ক্লাউড কম্পিউটিং কী? এর প্রকার ও ব্যবহার
ক্লাউড কম্পিউটিং কী: সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ,, আসসালামু আলাইকুম,,, আমাদের ওয়েবসাইটের ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কিত উক্ত পুষ্টি আপনাদেরকে স্বাগতম। উক্ত পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা — ক্লাউড কম্পিউটিং কি, ক্লাউড কম্পিউটিং এর সার্ভিস কয়টি ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বর্তমান সময় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে কম্পিউটার প্রযুক্তি একটি অন্যতম অবদান রাখছে। সে ক্ষেত্রে কম্পিউটারকে ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়।
কম্পিউটার ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করার মধ্যে ক্লাউড কম্পিউটিং হলো একটি অন্যতম সার্ভিস। এজন্য কম্পিউটারকে যথাযথভাবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে কাজ করার জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং এর সার্ভিস ও ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ক্লাউড কম্পিউটিং কী
ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটারের সেবা অন-ডিমান্ড ডেলিভারি প্রদান করাকে ক্লাউড কম্পিউটিং বলা হয়। যেমন :- স্টোরেজ, সার্ভার, এবং অ্যাপ্লিকেশন।
যদি কোন ব্যক্তি অতীতকালে কোন কোম্পানির একটি অ্যাপ্লিকেশন চালাতে চাইতেন তবে ওই ব্যক্তিকে নিজের হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার কিনতে হতো।
তারপরে সেগুলো নিজে নিজে ম্যানেজ করতে হতো অথবা কাউকে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে ম্যানেজ করতে হতো। এই কাজগুলো খরচ এবং সময় সাপেক্ষ।
তবে বর্তমান সময়ে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবস্থা চালু হওয়ার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি কম্পিউটার হিসেবে তাৎক্ষণিক যে সকল এক্সপ্রেস বা সাহায্য সেগুলো খুব অল্প খরচে পেয়ে যাচ্ছি।
প্রাই pay-as-you-go pricing,, হিসেবে পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে একজন ব্যক্তি নিজস্ব হার্ডওয়ার ক্রয় করা, সফটওয়্যার সমূহকে রক্ষণাবেক্ষণ করা ইত্যাদি এবং আপগ্রেড না করে সরাসরি কম্পিউটার সেভার একসেস সমূহ নিতে পারে।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর সার্ভিস কয়টি
ক্লাউড কম্পিউটিং এর সার্ভিস সংখ্যা অসংখ্য। তবে এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু সার্ভিস রয়েছে সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো:-
১. খরচ সঞ্চয়:-সাধারণত ক্লাউড কমপিউটিং এর সাহায্যে অতীতের মতো ব্যয়বহুলভাবে না কাজ করে বর্তমান সময়ের হার্ডওয়্যার এবং আইটি পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারে। এক্ষেত্রে অতীতের তুলনায় বর্তমান সময়ে খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক অংশে কম।
যে কারণে একজন ব্যবহারকারী ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করার মাধ্যমে যে সকল সংস্থা রয়েছে সেগুলো বিশাল প্রতিযোগিতামূলকভাবে সুবিধা অর্জন করে। হলে ব্যয়বহুল বিভিন্ন রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দেওয়ার পরিবর্তে তাদের পণ্য এবং দল তৈরি করার মাধ্যমে তারা বেশি মনোযোগী হতে পারে।
২. দ্রুততা:- নিজের প্রয়োজনীয় কনফিগার বা সার্ভার কে দিতে এবং স্থাপন করতে অনেকদিন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে একজন ব্যক্তি ক্লাউডের মাধ্যমে ইন্টারনেটে কম্পিউটার সেবাগুলো তাৎক্ষণিক এক্সপ্রেস পেতে পারে না।
যার ফলে ব্যবসা গুলোর আগে যা সম্ভব ছিল তার চেয়ে অধিক হারে বর্তমান সময়ের দ্রুত এপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে এবং তাদের গ্রাহকের কাছে সেগুলো পৌঁছে দিতে পারে। যা একটি উদ্ভাবনের বৃদ্ধিতে সহায়তমূলক কর্মকাণ্ড।
৩. অভিযোজন :-আজকের যে সকল দ্রুতগতি বা সর্বদা পরিবর্তিত প্রযুক্তির বিশ্বে ব্যবসাগুলো বিদ্যমান রয়েছে সেগুলো নতুন পরিস্থিতির সাথে দ্রব্য খাপকিয়ে নিতে হয়।
দীর্ঘমেয়াদী যে সকল কম্পিউটার সেবার হয়েছে সেগুলো চুক্তি ছাড়া তাদের চাহিদা অনুযায়ী এক্সেস করতে পারা কোম্পানিগুলোকে নিজস্ব পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে এবং যে সকল অপ্রত্যাশিত বাধা রয়েছে সেগুলো অতিক্রম করার ক্ষমতা ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে করা যায়।
৪. স্কেলেবিলিটি:- ক্লার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইলাস্টিক অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী যখন কম্পিউটার সেবা ব্যবহার করতে এবং সেবার পরিমাণ বাড়াতে পারে তেমনি যখন কারো প্রয়োজন হয় তাহলে সেবার পরিমাণ কমাতে পারে। তবে অতুলনীয় আকারে সুইচ, ওভার, netflix ইত্যাদি অনেক কোম্পানিগুলোকে বিশাল আকার স্কেল করতে সক্ষম করে ক্লাউড কম্পিউটিং এই নতুন ব্যবস্থাটি।
৫. বিশ্বায়ন :- একজন ব্যক্তি বিশ্বব্যাপী কাস্টমারের নিকটে ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে পৌঁছাতে পারে। যে কাজটি ওজন খুব ব্যয়বহুল হত বর্তমান সময়ে এসে কাজটি সর্ব পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে এক মিনিটের মধ্যে সারা বিশ্বে এপ্লিকেশনগুলো স্থাপন করতে পারে।
এভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো সময় এক্সেস দেওয়া যায়। একজন গ্রাহক তার কাছাকাছি অ্যাপ্লিকেশন গুলোকে চালানোর মাধ্যমে নিজস্ব ট্যালেন্সি কমাতে পারেন এবং সেইসাথে তাদের কর্মদক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা উন্নত করতে পারেন।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য যেমন ক্লাউড কম্পিউটিং কি এবং ক্লাউড কম্পিউটিং এর যে সকল সার্ভিস রয়েছে ইত্যাদি সম্পর্কে জানিয়েছি।
আশা করি আমাদের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানতে চান তা জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।