আয়নিকরণ শক্তি কাকে বলে: আয়নিকরণ বিভব হলো একটা গ্যাসীয় অবস্থায় কোনো কিছুর মৌলের এক মোল বিচ্ছিন্ন হওয়া পরমাণু থেকে একটি করে
এই ইলেকট্রন অসীম দূরত্বে অপসারণও করে এক মোল ধনাত্মক এমন ভাবে আয়নে পরিণত করতে যে পরিমাণ এমন কিছু শক্তির প্রয়োজন হয়, তবে তার পরিমাণ।
সর্বনিম্ন আয়নিকরণ অনেক বেশি শক্তিটবিশিষ্ট মৌল হলো সিজিয়াম (Cs) এবং এর মান আবার ৩৭৫.৭ kJ/mol। অপরদিকে, প্রায় সর্বাধিক আয়নিকরণ শক্তিবিশিষ্ট মৌল হলো এই হিলিয়াম (He); এবং এর এমন মান ২৩৭২ kJ/mol।
আয়নিকরণ শক্তি কাকে বলে
গ্যাসীয় অবস্থায় এক মোল এমন গ্যাসীয় পরমাণু থেকে এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ ও করে এক মোল ধনাত্মক নানা ভাবে আয়নে পরিণত করতে যেকোনো পরিমাণ শক্তির অনেক প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ মৌলের এমন আয়নিকরণ শক্তি বলে।
এখানে, X হল গ্যাসীয় এই অবস্থায় একটি মৌল, X+ হল একটি ইলেকট্রন এই অপসারণ করা ক্যাটায়ন এবং আবার e− হল অপসারিত ইলেকট্রন।
আয়নিকরণ শক্তির ব্যতিক্রম
আয়নিকরণ বিভব এমন কিছু শব্দটি অতীতে ব্যাপকভাবে এর ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে এটা ব্যবহৃত হয় না। আয়নিকরণ বিভব এর আবার একক হল
kilojoules পার আবার মোল (kJ/mol) or kilocalories পার মোল (kcal/mol). আবার এটি Ei দ্বারা সূচিতও হয়।[৩] আয়নিকরণ শক্তি আবার একক বিজ্ঞানের শাখাভেদে নানা ভাবে পরিবর্তিত হয়।
পদার্থবিজ্ঞানে এর একক থেকে ইলেকট্রন ভোল্ট (eV), রসায়ন বিজ্ঞানে এমন ভাবে আয়নিকরণ শক্তিকে I.P দ্বারা প্রকাশগুলো করা হয় এবং এর একক আবার কিলোজুল (KJ)।[৪
আয়নিকরণ শক্তি বের করার নিয়ম
পারমাণবিক এমন ভাবে ব্যাসার্ধ কমলে আয়নিকরণ শক্তির অনেক মান বাড়ে, আর পারমাণবিক এমন ব্যাসার্ধ বাড়লে আয়নিকরণ এই শক্তির মান কমে।
অর্থাৎ, আবার একই পর্যায়ের বাম দিকে থেকে ডানে গেলে আয়নিকরণ শক্তির ভালো মান বৃদ্ধি পায়। একই গ্রুপের মধ্যে ওপর থেকে নিচে গেলে এই আয়নিকরণ শক্তি হ্রাস পায়।আয়নিকরণ শক্তির এমন ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ ব্যবহার করা ও হয়ে থাকে।
পদার্থবিজ্ঞানে—একটি পরমাণু থেকে এক একটি ইলেকট্রন নানা ভাবে অপসারণ করতে প্রয়োজনীয় শক্তিকে এর পদার্থবিজ্ঞানে আয়নিকরণ শক্তি হিসেবে নানা ভাবে বিবেচনা করা হয়।
ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে
আয়নিকরণ শক্তি এক একটি পর্যায়বৃত্ত ধর্ম। পর্যায় সারণির একই পর্যায়ের আবার বামের মৌলের আকার বড় অর্থাৎ পারমাণবিক এর ব্যাসার্ধ বেশি।
আবার, একই এমন কিছু গ্রুপের ওপরের মৌলের চেয়ে নিচের দিকে মৌলের আকার বড়। অর্থাৎ,আবার পারমাণবিক ব্যাসার্ধ অনেক বেশি।
রসায়নে—পূর্বোক্ত এর মধ্যে সংজ্ঞাটি রসায়নের ক্ষেত্রে নানা ভাবে প্রযোজ্য। অর্থাৎ, আবার এক মোল গ্যাসীয় পরমাণু কর্মসূচি থেকে
এক মোল ইলেকট্রন অপসারণ নানা ভাবে করে এক মোল ধনাত্মক আয়নে পরিণত করতে যে কোনো পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন ও হয়, তাকে ঐ মৌলের এমন আয়নিকরণ শক্তি বলে।
তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে
তড়িৎ ঋণাত্মকতা এই (ইংরেজি: Electronegativity) প্রতীক হলো χ এই এমন একটি রাসায়নিক ধর্ম এবং যেটা কোন পরমাণু বা অন্য কোন রাসায়নিক ভাবে সত্ত্বার ইলেকট্রন অথবা ইলেকট্রন ঘনত্বকে নিজের দিকে আকর্ষণ অনুভব করার জন্য প্রকাশ ও করে।
তড়িৎ ঋণাত্মকতা,এবং পরমাণুর পারমাণবিক এই সংখ্যা, কেন্দ্র থেকে যোজ্যতা এই ইলেকট্রনের দুরত্ব ইত্যাদীর উপর নানা ভাবে নির্ভর করে ।
এই ধর্মটির উপর এই ভাবে পদার্থের অন্যান্য অনেকগুলো বিষয় বৈশিষ্ট্যের আন্তঃসম্পর্ক গুলো দেখা যায়। যেমন, কোন যৌগে আবার সমযোজী বন্ধনে এমন ভাবে আবদ্ধ দুটি পরমাণুর মধ্যে তড়িৎ ঋণাত্মকতার এবং এর মধ্যে পার্থক্য যত বেশি হয়,
ঐ যৌগের এমন সমযোজী বৈশিষ্ট্যসমূহের একটা আদর্শ আচরণ থেকে তত ও বেশি বিচ্যুত হতে দেখা যায় আবার অর্থাৎ আয়নীয় যুগের এমন একটি ন্যায় আচরণের সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পায়।
আয়নন বিভব কাকে বলে
আয়নিকরণ বিভব হলো এই গ্যাসীয় অবস্থায় কোনো কোনো মৌলের এক মোল বিচ্ছিন্ন কিছু পরমাণু থেকে একটি এমন করে ইলেকট্রন অসীম দূরত্বে নানা ভাবে অপসারণ করে ।
আয়নিকরণ শক্তি ও ইলেকট্রন আসক্তি
পদার্থবিজ্ঞানে এর আগে একক ইলেকট্রন ভোল্ট (eV), আবার রসায়ন বিজ্ঞানে আয়নিকরণ শক্তিকে I.P এর দ্বারা প্রকাশ করা হয় আবার এর একক কিলোজুল (KJ)।
আয়নিকরণ শক্তি কার বেশি
সর্বাধিক আয়নিকরণ আবার এমন শক্তিবিশিষ্ট মৌল হলো এই হিলিয়াম (He);
n ও o এর মধ্যে কোনটির আয়নিকরণ শক্তি বেশি
অক্সিজেন অপেক্ষা করে নাইট্রোজেনের আয়নীকরণ বিভবের কিছু মান বেশি। কারন এরা ২য় পর্যায় এর পাশা পাশি মানে বাম এবং ডানে অবস্থিত।
p 3s এর মধ্যে কোনটির আয়নিকরণ শক্তি বেশি
তাই p এর আয়নিকরণ নানা ভাবে বিভব s তেও বেশি, এর মানে হলো p সর্বদা s তেও অনেক বেশি গতিতে বৃদ্ধি ও পায়।
p ও s এর মধ্যে কোনটির আয়নিকরণ শক্তি বেশি
p-র আয়নীকরণ শক্তি S-এর চেয়ে অনেক ভাবে বেশি।