ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৫২ যুদ্ধবিমান মধ্যপ্রাচ্যের পথে

বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ, সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা যখন দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, ঠিক তখনই যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপকভাবে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। গত কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক যুদ্ধবিমান ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে ওই অঞ্চলে। এমন তৎপরতায় বিশ্বজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্র কি এবার সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে যাচ্ছে?
বিশ্ব গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মাত্র চারদিনে পূর্ব ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে গেছে ৫০টির বেশি মার্কিন সামরিক বিমান। এর মধ্যে রয়েছে সেনা ও সরঞ্জাম পরিবহনের বড় বিমান, আকাশে জ্বালানি সরবরাহকারী ট্যাংকার, এমনকি নজরদারি ও গোয়েন্দা কাজে ব্যবহৃত বিমানও। যুক্তরাজ্য ও গ্রিস হয়ে এসব বিমান মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ঘাঁটিতে পৌঁছাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সরবতা শুধুই প্রতিরক্ষার জন্য নয়, বরং এটি সরাসরি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-২২ এবং এফ-৩৫ মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েনের খবরও সামনে এসেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।
ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, বিশেষ করে ‘ফোরদো’ নামের একটি ঘাঁটি, যা প্রায় ১০০ মিটার ভূগর্ভে অবস্থিত। এই স্থাপনাকে ধ্বংস করতে সাধারণ বোমা কার্যকর নয়। কেবল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ‘বাংকার বাস্টার’ নামের বিশেষ বোমাই এটি ধ্বংসে সক্ষম।
এদিকে, এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর সরাসরি হামলার ঘোষণা দেয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে সেটি শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং বিশ্ব অর্থনীতি ও শান্তির জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এই মুহূর্তে পরিস্থিতির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। কারণ এমন যেকোনো যুদ্ধ বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে, যার প্রভাব সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবনে পড়বে।