ওয়াদা কাকে বলে, ওয়াদা ভঙ্গ করার শাস্তি ও কাফফারা
ওয়াদা: ওয়াদা, যা একটি আরবি শব্দ। ওয়াদা শব্দটির আভিধানিক ভাবে অর্থ হলো,,,প্রতিজ্ঞা করা, প্রতিশ্রুতি দেয়া, চুক্তি করা, অঙ্গীকার করা ইত্যাদি।
ওয়াদা কাকে বলে
কাউকে কথা দিয়ে কথা রাখা, কারো সাথে কোন অঙ্গীকার করলে তা যথাগতভাবে পালন করা, চুক্তি দিয়ে তা যথাযথভাবে পালন করা, প্রতিজ্ঞা তা পূরণ করা ইত্যাদিকে ওয়াদা বলা হয়।
ওয়াদা ভঙ্গ করার শাস্তি
একজন মুমিনের অন্যতম গুণ হলো অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করা।
ইসলামে একজন ওয়াদা ভঙ্গকারীকে মুনাফিকের তুলনা করা হয়েছে। সাধারণত মুনাফিকরা কথা দিয়ে কথা রাখে না।
ওয়াদা ভঙ্গকারী কে কখনো একজন আদর্শ মুসলিম হিসেবে বলা হয় না।
আল্লাহ তায়ালা বলেন হে মুমিনগণ তোমরা তোমাদের অঙ্গীকার পূরণ কর,, কাউকে কথা দিলে তা যথাযথভাবে পূর্ণ করো,,
সূরা বনি ইসরাইলে বলা হয়েছে,,
পরকালে অবশ্যই অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আই হেমোমিনগণ তোমরা কাউকে অঙ্গীকার, অথবা কোন প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলে তা যথাযথভাবে পালন করো।
আল্লাহতালা ওই সব ব্যক্তিদের উপর প্রবল ও শক্তিশালী শত্রুদের দিয়ে থাকেন,, যারা মুনাফিকের মত কাজ করি অর্থাৎ ওয়াদা দিয়ে তা রাখেনা। ওয়াদা ভঙ্গকারী কখনোই মুমিন হিসেবে গণ্য নয়।
ওয়াদা ভঙ্গের কাফফারা
- আল্লাহতালা উয়াদা ভঙ্গকারীদের পছন্দ করেন না। ওয়াদা ভঙ্গের কাপড় রয়েছে।
- যদি কোন ব্যক্তি নিজের ইচ্ছায়, অথবা পরিস্থিতির শিকার হয়ে ওয়াদা ভঙ্গ করে থাকেন, তবুও তার কাফফারা রয়েছে।
- ওয়াদা ভঙ্গের কাফফারা স্বরুপ,, দশজন মিসকিন কে খাবার দিতে হবে,, আপনি বা আপনার পরিবারের যে ধরনের খাবার খাওয়া হয়, সে ধরনের মধ্যম খাবার দিতে হবে।
- যদি কোন ব্যক্তি কাফফারা দিতে ব্যর্থ হন বা তার আর্থিক অবস্থার জন্য কাফফারা দিতে না পারেন,,
- ওই মুসলমান ব্যক্তি কে তিন দিন সিয়াম সাধনা করতে হবে।
- কাফফারা হিসেবে ১০ জন ব্যক্তি কে খাবারের পাশাপাশি পোশাক দান করতে হবে,, এমন পোশাক দিতে হবে যা দ্বারা ওই ব্যক্তি নামাজ আদায় করতে পারবে ,
- পুরুষদের ক্ষেত্রে জুব্বা বা অন্যান্য পাঞ্জাবি জাতীয় পোশাক দিতে হবে,
- তাছাড়া নারীদের কে সমস্ত শরীর আচ্যদানকারী পোশাক বা ওড়না দিতে হবে।