ওয়াজিব কাকে বলে: মহান আল্লাহ তা’আলা সমগ্র সৃষ্টি কল্কি তার ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। তবে এই ইবাদত গুলোর মধ্যে কিছু ফরয ইবাদত রয়েছে কিন্তু ওয়াজিব ইবাদত রয়েছে আবার কিছু নফল ইবাদতে রয়েছে।
এরমধ্যে ওয়াজিব ইবাদত একটি অন্যতম ইবাদত যাকে ফরজের কাছাকাছি মূল্যায়ন করা হয়। অনেকেই ওয়াজিব সম্পর্কে অর্থাৎ ওয়াজিবের সংজ্ঞা বিধি-বিধান বা নিয়ম উদাহরণ ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।
তাই আমরা আমাদের উক্ত পোস্টের মাধ্যমে ওয়াজিব কাকে বলে ওয়াজিব এর সংজ্ঞা ও বিধি-বিধান ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করছি,,,,
ওয়াজিব ইবাদত হলো ফরজ ইবাদতের মতই মূল্যবান। পলাশ ইবাদত হলো ঐ সকল ইবাদত যা আমরা কখনো ত্যাগ করতে পারি না অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা তা কর্তব্যবসা বসক হিসেবে আমাদের উপর পাঠিয়েছেন।
ঠিক তেমনি ওয়াজিব ইবাদতগুলো প্রত্যেককে আদায় করতে হবে। এমন কিছু ওয়াজিব ইবাদত রয়েছে যা মানুষের উপর ওয়াজিব এবং তা মানুষকে সবসময় পালন করতে হয় কখনো ত্যাগ করতে পারবে না,
আবার এমন কোন কিছু ওয়াজিব ইবাদত রয়েছে যা কিছু সংখ্যক লোকে বাধ্য একজন লোকে যদি আদায় করে তাহলে সকলেই তার সব পায়।
কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু কিছু ওয়াজিব ইবাদত ত্যাগ করে থাকে তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে শাস্তি দেন।
তাই সকলের উচিত ওয়াজিব ইবাদত কাকে বলে ওয়াজিব ইবাদতের বিধি-বিধান নিয়ম কানুন সংজ্ঞা ইত্যাদি সম্পর্কে জানা এবং ওয়াজিব ইবাদত ভাবে আদায় করা।
আরো পড়ুন: ইসলামিক সাধারণ জ্ঞান – ইসলামিক কুইজ প্রশ্ন ও উত্তর
ওয়াজিব কাকে বলে?
যে সকল ইবাদতগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ফরজের কাছাকাছি এমন প্রমাণিত হয় সে সকল ইবাদতগুলো মানবজাতির জন্য পালন করা অবশ্য কর্তব্য ওই সকল ইবাদত গুলোকে ওয়াজিব বলা হয়।
প্রতিটি মুসলমানকে ফরজের মতো করে ওয়াজিব এবাদতকে মূল্য দিতে হবে, কেননা,ওয়াজিব ইবাদতকে ফরজের পরে স্থান দেয়া হয়েছে।
তবে ফরজ এবং ওয়াজিব এই দুইটি ইবাদতের মধ্যে একটি সবচেয়ে বড় পার্থক্য রয়েছে পার্থক্যটি হলো কেউ যদি ফরজ ইবাদত ছেড়ে তাহলে সে কাফির হয়ে যায়,
তবে কেউ যদি ওয়াজিব ইবাদত ছেড়ে দেয় তাহলে সে কাফের হয় না তবে সে জাহান্নামে যাওয়ার মত একজন অপরাধী হয়ে যায়। এজন্য প্রতিটি মুসলমানকে ওয়াজিব ইবাদতকে ফরজের সমতুল্য গুরুত্ব দিতে হবে এবং আদায় করতে হবে।
আরো পড়ুন: হালাল শব্দের অর্থ কি?
ওয়াজিবের কাজের উদাহরণ
১. একজন মুমিন হিসেবে প্রতিবছর ২ ঈদের নামাজ আদায় করা হলো ওয়াজিব।
২. একজন মুমিনকে প্রতি রমজান মাসে ফেতরা হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্যাতরা গরিবদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া।
৩. প্রতিদিন নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে এশার নামাজের পর তিন রাকাত বেতের নামাজ আদায় করা।
৪. যখন সালাত আদায় করা হয় তখন সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে রুকু শেষে যখন সোজা হয়ে দাঁড়ানো হয় তখন এক তসবি পরিমাণ সময় দাঁড়িয়ে থাকা।
৫. সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে সর্বদা সুরা ফাতেহা প্রথম পাঠ করা এবং তার পাঠাতে অন্য যে কোন সূরা পড়া।
৬. আবার সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে যখন দুই সিজদা দেয়া হয় তখন দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে এত স্ত্রী পরিমাণ সময় বসে থাকা।
রাজিব ইবাদত গুলোকে যথাযথ গুরুত্বের সাথে আদায় করতে হবে এবং সালাতের ক্ষেত্রে কেউ যদি কেউ যদি ওয়াজিবের ব্যতিক্রম কোন কিছু করে থাকে এবং তা পরে বুঝতে পারে তাহলে তা সিজদা দেওয়ার মাধ্যমে শুদ্ধ করে নিতে হবে।
আরো পড়ুন: হজ্জ কাকে বলে
ওয়াজিবের বিধি বিধান
ওয়াজিবের অনেকগুলো বিধিবিধান হয়েছে।
নিম্নে ওয়াজিবের বিধিবিধান গুলো দেয়া হলো :-
১. যদি কোন ব্যক্তি ওয়াজিবকে অস্বীকার করে তাহলে সে ব্যক্তি বড় রকমের শাস্তি পায় এবং সে কাফির হয়ে যায়।
২. প্রতিটি মুসলমানকে ফরজের মতো করে ওয়াজিব পালন করা আলাদা কর্তব্য।
৩. যদি কোন মুসলমান ওয়াজিব পালন না করে তাহলে সে জাহান্নামে যাওয়ার মত বড় অপরাধ করে থাকে।
৪. ওয়াজিবের মাধ্যমে একজন মুসলিম ব্যক্তি ফরজের পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে।
৫. ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে এবার আল্লাহ তাআলার বান্দা পাঁচ এক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৬. পালন করার ক্ষেত্রে কোন ওয়াজিব ইবাদত যদি বা ব্যতিক্রম ধর্মী কোনভাবে ভুল হয়ে যায় তাহলে তার সিজদা দেওয়ার মাধ্যমে সংশোধন করে নিতে হবে।
ওয়াজিব ইবাদতটি হল ফরজ ইবাদতের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ এবাদত।
তাই প্রতিটি মুসলমানকে ওয়াজিব ইবাদত পালন করতে হবে ঠিক সমতুল্য গুরুত্ব দিয়ে।
যে সকল বিধি-বিধান দেয়া হয়েছে তা মেনে চলতে হবে।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে ওয়াজিবি অজতের সংজ্ঞা কাকে বলে ও বিধিবিধান যত নিয়ম কানুন আছে তা তুলে ধরা হয়েছে।
ইবাদত সম্পর্কে আপনার যদি কোন তথ্য জানা থাকে এবং তা আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।