কম্পিউটার কি? কম্পিউটার কত প্রকার, বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার
আসসালামু আলাইকুম,, আমাদের ওয়েবসাইটের আধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষা রিলেটেড উক্ত পোস্টটিতে আপনাদেরকে স্বাগতম। আমাদের উক্ত পোস্টে আমরা আপনাদেরকে —
👉কম্পিউটার কি,,,,কত প্রকার,,,,
👉কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য,,,ব্যবহার,,,ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানাচ্ছি।
বর্তমান আধুনিক বিশ্বে কম্পিউটার একটি অন্যতম প্রযুক্তির ব্যবস্থা। কম্পিউটারের প্রচলন হওয়ার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর মাধ্যমে সকলে একে অন্যের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরেছে।
ছাড়াও মানব জীবনের প্রাত্যহিক বিভিন্ন প্রয়োজনে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় । হলে কম্পিউটার ব্যবহার এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রকারভেদ, কম্পিউটারে বৈশিষ্ট্য ও কম্পিউটার বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
কম্পিউটার কি
কম্পিউটার হলো একটি প্রোগ্রাম। যা সাধারণত একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং এর মাধ্যমে ইনপুট ডিভাইসের ডাটা গুলো গ্রহণ করা এবং আউট ডিভাইসের মাধ্যমে ফলাফল তৈরি করা যায়।
এই যৌক্তিক ক্রিয়াকলাপ এবং গাণিতিক সমস্যার সমাধান করার পরে আউটপুট রেন্ডার করে এবং ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য আউটপুট কি সংরক্ষণ করা হয়। পাশাপাশি অসংখ্যাগত বিভিন্ন গণনা প্রক্রিয়া করতে পারি। “”কম্পিউটার”” এই শব্দটি ল্যাটিন শব্দ “”কম্পিউটার”” থেকে যার অর্থ হল গণনা করা।
এছাড়াও একটি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন চালানোর মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজাইনের কাজ এবং সমন্বিত হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার উপাদান গুলোর বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায়। ফলে প্রোগ্রামের সাহায্যে বিভিন্ন বাইনারি ডিজিটাল থেকে শুরু করে স্প্রিং এর মাধ্যমে দশমিক সংখ্যা স্থাপন করা যায়।
তাই এটিতে একটি মেমোরি রয়েছে যার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোগ্রাম, প্রক্রিয়া করণের ফলাফল এবং সময় সংরক্ষণ করা যায়। ফলে একটি কম্পিউটারে বিভিন্ন উপাদান এবং যন্ত্রপাতি ইত্যাদির মধ্যে তার ট্রানজিস্টর, হার্কডিস্ক ও সার্কিট থাকার ফলে তাকে হার্ডওয়ার বলা হয়।
সর্বপ্রথম বিশেষ একটি ইঞ্জিন ছিল যা কম্পিউটারে ১৯৩৭ সালে বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছিলেন। এবং এটি শুধুমাত্র পটন যোগ্য মেমোরি হিসেবে সকলের কাছে পাঞ্চ কাট ব্যবহার করা হয়েছিল। এজন্য চার্লস ব্যাবেজ কে কম্পিউটারের জনক ও বলা হয়।
কম্পিউটার কত প্রকার
কম্পিউটারকে সাধারণত ৫ ভাগে ভাগ করা যায় সেগুলো যথাক্রমে :-
→ মাইক্রো কম্পিউটার,,,,
→মিনি কম্পিউটার,,,,
→মেইনফ্রেম কম্পিউটার,,,,
→সুপার কম্পিউটার,,,,
→ওয়ার্কস্টেশন,,,
→মাইক্রো কম্পিউটার,,,,
কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
কম্পিউটারের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং বৈশিষ্ট্য সমূহ তুলে ধরা হলো :-
১. যেকোনো তথ্য জানার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের মাধ্যমে নির্ভুল তথ্য জানা যায় এবং গণনা ও তার সঠিক ফল প্রকাশ সম্পর্কে জানা যায়।
২. উচ্চগতি সম্পন্ন হওয়ার কারণে গনক যন্ত্র সহ অন্যান্য যে কোন ক্ষেত্রে খুবই দ্রুত গতিতে ফল ঘোষণা করা এবং বৈদ্যুতিক সংকেতের সাহায্যে কাজ করে। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষের বেশি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পারে।
৩. মানুষের যে কোন ভুল নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে এবং সংশোধন করার ক্ষমতা এই যান্ত্রিক যন্ত্রটি রয়েছে। এমনকি এ যন্ত্রটি ব্যবহার করে যে কোন প্রোগ্রামিং এবং দ্রুত ভুল সনাক্ত ও সংশোধন করা যায়।
৪. কম্পিউটারের একটি স্টোরেজ বা মেমোরি রয়েছে যেগুলো স্পেস অনেকটাই বেশি থাকে যার ফলে কোটি কোটি তথ্য সেখানে জমা রাখা যায়।
৫. বিশাল বিশাল তথ্য প্রক্রিয়া করণের ক্ষমতা রয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য ইনপুট আকারে গ্রহণ করা যায়। কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্যকে বিশ্লেষণ করে আউট পুট আকারে তা প্রদর্শন করা যায়।
৬. কম্পিউটারের সমস্ত প্রক্রিয়া নির্ভর করার মাধ্যমে লজিক্যাল ডিসিশন মেকিং করা যায়। ফলে গণক যন্ত্র গুলো প্রমাণ নয় বিভিন্ন প্রোগ্রামে যুক্তির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত প্রকাশ করে।
৭. কম্পিউটারের নাম কি আধুনিক যন্ত্রের কর্মদক্ষতা অপরিসীম কেননা এটি অক্লান্ত একটি কর্মব্যবস্থা। সাধারণত একজন মানুষ প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম নেয়ার প্রয়োজন হয় তবে কম্পিউটার নিরলস ভাবে কাজ করে এবং এর বিশ্রাম নেয়ার কোন প্রয়োজন হয় না।
৮. সুখপথ প্রক্রিয়া করণের ক্ষমতার মাধ্যমে জটিল গনিতিক সমস্যার সমাধান করা যায়। এছাড়াও কম্পিউটারের মতো পাকা এবং নির্ভুল হিসেবে অন্য কোন ভাবে করা সম্ভব হয় না। ফলে কম্পিউটারকে গাণিতিক সমস্যার ফল যদি দশমিকগড় হিসেবে অতিক্রম করা হয় তাহলে উত্তর নির্ভুল ভাবে প্রকাশ করা যায়।
৯. কম্পিউটারের বহুমুখী তা দিক রয়েছে কেননা একটি কম্পিউটার ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়।
যেমন:- টেলিকমিউনিকেশন, শিক্ষা, এন্টারটেইনমেন্ট, ব্যবস্থাপনা, তথ্য সংরক্ষণ, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ইত্যাদি।
১০. কম্পিউটারের মাধ্যমে ইনপুট তথ্য প্রদান করা এবং বাকি সমস্ত কাজ সেই একাই করতে পারে এ কারণেই প্রসেসিং থেকে শুরু করে যে যে ধরনের গণক কাজ রয়েছে সেগুলো কম্পিউটার একা একা করতে পারে। এজন্য কম্পিউটারকে স্বয়ংক্রিয়তা বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বলা হয়।
কম্পিউটারের ব্যবহার
বর্তমান বশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটার ব্যবহারের বিভিন্ন ক্ষেত্র সমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলো :-
১. অফিসের বিভিন্ন ব্যবস্থাপনামূলক কাজের ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
২. ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
৩. ব্যাংকিং লেনদেন করার ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
৪. সংবাদপত্র তৈরি করতে এবং তাৎক্ষণিক খবর তৈরি করতে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
৫. কম্পিউটার ব্যবহার করে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা যায়।
৬. প্রতিরক্ষামূলক কর্মক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
৭. মহাকাশ গবেষণা করার কাজে কম্পিউটার কে ব্যবহার করা হয়।
৮. বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য ব্যবস্থাপনামূলক কর্মকাণ্ডে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
আমাদের উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে কম্পিউটার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানিয়েছি।
আশা করি,, আমাদের পশ্চিমপাড়ার মাধ্যমে আপনারা প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি কম্পিউটারের প্রয়োগ ও কম্পিউটারের সম্পর্কে যে সকল তথ্য বা প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন,তা জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।