কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয় – কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ
কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়: কিডনি সমস্যা থাকলে মূত্রনালীর অঞ্চলে (পিঠ, পেটের পাশে) ব্যথা হতে পারে, এছাড়াও কাঁচা কাঁচা বা গোলাকার ব্যথা অনুভব করা যেতে পারে।
এর আগেই বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ যে, কিডনি সমস্যা সম্পর্কিত ব্যথা অন্যান্য সমস্যার জন্যও হতে পারে, তাই যদি এরকম কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
কিডনি সমস্যার কিছু সাধারণ লক্ষণ হতে পারে:
- **ব্যথা**: মূত্রনালীর অঞ্চলে বা পিঠে ব্যথা অনুভব করা।
- **মূত্রস্থানে সমস্যা**: অস্বস্তি, ছোঁয়া, ছিদ্র, বা ব্লাড বা মূত্রদ্বারে ব্যাঘাত।
- **মূত্রধারায় পরিবর্তন**: মূত্রধারায় রঙের পরিবর্তন, বোঝা যায় স্বাভাবিক না থাকা।
- **মূত্রধারায় সংখ্যার পরিবর্তন**: মূত্রধারার সংখ্যা বা পরিমাণে পরিবর্তন।
- **স্বাস্থ্য সমস্যা**: অনিয়মিত নিবারণ, স্বাস্থ্যহানি অথবা অবসাদ।
যদি এই ধরনের লক্ষণ অনুভব করেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত। কারও যোগাযোগ করা উচিত, যারা এই ধরনের সমস্যা নিয়ে পরামর্শ দেয়।
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ অনেকটা সামান্য বা অস্পষ্ট হতে পারে, তবে কিছু মানে লক্ষণ হতে পারে যেমন:
– অনিয়মিত বা বারবার মুত্রনালী থেকে মূত্র বের হচ্ছে
– স্বাভাবিক থেকে বেশি বা কম মূত্র বের হচ্ছে
– ক্রিয়াশীলতা ও শক্তির অপচয়
– ব্যাথা, পেটের পেট বা পেটের পাশে ব্যথা
– শরীরে সুস্থ ও স্বাভাবিক সাম্প্রতিক পরিবর্তন বা পার্শ্বপোষক অসুস্থতা
– চারপাশে স্থূলবাহী শরীরের স্থানান্তর
কিডনি সমস্যার লক্ষণ হতে পারে:
– অস্বাভাবিক মূত্রপ্রসার: অতিরিক্ত মূত্রপ্রসার বা স্বাভাবিক থেকে আবারও বেশি মূত্রপ্রসার করা।
– চামড়া ও চোখে পানি সংকেত: পানির অধিক অথবা আলোচনামূলক চোখ সংকেত হতে পারে যা কিডনি সমস্যার সাথে সংক্রান্ত হতে পারে।
– থাকার অথবা আঘাতের সমস্যা: কিডনি সমস্যা থেকে উত্পন্ন সূচনা বা ব্যাথা সম্পর্কিত সমস্যা।
– মস্তিষ্কে বা মনে সমস্যা: কিডনি অসুস্থতা হলে মনোবিজ্ঞানিক সমস্যা হতে পারে।
– রক্তে প্রতিবন্ধী বা ক্যালসিয়াম সমস্যা: কিডনি সমস্যার সাথে যুক্ত হতে পারে ক্যালসার।
যদি আপনি কিডনি সম্পর্কিত কোনও সমস্যা সনাক্ত করেন, তবে সর্বোচ্চ প্রাথমিকভাবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত যাতে আপনার সঠিক চিকিৎসা ও পরামর্শ পাতা যায়।
কিডনির সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত
যদি কোনও কিডনি সমস্যা থাকে, তবে সেই সমস্যা এবং রোগীর অবস্থার উপর নির্ভর করে খাবারের পরামর্শ বদলে যেতে পারে।
অনেক সময় ডায়েট বদলে কোনও নির্দিষ্ট খাবারের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। কিডনি সমস্যা আছে বলে বুঝানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার যে ডায়েট বা খাবার সুপারিশ করবেন, তা অনুসরণ করা উচিত।
কিডনির স্বাস্থ্য সম্পর্কে খাবারের ব্যাপারে কিছু মানদণ্ড থাকতে পারে:
- **তরল পরিমাণ:** ডাক্তারের সুপারিশ মোতাবেক দিনে কত পরিমাণে পানি প্রয়োজন তা মেনে চলা উচিত।
- **কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সম্পর্কে সাবধানি:** কিডনি রোগীরা আগে ডাক্তারের সাথে আলাপ করে বুঝতে হবে কতটুকু কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সম্পর্কে খাবার প্রয়োজন।
- **নৌতন্যশীল খাবার:** প্রায়শই কিডনির রোগীরা নৌতন্যশীল খাবার পছন্দ করে, যেমন তাজা ফল, সবজি, গাড়াজামা খাবার।
- **কাঁচা পরিমাণ কমানো:** কিডনির রোগীরা সাধারণভাবে নামি ও লবন কম করে খাবেন।
- **প্রয়োজনীয় বিটামিন ও খনিজ:** কিডনির সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিটামিন এবং খনিজ সাপ্লিমেন্ট নেয়া উচিত।
