ক্যাটায়ন কাকে বলে? অ্যানায়ন ও ক্যাটায়ন কাকে বলে
ক্যাটায়ন কাকে বলে: সাধারণত সব ধরনের পরমাণুই আধান নিরপেক্ষ। কারণ তাই তাদের মধ্যে যতটি ধনাত্মক কিছু চার্জ যুক্ত প্রোটন থাকে ঠিক আবার ততটিই ঋণাত্মক চার্জ যুক্ত হলে ইলেকট্রন থাকে। তাই সামগ্রিক ভাবে আবার তারা আধান নিরপেক্ষ। তবে প্রতিটি এই পরমাণুই তাদের নিকটস্থ এমন ভাবে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন্যাস নানা ভাবে অর্জন করতে চায়।
ধাতু সমূহের মধ্যে সর্বশেষ শক্তিস্তরে ১টি, এবং ২টি বা ৩টি ইলেকট্রন থাকে তাই এদের মধ্যে প্রতি নিউক্লিয়াসের এই প্রোটনের আকর্ষণ কম থাকে। ফলে, তারা তাই সহজেই ওই ইলেকট্রন গুলো নানা ভাবে ত্যাগ করতে পারে। অর্থাৎ, আবার এদের আয়নিকরণ শক্তির মান প্রায় অনেক কম হয়।
অ্যানায়ন ও ক্যাটায়ন কাকে বলে
ক্যাটায়ন হলো ইলেকট্রনের চেয়ে বেশি প্রোটনের সংখ্যা গুলো থাকায় ধনাত্মক আধানযুক্ত আয়ন আবার অ্যানায়ন হলো প্রোটনের চেয়ে ইলেকট্রনের সংখ্যা অনেক বেশি থাকায় ঋণাত্মক আধানযুক্ত আয়ন।
ক্যাটায়ন এবং অ্যানায়নসমূহ খুব সহজেই একে আবার অপরকে আকর্ষণ করে এবং এই আয়নিক যৌগ গঠন করে।
অ্যানায়ন কাকে বলে
অধাতু সমূহ তাদের এই সর্বশেষ শক্তিস্তরে এক অথবা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে যে সব আয়নে পরিণত হয় তাকে এই অ্যানায়ন বলে। অ্যানায়নে প্রোটনের কিছু তুলানায় ইলেকট্রন বেশি থাকায় এর আধান (চার্জ)এবং ঋণাত্মক(–) বা negaitive.। এছাড়া এই বন্ধন এমন কিছু আয়নীয় যৌগে ক্রিয়াশীল এক একটি প্রাথমিক বল বলা যায় ।
আয়নীয় বন্ধন (ইংরেজি হলো: Ionic bonding) এবং তড়িৎযোজী বন্ধন হলো এক প্রকার এক রাসায়নিক বন্ধন, যা বিপরীত ভাবে আধানযুক্ত আয়নসমূহের মধ্যে আবার স্থির-বৈদ্যুতিক আকর্ষণও সৃষ্টি করে।
এছাড়া এই বন্ধন আয়নীয় এমন কিছু যৌগে ক্রিয়াশীল একটি হলো প্রাথমিক বল। আয়ন হলো সেসব পরমাণু,আবার যাদের মধ্যে এক বা একাধিক ইলেকট্রন বেশি সময় আছে (একে বলে অ্যানায়ন, যা হলো ঋণাত্নক আধানবিশিষ্ট হয়)। আবার এক বা একাধিক ইলেক্ট্রনের ঘাটতি আছে (একে বলে ক্যাটায়ন বলা হয় )।
ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন কাকে বলে
আয়নে কেবল এক একটি মাত্র পরমাণু থাকলে তাই তাকে একপরমাণবিক আয়ন আবার দুই বা ততোধিক এই সব পরমাণু থাকলে বহুপারমাণবিক এই আয়ন বলে। প্রবাহীতে (গ্যাস অথবা তরল) ভৌত আয়নীকরণের ক্ষেত্রে এমন একটি স্বতঃস্ফূর্ত
