কৃত্রিম শ্বাস ক্রিয়া কাকে বলে? জোরে জোরে শ্বাস নেওয়ার উপকারিতা
কৃত্রিম শ্বাস ক্রিয়া কাকে বলে: মানব জীবনে বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল শ্বাসক্রিয়া। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা অথবা বিভিন্ন রোগের কারণে শ্বাসক্রিয়াতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পাশাপাশি কৃত্রিম শাসক্রীয়া সম্পর্কে জানা প্রয়োজন যেমন কৃত্রিম শ্বাস ক্রিয়া কাকে বলে জোরে জোরে শ্বাস নেয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
এজন্য উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে শাস্ত্রীয় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যেমন কৃত্রিম শ্বাসক্রিয়া কাকে বলে? উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে শ্বাসক্রিয়া বিশেষ করে কৃত্রিম শ্বাস ক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাচ্ছি।
“””সুস্থ দেহ, সুন্দর মন, “””বেঁচে থাকা প্রয়োজন।
বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হল শাস ক্রিয়া। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগে বিভিন্ন মানুষ যদি আক্রান্ত হয় সে কি সে ক্ষেত্রে শ্বাসক্রিয়ার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
এবং সে সকল পরিস্থিতিতে শ্বাসক্রিয়া প্রয়োগ করার মাধ্যমে একজন রোগীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কৃত্রিম শ্বাসক্রিয়ার গুরুত্ব এবং তাৎপর্য এবং প্রয়োজনীয়তা অত্যাধিক।
সেজন্য কৃত্রিম শ্বাস ক্রিয়া কাকে বলে কৃত্রিমশাসকিয়া কেন জরুরী এবং জোরে জোরে শ্বাস নেয়ার প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি সম্পর্কে জানা এবং জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন।
আরো পড়ুন: পরিপাকতন্ত্র কাকে বলে
কৃত্রিম শ্বাস ক্রিয়া কাকে বলে
যদিও কোন ব্যক্তির শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় অথবা বন্ধ হতে চলেছে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন কৃত্রিম পদ্ধতিতে শ্বাসক্রিয়া প্রদান করার পদ্ধতিকে কৃত্রিম শ্বাসক্রিয়া বলা হয়।
এই শ্বাস ক্রিয়া সাধারণত হাতে অথবা যন্ত্র প্রয়োগ করার মাধ্যমে করা যায়। এ প্রক্রিয়া ব্যবহার করার মূল কারণ হলো প্রতি মিনিটে যাতে করে একটি রোগের থেকে ১০ বার ফুসফুষ্টিকে উঁচু এবং নিচু করা।
এক্ষেত্রে ১০ অথবা ১২ বার যদি ফুসফুস থেকে এরকম করা হয় তাহলে তা থেকে বাতাস বেরিয়ে আসবে এবং অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারবে।
অর্থাৎ কোন যদি কোন রোগীকে কৃত্রিম পদ্ধতি ব্যবহার করে শ্বাস প্রদান করা হয় তাহলে সে পদ্ধতিকে কৃত্রিম সক্রিয় বলা হয়।
কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস পদ্ধতি
প্রথমে একজন রোগীকে উপর করে শোয়াতে হবে। পরবর্তীতে উপর করে শোয়ানো রোগীকে কাজ করে নিতে হবে যাতে করে রোগীর নাক না লেগে যায়।
একপাশে ওর সাথে সমান্তরাল ভাবে,এবং তার দিকে মুখ করে হাঁটু গেড়ে বসে রোগীর পাঁজরের উপর দুটি হাত খুব কাছাকাছি অবস্থানে এনে এমনভাবে বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে রোগীর মেরুদন্ডের উপর চাপতে হবে যেন আঙুলগুলো দুপাশে অবস্থান করে রোগীর দেহের।
পরবর্তীতে হাটুর উপর ভর দিয়ে সোজা রেখে নিজের সম্পূর্ণ ভর উপর প্রয়োগ করতে হবে। ২ সেকেন্ড পর পর এভাবে চাপ দেওয়ার ফলে আস্তে আস্তে পিছনের দিকে সরে এসে নিজের ভর রোগের শরীরের উপর থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
এবং চাপ দেওয়া ছেড়ে দিতে হবে মূলত তিন সেকেন্ড পরিমাণ সময়ের জন্য। পর্যায়ক্রমে এভাবে দুই সেকেন্ড চাপ দিয়ে এবং তিন সেকেন্ড পূর্ব অবস্থায় থেকে অথবা রোগী থেকে একটু দূরে সরে এসে এভাবে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। আর এ কাজটি প্রতি মিনিটে বারবার করা।
যায় যার মাধ্যমে –
কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস পদ্ধতি যে পরিচালনা করা যায়।
কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস প্রক্রিয়া
কোন ব্যক্তির শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় অথবা বন্ধ হতে চলেছে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয় তখন কৃত্রিম পদ্ধতিতে শ্বাসক্রিয়া প্রদান করার পদ্ধতিকে কৃত্রিম শ্বাসক্রিয়া বলা হয়।
