কিসমিস এর উপকারিতা:মানুষের শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকা এর পরিমাণ বাড়ায় কিসমিস।শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে এর উপকার বেশি।
কিসমিস এর উপকারিতা ও নিয়ম
কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে নানা ভাবে সাহায্য করে।
প্রতিদিন কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই।
কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা আছে ।
ডায়াবেটিসে কিসমিসের উপকারিতা রয়েছে যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ।
বোরন মেনোপজ ঘটে এমন নারীদের মধ্যে অস্টিয়োপোরসিস ও হাড় জয়েন্ট এর জন্য খুব উপকারী। । এছাড়াও কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে থাকে
সেক্সে কিসমিসের উপকারিত
কিসমিস আমাদের সকলেরই পরিচিত নাম। কিসমিস আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে এমনি ভাবে সেক্সে কিসমিশের উপকারিতা আছে টা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো। এছাড়া কিসমিসের উপকারিতা বা অপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত জানবো।
আরো পড়ুন: পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
১। কিসমিস এ থাকা পুষ্টিগুন যৌন দূর্বলতা ও যৌন অক্ষমতা দূর করতে সাহায্য করে। আপনি নিয়মিত কিসমিস খান তাহলে দেখবেন যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২। আমাদের খাবার হজম হওয়া জরুরী।এই কিসমিস খাবার হজম করতে খুবই উপকারি। খাবার ঠিক মত হজমে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও যৌবন ভাল থাকে। যার জন্য নিয়মত সময় করে কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে ।
৩। কিসমিস শরীর ও মন ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে । আমরা হয়তো জানি না যে, যখন মন , শরীর ভাল থাকে তখন যৌন ইচ্ছা বা যৌন সমস্যা অনেকের থাকে না। আমরা মনে করি যে আমাদের যৌন সমস্যা আছে কিন্তু বাস্তবে কিন্তু নয়। একজন পুরুষ নানা চাপের কারনে তার যৌন ইচ্ছা কমে যায় তাই যৌন সমস্যা দেখা দেয়। বাস্তবে তার কোন যৌন সমস্যা কারণ থাকে না ।
৪। কিসমিস রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে ।যখন রক্ত চলাচল ব্যালেন্স থাকে পরে যৌন সমস্যা দূর হয়ে যায়। তাই নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।কিসমিস খাওয়া উপযুক্ত সময় হলো সকালে।
কিসমিস রাতে ঘুমানো আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন এর পর পরের দিন সকালে সেটা খান তবে এতে বেশি উপকার পাবেন।
ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রন, পটাসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার। নিয়মিত এভাবে কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আপনার সমস্যার সমাধান দ্রুত হবে ।
সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা আছেই এছাড়া কিসমিসের আরো উপকারিতা আছে আমাদের মানব দেহের জন্য খুবই জরুরী।
আরো পড়ুন: চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
১. কোষ্ঠকাঠিন্যে উপশমঃ কিসমিস একটি ফাইবার খাবার। এটি শরীরের পরিপাক ক্রিয়া দ্রুত করে। ফলে খাবার সহজ ভাবে হজম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার বিভিন্ন ওষুধ বা সিরাপ না খেয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়া দরকার।
২. নিরাপদ ওজনবৃদ্ধিঃ ওজন বৃদ্ধি করা খুব সহজ কাজ নয় । অল্প সময়ে মনের মত ওজন বাড়ানো জন্য ইচ্ছা মতো খাওয়া দাওয়া করলেন। ফল হিসেবে পেলেন বেঢপ শরীর , নানা ধরণের রোগ বালাই।
কাজেই নিরাপদ ভাবে ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে কিসমিস খেতে থাকেন। কিসমিস এমন একটি ফ্রুট যাতে রয়েছে প্রচুর গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও পোটেনশিয়াল এনার্জি।
তাছাড়া এটি শরীরকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থেকে বাঁচিয়ে ওজন বাড়তে সাহায্য করে। বডি বিল্ডার, অ্যাথলেটদের জন্য কিসমিস অতি প্রয়োজনী একটি খাবার। কারণটি প্রচুর এনার্জি যোগান দেয়।
৩. ক্যান্সার নিরাময়করে: কিসমিসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ও ক্যাটেচিন একটি পলিফেনলিক অ্যাসিড। শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র্যাডিকেলগুলো ধ্বংস করে ও ক্যান্সারের কোষগুলো উৎপাদন হওয়া আটকায়।
আবারে কিসমিসে বিদ্যমান আঁশ কোলোরেক্টারাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন কিসমিস শরীরে ক্যাটেচিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি পায়ে থাকে।
