উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য
আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষ? সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হবে, আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন, তবে অবশ্যই শেষ অব্দি পড়তে থাকুন।
উদ্ভিদ প্রাণী ও কোষের মধ্যে পার্থক্য
উদ্ভিদ কোষ হচ্ছে সকল উদ্ভিদের ক্ষুদ্রতম গাঠনিক এবং ক্রিয়ামূলক একক যেটা উদ্ভিদের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং জীবনধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উদ্ভিদকোষ হচ্ছে সুকেন্দ্রিক কোষ, কোষকেন্দ্রটি ঝিল্লির ফলে আবৃত আবার এতে অনেক ঝিল্লির মাধ্যমে আবদ্ধ কোষীয় অঙ্গাণু রয়েছে।
১. যে কোষ উদ্ভিদের গঠন এবং বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে, তাকে উদ্ভিদ কোষ বলে। অপরদিকে, যে কোষ প্রাণী দেহ গঠন করে থাকে, তাকে প্রাণী কোষ বলে।
২. উদ্ভিদকোষ ইউক্যারিওটিক (প্রকৃত কোষ) প্রকৃতির। বিপরীতে, প্রাণিকোষ প্রোক্যারিওটিক (আদি কোষ) প্রকৃতির।
৩. উদ্ভিদ কোষে সেলুলোজ দিয়ে তৈরি কোষ প্রাচীর থাকে। বিপরীতে, প্রাণীকোষে কোনো কোষ প্রাচীর থাকে না।
৪. উদ্ভিদ কোষে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে, যেটা সালোকসংশ্লেষণের জন্য দায়ী। তবে প্রাণীকোষে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে না।
৫. উদ্ভিদ কোষগুলি স্টার্চ (শ্বেতসার) হিসাবে শক্তি সঞ্চয় করে। অন্যদিকে, আবার প্রাণী কোষগুলি জটিল কার্বোহাইড্রেট গ্লাইকোজেন আকারে শক্তি সঞ্চয় করে থাকে।
৭. উদ্ভিদ কোষে লাইসোসোম থাকে না। প্রাণী কোষে লাইসোসোম থাকে।
৮. উদ্ভিদ কোষ আয়তক্ষেত্রাকার আকারের হয়ে থাকে। অন্যদিকে, প্রাণী কোষগুলি গোলাকার ও অনিয়মিত আকারের হয়।
৯. উদ্ভিদের কোষগুলি সাধারণত 10 ও 100 মাইক্রোমিটার দৈর্ঘ্যের হয়। বিপরীতে, প্রাণীকোষ গুলির দৈর্ঘ্য 10 থেকে 30 মাইক্রোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
১০. একটি আদর্শ উদ্ভিদ কোষ অনেক অংশ যেমন কোষ প্রাচীর, কোষ ঝিল্লি ও সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস নিয়ে গঠিত হয়ে থাকে। অপরদিকে, প্রাণিকোষ বিভিন্ন রাইবোসোম, গলজি বস্তু, মাইটোকন্ডিয়া ও নিউক্লিয়াস নিয়ে গঠিত।
আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষ? সে সম্পর্কে জানতে পারলেন, আপনার যদি এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই সকল বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন।