আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে ধরা হয় মক্স ওয়েবার (Max Weber)। মক্স ওয়েবার জার্মান একজন সমাজবিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ এবং নীতিবিদ ছিলেন।
তিনি নির্ধারণ করেছিলেন রাষ্ট্র এবং বিপণন ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মধ্যযুগ থেকে আধুনিক কালের সমাজবিজ্ঞানের জন্য সূচনা করেন।
ওয়েবারের কাজের মধ্যে ছিল পদার্থবিদ্যা, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, ধর্ম, নীতি, উপন্যাস, এবং সাংস্কৃতিক তত্ত্ব সম্পর্কিত প্রশ্নের উপর গবেষণা করা।
তাঁর বিশেষ গ্রন্থগুলির মধ্যে “অবদানপত্র: একটি উপন্যাস” (The Protestant Ethic and the Spirit of Capitalism) এবং “সমাজবিজ্ঞানের ভূতপূর্ব বিজ্ঞান” (Economy and Society) উল্লেখযোগ্য।
তিনি আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত এবং তাঁর কাজের প্রভাব এখনো বিশ্বব্যাপী অনুসন্ধান ও বিচারের মাধ্যমে আছে।
আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত আরেণ্য সাজসি (Arne Naess) ও দিপেন্দ্র চন্দ্র মজুমদার (Dipesh Chandra Majumdar) দুইজন।
আরেণ্য সাজসি নরওয়েজিয়ান একজন দার্শনিক ছিলেন এবং তিনি বিপণনবাদের পরিচালিত আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পূর্বপুরুষ হিসেবে পরিচিত।
তিনি বিভিন্ন দার্শনিক ও সামাজিক বিষয়ে লেখনি করেন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির নির্মাণ এবং বিপণন ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানবিক উন্নয়নের সমন্বয় নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর মহাকাশ দৃষ্টিকোণ তাঁকে বিখ্যাত করেছিল।
দিপেন্দ্র চন্দ্র মজুমদার ভারতীয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ছিলেন এবং তিনি ভারতীয় আদিবাসী সমাজ এবং রাষ্ট্রের উন্নয়নের ক্ষেত্রে গবেষণা করেন।
তিনি আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের সমাজসংস্কৃতি, আদিবাসী আন্দোলন, ধর্ম, নীতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণা করেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে
বাংলাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে সাধারণত ডঃ শাহাজাহান মিয়া (Dr. Shahjahan Mia) পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে মানা হয়ে থাকেন কারণ তাঁর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পূর্বাভাসী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়,
যা সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও নাগরিক সমাজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানের জনক হিসেবেও পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পরিচালক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে ডঃ শাহাজাহান মিয়ার পাশাপাশি অন্যান্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিত ব্যক্তিত্বগুলো রয়েছেন। তাদের মধ্যে অগ্রগতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব হলেন কামরুল হাসান (Kamruddin Ahmad Hasan) ও জাহেদ মাহমুদ (Jahedul Ma’mun)।
কামরুল হাসান (Kamruddin Ahmad Hasan): কামরুল হাসান বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম মার্কিন্স অর্জন করেন। তিনি অধ্যাপক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একজন জনপ্রিয় শিক্ষাবিদ ছিলেন এবং তাঁর কার্যকালে বিভাগটি জনপ্রিয়তার পিতামাতা হয়।
রাষ্ট্র দর্শনের জনক কে
রাষ্ট্র দর্শনের জনক বলতে সাধারণত বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বা অগ্রণী মন্ত্রী বোধ করা হয়। একাধিক রাষ্ট্রে মানা হয় যে রাষ্ট্র দর্শনের জনক গণিতবিদ আর্যভট্ট। আর্যভট্ট ছিলেন ভারতীয় গণিতবিদ, খগোলবিদ এবং প্রতিভাবান ব্যক্তি।
তিনি গণিত ও খগোল বিজ্ঞানে অগ্রসর হন এবং তাঁর কাজের ফলে তিনি রাষ্ট্র দর্শন বা অন্তর্জাল দৃষ্টির ব্যাপ্তিকে নির্ধারণ করেন।