৪. রক্তচাপ ও রক্তস্বল্পতা নিয়ন্ত্রণঃ শরীরে যখন সোডিয়ামে মাত্রা বেড়ে যায় সেই সময় ব্লাড প্রেসার হাই হয়ে যায়। কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম সোডিয়ামে মাত্রা কমিয়ে এনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে।
আবার এতে আছে আয়রন, কপার,ভিটামিন বি-এর অন্তর্গত কিছু ভিটামিন। এই উপাদান নতুন রক্ত তৈরি এবং রক্তের লোহিত কণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
শুকনো কিসমিস খাওয়ার থেকে ভেজানো কিসমিস খাওয়া শরীরে জন্য উপকারী। শুকনো অবস্থায় একেবারে যে খাওয়া যাবে না তা কিন্তু না।
বাজার থেকে কিনে ভালো করে ধুয়ে ৫-৬টি কিসমিস খেতে পারবেন নিশ্চিন্তে। প্রতিবার খাওয়ার সময় অবশ্যই ধুয়ে নিবেন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ দিয়ে বলেছেন: কিসমিসে পুষ্টিগুণ ষোল আনা পেতে চাইলে সারারাত ভিজিয়ে রেখে খাওয়া দরকার । ১ কাপ জলে ৮-১০ টি কিসমিস ভালো করে ধুয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখবেন ।
বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে এর রং অনেক গাঢ় দেখাবেন । যত গাঢ় হবে তত ভালো পুষ্টি উপাদান কাজ করে থাকে । সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিসগুলো খাবেন নিয়মিত ।
আরো পড়ুন: আলকুশি পাউডার এর উপকারিতা
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
- কিসমিস স্বাস্থ্যগুণ সম্পন্ন খাবার। কিসমিসের পুষ্টিগুণ ভালোভাবে পাওয়া যায় কিসমিস ভেজানো পানি পান করতে হবে।
- রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রাখে কিসমিসে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহজে দ্রবণীয় হয়ে যায়।
- সেই পানি পান করলে কিসমিসে গুণ আমাদের শরীর আরো সহজ নিতে বা শোষণ করতে পারে।
- তাই সকাল খালি পেটে ভেজানো কিসমিস সহ পানি পান করটে হবে মিলবে নানা উপকারিতা।
- সপ্তাহে চারদিন কিসমিস ভেজানো পানি পান করলে তা পেট পরিষ্কার রাখতে বিশেষ কারনে সাহায্য করে।
- যারা প্রায়শই পেটের গণ্ডগোলে থাকেন তাদের জন্য এই টনিক বিশেষ উপকারি।
- পাশাপাশি কিসমিস থেকে পাওয়া ভরপুর এনার্জি, যা সারাদিন আপনাকে রাখে প্রাণবন্ত।
- কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি যা আপনার জীবনের চিন্তাভাবনাকে বদলে দিবে ।
- কিসমিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করে পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
- শুকনো কিসমিস খাওয়ার চাইতে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি নানা ভাবে রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন কিসমিসের পানি খেলে নানা ভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি মিলবে কোনো ওষুধ ছাড়াই। পাশাপাশি হজমে সহায়তা করে থাকে ।
কিসমিসের পুষ্টি সম্পূর্ণভাবে পেতে চাইলে কিসমিস ভিজিয়ে খেতে পারেন। রাতে দুই কাপ পানি কয়েকটি কিসমিস রেখে দিন। কিসমিস যত গাঢ় রংয়ের হবে, তত উপকারী পাবেন ।
পরের দিন সকালে কিসমিস ছেঁকে নিন। খালি পেটে পানি পান করুন। চাইলে এই পানি গরম করে পান করতে পারেন ভালো হবে
কাজু কিসমিস এর উপকারিতা
রোজ কাজু, কিশমিশ খেলে দাঁত খুব মজবুত হয়। কাজির মধ্যে থাকা এই ক্যালশিয়াম দাঁতের জন্য উপকারী।
সেই সঙ্গে তা আমাদের হাড়কে মজবুত করে। তাই নিয়মিত খেতে পারলে খুবই ভালো হয় ।
রোজ আমরা যে সব খাবার খাই তাই দিয়ে শরীরের ভিটামিন আর খনিজের চাহিদা পূরণ হয় না। শরীর সুস্থ রাখতে নিয়ম করে ড্রাই ফ্রুটসও খাওয়া প্রয়োজন।
এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান থাকে ভিটামিন ই, ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট,কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম এবং জিঙ্ক এছাড়াও থাকে আয়রন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম ।
ড্রাই ফ্রুটসের সবচেয়ে পরিচিত হল কাজু, কিশমিশ, আমন্ড। আর এই তিন ফলে মধ্যেই রয়েছে প্রচুর উপকারিতা। পুষ্টিগুণ ঠাসা হলে রোজ যে প্রচুর পরিমাণ খাওয়া যাবে তা কিন্তু একেবার নয়।এই কাজু, আমন্ড খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম আছে ।পরিমাণের থেকে বেশি কাজু খেলেই বাড়বে এই কোলেস্টেরলের পরিমাণ ।
রোজ রাতে সামান্য পানিতে তিনটি করে কাজ, কিশমিশ আর আমন্ড ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খালিপেটে খেয়ে নিন। এতে পাবেন একাধিক উপকারিতা রয়েছে।
নিয়ম করে ড্রাই ফ্রুটস খেলে ত্বক ভাল থাকে। বজায় থাকে ত্বকের উজ্জ্বল ভাব এছাড়া ব্রণ হয় না। বলিরেখাও পড়ে না একই সঙ্গে মন ভাল রাখতে কাজে আসে কাজু বাদাম।
বাদাম রোজ এক মুঠো করে খেতে পারলে আমাদের মন ভাল থাকে। সেই সঙ্গে পরিপাকতন্ত্রের জন্যে ভাল। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরে থাকে অনেক সমস্যা।
ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে ।
