এনালগ কম্পিউটার ও ডিজিটাল কম্পিউটার
এনালগ কম্পিউটার ও ডিজিটাল: সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আসসালামু আলাইকুম,,,, আমাদের ওয়েবসাইটের শিক্ষা রিলেটেড আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক উক্ত পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম।
উক্ত পোস্টে আমরা আপনাদেরকে বর্তমান সময়ের আলোচ্য ও ডিজিটাল সময়ের অন্যতম প্রধান প্রযুক্তির কম্পিউটার নিয়ে আলোচনা করার মাধ্যমে জানাবো। উক্ত পুষ্টির মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারের দুটি প্রকারভেদ অর্থাৎ এনালগ কম্পিউটার ও ডিজিটাল কম্পিউটার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানাচ্ছি।
অনেক বছর আগে থেকে কম্পিউটার আবিষ্কার এবং তার প্রচলন শুরু হলেও কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রকরণ দেখতে তেমন ভাবে চালু হয়নি।
পরবর্তীতে বর্তমান সময়ে এনালগ কম্পিউটারের থেকে অনেক উন্নত আকারে ডিজিটাল কম্পিউটার তৈরি হয়েছে। যেগুলো বাইনারি পদ্ধতিতে বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ এবং কাজ করে থাকে। এজন্য কম্পিউটারে দুটি প্রকারভেদ অর্থাৎ এনালগ কম্পিউটার এবং ডিজিটাল কম্পিউটার সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এনালগ কম্পিউটার কি
যে কম্পিউটারটি ব্যবহার করার মাধ্যমে ভৌত বিভিন্ন পরিমাপ, তরল পদার্থের চাপের তারতম্য, কোন পাইপের ভেতরে গ্যাসীয় অবস্থার তারতম্য, বৈদ্যুতিক তারের ভোল্টেজের উঠানামা, ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ ও বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানা যায় তাকে এনালগ কম্পিউটার বলে।
এনালগ কম্পিউটার গরুর ব্যবহার করে সাধারণত বউতো পরিমাণে যে সকল ডাটা রয়েছে সেগুলো সঞ্চয় করা যায় এবং পরিমাপের ক্ষেত্রে সাহায্য করা যায়। তাই কম্পিউটারের গ্রুপ ডিজিটাল কম্পিউটার থেকে দেশ আলাদা ও পুরনো মডেলের হয়ে থাকে।
এনালগ কম্পিউটারের যে সকল ডাটা রয়েছে সেগুলো অবিচ্ছিন্ন আকারে ব্যবহার করা হয়, ফলে ডাটা সবসময় পরিবর্তিত হতে থাকে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পেট্রোলিয়াম ও রাসায়নিক বিভিন্ন শিল্পী এনাল কম্পিউটারকে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনকি গাড়ির স্পিড মিটার হল একটি অ্যানালগ কম্পিউটারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
বায়ু প্রবাহ ও চাপ পরিবর্তিত হওয়া,, বৈদ্যুতিক তারের ভোল্টেজ ওঠানোর, পাইপের ভেতরে গ্যাস বা তরলের পরিমাপ,,, ভৌতো পরিমাপ,ইত্যাদি পরিমাপ করার জন্য যে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় তাকে এনালগ কম্পিউটার বলে।
সহজ ভাষায় বলা যায় যে, যে সকল কম্পিউটার গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে পরিবর্তনশীল বিভিন্ন পদার্থ বা বস্তুর পরিমাপ নির্ণয় করা হয় তাকে এনালগ কম্পিউটার বলে।
ডিজিটাল কম্পিউটার কি
যে সকল কম্পিউটার সমূহে বাইনারি পদ্ধতিতে ০ এবং ১ নিয়ে কাজ করা হয় তাকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলা হয়। এক্ষেত্রে এ ধরনের ডাটা সমূহ বাইনারিতে ০ এবং ১ হওয়ার ফলে এগুলো ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে।
সাধারণত একটি ডিজিটাল কম্পিউটারের প্রধান যে তিনটি অংশ থাকে সেগুলো যথাক্রমে :- ইনপুট,,, প্রসেসিং এবং আউটপুট।
১৯৪০ আর দশ ওকে শেষের দিকে সর্বপ্রথম গণনার জন্য প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটারের ডিজাইন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত ছিল → ‘‘ইলেকট্রনিক নিউমেরিক্যাল ইন্টিগ্রেটর অ্যান্ড কম্পিউটার’’।
সুতরাং ডিজিটাল কম্পিউটার সমূহ নির্ভুলতার জন্য অধিক বিখ্যাত এবং দ্রুততার জন্য বিখ্যাত। সাধারণ যে এনালগ কম্পিউটার রয়েছে সেগুলোর তুলনায় প্রচুর পরিমাণে ডেটা স্টোরেজ প্রদান করতে পারে।
অত্যন্ত উচ্চ গতি সম্পন্ন হওয়ার কারণে এই ডিভাইসটির মাধ্যমে ইনপুট প্রদান করা সেকেন্ডের মধ্যে ভগ্নাংশের মধ্যে ব্যবহারকারী আউটপুট পেয়ে যাই।
এভাবে ডিজিটাল বিভিন্ন কম্পিউটারের উদাহরণস্বরূপ বলা যায়+ মোবাইল,, স্মার্ট ফোন,, ল্যাপটপ,, ডেস্কটপ,, কম্পিউটার ইত্যাদি।
ডিজিটাল কম্পিউটারের উদাহরণ
ডিজিটাল কম্পিউটারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল বাইনারি ব্যবস্থা। অতীতকালে যেগুলো অনেক পরিশ্রমের এবং সময় ব্যয় করে করা হতো এমন কি বাইরে করা যেত না সেগুলো বর্তমান সময়ে ডিজিটাল কম্পিউটার দিয়ে খুব সহজে করা যায়।
বাইনারি পদ্ধতিতে কাজ করার ফলে সংখ্যা পদ্ধতির এক বিপুল ক্রিয়ামূলক ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছে যা উন্নয়নমূলক দিকে ত্বরান্বিত হয়েছে তাই এই ব্যবস্থাকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলা হয়।
ডিজিটাল কম্পিউটারের উদাহরণ হলো:- সুপার কম্পিউটার,, মেইন ফ্রম কম্পিউটার,, মিনি কম্পিউটার,, মাইক্রোকম্পিউটার,,, ইত্যাদি।
উক্ত পোস্টের মাধ্যমে আমরা এনালগ কম্পিউটার এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের প্রকারভেদসহ বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করার মাধ্যমে জানিয়েছি।
আশা করি,, আমাদের পোস্টেপাড়ার মাধ্যমে আপনারা এনালগ কম্পিউটার এবং ডিজিটাল কম্পিউটার রিলেটেড যে সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে চান অথবা জানতে চেয়েছেন, তা যথাযথভাবে জানতে পারবেন এবং উপকৃত হতে পারবেন।