তিনি ভৌগোলিক সম্প্রসারণ, পৃথিবীর আকার, সূর্য ও চান্দ্রের গতিবিধি, সৌরতত্ত্ব ইত্যাদি নিয়ে কাজ করেন। আর্যভট্টের
গণিতবিদ্যা বই ‘আর্যভটীয়’ বহুমুখী জ্যামিতি ও খগোলবিদ্যার উপর নির্ভরশীল।তাঁর কাজের ফলে তিনি রাষ্ট্র দর্শনের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক নির্ধারণ করেন।
কিছু রাষ্ট্র দর্শনের জনক নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের হতে পারেন:
নিকোলস মাচিয়াভেলি: ইতালীয় রাজনীতিবিদ নিকোলস মাচিয়াভেলি প্রসিদ্ধ রাষ্ট্রবিদ এবং মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার উপর গবেষণা করেন।
তাঁর মহাকাব্য “রাজনীতির রচনা” রাষ্ট্র ও রাজনীতির উপর ভিত্তি করে এবং মাচিয়াভেলির চিন্তাধারার আলোকে রাষ্ট্র প্রশাসন এবং কর্মসূচি নির্মাণের মাধ্যমে শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠন করা হয়।
জান জ্যাক রুসো: ফরাসি রাজনীতিবিদ জান জ্যাক রুসো রাষ্ট্র সৃষ্টি ও রাষ্ট্র বিচারের জনক হিসাবে পরিচিত। তাঁর গ্রন্থ “সামাজিক চুক্তির চর্চা” এবং “সামাজিক যোগাযোগের উপর নির্ভরশীলতা” রাষ্ট্রবিদ্যার ভিত্তি হিসাবে পরিচিত। রুসোর বিচারধারা উপলভ্যদৃষ্টি, নিজেকে দায়ী ও সমাজের মূল্যসমূহ পর্যবেক্ষন করে।
আধুনিক জাতীয় রাষ্ট্রের জনক কে
আধুনিক জাতীয় রাষ্ট্রের জনক বলতে কোন দেশের জনক বোঝানো হচ্ছে তা সাধারণত সংশ্লিষ্ট দেশের ইতিহাস, সংবিধান বা স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগঠক ব্যক্তি নির্দেশ করে।
তাই এটি দেশের সম্পর্কে পর্যালোচনা করা ছাড়াও নিশ্চিত নয়। আরব সংসারে আধুনিক জাতীয় রাষ্ট্রের জনক হিসাবে পরিচিত কয়েকজন ব্যক্তি রয়েছে।
যেমনঃ
- বিলহামিনা খান (মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলোর একটি বিখ্যাত প্রতিষ্ঠাতা)
- কেমাল আতাতুর্ক (তুরস্কের সুপ্রিম কাউন্সিল দ্বারা প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসাবে চুনা হন)
- গামাল আব্দেল নাসের (মিশরের প্রথম রাষ্ট্রপতি)
- জাও জিয়াং (চীনের মহানগরীর গঠনকারী ও সর্বপ্রথম সভাপতি)
- নেলসন ম্যান্ডেলা (দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম মহানগরীর নির্মাতা)
- ক্যামিলো কিয়ে (আর্জেন্টিনার স্বাধীনতা প্রবর্তনের জনক)
- সাইমন বলিভার (সাউথ আমেরিকার স্বাধীনতা প্রবর্তনের জনক)
- রিকার্ডো মনটেরো (উরুগুয়ের স্বাধীনতা প্রবর্তনের জনক)
- মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ (পাকিস্তানের পিতা)
- কিং অবরহ্যাম লিঙ্কন (মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের বাপ)
- সুজোর্নো এনবে (বাংলাদেশের জাতীয় প্রবীণতার উদ্ভাবক)
এগুলি মাত্র কয়েকটি উদাহরণ, বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই আধুনিক জাতীয় রাষ্ট্রের জনকদের সন্তানবোধও অন্যরকম হতে পারে। দেশের ঐতিহ্য এবং ঐতিহ্যবাহী ব্যক্তিত্বগুলির প্রভাবেই এমন ব্যক্তিদের সংজাত হতে পারেন।
আধুনিক রাজনীতির জনক কে
আধুনিক রাজনীতির জনক হিসাবে প্রায় বহুজন ব্যাখ্যাতারা রয়েছেন, কিন্তু সাধারণত দুইজন ব্যক্তির উল্লেখ করা হয়:
নিকোলা মাচিয়াভেলি: নিকোলা মাচিয়াভেলি (Niccolò Machiavelli) ইতালিয় রাজনীতিবিদ এবং লেখক ছিলেন। তিনি ১৫শ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর লেখা “দ প্রিন্স” (The Prince) আধুনিক রাজনীতির জনক হিসাবে বিখ্যাত হয়েছে। মাচিয়াভেলির বইটি রাজনীতিক নীতি, শক্তি ও স্বাধীনতা নিয়ে বিখ্যাত হয়েছে এবং তিনি রাজনীতিক মৌলিক সিদ্ধান্ত উদ্ভাবন করেন।
জন লক: জন লক (John Locke) ব্রিটিশ ফিলসফার এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন যিনি ১৭শ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর কাজ বিশেষত সর্বপ্রথম নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা নিয়ে ছিল। তাঁর লেখা “দি স্টেট অফ নেচার” (The State of Nature)।