তাই রোজ সকালে উঠে আমন্ড, পেস্তা এসব খাোয়ার অভ্যাস করুন এবং এতে ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে ।
তবে পাশাপাশি কিন্তু তেলেভাজা, ফাস্টফুড বা প্যাকেট খাবার খেলে চলবে না।
কাজুবাদাম খেলে অনেক রোগ নিয়ন্ত্রণ পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাজ করে থাকে ।
এটা খেলে মেটাবলিজম ঠিক থাকে ও হার্ট সংক্রান্ত অনেক রোগে উপশম পাওয়া যায় আবার খেতে সুস্বাদু হলেও, কাজু বাদামের কিন্তু অনেক রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও আছে ।বাদামের বিভিন্ন উপকার ও আছে।
পটাসিয়াম,আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়ামের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ লবণ কাজুতে আছে । সব উপাদানের উপস্থিতির কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। কাজু বাদাম হার্টে জন্য উপকারী। কাজুবাদাম মনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যাবে ।
আরো পড়ুন: ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা
কালো কিসমিস এর উপকারিতা
ড্রাই ফ্রুটস খেতে সবারই ভাল লাগে। ফ্রুটস খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমন আমাদের স্বাস্থ্যেরও অনেক উপকার করে। ড্রাই ফ্রুটস-এর তালিকায় কিশমিশও থাকে।
আপনি কি কখনও কালো কিশমিশ খেয়েছেন? সাধারণত কালো আঙুর শুকিয়েকিশমিশ তৈরি করা হয়। কালো কিশমিশ ফাইবার, আয়রন,
পটাশিয়াম, পলিফেনল এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। কোলেস্টেরল, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি চুল পড়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে । সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে কালো কিশমিশ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুণ উপকারি হয় ।
১)কালো কিশমিশ ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনী। ক্যালসিয়াম হাড়কে অনেক মজবুত করে।
তাছাড়া ক্যালসিয়ামের অভাবে, অস্টিওপোরোসিসের গুরুতর হাড়ের ব্যাধিও দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, কালো কিশমিশে উপস্থিত মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অস্টিওপোরোসিস করতে সহায়ক।
২) চুল ফাটা, রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে নিয়মিত কালো কিশমিশ খাওয়া শুরু করেন। কালো কিশমিশ ভিটামিন সি এবং আয়রনের পাওয়ার হাউস কারণ ।
চুলে পুষ্টি যোগায়, চুল ভালো রাখে। এটি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, চুলের ফলিকলগুলিকেও উদ্দীপিত করে । চুল পড়া প্রতিরোধ করে এর উচ্চ ভিটামিন সি উপাদান চুলে পুষ্টি জোগায় থাকে। এইভাবে চুলের অকাল পক্কতা হওয়া রোধ করে থাকে ।
৩) কালো কিশমিশ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। কিশমিশে থাকা উচ্চ পটাসিয়াম শরীরে সোডিয়ামে পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে, কালো কিশমিশ খাওয়া শুরু করুন।
কালো কিশমিশ আয়রন সমৃদ্ধ একটি উপাদান । যাদের রক্তাল্পতার সমস্যা আছে নিয়মিত এক মুঠো কালো কিশমিশ খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
রক্তে অমেধ্য ও অপরিষ্কার রক্তের ফলে শুষ্ক ত্বক মসৃণ ব্রণ-পিম্পলের সমস্যা দেখা যায় ।
প্রতিদিন কালো কিশমিশ খেলে রক্ত দিয়ে টক্সিন, বর্জ্য পদার্থ , অন্যান্য ময়লা দূর হয়। প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, শরীরকে সম্পূর্ণরূপে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।
কিসমিস এর ইংরেজি কি
কিশমিশ বা কিসমিস হলো শুকনো আঙ্গুর। এটিকে ইংরেজিতে রেইসিনও বলা হয়।
কিশমিশ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত হয়ে থাকে এবং এটি সরাসরি খাওয়া যায় । বিভিন্ন খাদ্য রান্না সময় উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হইয় থাকে ।
প্রাচীনকাল থেকে শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
এটি তৈরি করা হয় সূর্যের তাপ এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাহায্যে।
তাপের ফ্রুক্টোজ জমাট বেঁধে পরিণত হয় কিশমিশে।
আর এভাবেই আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় এই মিষ্টি স্বাদের কিসমিস।
এতে রয়েছে পটাশিয়াম থাকে , যা হার্টকে ভাল রাখে এবং খারাপ কোলেস্টরল দূর করতে সাহায্য করে থাকে ।
আরো রয়েছে আয়রন যা রক্তাল্পতা কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে ।
এছাড়াও রয়েছে কার্বোহাইট্রেট আছে যা এনার্জি জোগায়।মহিলারাই বিশেষত রক্তাল্পতায় আছেন তাই চিকিৎসকরা বলেন কিসমিস খাওয়া মহিলাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ উপকারি একটি উপাদান।
কিসমিস এর উপকার
