শিরোনাম:
এস আলম গ্রুপের সাইফুল আলমের আরও ১৮০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোকের আদেশ
সংবাদ প্রতিবেদন:
ব্যাংক ঋণ জালিয়াতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এবার এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে থাকা আরও ১৮০ কোটি টাকার জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০০ একর জমির দলিল মূল্য ১৮০ কোটি টাকা, যা সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে রয়েছে। দুদক আদালতকে জানিয়েছে, এসব সম্পদ হস্তান্তর বা বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছিল — তাই জরুরি ভিত্তিতে তা ক্রোকের আবেদন করা হয়।
এর আগেও একাধিকবার আদালত এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। গত এপ্রিল মাসেই তাঁদের নামে থাকা আরও ৫৫৯ কোটি টাকার জমি এবং ১,৩৭৪ কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন আদালত।
দুদকের তদন্ত বলছে, সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নিয়মবহির্ভূত উপায়ে নামে-বেনামে ঋণ তুলে তা আত্মসাৎ করেছেন। এই অর্থের একটি বড় অংশ দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০২3 সালের শেষ দিক থেকেই এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তখন থেকেই ধাপে ধাপে তাঁদের স্থাবর সম্পদ, ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার ক্রোক বা অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকার গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরা ও বসুন্ধরায় ফ্ল্যাট, প্লট এবং ভবনসহ প্রায় ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি।
দুদক আরও জানায়, সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাসসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় **১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগ** রয়েছে। এই বিষয়ে এখনো অনুসন্ধান চলছে।
এছাড়া, গত বছর আদালত তাঁদের ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেন এবং ১৩ জনের বিদেশে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাও দেন।
দুদক বলছে, জনগণের আমানত থেকে বেআইনিভাবে অর্থ উত্তোলন করে দেশ ও বিদেশে বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন এস আলম এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