সংঘর্ষের কারণে “আয়ন যুগল” উৎপন্ন হয়, যেখানে প্রায় প্রতি যুগলে একটি এই ইলেকট্রন এবং একটি ধনাত্মক আয়নগুলো ও থাকে।[১] আয়নসমূহ রাসায়নিক মিথস্ক্রিয়ায় যেমন ভাবে তরলে লবণের দ্রবীভূতকরণ অথবা অন্য উপায়ে যেমন পরিবাহী এমন কিছু দ্রবণের মধ্য দিয়ে একমুখী বিদ্যুৎ প্রবাহিত করা হয় ।
আয়নিকরণের মাধ্যমে নানা ভাবে অ্যানোডকে দ্রবীভূত করেও এই গুলো তৈরি করা হয়।
ক্যাটায়ন কাকে বলে
ধাতু সমূহ তাদের মধ্যে সর্বশেষ শক্তিস্তরের এক বা একাধিক এই ইলেকট্রন অপসারণ করে যে আয়নে পরিণত নানা ভাবে হয় তাকে ক্যাটায়ন বলে।
ক্যাটায়নে প্রোটনের প্রায় এমন কিছু তুলানায় ইলেকট্রন কম থাকায় এর আধান আবার (চার্জ) ধনাত্মক(+) বা positive সাধারণত ইলেকট্রনের আধান এই ভাবে ঋণাত্মক ধরা হয়।
একক আয়নের এই ভাবে ঋণাত্মক আধান সাধারণত আবার প্রোটনের ধনাত্মক আধানের সমান এবং বিপরীত।
ক্যাথোড কাকে বলে
যে তড়িৎদ্বারে বিজারণ অর্থাৎ এই ইলেকট্রন গ্রহণ করে নিজে নিজে বিজারিত হয় এবং অন্যকে নানা ভাবে জারিত করে বিক্রিয়া সংঘটিত করে তাকে এই ক্যাথোড বলে।আরিয়েনিউসের ব্যাখ্যা ছিল যেকোনো দ্রবণ তৈরি করার সময় লবণ ফ্যারাডের বর্ণিত করে আয়নে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
তিনি এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে তড়িৎ এমন ভাবে প্রবাহ ছাড়াও আয়নসমূহ গঠিত হয়।তড়িৎ প্রবাহের ফলে এই সব দ্রবণের মধ্য দিয়ে চলাচল করেছে।
এটি পদার্থকে এক এমন একটি জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ও পৌঁছে দেয়। ফ্যারাডের নামের সাথে সাথেই মিল রেখে হুইল অ্যানোড এবং ক্যাথোডের, তাই এদের দ্বারা আকৃষ্ট আয়নকে যথাক্রমে কিছু কিছু অ্যানায়ন ও ক্যাটায়ন নামকরণও করেছিলেন।
আরো পড়ুন: অভিযোজন কাকে বলে
ক্যাটায়ন কাকে বলে উদাহরণ
ক্যাটায়ন এর উদাহরণ হলো : Calcium (Ca2+ ), এবং Hydronium (H3O+ ), Ammonium ও (NH 4+), Silver (Ag+ ) etc. ।
ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন বলতে কি বুঝ
ক্যাটায়ন হলো এই ইলেকট্রনের চেয়ে প্রোটনের সংখ্যা অনেক বেশি থাকায় ধনাত্মক আধানযুক্ত আবার আয়ন এবং অ্যানায়ন হলো প্রোটনের চেয়ে আবার ইলেকট্রনের সংখ্যা বেশি পরিমাণ থাকায় এই ঋণাত্মক আধানযুক্ত আয়ন।
অ্যানায়ন বলতে কী বোঝায়
অধাতু সমূহ তাদের প্রায় সর্বশেষ শক্তিস্তরে এক অথবা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে যে আয়নে নানা ভাবে পরিণত হয় তাকে অ্যানায়ন বলে।
ক্যাটায়ন কোন ধরনের শব্দ?
ক্যাটায়ন (+)এই শব্দটি গ্রীক κάτω শব্দ থেকে নানা ভাবে এসেছে যার অর্থ “নিচে”, এটি এমন একটি হলো আয়ন।