কিসমিসের উপকারের কথা এক কথায় বলে শেষ করা সম্ভব নয় ।
এমনকি কিসমিস ভেজানো পানি শরীরের জন্য ভালো অনেক উপকারী।
কিসমিসে ভিটামিন,খনিজ,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনলস অন্যান্য বেশ কয়েকটি ফাইবার আছে ।
কিসমিস শরীরে যেমন শক্তি যোগায় এবং রক্ত উৎপাদনে নানা ভাবে সহায়তা করে থাকে ।
কিসমিসে পাওয়া যায় আরো এক উপাদান, ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের জন্য খুব প্রয়োজন। বোরন নামক এক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টও কিসমিসে থাকে যা সঠিক ভাবে হাড় হতে সাহায্য করে এবং ক্যালসিয়ামকে তাড়াতাড়ি শুষে শরীরকে সাহায্য করে।
মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট শরীরে খুব অল্প দরকার বলেই মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হিসেবে পরিচিত কিন্তু শরীরে উপস্থিতির গুরুত্ব অসীম। তাই বোরন মেনোপজ ঘটে যাওয়া নারীদের অস্টিয়োপোরসিস এবং হাড় ও জয়েন্ট এর জন্য খুব উপকারী হয় ।
ঘুম ভালো না হলে শারীরিক অসুস্থতা পাশাপাশি মানসিক অসুস্থতাও দেখা দিতে পারে। যাদুকরী ভূমিকা পালন করে কিসমিস। কিসমিসে যে আয়রন রয়েছে ভালো ঘুমে সাহায্য করে।
আমরা সবাই জানি, আয়রন এমন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা শুধুমাত্র হিমোগ্লোবিনের উত্পাদন বৃদ্ধি করে না , বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে।
শীতের আগের ঋতু শরত্তে আগাম শীতের কিছুটা শরতেও টের পাওয়া যাচ্ছে । বিশেষ করে শরতের সকাল ও সন্ধ্যায় ঠোঁটে চিড় ধরতে পারে এই জন্যে তাই এখন থেকেই ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বিশেষ লিপবাম ব্যবহার কর। এতে ঠোঁট ফাটা,খসখসে হওয়া থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাই।
কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা
কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক আছে । কিসমিস আমাদের শরীরের আয়রনে ঘাটতি পূরণ করে রক্তের লাল কণিকার পরিমান ও বাড়ায়।
কিসমিস শুকন খাওয়ার ভিজিয়ে খেলে বেশী উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন কিসমিসে পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি চলে যায় । কোন ঔষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। এছাড়া কিসমিসের পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে ।
উপকারিতা
কিসমিসে এন্টিকার্সিনো সুবিধা দেয় কারণ কিসমিসে কেটেচিন আছে। এই কেটেচিনে পলিফেলন আছে যা এন্টি অক্সিডেন্ট যৌগ ধারণ করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
কিসমিসে ভিটামিন, খনিজ পুষ্টির পাশাপাশি অক্সিডেন্ট ও পলিফেলন যৌগ আছে যা আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
কিসমিসে লোহার মত প্রয়োজনীয় পুষ্টি আছে । আপনার অনিদ্রা কাটিয়ে আপনাকে দিতে পারে শান্তির ঘুম ও।
অপকারিতা
কিসমিস এলার্জির সমস্যা বাড়াতে পারে, তাই যাদের এলার্জি আছে তারা কিসমিস খাওয়া ঠিক নয় ।
যাদের ডায়বেটিস সমস্যা আছে তারা অতিরিক্ত পরিমানে কিসমিস খাবে না, এতে ডায়বেটিস বেড়ে যেতে পারে ও সম্ভাবনা থাকে ।
যারা শরীরের ওজন কমাতে চান তারা বেশি কিসমিস খাবেন না, কারণ কিসমিস শরীরের ওজন বাড়ায়।
কিসমিস খাবার হজমে বিঘ্ন ঘটায় অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
কিসমিস এর উপকারিতা কি
কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় সারারাত কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে পরের দিন ভোরে সেটা খান। ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার। হাই ব্লাডপ্রেসারের সমস্যা থাকলে এটি তা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১. ব্লাড প্রেসার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতি গুলোর মধ্য একটি কিসমিস। এর মধ্যে থাকা পটাসিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখে।
২. রক্তস্বল্পতা কমায় রক্ত স্বল্পতা কমতে কিসমিস যথেষ্ট উপকারি। নিয়মিত কিসমিস খেলে মধ্যে থাকা আয়রন রক্ত হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এছাড়া এর মধ্যে আছে তামা যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
৩.হজমশক্তি বাড়ায় সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমশক্তি জরুরি হয় । এক্ষেত্রে কিসমিস হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে । রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে পরের দিন ভোরে সেই কিসমিস খান। নিজেই তারপর তফাত খেয়াল করুন দিন পনেরো পরে থেকেই।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়াতে চান তাহলে ভেজা কিসমিস এবং তার পানি নিয়মিত খান। এর মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. বিষমুক্ত শরীর শরীর দূষণমুক্ত করতে কিসমিস খান নিয়মিত। চারিদিকে দূষণ আপনি যখন জেরবার তখন সকাল খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে তাই ভেজানো কিসমিসের পাশাপাশি কিসমিস ভেজানো পানি খেতে পারেন।
