ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যে কী আলোচনা হলো? ফোনালাপে উঠে এলো মধ্যপ্রাচ্যের উদ্বেগ

ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপ: ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় উদ্বেগ, ইউক্রেন আলোচনার ইঙ্গিত
📰 লিড (প্রথম অনুচ্ছেদ):
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ভবিষ্যৎ শান্তি প্রক্রিয়ার ইঙ্গিত দিয়ে শনিবার প্রায় ৫০ মিনিট ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই নেতার কথোপকথনে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ও তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি।
📝 মূল প্রতিবেদন:
শনিবার এক ফোনালাপে অংশ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। হোয়াইট হাউস এবং ক্রেমলিন উভয় পক্ষ থেকেই এ সংক্রান্ত তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ট্রাম্প জানান, পুতিন তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতি নিয়ে গভীর আলোচনা করেন। ট্রাম্প বলেন, “আমরা দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেছি। আমি মনে করি, যেমন পুতিন মনে করেন, তেমনি আমিও ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধ থামানো দরকার। ইউক্রেন যুদ্ধও যেন শেষ হয়, সে বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে।”
এদিকে পুতিনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট আলোচনার সময় ইরান ও ইসরায়েলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা ট্রাম্পকে জানিয়েছেন। পুতিন তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় ফেরার পক্ষে মত দিয়েছেন এবং সমঝোতার জন্য রাশিয়ার একটি নতুন প্রস্তাবও দেন।
উশাকভ বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। এই সংকট যেকোনো সময় বড় আকার ধারণ করতে পারে। পুতিন ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের নিন্দা করেছেন এবং যুদ্ধের পরিণতি পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।”
রাশিয়া মনে করে, তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে আবারো আলোচনায় বসা জরুরি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে কিছু প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে, যা পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে পেতে সহায়ক হতে পারে।
পাশাপাশি, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান নিয়েও দুই নেতা কিছু আলোচনা করেন। পুতিন ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত রুশ-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার অগ্রগতি ও যুদ্ধবন্দী বিনিময়ের বিষয়েও ট্রাম্পকে অবহিত করেন।
📌 সারসংক্ষেপ:
এই ফোনালাপ থেকে স্পষ্ট, বিশ্ব রাজনীতির দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা ট্রাম্প ও পুতিন মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং সংকট সমাধানে আলোচনার দরজা খোলা রাখতে চান। বিশেষ করে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে, এবং এই ফোনালাপ তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।