এই মানদণ্ডগুলি কিডনির সমস্যার উপযোগী খাবার নির্ধারণে সাহায্য করতে পারে, তবে এই সব কেবল কার্যবিশেষ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিবর্তন করা উচিত।
কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
কিডনি সমস্যা হলে ব্যথা হতে পারে:
- পিঠের নিচে অথবা পিঠের দিকে
- মূত্রবাহী মার্গের অংশে
- পেটের পাশে অথবা পেটের উপরে
- মাথার পিঠে অথবা অব্যথা বা ব্যাথা অনুভব করা
এই সমস্যা সাধারণভাবে পিঠ অথবা পেট এলাকায় ব্যথা সৃষ্টি করে, তবে কিডনি সমস্যা শক্ত হলে অন্যান্য অংশেও ব্যথা অনুভব করা সম্ভব। যেমন মূত্রবাহী মার্গে কিছু প্রশ্ন থাকতে পারে।
কিডনি সমস্যার কিছু আমুলগত লক্ষণ হতে পারে:
- **ব্যাথা বা মাংশপেশীর ব্যাথা:** হৃদয়ের পিছনের অথবা মাথার পিছনের অতিরিক্ত প্রেসারের জন্য ব্যথা অনুভব করা যেতে পারে।
- **মূত্রবাহী সমস্যা:** মূত্রবাহী অংশে ব্যথা, বার্মা অথবা স্পষ্টতার সমস্যা হতে পারে।
- **মূত্রনালী সমস্যা:** মূত্রনালী সংক্রান্ত সমস্যা থাকতে পারে এবং তা ব্যথা অনুভব করা যেতে পারে।
- **পেট বা পাইপের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যথা:** কিডনি সমস্যা থাকলে মেটা এলাকা বা পেটের উপরে বা নিচে ব্যথা অনুভব করা হতে পারে।
যদি কেউ কিডনি সমস্যার সনাক্ত লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে তা নিশ্চিত করতে মেডিকেল প্রোফেশনালের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। উচিত চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য নিকটস্থ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
সুস্থ কিডনির লক্ষণ
সুস্থ কিডনির কোনো বিশেষ লক্ষণ অফের কিন্তু সাধারণভাবে কিডনির সমস্যা হলে অনির্দিষ্ট অল্প ব্যথা, পানিতে সমস্যা, মুত্রমার্গে বা মুত্রনালীতে সমস্যা, ক্ষুধামন্দা, থাকার সময় অবসাদ বা থাকার সময় বড় প্রমাণে অবাঞ্ছিত থাকার ইচ্ছা,
অধিক পানি প্রয়োজন হওয়া ইত্যাদি অনুভব করতে পারেন। তবে, এই লক্ষণগুলি অন্যান্য সমস্যার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, তাই যদি আপনার কোনো সন্দেহ থাকে, তবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
কিডনি সমস্যার অন্যান্য লক্ষণ হতে পারে:
- প্রস্তুতি অনুভব: ক্লাস্টারের মধ্যে ব্যথা, ব্যাথা বা তন্দ্রা
- মুত্রমার্গে সমস্যা: বারবার মুত্রপিণ্ড বা প্রস্তুতির সাথে সমস্যা, অল্প বা অতিরিক্ত মুত্রপিণ্ড
- পানিতে সমস্যা: স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বা কম পানি প্রয়োজন
- পরিস্থিতি: অল্প ব্যথা বা মনোবিষ্টতা, পেটে সমস্যা, জ্বর, ক্ষুধামন্দা, চাপ বা অনিয়মিত হৃদপেশীর কাজ
- ত্বক বা চোখে পরিবর্তন: ত্বকের সাদা বা গাঢ় হওয়া, চোখের পাতায় বা চোখের আশু প্রস্রাবে পরিবর্তন
এই সমস্যা সনাক্ত করতে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত, যাতে উপযুক্ত পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসা শুরু করা যায়।
কিডনি সমস্যার অন্যান্য লক্ষণ হতে পারে
কিডনি সমস্যার লক্ষণ হতে পারে অতিরিক্ত ক্ষতিকারক অবস্থা, ক্রমশঃ অতিরিক্ত ক্ষতিকারক গ্লোবুলিন, মুখের অদৃষ্টিতে পরিবর্তন, জ্বর, পানি হারানো ক্ষতিকারক মাল, পেটের নিচে ব্যাথা, পানি রক্ত অনুস্রাব এবং হতাশা বা অনুভূতি অবস্থা।
কিডনি সমস্যা আরো গম্ভীর হলে শ্বাসকষ্ট, হৃদপিড়ন, পেট বা পিঠে স্থানান্তরিত ব্যাথা হতে পারে। যদিও এই লক্ষণগুলি অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দ্বারা উত্পন্ন হতে পারে, কিন্তু যদি কোন লক্ষণ সহজেই বুঝতে না যায় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে তা কিডনি সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
কত পয়েন্ট থাকলে কিডনি ভালো থাকে?
কিডনি স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সাধারণতো কোনো নির্দিষ্ট পয়েন্ট নেই। কিডনির স্বাস্থ্য মানার জন্য মূলত পরীক্ষা, পরামর্শ এবং সাধারণ কার্যকলাপ গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কিডনি স্বাস্থ্য সম্পর্কে চিন্তিত হন, তাহলে নিকটস্থ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
কিডনি রোগের পরীক্ষার নাম কি?
কিডনি রোগের জন্য কিছু প্রধান পরীক্ষা আছে, যেমন ক্রিয়াত্মক নিঃসরণ গ্রেফটিং রেট (GFR), ক্রেটিনিন পরীক্ষা, ইউরিন পরীক্ষা (বিভিন্ন ধরণের টেস্ট যেমন ইউরিন অ্যানালাইসিস),
ব্লাড টেস্ট এবং ইমেজিং টেস্ট (যেমন একো, কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি). এই পরীক্ষা গুলি কিডনি স্বাস্থ্যের অবস্থা ও সমস্যার মাত্রা নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
কিডনি পরিষ্কার রাখার উপায় কি?
কিডনি পরিষ্কার রাখার জন্য প্রাথমিক উপায় হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা। যেসব অনান্য উপায় হতে পারে:
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- ধূমপান এবং মাদকদ্রব্য পরিহার করা
- প্রয়োজনে চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়া
- প্রয়োজনে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা
তবে, যদি কাউকে কিডনির সমস্যা বা অনুশীলন প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
কিডনির সমস্যা হলে কি হয়
কিডনির সমস্যা অনেকটাই বিভিন্ন ধরণের কারণে ঘটতে পারে, যেমন কোন ধরনের অনুকূলতা, খাদ্য পদার্থের অপ্রত্যাশিত অব্যহতি, কিডনি স্থায়ী অসুস্থতা, মেডিসিন বা অন্যান্য কারণে। কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে সামান্য শারীরিক
অসুস্থতা, ব্যাথা বা মুখের রঙের পরিবর্তন বা মূত্রবাহী ব্যবস্থার সমস্যা। এই সমস্যার পরামর্শ জন্য একজন চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
কিডনির সমস্যা হলে লক্ষণ কি কি দেখা দেয়
কিডনি সমস্যার লক্ষণগুলি হতে পারে: ব্যাথা বা নিজের মধ্যে দুঃখ, নিতান্ত শরীরের অতিরিক্ত প্রবাহমূলক দ্রব্য বা মুখ্যতঃ প্রোটিন, পুরুষের প্রস্টেট বা নারালম এবং মহিলার জন্য গর্ভাশয় থেকে রক্ত, ব্যাথা বা বাদামি গন্ধ,
পুরুষের লিঙ্গের আবার আস্তির্ণ বা স্ত্রীলিঙ্গের লক্ষণ সহ। অন্যান্য লক্ষণ হতে পারে জ্বর, পেট বা পিঠ এবং নিচের অংশে ব্যাথা, মূত্রনালের সমস্যা, প্রস্তুতি বা জ্বর। যেকোনো ধরণের লক্ষণ বা সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
কিডনির ব্যথা কেন হয়
কিডনির ব্যথার মূল কারণ বিভিন্ন হতে পারে। কিডনি রোগ, সিস্টিটিস, সাংক্রামিক অবস্থা, পাথর, কিডনি ইনফেকশন, দুর্বল কিডনি এবং অন্যান্য মেডিকেল সমস্যা কিডনির ব্যথা উত্পন্ন করতে পারে।
তবে, সঠিক পরীক্ষা এবং চিকিৎসা না করলে ব্যথার সঠিক কারণ নির্ধারণ করা কঠিন হতে পারে। যদি কখনো কিডনির ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
আরো পড়ুন: কিডনির জন্য ক্ষতিকর খাবার
কিডনির সমস্যা হলে কি করনীয়
কিডনির সমস্যা সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। তিনি পরীক্ষা করে অবস্থাটি মূল্যায়ন করবেন এবং কোনও চিকিৎসা বা পরামর্শ প্রদান করবেন।
তাদের পরামর্শ অনুসরণ করা ও প্রেস্ক্রিপশন অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। আরোগ্যদায়ক খাবার, পরিমাণিত পানি পান, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মিত চিকিৎসা কার্যক্রম কার্যকর হতে পারে।