কিসমিস এর গাছ
কিসমিস শুকনো আঙ্গুর এটিকে ইংরেজিতে রেইসিন (Raisin) বলা হয়।কিসমিস বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত হয়ে থাকে এবং এটি সরাসরি খাওয়া যায় ও বিভিন্ন খাদ্য রান্নার সময় উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
এটি খেতে খুব সুস্বাদু এবং এটি প্রাচীনকাল থেকে শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আছে।
কিসমিস কত প্রকারঃ পৃথিবীতে ৬ প্রকারের কিসমিস পাওয়া যায়।
খালি পেটে কিশমিশে– ক্তস্বল্পতায় কিশমিশ উপকারী, সেটা অনেকেই জানেন। কিশমিশ শরীরে নতুন রক্ত তৈরি করে।
এটা জানা আছে কি, আপনার লিভার বা যকৃত্ পরিষ্কার করতেও কিশমিশে জুরি নেই ।
নিয়মিত কিশমিশের পানি (water) লিভার সাফ করে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিশমিশের পানি (water)খেলে লিভারে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে থাকে ।
আঙুর (Vitis vinifera) আঙ্গুর , দ্রাক্ষা (ইংরেজি Grape) এক প্রকারের ফল , জাতীয় দ্রাক্ষালতা গাছে ফলে থাকে।
দ্রাক্ষালতা গাছটি Vitaceae অন্তর্গত। ৬ হতে ৩০০টি পর্যন্ত আঙুর এক সাথে একই থোকায় ধরে থাকে রঙ কালো, নীল, সোনালী, সবুজ, বেগুনি-লাল, বা সাদা হয়ে থাকে।
কিসমিসের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ অপরিসীম। কিসমিস আমাদের সকলের কাছে একটি পরিচিত নাম তাই কিসমিস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হয়ে থাকে।
কিসমিস মূলত আঙুর ফলের শুকনো রূপ কিসমিসকে শুকনো ফলের রাজা বলা হয়। সোনালী-বাদামী রংয়ের চুপসানো ভাঁজ ফলটি খুবই শক্তিদায়ক ।
আরো পড়ুন: কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি?
কিসমিস এর দাম | কিসমিস এর দাম কত
কিসমিসের দাম কত
কিশমিশের দাম সম্পর্কে অনেকে জানে আবার অনেকে জানে না। এখানে আপনাদের জানাবো বর্তমানে কিসমিসের দাম। এই সময়ে কিসমিসের দাম কিছু বেশি। প্রতি কেজি কিসমিস ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।
কিসমিসের বিভিন্ন কোয়ালিটি আছে বা রয়েছে, যেগুলোর উপরে দাম নির্ধারণ করা হয়। আপনি চাইলে কম পরিমাণেও কিসমিস নিতে পারেন যেমন, 100 গ্রাম, 200 গ্রাম,300 গ্রাম ,আধা কেজি ইত্যাদি।
১০০গ্রাম কিসমিসের দাম কত
বর্তমানে ১০০ গ্রাম কিসমিসের দাম ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা। কিসমিস খুচরা বিক্রি হয়, যার কারণে সকল পেশার মানুষ কিশমিশ কিনতে পারে।
১ কেজি কিসমিসের দাম বেশি হওয়ার কারণে, অনেক মানুষ রয়েছে যারা ১০০ গ্রাম কিংবা ২০০ গ্রাম করে কিসমিস কিনে থাকে। ৫৫ টাকার মধ্যে আপনি ১০০ গ্রাম কিসমিস পাওয়া যাবে।
১ কেজি কিসমিসের দামকত
অনেকে মাঝে প্রশ্ন জাগতে পারে বর্তমান সময়ে ১ কেজি কিসমিসের দাম কত । ১কেজি কিসমিসের দাম ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে হবে ।
আপনি যদি একটু ভালো মানের কিসমিস নিতে চান তাহলে প্রতি কেজির দাম ৫৫০ টাকা থেকে বা এর কিছুটা বেশি পড়তে পারে। অন্যদিকে আপনি স্বাভাবিক অথবা নরমাল ১ কেজি কিসমিস নিতে চান তাহলে ৫০০ টাকতে পেয়ে যাবেন।
কালো কিসমিস দাম
কিসমিস সাধারণত দুই প্রকারে হয়ে থাকে যেমনঃ
কালো কিসমিস ও সোনালী কিসমিস
সোনালী কিসমিসে চাইতে কালো কিসমিসের দাম তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে । আবার প্রতি কেজি কালো কিসমিসের দাম ১,০০০ থেকে ১,২০০ টাকা। সোনালী কিশমিশ পাওয়া যায় ৫০০ টাকার মধ্যে।
কালো কিসমিস দেখতে অনেক সুন্দর ও খেতে অনেক ভালো। আপনি যদি ভালো মানের ১ কেজি কালো কিসমিস নিতে চান, আপনার বাজেট ধরে রাখতে হবে ১,১০০ টাকা মত। যদিও কিসমিস গুলোর কয়েকটি কোয়ালিটি আছে কোয়ালিটির উপরেও দাম কম বেশি হতে পার
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিস একটি স্বাস্থ্যগুণ সম্পন্ন খাবার যা কিসমিসের পুষ্টিগুণ আরও ভালোভাবে পাওয়া যায় টা কিসমিস ভেজানো পানি পান করলে । রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিসমিসে থাকা এই বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহজেই দ্রবণীয় হয়ে যায়।
সেই পানি পান করলে কিসমিসের গুণাগুণ আমাদের শরীর সহজে নিতে বা শোষণ করতে পারে। তাই সকালে খালি পেটে ভেজানো পানি পান করলে মিলবে নানা উপকারিতা।
সপ্তাহে অন্তত চারদিন কিসমিস ভেজানো পান করলে তা পেট পরিষ্কার রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে । যারা প্রায়শই পেটের গণ্ডগোলে ভোগেন তাদের এই টনিক বিশেষ উপকারি।
পাশাপাশি কিসমিস থেকে পাওয়া যাবে ভরপুর এনার্জি, সারাদিন আপনাকে রাখবে প্রাণবন্ত। চলুন তাহলে জেনে নিই কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কি কি ।
>> কিসমিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায়ে থাকে ।
>> শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তেও ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে ।
>> প্রতিদিন কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যও অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি মিলবে ওষুধ ছাড়াই। আবার পাশাপাশি হজমে সহায়তা করে।
>> কিসমিস হৃদক্রিয়া ভালো রাখতে সাহায্য করে
>> কিসমিস কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে থাকে ।
>> কিসমিসে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে ।
>> কিসমিসে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সহজেই রোগমুক্তির কারণ হয়ে থাকে
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম
কিসমিসের পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণভাবে পেতে কিসমিস ভিজিয়ে খেতে পারেন। রাতে দুই কাপ ও পানিতে কয়েকটি কিসমিস রেখে দিন। কিসমিস যত গাঢ় রংয়ের হবে,সেটা তত উপকারী। পরের দিন সকালে ওই কিসমিস ছেঁকে নিন।এবং খালি পেটে এই পানি পান করুন। চাইলে পানি গরম করে পান করা ও যাবে ।
কিসমিস হলো পুষ্টির ভান্ডার একটি । কিসমিসের গুণকীর্তন আমরা অনেক শুনেছি। রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিসমিসে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহজে দ্রবণীয় হয়ে যায় । যা আমাদের শরীর আরো সহজে নিতে বা শোষণ করতে পারে খুব সহজ ভাবে । তাই সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিসসহ পানি খেলে নানা উপকারি ।
আসুন দেখে নেওয়া যাক কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা।
১ কিসমিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায়।
২ শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার সাহায্য করে।
৩ প্রতিদিন কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই। পাশাপাশি সহায়তা করে।
৪ কিসমিসে হৃদক্রিয়া ভালো রাখে।
৫ কিসমিস কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখে।
৬ কিসমিসে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ আছে।
৭ কিসমিসেপ্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা সহজেই রোগমুক্তির কারণ।
৮ কিসমিসে প্রচুর আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।
৯ কিসমিস ভেজানো শরীরের খুবই উপকারি। কিসমিসের জল লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।দেখা গিয়েছে যে, এই জল খেলে শরীরে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াহয়। যার ফলে রক্ত পরিশোধিত হতে শুরু করে। পাশাপাশি থাকে কিডনিও।
১০ কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, সেলেনিয়াম, জিংক এর সম্মিলিত ক্রিয়া ত্বককে সুন্দর রাখে।
১১ কিসমিস ক্যালসিয়াম ও বোরন সমৃদ্ধ হওয়াতে দাঁত ও হাড় গঠনে করে।
১২ কিসমিস প্রাকৃতিক শর্করায় পূর্ণ এবং অল্প পরিমাণে খেলে আপনার মিষ্টি খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কম হবে। ।
যারা উপকার পেতে চান তারা রাতে দুই কাপ পানিতে একটু কিসমিস ভিজিয়ে রেখে দিন। কিসমিস গাঢ় রংয়ের হবে, তত উপকারী। পরের দিন সকালে কিসমিস ছেঁকে নিন। এবার কিসমিস ভেজানো জলটা হালকা গরম করুন। খালি পেটে জল খেয়ে নিন।
সপ্তাহে কমপক্ষে চারদিন কিসমিস ভেজানো জলতা পেট পরিষ্কার রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
যারা প্রায়শই পেটের গণ্ডগোলে থাকেন তাদের জন্য এই টনিক বিশেষ উপকারি। পাশাপাশি কিসমিস পাওয়া যাবে ভরপুর এনার্জি ।
আরো পড়ুন: ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
দুধের সাথে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা নেহাত কম না। শরীর দুর্বল লাগা, মাথা ঘোরা এসব থেকে মুক্তি ।
এছাড়াও যাঁরা জটিল কোনও অসুখে ভুগছেন তাঁরাও এই দুধের সাথে কিসমিস খেলে ভালো ফলে পেট পরিষ্কার থাকবে।
এই সময়ে কিসমিস ও দুধপান শরীরের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী ৷ কেননা কিশমিশে তন্তু জাতীয় খাবার পরিমাণে থাকে ৷
দুধ ও কিসমিসে সোডিয়ামের পরিমাণ পর্যাপ্ত থাকে বলেই উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা অত্যন্ত সহজে কমে ৷ ফলত জীবনের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় ৷
ক্যান্সারের মত মারণ রোগের ক্ষেত্রে দুধ ও কিসমিস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ৷ দুধ কেচেটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় ৷