এই শ্বাস ক্রিয়া সাধারণত হাতে অথবা যন্ত্র প্রয়োগ করার মাধ্যমে করা যায়। এ প্রক্রিয়া ব্যবহার করার মূল কারণ হলো প্রতি মিনিটে যাতে করে একটি রোগের থেকে ১০ বার ফুসফুষ্টিকে উঁচু এবং নিচু করা।
এক্ষেত্রে ১০ অথবা ১২ বার যদি ফুসফুস থেকে এরকম করা হয় তাহলে তা থেকে বাতাস বেরিয়ে আসবে এবং অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারবে।
একজন রোগীকে কৃত্রিম পদ্ধতিতে শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়ার ক্ষেত্রে –
দুই সেকেন্ড চাপ দিয়ে এবং তিন সেকেন্ড পূর্ব অবস্থায় থেকে অথবা রোগী থেকে একটু দূরে সরে এসে এভাবে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। আর এ কাজটি প্রতি মিনিটে বারবার করা। ফলে,কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস পদ্ধতি যে পরিচালনা করা যায়।
আরো পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষা কি
ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার কারণ কি
ঘন ঘন শ্বাস নেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের রোগ পরিলক্ষিত হয়। ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রোগ হলে সাধারণত ঘন ঘন শ্বাসক্রিয়া অথবা শ্বাস নেওয়া এ কার্যক্রম চলে –
এমন –
অ্যালার্জি,,,,,,
হাঁপানি,,,,,,,
হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা,,,,,,
ফুসফুসের রোগ,,,,,,
নিউমোনিয়া,,,,,,
স্থূলতা,,,,,,,
যক্ষ্মা ইত্যাদি।
এ ধরনের রোগের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। ছাড়াও যদি কারো রাতে ঠিকমত ঘুম না হয় তাহলে এ সমস্যাটি দেখা দিয়ে অথবা কিডনির অসুখ হলেও সমস্যা দেখা দেয়।
জোরে জোরে শ্বাস নেওয়ার উপকারিতা
জোরে জোরে শ্বাস নেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের উপকার রয়েছে।
জোরে জোরে শ্বাস নিলে যে যে উপকারগুলো হয়ে থাকে সেগুলো হল :-
অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ,,,,,,
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে,,,,,,
ঘুম ভাল হয়,,,৷৷
এছাড়াও শারীরিকভাবে স্বস্তি পাওয়া যায় এবং সুস্থতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে, অথবা বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে অথবা যদি বন্ধ হয়ে যায় এরকম কোন পদ্ধতি বা এরকম কোন রোগের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে জোরে জোরে শ্বাস নেয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে কৃত্রিম শাসক্রীয়া সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে যথাযথভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি।
আশা করি আমাদের পোস্টে পড়ার মাধ্যমে আপনি আপনার যে সকল তথ্য জানার ছিল কৃত্রিম শ্বাসক্রিয়া সম্পর্কে সেই সকল তথ্য যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি কৃত্রিম শ্বাসক্রিয়া কাকে বলে এবং জোরে জোরে শ্বাস নেয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ও জানতে পারবেন আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে।
আরো পড়ুন: আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে
আমাদের পোস্ট রিলেটেড বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর নিম্নরুপ:-
১.ফুসফুস ভালো আছে বোঝার উপায়
= সাধারণত যদি কোন ব্যক্তি সাধারণভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে অক্ষ হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে ফুসফুসের সমস্যা এরকম ধরে নেয়া হয়। কারণ কথা বলার ক্ষেত্রে অথবা শ্বাস নেয়ার ক্ষেত্রে ফুসফুস তাহলে তো বাতাসের গুরুত্ব অপরিসীম।
ছাড়ো ফুসফুস যদি এরকম কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় সে ক্ষেত্রে ফুসফুসকে পরীক্ষা করলে ফুসফুসের অর্থাৎ সমস্ত একটি ফুসফুসের রং এর কালার হয় লালছে খয়েরি।
যা দেখে বোঝা যায় এবং এছাড়াও যদি কেউ পরীক্ষা না করে বুঝতে চায় তাহলে সে ক্ষেত্রে রোগীকে শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা দেখা না দিলে বুঝতে পারা যায়।
তবে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে যা জানা যায় তাই সর্বোৎকৃষ্ঠ, তাই, পরীক্ষা করার মাধ্যমে সর্বোৎকৃষ্ট ভাবে তা জানা যায়।
২.শ্বাস ক্রিয়া কাকে বলে
= যে প্রক্রিয়ার কোন ব্যক্তি শ্বাস গ্রহণ করেন এবং নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সেই প্রক্রিয়াটিকে শ্বাসক্রিয়া বলে।