার সোডার সংকেত হলো: NaHCO3,,,,,,,
কাপড় কাচার সোডার সংকেত কি
কাপড় কাচার জন্য যে সোডা রয়েছে তা তৈরি করার জন্য সোডিয়াম কার্বনেট এবং অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। ওয়াশিং সোডা অথবা সোডা অ্যাশ এবং স্ফটিক নামেও পরিচিত কাপড় কাচার সোডা। কাপড় কাচার সোডার সংকেত হলো : Na 2CO 3+ Na 2CO 3 এর হাইড্রেড এর সূত্র সহ অজৈব যৌগ।
খাবার সোডা ও লেবুর রসের বিক্রিয়া
খাবার সোডা (NaHCO3) এবং লেবুর রস অর্থাৎ এসিটিক এর সাথে মিলিত হয়ে প্রধানত ( H3C6H5O7) সাইট্রিক এসিড উৎপন্ন করে।
ফলে এতে এসিড ব্যাস প্রতিক্রিয়া ঘটে। বিক্রিয়াটি গটার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া হিসেবে কার্বন ডাই অক্সাইড প্রকাশ করে বা কার্বন ডাই অক্সাইড বোধ বোধ তৈরি করে। বলে এতে ডিশ স্যুপ ব্যবহার করে ক্যাপচার তৈরি করতে পারে।
Co2 উৎপন্ন হওয়ার ফলে পাত্রের নিকটে জ্বলন্ত দেশলাই কাটি রেখে দিলে গ্যাসটি শনাক্ত করা যেতে পারে। সাধারণত কার্বন ডাই অক্সাইড দহনের সহায়ক নয় তবে দেশলাই কাটি নিভে যাবে এক্ষেত্রে সনাক্তকরণ করা যায়।
খাবার সোডার উপকারিতা
১. হৃদস্বাস্থ্য উন্নত করার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
২. হজম ক্রিয়াকে উন্নত করে
৩.স্বাস্থ্যের পি এইচ ভারসাম্য বজায় রাখে।
৪. পেট ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে।
৫. বৃক্কের স্বাস্থ্য কিছু রক্ষা রাখে।
৬.পদার্থ এবং হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহযোগী ভূমিকা পালন করে।
৭. এসিড রিফ্লাক্স নিয়ন্ত্রণ করে।
৮. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং মুখের মাছ হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৯. ত্বকের ব্ল্যাকহেডস দূর করতে এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
১০. ঘাড়ের কালো দাগ দূর করতে সো ড্যাশ অনেক উপকারী একটি ভূমিকা পালন করে।
সোডার কাজ কি
খাবার সোডার বিভিন্ন কাজ রয়েছে। খাবার সোডার কাজ সমূহ নিম্নরূপ :-
১. কাপড় থেকে ঘামের গন্ধ দূর করার ক্ষেত্রে এটি কাপড় ধোয়ার সময় ডিটারজেন্টের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়।
২. ময়লা ও কীটনাশক দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৩. শার্টের হাতা এবং কলার থেকে ময়লা দূর করার সহজ উপায় হিসেবে ভূমিকা রাখে।
৪. রান্নাঘর পরিষ্কার রাখতে ব্যবহার করা হয়।
৫. রান্না করে বিভিন্ন ধরনের আয়বাবপত্র গুলোকে চকচক রাখতে সোডার কোন বিকল্প নেই।
৬. বিভিন্ন ধরনের কেক তৈরিতে কাপড় সোডা খুবই উপকারী এবং কার্যকরী হিসেবে পালন করে।
অর্থাৎ সোডা খাবারের বিভিন্ন ধরনের রক্ষা করার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি
বেকিং পাউডার কি খাবার সোডা
হ্যাঁ,,বেকিং পাউডার হল খাবার সোডা, কারণ বেটিং পাউডার এবং খাবার সোডা একই উপাদান বা বস্তু দিয়ে তৈরি। বেকিং পাউডার বা খাবার সোডাকে রাসায়নিকভাবে সোডিয়াম বাই কার্বনেট বলা হয়। কাপড় কাচার সোডা বা সোডিয়াম কার্বনেট কিন্তু আলাদা একটি বস্তু।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে খাবার সোডা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি সোডা অথবা খাবার সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চান তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।