যা ফ্রি র্যাডিক্যাল ড্যামেজ বাঁচানো ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে কাজ করে ৷ সেই কারণেই পরামর্শ দেওয়া হয় গরম দুধে সঙ্গে কিসমিস খাওয়ার ৷
কিসমিস ও দুধ পান করলে চোখে পক্ষে অত্যন্ত ভাল হয় ৷ এতে পলোফেলেনিক ফাইটোনিউট্রিয়ন্স থাকে ৷একটি মজবুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতই চোখের সুরক্ষায় ভূমিকা গ্রহণ করে ৷
রক্তল্পতা ও কোষ্ঠ কাঠিন্যর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন কিসমিস এক্কেবারে ম্যাজিক মন্ত্রের মত কাজ করবে ৷
দুধের মধ্যে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম রাইবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি ২)-এর মত পুষ্টিজাত পদার্থ আছে ৷ দুধে ভিটামিন এ, ডি, ই-র সঙ্গে ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়োডিন-বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ আছে ৷
দুধে খনিজের সঙ্গে সঙ্গে ন্যাচরাল আছে, দুধে বেশ কিছু উৎসেচক, এমন কিছু উপদান, সরাসরি রক্তের উপকার করে, যা শরীরের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারীবটে ৷
কিসমিসে আয়রনের মাত্রা বেশি পরিমাণেই থাকে যা অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা থেকে মুক্তি৷ এছাড়াও কিশমিশে তামা বা কপার থাকে ৷
কিসমিসে লোহিত রক্ত কণিকা শরীরে রক্তের অভাব হয়না ৷ কিশমিশে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স,সেলিনিয়ন থাকে ৷
যা প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও জাগ্রত,কমজোর ভাব ও গুপ্তরোগও দূর করে ৷ দুধের কিসমিস খেলে যে যে উপকার পাওয়া যায় ৷
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
আচ্ছা প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত ও একজন প্রাপ্ত বয়স্কের প্রতিদিন কতোটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত ।
এ প্রশ্ন আমাদের মাথায় এসে থাকে। কিসমিস কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখে জানে কতটুকু পরিমাণ কিসমিস খাওয়া উচিত ও কিসমিস খেলে হবে তবে চিন্তার কোন কারণ নেই ।
প্রতিদিন কতটুকু পরিমাণে কিসমিস খাওয়া উচিত ও কিসমিসের কি উপাদান রয়েছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন 100 গ্রাম থেকে 150 গ্রাম কিসমিস খেতেই পারে।
কিসমিস হলো শুকনো আঙ্গুর ইংরেজিতে রেইনসিন বলা হয়। কিসমিস বিশ্বে বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত হয় এটি সরাসরি খাওয়া যায় । বিভিন্ন খাদ্য রান্নার সময় উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিসমিসে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহজে দ্রবণীয় হয়ে যায়।সেই পানি পান করলে কিসমিসের গুনা গুন আমাদের শরীরে আরো সহজে নিতে শোষণ করতে পারে। তাই সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস পানি পান করলে মিলবে নানা উপকারিতা।
প্রতিটি প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত বলতে পারি আপনারা প্রতিদিন কিসমিসের পুষ্টি সম্পন্ন গুণ পেতে চাইলে কিসমিস ভিজিয়ে রেখে পারেন।
রাতে দুই কাপ পানিতে কয়েক কিসমিস রেখে দিন। কিসমিসের যত গাঢ় রংয়ের তত উপকারী হবে। পরের দিন সকালে ওই কিসমিস ছেঁকে নিয়ে । এবং খালি পেটে পানিসহ করুন আপনি অনেক উপকারিতা পাবেন।
বাদাম ও কিসমিস এর উপকারিতা
সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে জল পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা আমরা অনেকে জ্ঞান রাখি ।
তবে কেবল জল নয় অনেকেই ঘুম থেকে ওঠার পর নিয়ম ভেজানো বাদাম (almond) খেয়ে থাকেন। জানেন এই শুকনো ফলটি একাধিক গুণে সমৃদ্ধ। সারাদিনের দৌড়ঝাঁপের শক্তির জোগান আমন্ড। শুধু তাই নয় ডায়াবেটিল রোগীদের জন্য ভেজানো বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের উপকারী।
ব্রেকফাস্টে আমন্ড কিশমিশ রাখুন রোজ ব্রেকফাস্টে সময়ে দুটো করে আমন্ড ও কিশমিশ ত্বক চুলের পক্ষে ভাল।
দিনের শুরুটা আমন্ড বাদাম দিয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আমন্ড বাদামের পুষ্টি যাতে ঠিকমত আমাদের শরীরে পৌঁছায় এ জন্য আমন্ডের খোসা ছাড়িয়ে রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন।
আমন্ডে রয়েছে পুষ্টি ও প্রচুর পরিমান ভিটামিন ই। এই উপাদান গুলি ত্বক ও স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অত্যন্ত আবশ্যক, এমনকি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে আমন্ড বাদাম।
আমন্ড বাদামের পাশাপাশি আপনি কিশমিশ রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে পারেন।
হেলথ ও হজম প্রক্রিয়া রাখে কিশমিশ। চুল পড়াও কম করে। এছাড়া এতে প্রচুরআয়রন ও ভিটামিন বি-ও আছে। নিয়মিত কিশমিশ আমাদের শরীরে আয়রন ও ভিটামিন বি মত উপাদান সহজে পৌঁছায়।সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে সব মানুষ আমন্ড বাদাম খান ওজন তাড়াতাড়ি কম হয়।
ওজন কমাতে চাইলে আমন্ডের জুড়ি নেই। পাশাপাশি ভেজানো আমন্ড কিশমিশ সকালে খেলে ঋতুস্রাবের তলপেটের পেশির টান বা ক্র্যাম্প থেকে রেহাই পাওয়া যায়৷ পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য আমন্ড ও কিশমিশ৷হজম শক্তি উন্নত করে- অনেকেই বাদাম খেতে ভালোবাসেন।
কিন্তু তা না-করে বাদাম খেলে হজম শক্তি উন্নত হয়। বাদাম ও কিশমিশ খাবারের মধ্যে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদান শোষণ করতে সাহায্য করে। এগুলি এমন এক উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে, যার ফলে হজম শক্তি উন্নত হয়
কিসমিস স্বাস্থ্যগুণ সম্পন্ন খাবার। কিসমিসের পুষ্টিগুণ ভালোভাবে পাওয়া যায় কিসমিস ভেজানো পানি পান করতে হবে ।
রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রাখে কিসমিসে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহজে দ্রবণীয় হয়ে যায়।
সেই পানি পান করলে কিসমিসে গুণ শরীর আরো সহজ নিতে বা শোষণ করতে পারে।
তাই সকাল খালি পেটে ভেজানো কিসমিস সহ পানি পান কর হবে মিলবে নানা উপকারিতা।
সপ্তাহে চারদিন কিসমিস ভেজানো পানি পান করলে পেট পরিষ্কার রাখতে বিশেষ কারনে সাহায্য করে।
যারা প্রায়শই পেটের গণ্ডগোলে থাকেন তাদের জন্য টনিক বিশেষ উপকারি।
পাশাপাশি কিসমিস থেকে পাওয়া ভরপুর এনার্জি, সারাদিন আপনাকে রাখে প্রাণবন্ত।
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি যা আপনার জীবনের চিন্তাভাবনাকে বদলে দিবে ।
এই পোস্টের আরো কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন দেয়া হলো যা আপনার জ্ঞান কে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকবে
কিছমিছ খাওয়ার উপকারিতা কি?
মানব শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে। কিসমিসএ আছে নানা ধরনের ভিটামিন , মিনারেল।
কিসমিস খেলে কি ক্ষতি হয়?
ডায়েটারি ফাইবার শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত তরল শুষে নিতে পারে, যা ডায়রিয়ার সমস্যা নিরাময় করতে পারে, জল না খেলে কিসমিস বেশি খেলে ডিহাইড্রেশন ও বদহজম পেট সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। অ্যালার্জি- কিশমিশ খাওয়া কিছু মানুষের অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
কিসমিস কত প্রকার?
কালো কিসমিস- ১২০০টাকা কেজি। পাকিস্তানি কিসমিস- ৭৫০টাকা কেজি। ইরান কিসমিস- ৫৫০টাকা কেজি। চায়না কিসমিস- ৪৫০ টাকা কেজি।
প্রতিদিন কি পরিমাণ কিসমিস খাওয়া উচিত?
কিসমিসে ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন,কপার এবং ভিটামিন বি৬ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। বিশেষজ্ঞ বলছে, সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে এটি খেলে অনেক উপকার মেলে। তা খেতে হবে পরিমিত। পুষ্টিবিদরা বলে, দিনে ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া যায়।
কিসমিস এত মিষ্টি কেন?
কিশমিশ মিষ্টি কারণ এতে প্রায় 60% চিনি থাকে, প্রধানত ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ আছে ।
কত কি ভালোদিসমিস খাওয়ানে?
কিসমিসের পুষ্টিগুণ থাকলেও সবকিছুই পরিমাণ মতো খাওয়া প্রয়োজন দিন ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মত ।
সোনালী কিসমিস খেলে কি ভালো হয় ?
সোনালী-বাদামী রংয়ের চুপসানো ভাঁজ ফলটি খুবই শক্তিদায়ক। আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি স্কিসমিস। শরীরের রক্ত দ্রুত বৃদ্ধি পায়, পিত্ত ও বায়ুর সমস্যা দূর হয়। হৃদপিণ্ডের জন্যও উপকারি।
কিচমিচ কিভাবে খায়?
নিয়ম করে প্রতিদিন কিসমিস খেলে উপকার নিশ্চিত ১০০ বা ৫০ গ্রাম। কিসমিস ভালো ভাবে ধুয়ে ১ গ্লাস পানিতে রাতে ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ছয় ঘণ্টার মত। পরেরদিন সকালে কিসমিস ভালো করে ছেকে নিয়ে সেই পানি হালকা গরম করে খালি পেটে খেয়ে নিবেন। এরপরে আধ ঘন্টা আর অন্য কোনও খাবার খাওয়া যাবে না।
প্রতিদিন কত গ্রাম কিসমিস খাওয়া উচিত?
কিসমিসের পুষ্টিগুণ থাকলেও সবকিছুই পরিমাণ মতো খাওয়া প্রয়োজন দিন ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মত ।
ওজন বৃদ্ধির জন্য কিসমিস খাওয়া উচিত?
ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম আর কিসমিসের বিকল্প নাই । রাতে ঘুমাবার সময় কম পানিতে আধা কাপ কাঠ বাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেগুলো ফুলে উঠবে খেয়ে নিন। ওজন বাড়াতে আপনাকে সাহায্য করবে এই ফল আর সবজি।
কিসমিস কত প্রকার?
কিসমিস চার প্রকার ।