জান জ্যাক রুসো: জান জ্যাক রুসো (Jean-Jacques Rousseau) সুইস ফিলসফার, লেখক এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ১৮শ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর বই “সামাজিক চুক্তি” (The Social Contract) এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রজাতন্ত্র এবং মানবিক অধিকার বিষয়ে প্রধান ধারণাগুলি উন্মুক্ত করেন। রুসোর ধারণা রাষ্ট্রের কর্তৃক সমাজ ও প্রজা মধ্যে একটি সাম্য বিতরণের প্রয়োজনতার উপর ভিত্তি করে।
আদম স্মিথ: আদম স্মিথ (Adam Smith) স্কটিশ আর্থিকবিদ এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ১৮শ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর বই “একটি অর্থনৈতিক পরিবর্তনের অধ্যয়ন” (An Inquiry into the Nature and Causes of the Wealth of Nations) আধুনিক অর্থনীতির ভিত্তি হিসাবে পরিচিত।
প্রাচীন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে
প্রাচীন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসাবে ধারণা করা হয় কোন কোন ব্যক্তিদের উল্লেখও করা হয়। একটি সংস্কৃত গ্রন্থ যাকে “আর্থশাস্ত্র” বা “আর্থশাস্ত্রের পিতামহ” হিসাবে পরিচিত করা হয়,
তাতে রাজনীতি ও আর্থিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হয়েছে। এই গ্রন্থের লেখক হিসাবে পরিচিত আরিষ্টটেল একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক এবং ভৌত বিজ্ঞানী ছিলেন।
আরিষ্টটেলের সাথে আরেকজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক ও রাজনীতি বিজ্ঞ চান্দ্রগুপ্ত মৌর্যও সম্পর্কিত ছিলেন। চান্দ্রগুপ্ত মৌর্য কে প্রাচীন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও, কনফিউশাস (Confucius), চানাক্য (Chanakya), কং ফু (Kong Fu) সহ অন্যান্য দার্শনিক এবং লোকনীতিবিদরও প্রাচীন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাদের বিচার ও লেখনী রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ব্যাপক ভুমিকা রাখে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আদি জনক কে
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আদি জনক হিসাবে বিভিন্ন ধারণা থেকেই তুলনামূলক অনুশীলন সম্পন্ন হয়েছে। তথ্যপ্রবাহে অনেক
মন্ত্রণালয় থাকার কারণে প্রায় নিশ্চিত করা একটি কঠিন কাজ।
কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে, বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্রবিজ্ঞানবিদ অ্যানটনিয়ো গ্রামশি (Antonio Gramsci) হিসাবে পরিচিত
হয়েছেন। তিনি ইতালীয় একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং দার্শনিক ছিলেন।
তাঁর মতামত এবং আদর্শ দৃষ্টিতেই অনেক জন তাঁকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আদি জনক হিসাবে মন্য করেন।
আবার, কিছু অন্যান্য গবেষণাও প্রকাশ করা হয়েছে যে ফদেরিক বাস্কেয়েল (Federico Varese) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আদি জনক হিসাবে পরিচিত হয়েছেন।
তিনি একজন ইতালীয় প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং সমাজশাস্ত্রী। তাঁর মতামতে এবং গবেষণা কাজে অনেক বিভিন্ন প্রায়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আদি জনক হিসাবে অন্যান্য বিভিন্ন ব্যক্তিত্বও উল্লেখযোগ্য হতে পারে। নিচে কিছু সূত্র দেওয়া হলো:
নিকোলো মাচিয়াভেলি (Niccolò Machiavelli): নিকোলো মাচিয়াভেলি ইতালীয় রাজনীতিবিদ এবং লেখক ছিলেন। তাঁর
মতামত এবং রাজনীতিক উপকারিতা নিয়ে তিনি প্রশিক্ষিত একজন পরিচিত ছিলেন।
তাঁর লেখা “রাজনীতির রচনা” (The Prince) বিখ্যাত হয়েছে এবং এটি একটি প্রশিক্ষণমূলক গ্রন্থ হিসাবে মান্য করা হয়েছে।
তিনি প্রথম প্রকাশিত করেছিলেন এই ধারণাটির উপর ভিত্তি করে, এটি তাঁকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আদি জনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জহন লক (John Locke): জহন লক একজন আগ্রহী রাজনীতিবিদ এবং দার্শনিক ছিলেন। তিনি বিচারধারার উত্থানের
একজন বৃহত্তম ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত। তাঁর লেখা “সরকার সম্পর্কে প্রয়োগ করে”।
ম্যাকিয়াভেলীকে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়
ম্যাকিয়াভেলীকে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয় না। ম্যাকিয়াভেলী ইতালির রাজনীতি বিজ্ঞানী এবং সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতি সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন।
তিনি ১৫শ শতাব্দীর শেষ দিকে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫২৭ সালের একটি বিদ্রোহের ফলে তিনি নিরুদ্ধ হন।
ম্যাকিয়াভেলীর প্রধান গ্রন্থ হচ্ছে “রাজনীতির রাজকীয় উপদেশ” (The Prince) যেটি একটি মহান রাজনীতি নীতি গ্রন্থ হিসেবে পরিচিত।
ম্যাকিয়াভেলীর কাজগুলি প্রায়শই আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিতর্কিত হয়, কারণ তিনি রাজনীতি ও শাসন সম্পর্কিত কয়েকটি বিষয়ে অদ্যতন ওয়েভের বিপরীত।
ম্যাকিয়াভেলী একটি নীতিবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন যে তিনি পদক্ষেপের ক্ষমতায় এবং রাজনীতিক পৌরুষের গুরুত্বের ওপর বিশেষ জোর দেন।
ম্যাকিয়াভেলীর কাজ মূলত অনুশাসনের ও ক্ষমতা প্রাপ্তির উপর ভিত্তি করে। তিনি মনে করতেন যে রাজনীতিক শক্তি ও
অনুশাসন একই মানুষের নিজস্ব লক্ষ্যগুলি সম্পর্কে নির্ভর করে।
ম্যাকিয়াভেলীর মতে, রাজনীতিক নেতারা শক্তির জন্য প্রতিকূল নীতিগুলি অনুসরণ করতে পারেন, যদি এটি তাদের শক্তি বা স্থানাপন্ন ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় হয়।
তারা সাধারণ মর্যাদা, ন্যায়পরায়ণতা, এবং মূল্যনীতির পৌরুষ বা মার্গে কমপক্ষে পুরুষাঙ্গটুকু চিন্তাভাবনার প্রয়োজনগুলি বরখাস্ত করতে পারেন।
তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বানাচ্ছে রাজনীতিক নীতি হিসেবে একটি সংগঠিত ও যুক্তিসঙ্গত কার্যক্রম, যা অনুসরণ করলে রাজনীতিক
সাম্প্রদায়িকতা, শাসন ক্ষমতা, ও সুরক্ষা সম্পর্কে বিজয়ী হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
আধুনিক সংসদীয় গণতন্ত্রের জনক কে
আধুনিক সংসদীয় গণতন্ত্রের জনক হিসাবে বিখ্যাত ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ জন লকস ব্লকে (John Locke) উল্লেখযোগ্য। জন
লকস ব্লকে একজন পলিটিক্স এবং ফিলসফির বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন যিনি ১৭শ শতাব্দীর উত্তরার্ধে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর কার্যকালে তিনি গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদানগুলির ব্যাখ্যা করেন এবং রাষ্ট্রের শক্তি ও নাগরিকের অধিকারের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করেন।
তাঁর অগ্রযাত্রায় তিনি স্বাধীনতা, সরকারের মাধ্যমে নাগরিকদের সুরক্ষা, ন্যায়পালন ও শাসনের প্রশাসন নিয়ে গবেষণা
করেন। তাঁর ভাবনা এবং কর্মকাণ্ড পরে আধুনিক সংসদীয় গণতন্ত্রের আধার হিসাবে গণ্য হয়ে ওঠে।
এছাড়াও, আরও অনেক রাষ্ট্রপতি, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ, লোকনীতিবিদ এবং কারিগরিক ব্যক্তিত্বর যেমন বারোক ডি স্পিনোজা (Baruch Spinoza)।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে
আরও বিখ্যাত ব্যক্তিত্বর মধ্যে আধুনিক সংসদীয় গণতন্ত্রের জনক হিসাবে পরিচিত রয়েছেন জান জ্যাক রুসো (Jean-Jacques Rousseau)।
জান জ্যাক রুসো একজন ফরাসি রাজনীতিবিদ ও তattit ব্যক্তিত্ব ছিলেন যিনি ১৮শ শতাব্দীর উত্তরার্ধে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মানুষের প্রাকৃতিক অধিকার
এবং স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করেন এবং তাঁর গ্রন্থ ‘সামাজিক চুক্তির এবং সমাজতান্ত্রিক চুক্তিপত্র’ (The Social Contract) একটি আধুনিক গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান হিসাবে বিখ্যাত হয়।
রুসোর ভাবনা এবং কর্মকাণ্ড একটি সামাজিক সম্পর্কের পদবীর সাথে পরবর্তী মস্তিষ্কের আলোকে নির্মিত গণতন্ত্রের আধার হিসাবে বিকাশে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এছাড়াও, আরও কয়েকজন প্রমুখ ব্যক্তিত্ব যারা আধুনিক সংসদীয় গণতন্ত্রের উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখেন।